সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম
সিম বা সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল (Subscriber Identity Module- SIM) ব্যবহার করা বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে প্রায় বাধ্যতামূলক। ঠিক সেজন্যই আপনার নামে নিবন্ধন করা সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মটি জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ২০১৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সর্বপ্রথম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন চালু হয়। নিবন্ধনকারীর আঙ্গুলের ছাপ ও এনআইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। বিটিআরসি (BTRC) তথ্যমতে, একজন ব্যক্তি বা একটি আইডি কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম রেজিস্টার করা যায়। সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে সিম নিবন্ধন ও মালিকানার তথ্য জানতে হয়।
নানা প্রয়োজনে অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে একটি আইডি কার্ডের আওতায় নিবন্ধনকৃত সিমের সংখ্যা, সিমের অপারেটর কোম্পানি ও সিম নাম্বারের আংশিক তথ্য জানা যায়। সিম নিবন্ধন চেক করার সে সকল তথ্য থাকছে আজকের আলোচনায়।
সূচিপত্রঃ
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার উপায়
বর্তমানে সিম কোন আইডি কার্ড দিয়ে নিবন্ধন করা তা জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে। যথা-
- অনলাইনে যেকোনো সিম থেকে এনআইডি নাম্বার দিয়ে।
- গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক সিম থেকে ভিন্ন ভিন্ন কোড ডায়াল করে।
- কাস্টমার কেয়ারে কল করে সঠিক তথ্য দিয়ে।
- সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হয়ে।
অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম তুলনামূলক সহজ।
এনআইডি (NID) দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্টার করা হয়েছে
আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কারন একজন ব্যক্তির সিম রেজিস্ট্রেশন লিমিট ১৫ টি। এছাড়াও আপনার এনআইডি দিয়ে রেজিস্টার করা সিম অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে, যা ঝুঁকিপূর্ণ।
বর্তমানে যেকোনো এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন:-
- আপনার মোবাইলের কল (Call) অ্যাপের ডায়াল প্যাডে মান।
- যে কোন সিম থেকে ডায়াল করুন *১৬০০১# (*16001#)
- এবার কল (Call) অপশনে ক্লিক করে মোবাইলে একাধিক সিম থাকলে একটি সিম সিলেক্ট করুন।
- আপনার সামনে পরবর্তী অপশন আসবে। এখানে প্লিজ এন্টার লাস্ট ৪ ডিজিট অফ ইউর আইডি (Please enter last 4 digit of your ID) লেখা দেখতে পাবেন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষের ৪ টি সংখ্যা (যেমন- ৫১৬২) লিখে সেন্ড (Send) অপশনে ক্লিক করুন।
অথবা,
আপনি চাইলে সরাসরি *১৬০০১*৫১৬২# লিখে সেন্ড করে দিতে পারেন।
- তারপর আবেদনটি প্রসেস করার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে একটি মেসেজ আসবে।
- সর্বশেষ, রিপ্লাই মেসেজে এনআইডি (NID) দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তার তথ্য দেখতে পাবেন।
এখানে, সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে নিবন্ধনকারীর সিমের সংখ্যা, সিম প্রিপেইড নাকি পোস্ট পেইড, সিমের অপারেটর, সিমের নাম্বার দেখতে পাবেন। বিটিআরসি (BTRC) – এর তথ্য থেকে সিম নাম্বারের প্রথম ৩ ডিজিট ও শেষের ৩ ডিজিট দেখানো হয়, সম্পূর্ণ সিম নাম্বার আসেনা।
যেমন-
মোট: ২, এসএনআইডি (২):
জিপি (প্রিপেইড-১): ৮৮০১৭*****৬৭৬
বাংলালিংক (প্রিপেইড-১): ৮৮০১৯*****২৬২
{TOTAL: 2, SNID (2):
GP (pre-1): 88017*****676
BANGLALINK (pre-1): 88019*****262}
উপরোক্ত সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে সহজেই এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানতে পারবেন।
পাসপোর্ট দিয়ে সিম নিবন্ধন যাচাই
বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েও নিবন্ধন করা যায়। আপনার মোবাইল সিমটি যদি এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করে পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তাহলেও সিম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধন করা হয়েছে, তা জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই প্রায় একই।
পাসপোর্ট দিয়ে সিম নিবন্ধন যাচাই করতে-
- মোবাইলের ডায়াল প্যাড থেকে *১৬০০১# (*16001#) ডায়াল করে কল করুন।
- এবার, প্লিজ এন্টার লাস্ট ৪ ডিজিট অফ ইউর আইডি (Please enter last 4 digit of your ID)- এই অপশনে এনআইডি কার্ডের পরিবর্তে পাসপোর্ট নাম্বার/ ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার- এর শেষের চারটি ডিজিট লিখে সেন্ড (Send) করুন।
- কিছুক্ষণের মধ্যেই মেসেজের মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধন করা হয়েছে এবং সিমের তথ্য দেখতে পাবেন।
উপরোক্ত পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম অত্যন্ত সহজ। কাস্টমার কেয়ারে কল করেও জানতে পারেন। অথবা সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হয়ে এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে তার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
বর্তমানে অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম অত্যন্ত সহজ। আপনার হাতে থাকা যে কোনো মোবাইল নাম্বার/ যে কোনো সিম দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশনের তথ্য জানতে পারবেন। গ্রামীণফোন, টেলিটক, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল প্রতিটি সিম থেকেই নিবন্ধনকারীর তথ্য জানা যায়।
প্রতিটি সিম থেকে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার কোড ভিন্ন ভিন্ন। এবার জেনে নিন, কোন সিম থেকে কোন কোড ডায়াল করে অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে পারবেন:-
রবি সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
আপনি যদি রবি সিম অপারেটর ব্যবহার করে থাকেন তাহলে মোবাইলের ডায়াল প্যাডে *১৬০০*৩# ডায়াল করুন। রিপ্লাই মেসেজে রেজিস্ট্রেশন কৃত তথ্য ও ব্যবহারকারীর অন্যান্য সিম রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে তাও জানতে পারবেন।
বাংলালিংক সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
বাংলালিংক সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইলের ডায়াল প্যাডে *১৬০০*১# ডায়াল করুন। রিপ্লাই মেসেজের মাধ্যমে উক্ত সিম ও রেজিস্ট্রেশন কারীর তথ্য দেখতে পাবেন।
এয়ারটেল সিম রেজিস্ট্রেশন চেক অনলাইন
এয়ারটেল সিম অপারেটরের রেজিস্ট্রেশন চেক করতে মোবাইলের ডায়াল প্যাডে *১২১*৪৪৪৪# ডায়াল করুন। পরবর্তীতে রিপ্লাই মেসেজে সিম রেজিস্ট্রেশনের তথ্য জানতে পারবেন।
অথবা,
আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইনফো (info) লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬০০ (1600) এই নাম্বারে। এখানে একই সাথে সিম রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য জানা যায়।
জিপি সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইনফো (info) লিখে পাঠিয়ে দিন ৪৯৪৯ (4949) নাম্বারে।
ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধন করা আছে তাও জানতে পারবেন। সেজন্য, মেসেজ অপশনে আরইজি <স্পেস> এনআইডি কার্ডের নাম্বার (Reg<space> NID Number) ( যেমন- Reg 1971191751) লিখে পাঠিয়ে দিন ৪৯৪৯ নম্বরে। রিপ্লাই মেসেজে সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
টেলিটক সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে টেলিটক সিম অপারেটর ব্যবহারকারীদের সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে ইনফো (info) লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬০০ (1600) এই নাম্বারে।
হারানো সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা ছিলো কিভাবে জানবো?
একটি সিম কার্ড আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে। এছাড়াও আমরা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলা, ব্যাংক একাউন্টের টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন (Two Factor Authentication) চালু করা, গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার সেভ রাখা, বিভিন্ন অনলাইন সাবস্ক্রিপশন এড করে রাখি। তবে যেকোনো সময় একটি সিম হারিয়ে বা চুরি হয়ে যেতে পারে। পুনরায় সেই সিমটি উত্তোলন করতে প্রয়োজন হয় নিবন্ধনকারীর তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র।
কিন্তু আমরা অনেকেই অন্যজনের নিবন্ধন করার সিম ব্যবহার করি। এমতাবস্থায় আপনার সেই হারানো সিম টি কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা তা জানা কঠিন। এ বিষয়ে কাস্টমার কেয়ারে কল করলেও কোন তথ্য শেয়ার করবেনা।
এক্ষেত্রে উপরোক্ত সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে, অন্য একটি সিম থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। তারপর আইডি কার্ডের শেষের চার ডিজিট দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কোন ব্যক্তির এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিন। (হয়তো নিকটস্থ লোকদের মধ্যে কারো নামে সেই সিমটি রেজিস্টার করা ছিল)।
ফিরতি মেসেজে ঐ সিমের তথ্য না আসলে অন্য একজনের এনআইডি নাম্বার দিয়ে চেষ্টা করুন। কারো আইডি কার্ডের তথ্য দেওয়ার পর ফিরতি মেসেজে তালিকায় সেই সিম নাম্বারের তথ্য থাকলে, ঐ ব্যক্তির আইডি কার্ড দিয়ে সিম উত্তোলন করতে পারবে।
বারবার চেষ্টা করার পরও যদি আপনার কাঙ্খিত তথ্য না পান, তাহলে সেই সিমের কাস্টমার কেয়ারে সরাসরি যোগাযোগ করুন। এবং সিমের সম্ভাব্য মালিককে সাথে নিয়ে আপনার বিস্তারিত অসুবিধার কথা জানিয়ে আবেদন করুন। সেখানে অফিসিয়াল সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে যাচাই করে আপনার সিমটি পুনরায় উত্তোলন বা বন্ধ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
বাংলাদেশের বহু মানুষ অন্যের রেজিস্ট্রেশন করা সিম ব্যবহার করছে। হয়তোবা আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম অন্য কেউ ব্যবহার করছে। সেই ব্যবহারকারী বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক অপরাধে জড়িত হলে নিবন্ধনকারীকে জবাবদিহি করতে হবে। তাই নিজে ব্যবহার করছেন না এমন কোন সিম থাকলে/ চুরি হলে/ হারিয়ে গেলে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা উচিত।
বর্তমানে কাস্টমার কেয়ারে কল করে অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায়। রেজিস্ট্রারকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে এটি করতে পারবেন। অথবা সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হলে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা সহজ হয়।
সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য-
- প্রথমেই, যেই সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান, সেই সিম থেকে কাস্টমার কেয়ারে কল করুন।
- আপনি সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান এবং কেন করতে চান তা বলুন।
- কাস্টমার কেয়ার থেকে সিমের মালিকানা যাচাই করা হবে।
- আপনাকে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য, নাম, পিতা-মাতার নাম, সিমে ব্যালেন্সের পরিমাণ ও সর্বশেষ রিচার্জের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য জানতে চাইবে।
- সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে পারলে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারবেন।
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে আপনার নামে নিবন্ধন করা সিম যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারবেন।
সিমের রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন। সিমের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার মাধ্যমে সিমটি কার নামে আছে তা আমরা জানতে পারি। আপনার সিম অন্য কারো আইডি কার্ড দিয়ে কিংবা অন্য কারো ব্যবহার করা সিম আপনার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্টার করা থাকলে সিমের মালিকানা পরিবর্তন করা যায়। সেক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টস নিয়ে সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হতে হয়।
সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করতে প্রয়োজন হবে-
- সিমের বর্তমান মালিক ও যার নামে পরিবর্তন হবে উভয়ের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- সিমের বর্তমান মালিক ও যার নামে পরিবর্তন হবে উভয়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
তবে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে যাচাই করে বর্তমান মালিক যদি মৃত হয় তাহলে পরিবারের সদস্যরা এর মালিক হতে পারবে। সেজন্য কিছু ভিন্ন ডকুমেন্টস প্রয়োজন। যথা-
- মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সনদ (Death Certificate)
- মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ নামা।
- উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ২ কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
দেশের সকল সিম কোম্পানির প্রায় সকল জেলাতেই কাস্টমার কেয়ার অফিস রয়েছে। উপরোক্ত ডকুমেন্টস নিয়ে সেই অফিসে উপস্থিত হয়ে সিমের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করুন। এক্ষেত্রে ২০-১০০ টাকা ফি দিতে হয়।
খেয়াল রাখবেন, মালিকানা পরিবর্তন করে নতুন মালিকের নামে সিম উত্তোলন করলে, সেই সিমে থাকা বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ইত্যাদি একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
শেষকথা
একটি সিম আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে। অন্যদিকে, নানারকম জটিলতারও সৃষ্টি করতে পারে। তাই সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মে নিজের ব্যবহৃত সিম সম্পর্কে জানুন। অব্যবহৃত সিম বা অন্য কেউ ব্যবহার করছে এমন সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা মালিকানা পরিবর্তন করে নিন।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১। আমার নামে ১৫ টির বেশি সিম নেওয়া যাবে কি?
উত্তর: বিটিআরসি (BTRC) – এর ঘোষণা অনুযায়ী একটি ডকুমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। সেজন্য, পুরাতন অপ্রয়োজনীয়, হারিয়ে যাওয়া, চুরি হওয়া বা অন্য কেউ ব্যবহার করছে এমন সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করুন। তারপর পুনরায় নতুন সিম নিতে পারবেন।
২। বিটিআরসি (BTRC) কি?
উত্তর: বিটিআরসি হলো- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission)।
৩। অন্যের নামে রেজিস্টার করা সিম ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর: মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলা, ব্যাংক একাউন্টের টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে সিম। কোনো কারণে সেই সিম হারিয়ে গেলে, ড্যামেজ বা চুরি হলে সিমের মালিকের তথ্য প্রয়োজন হয়। অন্যের নামে রেজিস্টার করা সিম ব্যবহার করলে সে তথ্য পাওয়া কঠিন। তাই নিজের নামে রেজিস্টার করা সিম ব্যবহার করুন।