১০ টি সেরা ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
আপনি হয়তো রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন বাঁ বাইকে কোথায় যাচ্ছেন। তখন আপনার চোখে খুব সুন্দর একটা দৃশ্য ধরা পড়ল। আপনি চাইছেন সেই দৃশ্যটাকে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এর ক্যামেরাতে বন্দী করতে। আপনি করেও ফেললেন হয়তো। আপনি বাসায় আসার পর বা পরে ছবিটি আপনার ফোনে দেখলেন। তখন আপনার মনে হলো আপনি বাস্তবে দৃশ্যটি যতো সুন্দর দেখেছিলেন ছবিতে ততোটা সুন্দর আসে নি। এখন সেই ছবিটিতে লুকিয়ে থাকা সকল সৌন্দর্য বের করে আনতে খুঁটিনাটি সব ঠিক করার প্রয়োজন পড়ে। আর সেই প্রয়োজন মেটানোর একমাত্র কার্যকরী উপায় হলো ফটো এডিটিং। এই এডিটিং করার জন্য অনেক রকম সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপস, অনলাইন এডিটিং টুলস পাওয়া যায়। যেগুলো ব্যবহার করে ছবির মাঝে লুকিয়ে থাকা আসল সৌন্দর্য বের করে আনা যায়। প্রত্যেকটি অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য ফটো এডিটরগুলোতে বিভিন্ন পার্থক্য রয়েছে। যেমনঃ কম্পিউটারে এডিট করার সময় আপনি অনেক ধরনের সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইল ফোন দিয়ে এডিট করার সময় তার সবগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে বর্তমান সময়ের এই আধুনিক যুগে এই দূরত্বও অনেকটা কমে এসছে। এখন মোবাইল ফোন দিয়েও অনেক সুন্দরভাবে ছবি এডিট করা যায়। চলুন আজ তাহলে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি এডিট করার সেরা সফটওয়্যার গুলো নিয়ে জানা যাক।
সূচিপত্রঃ
ফটো এডিটর কি?
ফটো এডিটর হলো একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যা ছবির বিভিন্ন উপাদান উন্নত (Enhance), ম্যানিপুলেট (Manipulate) করতে এবং সামঞ্জস্য (Adjust) আনতে ব্যবহৃত হয়। ফটো এডিটির এর মাধ্যমে ছবির সামগ্রিক গুণমান, রূপ, ছবির বিভিন্ন উপাদানের বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি করা যায়। ফটো এডিটরগুলোতে বিভিন্ন ফিচারস (Features) এবং টুলস (Tools) রয়েছে। যেমনঃ ক্রপ (Crop) করা, আকার (Size) পরিবর্তন করা, রঙ সংশোধন (Colour Correction), ফিল্টার (Filter) এবং প্রভাব (Effect) প্রয়োগ করা, দাগ বা অবাঞ্ছিত উপাদানগুলো অপসারণ করা, লেখা (Text) যোগ করা। এছাড়াও আরও বিভিন্ন সফটওয়্যারের জন্য আরও বিভিন্ন টুলস (Tools) ও উপাদান (Elements) থাকে। যেগুলো ব্যবহার করে ছবির মাঝে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়। এজন্য ছবির মাঝের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সঠিক সফটওয়্যার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফটো এডিটর কেন ব্যবহার করা হয়?
ফটো এডিটরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল শৈল্পিক দৃষ্টি বা প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ছবিগুলোকে রূপান্তর করা। পেশাদার ফটোগ্রাফার হিসেবে ছবি প্রকাশনার জন্য ছবির উপাদানে যথাযথ সামঞ্জস্য করতে, ছবির মাঝে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে, ছবির লুকায়িত গুণাবলী ফুটিয়ে তুলতে ফটো এডিটর ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সাধারণ মানুষ হিসেবে নিজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার জন্য ছবি এডিট করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কম্পিউটার এর সফটওয়্যারগুলো সাধারণত পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ডিজাইনাররা ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে, স্মার্টফোন ফটো এডিটিং অ্যাপগুলি মোবাইল ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং সুবিধাজনক এডিটিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সেরা ফটো এডিটরসমূহ
বর্তমান বিশ্বে, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন প্রচারণা পর্যন্ত, ছবিগুলো নির্দিষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও ছবিগুলোর মাধ্যমে আবেগ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। একটি ছবি তোলা থেকে শুরু করে এটিকে একটি ভিজ্যুয়াল মাস্টারপিস হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য ফটো এডিটিং শিল্প জড়িত থাকে। ফটো এডিটর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে ব্যপকভাবে উপলব্ধি করা যাচ্ছে। পেশাদার এবং সাধারণ ব্যবহারকারী উভয়ই তাদের ছবিগুলিকে উন্নত (Enhance) করার চেষ্টা করে। বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিঊটার এবং স্মার্টফোন উভয়ের জন্য মোট সেরা দশটি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।
কম্পিউটারের জন্য সেরা ৫টি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
প্রফেশনালভাবে ফটো এডিটিং এর জন্য কম্পিউটার সফটওয়্যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ও ডিজিটাল আর্টিস্ট এদের কাজের জন্য কম্পিউটার সফটওয়্যার অনেক উন্নতমানের ফটো এডিটিং ফিচারস প্রদান করে। চলুন এখন আমরা কম্পিউটারের জন্য সেরা পাঁচটি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
অ্যাডোব ফটোশপ (Adobe Photoshop)
অ্যাডোব ফটোশপ (Adobe Photoshop) এর কোনো পরিচয়ের প্রয়োজন পড়ে না। এটি শিশু থেকে শুরু করে প্রফেশনাল, সবার কাছেই পরিচিত। দুই শ্রেণীর ব্যবহারকারীর কাছেই এটি একটি অবিসংবিদিত সফটওয়যার। কয়েক দশক ধরে ফটোশপ ক্রমাগতভাবে সৃজনশীল মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করে আসছে। সাধারণ ফটো এডিটিং থেকে জটিল ডিজিটাল ম্যানিপুলেশন (Digital manipulation) পর্যন্ত, ফটোশপ টুলসগুলোর মাধ্যমে করা সম্ভব হয়।
ফিচারস (Features)
- লেয়ার ও মাস্ক (Layers and Masks): ফটোশপে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য লেয়ার (Layer) ও মাস্ক (Mask) ব্যবহার করা যায়।
- সিলেকশন টুলস (Selection Tools): ফটোশপে ছবির নির্দিষ্ট অঞ্চলে কাজ করার জন্য সিলেকশন টুলস (Selection Tools) রয়েছে।
- ব্লেন্ডিং মোড (Blending Modes): ফটোশপের কয়েকটি লেয়ার একসাথে কাজ করার সময় লেয়ার গুলো একে অপরের সাথে কিভাবে কাজ করবে তা ব্লেন্ডিং মোডের সাহায্যে ঠিক করা যায়।
- ফিল্টার গ্যালারী (Filter Gallery): ছবিতে বিভিন্ন ফিল্টার প্রয়োগ করতে অসংখ্য ফিল্টার ফটোশপে রয়েছে।
- স্মার্ট অবজেক্টস (Smart Objects): এডিট করার সময় ছবির মূল ডেটা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য স্মার্ট অবজেক্টসের (Smart Objects) মতো ফিচারসও (Features) ফটোশপ এ রয়েছে।
- এছাড়াও কালার এডজাস্টমেন্ট, পেন টুল, কার্ভ এর মতো প্রয়োজনীয় সকল ফিচারস ফটোশপ এ রয়েছে।
ফটোশপ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় না। ফটোশপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এটি ফ্রী ট্রায়াল হিসেবে ডাউনলোড করে ইন্সটল করলে তা ৩০ দিন বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এরপর ব্যবহার করতে গেলে এটি কিনতে হয়। এর মূল্য প্রতি মাসে ২০.৯৯ ডলার থেকে শুরু হয়। তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফটোশপের ফ্রি ট্রায়াল ডাউনলোড করা যাবে। তবে ওয়েবসাইটে ফটোশপের কিছু ক্র্যাক ভার্সন ও পাওয়া যায়। যেগুলো ইন্সটল করে ফটোশপ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
পেশাদার ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ক্ষেত্রে অ্যাডোব ফটোশপ (Adobe Photoshop) অতুলনীয়। এর উন্নত বৈশিষ্ট্য, শক্তিশালী ক্ষমতা, এবং অসংখ্য সৃজনশীল টুলস (Tools) এটিকে ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার এবং ডিজিটাল আর্টিস্টদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার।
অ্যাডোব লাইটরুম (Adobe Lightroom)
অ্যাডোব লাইটরুম (Adobe Lightroom) হল ফটো এডিটিং এর পাওয়ার হাউস। এটি এমন একটি সফটওয়্যার যা পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং সাধারণ ব্যবহারকারী উভয়ের কাছেই জনপ্রিয়। অ্যাডোব ফটোশপ যেমন ফটো ম্যানিপুলেশন এবং গ্রাফিক ডিজাইনের উপর ফোকাস করে, লাইটরুম তেমন নয়। এটি ছবি ম্যানেজ এবং ছবির মান উন্নত করা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এর ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস (User-friendly Interface) এবং শক্তিশালী ক্ষমতাগুলোর মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা আরও সহজেই লাইট্রুম ব্যবহার করে নিজের ছবিগুলো পছন্দমতো এডিট করতে পারে।
ফিচারস (Features)
- নন-ডিস্ট্রাক্টিভ এডিটিং (Non-destructive editing): লাইটরুমে ব্যবহারকারীরা আসল ছবির ডাটা স্থায়ীভাবে পরিবর্তন না করেই ছবি এডিট করতে পারে।
- অসংখ্য টুলস (Tools): সফটওয়্যারটিতে এক্সপোজার (Exposer), কালার গ্রেডিং (Colour Grading), নয়েজ রিডাকশন (Noise Reduction), লেন্স কারেকশন (Lens Correction) এবং আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম (Tools) রয়েছে।
- RAW ফাইল সমর্থন (Raw File Support): লাইটরুম-এ সরাসরি RAW ফাইল এডিট করার ক্ষমতা রয়েছে।
অ্যাডব ফটোশপের মতই লাইটরুমও বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় না। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে একই প্রক্রিয়াতে এটি ৩০ দিন ব্যবহার করা যায়। পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য এটি মাসিক ৯.৯৯ ডলার মূল্য পরিশোধ করতে হয়। https://www.adobe.com/products/photoshop-lightroom.html এই লিংক থেকে লাইটরুমের ফ্রি ট্রায়াল ডাউনলোড করা যাবে। লাইটরুমেরও ক্র্যাক রয়েছে যা দিয়ে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
কোরেল পেইন্টশপ প্রো (Corel PaintShop Pro)
কোরেল পেইন্টশপ প্রো (Corel PaintShop Pro) হলো একটি শক্তিশালী এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। এটি ফটো এডিটিং এর জগতে একটি স্ট্যান্ডার্ড সফটওয়্যার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কোরেল পেইন্টশপ প্রো (Corel PaintShop Pro) এর মাধ্যমে অপেশাদার ফটোগ্রাফার এবং পেশাদার ডিজাইনার উভয়ই খুব সহজে এবং দ্রুত নিজেদের ছবি এডিট করে ফেলতে পারেন।
ফিচারস (Features)
- অসংখ্য কার্যকারী টুলস যা দিয়ে এডিট করা অত্যন্ত সহজ তবে সময় সাপেক্ষ।
- বেসিক এডিটিং ছাড়াও অনেক ধরণের এডিট অপশনস রয়েছে। এছাড়াও লেয়ার (Layer), মাস্কস (Masks), সিলেকশন টুলস (Selection Tools) ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
- উন্নত ফিচারস যেমন HDR মার্জিং, RAW ফাইল সাপোর্ট, প্যানোরামিক স্টিচিংয়ের (Panoramic stitching) ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে।
- অসংখ্য ফিল্টার এবং প্লাগ-ইনস রয়েছে যা ব্যবহার করে ছবিগুলো আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়।
কোরেল পেইন্টশপ প্রো (Corel PaintShop Pro) বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। এর বিভিন্ন রকম প্ল্যান রয়েছে। যদিও এটির কোনো ফ্রি ভার্সন নেই, তবুও কোরেল পেইন্টশপ প্রো একটি 30-দিনের বিনামূল্যে ট্রায়াল প্রদান করে যাতে ব্যবহারকারীরা কেনার আগে এর ক্ষমতাগুলি বুঝতে পারে। কিন্তু এরপর ব্যবহার করতে গেলে এটি কিনতে হয়। এর মূল্য ৭৯.৯৯ ডলার। https://www.paintshoppro.com/en/products/paintshop-pro/standard/ এই লিংক থেকে পেইন্টশপ প্রো এর ট্রায়াল ডাউনলোড করা যাবে। তবে কিছু ওয়েবসাইটে পেইন্টশপ প্রো কিছু ক্র্যাক ভার্সন ও পাওয়া যায়। যেগুলো ইন্সটল করে পেইন্টশপ প্রো বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
জিআইএমপি (GIMP)
জিআইএমপি (জিএনইউ ইমেজ ম্যানিপুলেশন প্রোগ্রাম) [GIMP (GNU Image Manipulation Program)] একটি ফটো এডিটিং এর জগতে একটি স্ট্যান্ডার্ড ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। এটি এর ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং শক্তিশালী ক্ষমতার জন্য পরিচিত। জিআইএমপি (GIMP) ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার এবং ডিজিটাল আর্টিস্টদের মধ্যে ব্যপক জনপ্রিয়।
ফিচারস (Features)
- ফ্রি হওয়া সত্ত্বেও জিআইএমপি-তে অসংখ্য এডিটিং টুলস রয়েছে।
- RAW ফাইল সাপোর্ট করে। বিনামূল্যেই RAW ফাইল এডিট করা যায়।
- সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ফটোগ্রাফার এবং ডিজাইনাররা উন্নত কালার কারেকশন করতে পারে।
- নানা ধরণের ফাইল ফরমেট জিআইএমপি-তে এডিট করা যায়।
GIMP-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল এর খরচ – এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড এবং ব্যবহার করা যায়। ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে, বিশ্বব্যাপী ডেভেলপারদের মাধ্যমে জিআইএমপি ক্রমাগত উন্নত এবং আপডেট করা হয়। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা কোনো খরচ ছাড়াই সবচেয়ে উন্নত ও বিশেষ এডিটিং টুলস ব্যবহার করতে পারে। https://www.gimp.org/ এই লিংক থেকে বিনামূল্যে GIMP ডাউনলোড করা যাবে। শক্তিশালী এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যারটি বিনামুল্যে ব্যবহার করা যায় বলে দিন দিন মানুষের GIMP ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ছে।
অ্যাফিনিটি ফটো (Affinity Photo)
অ্যাফিনিটি ফটো (Affinity Photo) একটি অত্যাধুনিক শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। এটি এর শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য এবং ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতার জন্য পরিচিত। পেশাদার এবং সাধারণ ব্যবহারকারী উভয় এর মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি তৈরি করেছে Serif। এর মাধ্যমে অসংখ্য এডিটিং টুলস ব্যবহার করে ছবির মধ্যে লুকিয়ে থাকা আসল সৌন্দর্য বের করে আনা সম্ভব।
ফিচারস (Features)
- জটিল কম্পোজিটিং (complex compositing) এবং HDR মার্জ (HDR merging) করতে সক্ষম।
- এডিটিং করার সময় মূল ছবির গুণমান সংরক্ষণ করে।
- ব্লেন্ডিং মোড (Blending Mode), ফিল্টার (Filter) এবং লেয়ার অ্যাডজাস্টমেন্টসহ (Layer adjustment) আরও বিভিন্ন ধরণের এডিটিং টুলস রয়েছে।
- সর্বোচ্চ ডিটেইলস এডিটিং এর জন্য RAW ফাইল ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
- সিলেকশন টুলস ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
অ্যাফিনিটি ফটো (Affinity Photo) বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য নয়। এটি ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীকে এককালীন মূল্য দিতে হয়। সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক মডেলগুলোর বিপরীতে, এই এককালীন মূল্যের পদ্ধতি ব্যবহারকারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। অ্যাফিনিটি ফটো (Affinity Photo) তেও রয়েছে ট্রায়াল সুবিধা। কিন্তু এরপর ব্যবহারের জন্য এর মূল্য ৬৯.৯৯ ডলার। https://affinity.serif.com/en-gb/photo/#buy এই লিংক থেকে অ্যাফিনিটি ফটো (Affinity Photo) এর ট্রায়াল ডাউনলোড করা যাবে। তবে এই সফটওয়্যারটিরও ক্র্যাক ভার্সন কিছু ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোনের জন্য সেরা ৫টি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
সহজে এবং দ্রূত ছবি এডিটিং এর জন্য মোবাইল ফোন এর অ্যাপসগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। মোবাইল ফোনে ছবি তুলেই সেটি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার উপযোগী করে তুলতে মোবাইল ফোন অ্যাপসগুলো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চলুন এখন আমরা মোবাইল ফোনের জন্য সেরা পাঁচটি ফটো এডিটিং অ্যাপস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
স্ন্যাপসিড (Snapseed)
স্ন্যাপসিড (Snapseed) একটি জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিত মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ। এটির ইন্টারফেস অত্যন্ত ইউজার ফ্রেন্ডলি। স্ন্যাপসিড (Snapseed) এর শক্তিশালী ক্ষমতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত৷ এটি Google দ্বারা ডেভেলপ করা। Snapseed পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং অপেশাদার ব্যবহারকারী উভয়ের জন্যই একটি স্ট্যান্ডার্ড মোবাইল অ্যাপ। এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। তাই খুব দ্রুত ছবি এডিট করে ছবির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়।
ফিচারস (Features)
- স্ন্যাপসিড (Snapseed) এ সিলেক্টিভ এডজাস্টমেন্ট (Selective Adjustments) টুলস রয়েছে। যা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানের ব্রাইটনেস (Brightness), কন্ট্রাস্ট (Contrast), স্ট্রাকচার(Structure) এবং স্যাচুরেশন (Saturation) এর মধ্যে সামঞ্জস্য করে যায়।
- বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার, ইফেক্ট রয়েছে। যা ব্যবহার করে ছবির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা যায়।
- সিলেক্টিভ ব্লার এবং ফোকাস (Selective Blur and Focus) টুল রয়েছে। যা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট স্থানে ছবি ব্লার করা যায়।
- আগে থেকে তৈরি করে রাখা বিভিন্ন স্টাইল দিয়ে ছবি এডিট করা যায়।
- অ্যাপটি ব্যবহার করে ছবির পারসপেক্টিভ (Perspective) পরিবর্তন করা যায়।
- স্ন্যাপসিডের মধ্যে অবাঞ্ছিত বস্তু বা দাগ অপসারণের জন্য হিলিং এবং ব্রাশ টুলস ব্যবহার করা যায়।
- এছাড়াও ভিন্টেজ (Vintage), পোর্ট্রেট (Portrait), নয়ের (Noir), HDR-scape, ফ্রেমস (Frames), ডাবল এক্সপোজার (Double Exposure), ভিগনিটি (Vignette), রোটেট (Rotate), টেক্সট (Text), হেড পোজ (Head Pose) এর মতো এডিটিং টুলস ও স্ন্যাপসিড (Snapseed) এ রয়েছে।
স্ন্যাপসিড (Snapseed) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড এবং ব্যবহার করা যায়। মোবাইল ফটোগ্রাফারদের জন্য এটি অত্যন্ত পছন্দনীয়। প্লে-স্টোর থেকে এই অ্যাপটি সহজেই ডাউনলোড করা যায়। মোবাইল ফোনে তোলা সাধারণ ছবিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে স্ন্যাপসিড (Snapseed) অত্যন্ত কার্যকরী।
লাইটরুম (Lightroom)
লাইটরুম (Lightroom) হলো মোবাইল ফটো এডিটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা অ্যাপস। এটি বিখ্যাত ডেস্কটপ Adobe Lightroom-এর পোর্টেবল ভার্সনের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি মোবাইল ফটো এডিটিং এর জগতে স্ট্যান্ডার্ড একটি অ্যাপস। একটি পোর্টেবল ভার্সনে কতটা উন্নত মানের ছবি এডিট করা সম্ভব, তা লাইট লাইটরুম (Lightroom) এ সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্নত ফটো এডিটিং সহজে করা সম্ভব হয়।
ফিচারস (Features)
- লাইটরুম (Lightroom) এ RAW এডিটিং সাপোর্ট সম্ভব হয়।
- ব্যবহারকারীদের ছবির মূল গুণমানের ঠিক রেখে ছবি এডিট করা সম্ভব হয়।
- লাইটরুম (Lightroom) এ কমপ্রিহেন্সিভ অ্যাডজাস্টমেন্ট টুলস (Comprehensive Adjustment Tools) ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
- লাইটরুম (Lightroom) এ ছবির নির্দিষ্ট কোনো স্থানে এডিট করার জন্য সিলেক্টিভ টুলস (Selective tools) রয়েছে।
- লাইটরুম (Lightroom) এ ক্রিয়েটিভ প্রিসেটের একটি সংগ্রহ রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা তাদের ছবিতে প্রয়োগ করতে পারে এবং ছবিকে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারে।
- কালার কারেকশন এবং কালার ব্যাল্যান্স এর সুবিধা রয়েছে।
Lightroom বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য। কোনো খরচ ছাড়াই প্রয়োজনীয় এডিটিং টুলস ব্যবহার করা যায়। তবে, অতিরিক্ত ফিচারস এবং ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করার জন্য, অ্যাডোব লাইটরুম প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। প্লে-স্টোর থেকে মোবাইল ফোনের জন্য লাইটরুম (Lightroom) ইন্সটল করা যাবে।
ফটোশপ এক্সপ্রেস (Photoshop Express)
এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express) হলো জনপ্রিয় Adobe Photoshop সফটওয়্যারের একটি সাধারণ ভার্সন, যা দ্রুত এবং সহজে ছবি এডিট করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি iOS এবং Android উভয় ডিভাইসের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এই মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজেই ছবি এডিট করা যায়। এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express) এর মাধ্যমে ছবিকে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরণের টুলস (Tools) রয়েছে।
ফিচারস (Features)
- ক্রপ (Crop), রোটেট (Rotate) এবং এক্সপোজার (Exposer), কনট্রাস্ট (Contrast) এবং স্যাচুরেশন (Saturation) এর কাজ করা যায়।
- ছবি আরও সুন্দর করতে ফিল্টার (Filter) এবং ইফেক্ট (Effect) ব্যবহার করা যায়।
- ছবি থেকে সহজেই দাগ এবং কোনো অবজেক্ট (Object) অপসারণ করা যায়।
- ছবিগুলোতে বর্ডার এবং ফ্রেম যুক্ত করা যায়।
- স্টাইলিশ গ্রাফিক্স তৈরি করতে বা ছবিতে লেখা যোগ করতে টেক্সট(Text) এবং ক্যাপশন টুলস(Tools) ব্যবহার করা যায়।
- ফটোশপ এক্সপ্রেস কোলাজ টেমপ্লেট এবং প্রি-সেট লেআউট রয়েছে।
- ফটোশপ এক্সপ্রেসে RAW ফাইল এডিট করা যায়।
এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express) বিনামূল্যের ব্যবহার করা যায়। তবে এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express) এর এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস প্রিমিয়াম (Adobe Photoshop Express Premium) নামে একটি প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। যা সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এর মূল্য বিভিন্ন প্ল্যান অনুযায়ী বিভিন্নরকম। যেমন মাসিক ৪.৯৯ ডলার, প্রথম বছরের জন্য বার্ষিক ৯.৯৯ ডলার ও পরবর্তীতে বার্ষিক ৩৪.৯৯ ডলার। প্রিমিয়াম ভার্সনে সাধারণ ভার্সন এর থেকেও আরও বিভিন্ন টুলস (Tools) ব্যবহার করা যায়। যেমন নয়েজ রিডাকশন, উন্নত এডিট টুলস (Tools) এবং আরও ক্রিয়েটিভ ইফেক্ট (Effect)। যেসব ব্যবহারকারীদের উন্নত মাত্রার এডিট প্রয়োজন, ফটোশপ এক্সপ্রেস হতে পারে তাদের জন্য একটি ভাল অপশন।
ক্যানভা (Canva)
ক্যানভা (Canva) একটি গ্রাফিক ডিজাইন এবং ফটো এডিটিং প্লাটফর্ম যেখানে সহজেই ছবি এডিট করা যায়। এখানে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন করতে বিভিন্ন ডিজাইনের তৈরি টেমপ্লেট পাওয়া যায়। যা সহজেই কাস্টমাইজযোগ্য। এখানে ছবি এডিট করার জন্য সাধারণ ফিচারসগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের এডিট টুলস (Tools) পাওয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স, পোস্টার ডিজাইন করা যায়। এছাড়াও ছবিগুলোকে এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার মতো করে ফেলতে অনেক ধরনের ফটো এডিটিং টুলস পাওয়া যায়।
ফিচারস (Features)
- ছবি এডিট করার জন্য বিভিন্ন ধরণের এডিটিং টুলস রয়েছে।
- ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট (Effect) প্রয়োগ করে ছবি কে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়।
- ছবিতে ক্রপ (Crop), রোটেট (Rotate), কনট্রাস্ট (Contrast) এবং স্যাচুরেশন (Saturation) এর কাজ করা যায়।
- এখানে রং, ফন্ট (Font), ব্যাকগ্রাউন্ড (Background) পরিবর্তন করা যায় এবং নিজস্ব ছবি বা টেক্সট (Text) যোগ করে সহজেই টেমপ্লেট কাস্টমাইজ (Template Customize) করা যায়।
- ক্যানভাতে একাধিক ব্যবহারকারী একত্রে একটি প্রকল্পে কাজ করতে পারে।
ক্যানভা বিনামূল্যে গুগল প্লেস্টোর (Google Play Store) থেকে ডাউনলোড করা যায়। তবে, ক্যানভা (Canva) তাদের ক্যানভা প্রো (Canva Pro) নামে একটি সাবস্ক্রিপশন মডেল রেখেছে, যেখানে বেশ কিছু অতিরিক্ত ফিচারস (Features) এবং সুবিধা রয়েছে। ক্যানভা প্রো (Canva Pro) সাবস্ক্রিপশনের খরচ নির্ধারিত মডেল (মাসিক বা বার্ষিক) এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। ক্যানভা প্রো তে একজন ব্যবহারকারীর জন্য বছরে ৫৪.৯৯ ডলার খরচ পড়ে। ক্যানভা প্রো-এর মূল ফিচারসগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়াম ইলিমেন্টস এবং টেমপ্লেটগুলো ব্যবহারের সুবিধা, ডিজাইনের সাইজ পরিবর্তন করার সুবিধা। উন্নত ডিজাইনের টুলস (Tools) এবং কাস্টম ফন্ট ব্যবহার করার সুবিধা।
পিক্সআর্ট (PicsArt)
পিক্সআর্ট (PicsArt) হল মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ যেখানে ফটো এডিটিং এর অসংখ্য টুলস (Tools) রয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের ছবি এডিট করতে, কোলাজ (Collage) তৈরি করতে সাহায্য করে। পিক্সআর্ট (PicsArt), iOS এবং Android উভয় ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের গ্যালারি থেকে ফটো আপলোড করতে পারে বা অ্যাপটিতেই নতুন করে ছবি তুলতে পারে। অ্যাপটি এক্সপোজার (Exposer), কালার এবং শার্পনেস (Sharpness) ব্যাল্যান্স করার যায়। পিক্সআর্ট (PicsArt) প্রাথমিকভাবে মোবাইল ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ফিচারস (Features)
- পিক্সআর্ট (PicsArt) এ ক্রপিং, রিটাচিং(Retouching) এবং সিলেক্টিভ এডিটিং সহ অনেক এডিটিং টুলস (Tools) ব্যবহার করা যায়।
- পিক্সআর্ট (PicsArt) এ কাস্টমাইজযোগ্য টেমপ্লেট ও লেআউট সহ একটি কোলাজ (Collage) মেকার ফিচারস (Features) রয়েছে।
- অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক তৈরি করতে বা তাদের ছবিতে কাস্টম চিত্র যোগ করার জন্য বিভিন্ন ড্রয়িং টুলস (Tools) এবং ব্রাশ পাওয়া যায়।
- ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট (Effect) প্রয়োগ করে ছবি কে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়।
- পিক্সআর্ট (PicsArt) এ ক্রিয়েটিভ প্রিসেটের একটি সংগ্রহ রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা তাদের ছবিতে প্রয়োগ করতে পারে এবং ছবিকে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারে।
পিক্সআর্ট (PicsArt) গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। পিক্সআর্ট (PicsArt) তাদের PicsArt Gold নামে একটি প্রো ভার্সন রেখেছে। PicsArt Gold এর খরচ নির্ধারিত প্ল্যান (মাসিক বা বার্ষিক) এর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। PicsArt Gold এর দাম প্রতি মাসে ৫ ডলার এবং প্রতি বছর ৬০ ডলার।
শেষকথা
বর্তমান এই আধুনিক বিশ্বে ছবির মাধ্যমে গল্প ফুটিয়ে তোলার বিশেষ চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। দিন দিন এই চাহিদা আরও বেড়ে চলেছে। তাই একটি ছবিকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর ভুমিকা অপরিসীম। শক্তিশালী এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি টুলসগুলোর কারণে ফটো এডিট আগের চেয়ে আরও সহজ এবং সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। এই লেখাটির সাহায্যে আশা করি আপনারা কম্পিউটার এবং মোবাইলে ফটো এডিটিং করার জন্য সেরা ১০টি সফটওয়্যার নিয়ে জানতে পেরেছেন। তাই এবার নিজের সুবিধা মতো সফটওয়্যার বেঁছে নিয়ে আপনার ছবি গুলো এডিট করে ফেলুন সহজেই।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১। পেশাদার কাজের জন্য কি Snapseed এর মত মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ যেমন Snapseed এবং Lightroom Mobile হল শক্তিশালী অ্যাপ। যা প্রফেশনাল-গ্রেডের এডিট করার ক্ষমতা রাখে। অনেক প্রফেশনাল কাজেই দ্রুত এবং শজে ছবি এডিট এর জন্য Snapseed এর মতো মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করা হয়।
২। JPEG বা RAW কোন ফরম্যাটে এডিট করা কি ভাল?
উত্তরঃ RAW ফরম্যাটে ছবি এডিট করা সাধারণত পেশাদার ফটোগ্রাফারদের পছন্দ। কারণ এটি ইমেজ ডেটা ধরে রাখে এবং পোস্ট-প্রসেসিংয়ে আরও নমনীয়তা প্রদান করে। JPEG হল একটি সংকুচিত ফরম্যাট যা কিছু ইমেজ ডেটা বাতিল করে, যার ফলে এডিটের সময় গুণমান নষ্ট হতে পারে।
৩। ফটো এডিটিং কি ব্লার ছবি ঠিক করতে পারে?
উত্তরঃ ফটো এডিটিং এর মাধ্যমে শার্প্নেস বাড়িয়ে বা নয়েজ রিডাকশনের মাধ্যমে ছবিগুলো অনেকটা উন্নত করা যায়। তবে, ক্যামেরা ঝাঁকুনি বা ফোকাস সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সৃষ্ট অস্পষ্টতা সম্পূর্ণরূপে ঠিক করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।