টেকনোলজি

মোবাইল নাম্বার দিয়ে কারো পরিচয় বের করার উপায়

আধুনিক যুগে যোগাযোগের জন্য আমরা প্রায় প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে থাকি। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা, জালিয়াতি, হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কখনো কখনো অপরিচিত নাম্বার থেকে নিয়মিত বিরক্ত করার ঘটনাও আমাদের আশেপাশে হরহামেশাই দেখা যায়। এধরণের সমস্যার কারণে অনেক ব্যবহারকারীকে শেষ পর্যন্ত তার মোবাইল নাম্বারটি পরিবর্তন করতে দেখা যায়। তবে বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে যে কেউ চাইলেই তাকে বিরক্ত, প্রতারণা বা জালিয়াতি করার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার দিয়ে ঐ ব্যাক্তির পরিচয় বের করতে পারবেন খুব সহজেই। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের সকল সিম কার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিষ্ট্রেশন হওয়ায় কোন ব্যক্তির সকল তথ্যই প্রশাসনের কাছে সংরক্ষিত থাকে। ফলে বিশেষ প্রয়োজনে কোন ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও বর্তমানে সংগ্রহ করা যায়। তাই আজকের লেখাটিতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।

সূচিপত্রঃ

মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করার পদ্ধতিসমূহ

মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করার বিষয়টি বেশ পুরাতনই বলা যায়। স্মার্ট ফোনের চল শুরুর পর থেকেই আসলে এই বিষয়টি চলে আসছে। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে এই বিষয়টি পূর্বে অতটা কার্যকর ছিল না। বাংলাদেশেও কিছুদিন আগেও সহজেই রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিম কার্ড হাতের নাগালেই পাওয়া যেত। যার সাহায্যে ঐ সিম কার্ড বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহারকারীর পরিচয় বের করা অনেকটাই অসম্ভব ছিলো। কিন্তু বর্তমানে এদেশের সকল সিম কার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিষ্ট্রেশন করানো হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও ইন্টারনেটে অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যার সাহায্যে কোন মোবাইল ফোনের নাম্বারের ব্যবহারকারীর পরিচয় জানা যায়। ফলে এখন মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করাটা হাতের নাগালেই চলে এসেছে বলা যায়। এখানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কিভাবে মোবাইল নাম্বার থেকে পরিচয় বের করা যায় তার পদ্ধতি দেওয়া হলো।

ট্রু কলার (Truecaller) মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমেঃ

মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করার অন্যতম প্রচলিত এবং কার্যকর একটি পদ্ধতি হচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা। বর্তমানে ইন্টারনেটে কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করে দিতে সাহায্য করে। তেমন একটি অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে ট্রু কলার।

ট্রু কলার বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশন। এর সাহায্যে ফোন নাম্বার থেকে অপরিচিত কোন ব্যক্তির পরিচয় বের করা ছাড়া, স্বাভাবিক ফোন কল করা, নাম্বার ব্লক করা সহ আরো অনেক কিছু করা যায়। ট্রু কলারের সাহায্যে অনেক জায়গাতেই কোন অপরাধ দমন থেকে কোন মানুষের জীবন বাঁচানোর মত ঘটনাও দেখা গিয়েছে। ট্রু কলার অ্যাপটি ডাউনলোড করা ও ব্যবহার করা খুবই সহজ। এখানে ধাপে ধাপে কিভাবে ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহার ও এর সাহায্যে অপরিচিত মোবাইল নাম্বারের পরিচয় বের করা যায় তা দেওয়া হলো।

ধাপঃ ১

ট্রু কলার অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যে কেউ তার মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ডাউনলোড করতে চাইলে যে কোন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থেকে গুগল প্লে স্টোরে অথবা আইফোন থেকে অ্যাপ স্টোরে গিয়ে ‘Truecaller’ লিখে সার্চ দিতে হবে।

ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ১

ধাপঃ ২

এরপর সার্চ লিস্টে আসা প্রথম অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। এরপর অ্যাপটি মোবাইল ফোনে ওপেন করতে হবে।ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ২

ধাপঃ ৩

এছাড়াও ট্রু কলারের ওয়েবসাইটে ( https://www.truecaller.com/ )  প্রবেশ করেও চাইলে ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপটি।ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ৩

ধাপঃ ৪

ট্রু কলার অ্যাপটি ইন্সটল করে ওপেন করার পর অ্যাপটি বেশ কিছু অনুমতি চাইতে পারে। অ্যাপটি প্রথমেই ব্যবহারকারীর ফোনকল হিস্টোরি, মোবাইল ফোনে সেভ করা কন্টাক্ট নাম্বারের তালিকা, এসএমএসগুলো ব্যবহার করার অনুমতি চাইবে। এটিকে মূলত এই অ্যাপটি ব্যবহার করার পূর্বশর্ত বলা যায়। এই অনুমতিটি না দিলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ৪

এখানে উল্লেখ্য যে, এই তথ্যগুলো অ্যাপটি অন্য ব্যবহারকারীদের দেখানোর জন্য নেয় না। এটি মূল ব্যবহারকারীর তথ্যের সাথে তাদের ডেটাবেজ মিলিয়ে যথাসম্ভব তথ্য প্রদান করার জন্য নেওয়া হয়।

ধাপঃ ৫

এরপর অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীর কাছে তার সকল কল এবং ম্যাসেজ দেওয়ার জন্য ডিফল্ট (Default) অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে নির্বাচন করার অপশন দেখাবে। এই অপশনটি প্রায় সকল ক্ষেত্রেই অনেক সাহায্য করে। অ্যাপটি ব্যবহার করাও একইসাথে এতে বেশ সহজ হয়ে যায়। কিন্তু কেউ চাইলে এটি পরবর্তীতেও চালু করতে পারবেন।ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ৫

ধাপঃ ৬

এরপর অ্যাপটিতে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য ব্যবহারকারীর মোবাইল নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে এবং নাম্বারটি কনফার্ম করতে হবে।ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ৬

ধাপঃ ৭

নাম্বার কনফার্ম করার পর অ্যাপটির প্রাইভেসি পলিসি (privacy policy) এবং টার্মস অফ সার্ভিসেস (terms of services) দেখাবে। এখানে “Agree and continue” বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।

ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ৭

ধাপঃ ৮

তারপর ট্রু কলার অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য একটি প্রোফাইল তৈরী করতে হবে। কেউ চাইলে তার গুগল একাউন্ট অথবা ফেসবুক একাউন্টের সাথে অ্যাপটিকে সংযুক্ত করে সহজেই প্রোফাইলটি তৈরী করে ফেলতে পারবেন।ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ৮

ধাপঃ ৯

অন্যথায় নাম ও ইমেইল এড্রেস লিখে প্রোফাইলটি তৈরী করতে হবে।

ট্রু কলার অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় খুজে বের করার উপায়, ধাপঃ ৯

এরপরই ট্রু কলার অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। এখন ব্যবহারকারী ট্রু কলার অ্যাপটিতে প্রবেশ করলেই তার কল হিস্টোরি (Call History) চেক করলেই ফোন করা ব্যক্তির নাম ভেসে উঠবে। এছাড়া ট্রু কলার অ্যাপটিকে কেউ ডিফল্ট (Default) অ্যাপ হিসেবে নির্বাচন করে থাকলে অপরিচিত কেউ ফোন করলেই সরাসরি ব্যবহারকারীর স্ক্রিনে যিনি কল করেছেন তার নাম ভেসে উঠবে।

এমনকি শুধুমাত্র অপরিচিত কোন নাম্বার জানা থাকলেও এই অ্যাপের সাহায্যে পরিচয় জানা যাবে। সেক্ষেত্রে ঐ নাম্বারটিকে মোবাইলে কোন নাম দেওয়া ছাড়াই সেভ করতে হবে। সেভ করে ট্রু কলার অ্যাপের সাহায্যে চেক করলেই নাম্বারটির ব্যবহারকারীর পরিচয় জানতে পারা যাবে।এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, এই অ্যাপটির সাহায্যে অনেক মোবাইল নাম্বারের পরিচয় বের করা সম্ভব হলেও, সকল ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি কাজ করে না। এই অ্যাপটির সাহায্যে পরিচয় বের করার জন্য যার পরিচয় বের করতে হবে তার একটি ট্রু কলার আইডি থাকতে হবে। এছাড়াও অন্য কেউ যদি ট্রু কলার ব্যবহার করে ঐ ব্যক্তির নাম্বারটি কোন নাম দিয়ে মোবাইলে সংরক্ষণ করে থাকে, সেক্ষেত্রেও পরিচয় জানা যাবে। ট্রু কলার মূলত তার ব্যবহারকারীদের সংরক্ষণ করা তথ্য থেকে একটি ডেটাবেজ তৈরী করেছে। সেখান থেকেই মূলত কোন ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারা যেতে পারে। তাই ট্রু কলারের সাথে কোনভাবেই সম্পর্ক নেই এ ধরনের কোন ব্যক্তির পরিচয় ট্রু কলার অ্যাপের সাহায্যে বের করা সম্ভব হবে না।

সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় বের করা

সোস্যাল মিডিয়া বর্তমানে আমাদের প্রায় সকলেরই জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে কোন না কোন সোস্যাল মিডিয়ার সাথে সংযুক্ত। অধিকাংশ সোস্যাল মিডিয়াতেই একাউন্ট খুলতে মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হয়। এই বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই অপরিচিত কোন ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার থেকে পরিচয় বের করতে সাহায্য করতে পারে। 

ফেসবুক

ফেসবুক এদেশে সবচাইতে বেশী ব্যবহৃত সোস্যাল মিডিয়া। বর্তমানে ইন্টারনেট সংযুক্ত মোবাইল ফোন আছে এমন প্রায় সকলেরই ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে। ফেসবুক ব্যবহার করার জন্য মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল এড্রেস উভয়ই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ফেসবুক প্রোফাইল সম্পুর্ণ করার জন্য প্রত্যেকেরই ফেসবুকে মোবাইল নাম্বার যুক্ত করতে হয়। ফলে ফেসবুকের সাহায্যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করা যায়।

ফেসবুকের সাহায্যে মোবাইল নাম্বার থেকে পরিচয় বের করার জন্য ঐ নাম্বারটিকে ফেসবুকের সার্চ বারে লিখে সার্চ দিতে হবে। যদি ঐ ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার সকলের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় অর্থাৎ মোবাইল নাম্বারের Privacy: Public দেওয়া থাকে তাহলে সার্চ দিলেই ঐ ব্যক্তির ফেসবুক প্রোফাইল পাওয়া যাবে। সেখান থেকে সহজেই ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারা যাবে।

ইমো (Imo)

বাংলাদেশে ইমো খুবই বিখ্যাত একটি প্লাটফর্ম। এদেশের অনেক মানুষই এটিকে অনলাইনে যোগাযোগ করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। ইমো ব্যবহার করার প্রধান একটি শর্ত হচ্ছে, এর একাউন্ট খোলার জন্য সবাইকে একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হয়। তাই মোবাইল নাম্বার থেকে কারো পরিচয় বের করতে হলে ইমো অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

ইমো ব্যবহার করে কোন অপরিচিত মোবাইল নাম্বারের পরিচয় বের করতে চাইলে প্রথমে ঐ নাম্বারটি মোবাইলে সেভ করতে হবে। তারপর ইমো অ্যাপটিতে প্রবেশ করে ঐ নাম্বারটি খুঁজে বের করলেই ঐ নাম্বারের মালিকের নাম, ছবি দেখতে পাওয়া যাবে।

পুলিশের সাহায্যে ব্যাক্তির পরিচয় বের করা

বাংলাদেশের সকল সিম কার্ড বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের সাহায্যে এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিষ্ট্রেশন করা। ফলে প্রতিটি সিম কার্ডের মালিকের সম্পূর্ণ পরিচয় প্রশাসনের কাছে সংরক্ষণ করা থাকে। সেকারণে কোন অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে কোন হুমকি দিলে, কোন ধরনের জালিয়াতির চেষ্টা করলে পুলিশের কাছে যাওয়াটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত। পুলিশ প্রয়োজনে পরিচয় বের করা ছাড়াও ঐ মোবাইল নাম্বার ব্যবহারকারীর অবস্থানও নির্ণয় করতে পারে। যাতে করে কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও এর সমাধান পাওয়া যায়।

পুলিশের সহায়তায় কোন মোবাইল নাম্বারের পরিচয় বের করতে হলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী জিডি করার খুব অল্প কিছুদিনের মাঝেই পুলিশ ঐ ব্যক্তির পরিচয় বের করে দিবে। এমনকি প্রয়োজন হলে ঐ মোবাইল নাম্বারটি যদি সচল থাকে তবে ঐ ব্যক্তির বর্তমান অবস্থানও পুলিশ খুঁজে বের করতে পারবে। এরপর চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

শেষকথা

প্রযুক্তির কল্যাণে এই সময়ে প্রতিনিয়তই নানান ধরনের অপরাধ বাড়ছে, যার অনেকগুলোই মোবাইল নাম্বার সম্পর্কিত। কিন্তু এই সময়ে কারো পক্ষে নিজের পরিচয় সম্পূর্ণভাবে লুকিয়ে রাখাটা বেশ কঠিন। কারণ একটি মোবাইল নাম্বার থেকে এখন বেশ সহজেই কারো পরিচয় জানতে পারা যায়। তাই অপরিচিত মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরিচয় বের করার জন্য এই লেখাটি আপনাদের অনেকভাবেই সাহায্য করতে পারবে বলে আশা করছি।

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১) মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকলেও কি ঐ নাম্বার ব্যবহারকারীর পরিচয় জানা যাবে?

উত্তরঃ হ্যাঁ। মোবাইল নাম্বারের পরিচয় জানতে মোবাইল নাম্বারটি সচল থাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু কোন মোবাইল নাম্বার যদি বন্ধ থাকে তবে ঐ নাম্বারটির বর্তমান অবস্থান পুলিশের পক্ষে বের করা সম্ভব হয় না।

২) ট্রু কলার অ্যাপটি কি নিজের মোবাইল ফোনে কোন নামে সেভ করা নাম্বার ছড়িয়ে দেয়?

উত্তরঃ ট্রু কলার সাধারণত মোবাইল ফোনের মেমোরিতে সেভ করা নাম্বারের নাম অথবা পরিচয় অন্যদেরকে দেখায় না। কিন্তু কোন কন্টাক্ট নাম্বার যদি ট্রু কলার অ্যাপের সাহায্যে সেভ করা হয়, সেটি যে নামে সেভ করা হয়েছে ঐ নামটি অন্য ব্যবহারকারীদের ও দেখাবে।

৩) ট্রু কলার অ্যাপটি ফোন কল করার জন্য ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে নির্বাচন করে রাখা কি নিরাপদ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, ট্রু কলার অ্যাপটি ডিফল্ট হিসেবে নির্বাচন করে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। যেকেউ নিশ্চিন্তে এটিকে ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

৪) কোন মোবাইল নাম্বার থেকে পরিচয় বের করার জন্য পুলিশের কাছে গিয়ে জিডি করতে কতটাকা খরচ হয়?

উত্তরঃ মোবাইল নাম্বার থেকে পরিচয় বের করার জন্য পুলিশের নিকট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জিডি করা যায়। এজন্য কোন টাকার প্রয়োজন হয় না।

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button