বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন কোন ব্যাংক?
নতুন উদ্যোক্তা হলে, ব্যবসা প্রসারের জন্য, বিদেশে গমন ইত্যাদি নানা প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ নিতে হয়। তবে অনেকের জন্যই ঋণ গ্রহণের বিপরীতে জামানত প্রদান করা সম্ভব হয়না। তাই উদ্যোক্তা হয়ে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এটি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে ও অন্যান্য প্রয়োজনে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করে। তবে সকলকে এ ধরনের ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়না। তাই বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক, কারা ঋণ নিতে পারবে, বিনা জামানতে ঋণ পাওয়ার শর্তাবলী, আবেদন প্রক্রিয়া, ঋণের পরিমাণ ও সুদের হার সম্পর্কিত সকল তথ্য থাকছে আজকের আলোচনায়।
সূচিপত্রঃ
বিনা জামানতে ঋণ/লোন বলতে কি বুঝায়?
ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের জন্য ঋণের বিপরীতে নিশ্চয়তার প্রমাণপত্র হিসেবে কোন সম্পদ বা তার মালিকানার কাগজপত্র জমা দিতে হয়। যেমন- জমির দলিল, ব্যাংক একাউন্টের স্বাক্ষরিত খালি চেক, ব্যবসার কাগজপত্র ইত্যাদি। এগুলোকে জামানত বলা হয়।
জামানত ছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পেলে তাকে বিনা জামানতে লোন বলে।
কোন কোন ব্যাংক বিনা জামানতে ঋণ দেয়?
পূর্বে বিনা জামানতে ঋণ কার্যক্রম শুধুমাত্র একটি ব্যাংকেই চালু ছিল। বেকার যুবকদের বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক – এ প্রসঙ্গে একমাত্র ব্যাংক ছিল কর্মসংস্থান ব্যাংক।
১৯৯৮ সালে দেশের বেকার বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে ঋণ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক চালু করা হয়। এছাড়াও বর্তমানে সোনালী ব্যাংক ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক এই সুবিধা প্রদান করছে।
বর্তমানে বিনা জামানতে ঋণ দিয়ে থাকে-
- কর্মসংস্থান ব্যাংক,
- সোনালী ব্যাংক, ও
- অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক
- এছাড়াও সিএসএমই জামানত বিহীন ব্যাংক ঋণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
উপরে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তা জানতে পারলাম। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উদ্যোক্তাদের বিনা জামানতে বিভিন্ন শর্তাবলী পূরণের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে। বিদেশ গমনের উদ্দেশ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদান করেন। এছাড়াও ঋণের চাহিদা নির্ধারিত পরিমাণের বেশি হলে জামানত দিতে হয়।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়াই ৫ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে এই ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মসূচি অনুযায়ী ঋণের সুদের হার ৮% থেকে ১০% হতে পারে। সাধারণত ঋণ পরিশোধ করতে দেরি হলে ১০% সুদ দিতে হয়। তবে এই ঋণ সুবিধা পাওয়ার জন্য জামানত বাধ্যতামূলক না হলেও বেশ কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হয়।
বিনা জামানতে ঋণ পেতে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হয়
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশ নাগরিক হতে হবে। বেকার বা অর্ধবেকার উদ্যোক্তা হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ১৮-৪৫ বছর। তবে পূর্বে এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকলে বয়স সীমা শিথিলযোগ্য।
- সর্বনিম্ন ৫ম শ্রেনী পাশ হতে হবে।
- যে শাখা থেকে আবেদন করবেন সে শাখার এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অথবা সে এলাকার কোন স্থায়ী বাসিন্দাকে আপনার ঋণের গ্যারান্টার হতে হবে।
- যে প্রকল্পের জন্য ঋণ নিতে চান, সে প্রকল্প পরিচালনার বিষয়ে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ/ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর (Department of Youth Development), সোশ্যাল ডেডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (Social Development Foundation- SDF), বিসিক (BSCIC), বা অন্য কোন সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকতে হবে।
- ঋণ ব্যবহারের যোগ্যতা, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও অর্থনৈতিক আচরণে সুনাম থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর ইকুইটি (Enquity) বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
- অন্য কোনো ব্যাংক, এনজিও, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপী হওয়া যাবেনা।
- ঋণ নীতিমালার অন্য সকল নিয়ম অনুসরণে সক্ষমতা থাকতে হবে।
বিনা জামানতে ঋণ পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তা আমরা পূর্বেই জেনেছি। ঋণ পাওয়ার জন্য সরাসরি কর্মসংস্থান ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় উপস্থিত হয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে ব্যাংকে কি কি ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে এবং ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে সরাসরি কর্মসংস্থান ব্যাংকের হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে, ইমেইল করে, ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের যোগাযোগ মাধ্যম
হেল্পলাইন নাম্বার: 02-47111141
ইমেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: https://www.kb.gov.bd
সোনালী ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংক অনেক কার্যকর। এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে সোনালী ব্যাংক বিনা জামাতে বিভিন্ন ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ঋণ হচ্ছে-
- ক্ষুদ্র ব্যবসায় ঋণ
- চাকরিজীবীদের জন্য পার্সোনাল ব্যাংক লোন
বিনা জামানতে সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন
আবেদনকারীর কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায় থাকলে তা প্রসারের জন্য সোনালী ব্যাংক জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদের হার ৯%।
সোনালী ব্যাংকের ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজন হবে-
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র।
- ছবি।
- হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স।
- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নিজের দোকান হলে খাজনা পরিশোধের রসিদ, ভাড়া দোকান হলে ভাড়ার চুক্তিনামা।
- দোকানের ইনভেন্টরি/ পন্যের মুল্যসহ বিবরণ।
- গত ৩ বছরের আয় ব্যয় বিবরণী।
- একজন ব্যক্তিগত জামিনদাতা বা ঋণ গ্যারান্টার।
এ সকল শর্ত পূরণ করলে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
চাকরিজীবিদের জন্য সোনালী ব্যাংকের পার্সোনাল লোন
শিক্ষক ও অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য জামানত বিহীন ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধা প্রদান করছে সোনালী ব্যাংক। এছাড়াও সরকারি চাকরিজীবীদের ফ্ল্যাট ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণের জন্যও ঋণ প্রদান করা হয়।
পার্সোনাল লোন (Personal Loan) হিসেবে ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোন জামানত ছাড়াই ঋণ নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে যারা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন পায় তারা অগ্রাধিকার পাবে।
অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ
ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে জামানত প্রদানের বাধ্যবাধকতা পূরণ অনেকের জন্যই সম্ভব হয়না। তাই প্রায় সকল বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোই জামানত বিহীন ঋণ সুবিধা চালু করেছে। এক্ষেত্রে আপনার এলাকায় বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তা জেনে ২০ হাজার থেকে শুরু করে উদ্দেশ্য বিবেচনায় ৫-৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
সরাসরি ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র, আবেদনকারীর ছবি, ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি ডকুমেন্টস নিয়েই আবেদন করা যায়।
বিনা জামানতে সিএসএমই ব্যাংক ঋণ
প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ও ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিনা জামানাতে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার।
কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ (সিএমএসএমই) (Cottage, Small & Medium Enterprises- CSME) পর্যায়ের ব্যবসা থাকলেই বিনা জামানতে কম সুদে ঋণ নেওয়া যাচ্ছে ৫১ বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এ ঋণের জামিনদার হয়ে ঋণ সুবিধা প্রদান করছেন।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন, জীবন-মান উন্নয়ন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে পরিচালিত হয় এই ঋণ বিতরণ কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তা অনেকেরই অজানা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকার প্রি-ফাইনান্স তহবিল ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের (Credit Guarantee Scheme) আওতায় এ ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এর জন্য বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ৪৩ বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয়েছে।
এর আওতায় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫৩ গ্রাহককে মোট ২৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে জামানত প্রদান বাধা হয়ে হয়ে দাঁড়ায়। তাই জামানতকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
সিএসএমই জামানত বিহীন ঋনের পরিমাণ ও সুদের হার
সিএসইএমই ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের পর্যায়ে ভেদে ঋণের সীমা ২৫ হাজার থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়। যেমন-
- কুটির উৎপাদনশীল ও সেবা শিল্প খাতে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা।
- ক্ষুদ্র উৎপাদনশীল শিল্প খাতে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা। সেবা শিল্প খাতে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা।
- মাঝারি উৎপাদনশীল শিল্প খাতে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা। সেবা শিল্প খাতে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হবে।
সাধারণভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯% হলেও সিএসএমই ঋণ সুবিধা কার্যক্রমে সুদের হার সর্বমোট ৭% নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে ৬% ঋণের সুদ এবং ১% ক্রেডিট গ্যারান্টি ফি নেওয়া হয়।
সিএসএমই ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায়
এই কার্যক্রমের আওতায় বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তা জেনে ঋণ পাওয়ার জন্য একজন যে সকল ব্যাংকে এই ঋণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে সে ব্যাংক গুলোতে আবেদন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে-
- সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে একটি ব্যাংক একাউন্ট
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র
- সম্ভাবনাময় ব্যবসার বর্তমান অবস্থার প্রমাণপত্র
- ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা
- কোন ব্যাংক বা এনজিওর ঋণ খেলাপি অভিযোগ থাকা যাবে না।
এছাড়াও ব্যাংকের চাহিদা মাফিক অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় আবেদন করতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা আবেদনের বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই করে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করবে। তারপর ৩ কার্য দিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ ব্যবস্থাপনা করবে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসার তদন্তের জন্য সময় বেশি লাগতে পারে।
সিএসএমই খাতে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক তা নিচে দেওয়া হলো-
সরকারি ব্যাংকগুলো-
- সোনালী ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- বেসিক ব্যাংক
- কৃষি ব্যাংক
- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
বেসরকারি ব্যাংকগুলো-
এনআরবিসি, ট্রাস্ট ব্যাংক, এক্সিম, গ্লোবাল ইসলামী, ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার, পূবালী, এবি, সোশ্যাল ইসলামী, শাহজালাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল, ব্র্যাক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার, সীমান্ত, সাউথইস্ট, স্ট্যান্ডার্ড, দি সিটি ব্যাংক, কমিউনিটি, ডাচ বাংলা, ইস্টার্ন, যমুনা, মেঘনা, মার্কেন্টাইল, মধুমতী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনসিসি, এনআরবি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল।
শেষকথা
বর্তমানে বিনা জামানতে প্রধানত কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া গেলেও অন্যান্য সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক ও এনজিও এ সেবা প্রদানে পিছিয়ে নেই। বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এ সম্পর্কিত তথ্য জেনে আপনার ব্যবসার অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন পরিমাণ ঋণ নিয়ে ব্যবসার উন্নয়ন করতে পারেন।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১। এসএমই ঋণ কি?
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ- এসএমই (Small and Medium Enterprise- SME) ঋণ সাধারণত ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় একটি জামানত বিহীন মাসিক কিস্তি ভিত্তিক ঋণ।
২। জামানতবিহীন ঋণ কত টাকা পাওয়া যায়?
বিনা জামানতে কর্মসংস্থান ব্যাংকে ৫ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা, সোনালী ব্যাংকে ৩-৫ লক্ষ টাকা, অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকে ২০ হাজার থেকে ৫-৮ লক্ষ টাকা। সিএসএমই ব্যাংক ঋণ কার্যক্রমে ২৫ হাজার থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়।
৩। জামানতবিহীন ঋণের সুদের হার কত?
বিনা জামানতে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ৮%-১০% সুদের হারে, সোনালী ব্যাংকে ৯% সুদের হারে, অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকে ৯% সুদের হারে এবং সিএসএমই ব্যাংক ঋণে ৭% সুদের হারে প্রদান করা হয়।