গ্রাফিক্স ডিজাইনফ্রিল্যান্সিং

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সেরা সফটওয়্যার সমূহ

গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ডিজিটাল আর্ট শিল্পের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। প্রযুক্তির মহাকাশে ঘূর্ণায়মান এই পৃথিবী’তে প্রায় সর্বক্ষেত্রে ব্যপকভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিপ্লব হয়েছে। সেই বিপ্লবে ক্রমাগত নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে, গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কিছু সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার গুলো প্রতিনিয়ত ডিজাইনারকে নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহায়তার মাধ্যমে আরও উন্নত ও ভিন্নধর্মী ডিজাইন করতে সাহায্য করছে। আজকের আর্টিকেলে আমরা তেমনই ১০ টি গ্রাফিক্স ডিজাইনের সফটওয়্যার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

সূচিপত্রঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য সেরা ১০ সফটওয়্যার

গ্রাফিক্স ডিজাইন কে শিল্প কে এগিয়ে নিতে বিশ্বব্যাপী টেক জায়ান্ট গুলো অনেক সফটওয়্যার প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে সেরা ১০ টি হচ্ছেঃ

নং

সফটওয়্যার এর নাম

Adobe 

CorelDraw

Inkscape

Vectr

Gravit Designer 

Gimp

SketchUp

Canva

Blender
১০

Pixlr

Adobe series এর সফটওয়্যার সমূহ

Adobe

Adobe Series এর সফটওয়্যার গুলো হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রধান সফটওয়্যার। গ্রাফিক্স ডিজাইন যেখানেই শেখা হোক না কেন, সবার আগেই Adobe সিরিজ এর সফটওয়্যার গুলো দিয়ে শুরু করবে। মার্কিন সফটওয়্যার কোম্পানি Adobe এর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমূহ হচ্ছে,

  • Adobe Photoshop 
  • Adobe Indesign 
  • Adobe Illustrator

Adobe Photoshop বা অ্যাডোবি ফটোশপ 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের শুরুতে সর্বপ্রথম যেই সফটওয়্যারের ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজাইনের হাতেখড়ি করা হয়, তা হচ্ছে Adobe Photoshop। Adobe Photoshop বা অ্যাডোবি ফটোশপ এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। Design Tools, Creative Cloud, User Interface, Open-Source gimp software হলো ফটোশপ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।

Design Tools মোবাইল ও কম্পিউটারে ব্যবহার করা গেলেও কম্পিউটারের অনেক ফিচার মোবাইলে পাওয়া সম্ভব না। Creative Tools এ Synchronization এর মাধ্যমে অনেক গুলো ফিচার সংযুক্ত করা সম্ভব। Library, Glyph Panel, Cloud Documentation, Touch, Stylish Input, Face hour liquefy, Art board, Design Space View ইত্যাদি যুক্ত করা হয়। User Interface এ কাস্টমাইজ করা হয় আর Open Source থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।

অ্যাডোবি ফটোশপ এর সুবিধা সমূহ
  • মোবাইলে এপ্লিকেশন হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • ড্যাশবোর্ড কে ভিন্নভাবে ব্যবহারকারীর সুবিধা অনুযায়ী কাস্টমাইজড করা যায়।
  • স্কেচ ও টাইপোগ্রাফি করা যায়
  • 3D, এনিমেশন এর কাজ করা যায়।
  • ব্রাশ ও ব্যাক গ্রাউন্ড রিমুভের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
অ্যাডোবি ফটোশপ এর অসুবিধা
  • সাবস্ক্রিপশন এর জন্য প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করতে হয়।
  • উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বা 8 জিবি র‍্যামের প্রয়োজন হয়, সাথে Inteli3 প্রসেসর প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন। 

Adobe Illustrator বা অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর 

অ্যাডোবি কোম্পানির আরেকটা সফটওয়্যার হচ্ছে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর। ফটোশপের ডিজাইন কে আরেকধাপ এগিয়ে নিতে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। লোগো ডিজাইন, পোস্টার ও ব্যানার ডিজাইন ইলাস্ট্রেটর এর প্রধান কাজ। ব্যবহারকারীদের নিকট জনপ্রিয়, তাই অনেক চাহিদা রয়েছে। Art, Page layout, Logo, Website Mockup সবকিছু এই এক সফটওয়ারের মাধ্যমে করা যায়। 

Adobe Illustrator (অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর) এর সুবিধা 
  • ব্যবহারকারী নিজের মতো কাস্টমাইজ করতে পারবে। অনেক বেশি কাস্টমাইজেশন এর সুবিধা রয়েছে। 
  • In-Panel এর সাহায্য এডিট করা যায়, সাথে আর্ট বোর্ড ও দেয়া যায়।
  • Adobe Illustrator এর ইন্টারফেজ অত্যন্ত ব্যবহার উপযোগী এবং সবাই ব্যবহার করতে পারে। স্ক্রিনের সাইজের ভেদে অটোমেটিক্যালি কাস্টমাইজড হয়ে যায়।
  • High – resolution এর ডিজাইন করা যায়। কিন্ত ফাইল সাইজ তুলনামূলক কম হয়।
  • Adobe Stock থেকে হিউজ রিসোর্স ফাইল, ছবি, গ্রাফিক্স, ভিডিও, টেমপ্লেট এর এক্সেস পাওয়ায় চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 
Adobe Illustrator ( অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর) এর অসুবিধা 
  • এটি পেইড হওয়ায় ব্যয়বহুল। 
  • উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় অ্যাডোবি ফটোশপ এর মতোই।

Adobe Indesign (অ্যাডোবি ইন-ডিজাইন)

অ্যাডোবি সিরিজ এর অন্য সব সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে দ্রুত ডিজাইন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত অ্যাডোবি ইন-ডিজাইন। ম্যাগাজিন, বই, ই-পেপার, পত্রিকা সহ স্টেশনারির সবকিছু ডিজাইন করতে ব্যবহৃত হয় অ্যাডোবি ইন-ডিজাইন। রেডিমেড টেমপ্লেট, রেডিমেড ডিজাইন, ইনফোগ্রাফিক্স এর কাজ গুলো করা এই সফটওয়্যার এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। Senesi, Adobe Incopy এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে ছবির টেক্সট, রঙ, আকার, ফিচার, গ্রাফিক্স ইত্যাদির পরিবর্তন করা যায়।

Adobe Indesign এর সুবিধা 
  • স্ট্রিম লাইন ও ফাইল অপ্টিমাইজেশন করার সুযোগ থাকায়, গ্রাফিক্সের টেক্সটের একত্র করা যায়।
  • নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড, সূচিপত্র, টেক্সটের ডিজাইন, সবকিছুর লিস্ট ও হাইপারলিংক ক্যাপশনে সংযুক্ত করা যায়।
  • ওয়েব ডেভেলপারদের ওয়েব ডিজাইন লে আউট করা যায়।
  • ওয়ার্ডপ্রেসে দারুণ কার্যকরী। 
  • একাধিক লে আউটের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ পরিবর্তন করা যায়।
Adobe Indesign এর অসুবিধা 
  • ব্যায়বহুল সফটওয়্যার। প্রতি মাসে ৫২.৯৯ ডলার ব্যয় করতে হয় সার্ভিস পাওয়ার জন্য।

CorelDraw (কোরেলড্র)

CorelDraw

CorelDraw ছবি, লোগো এবং মার্কেট প্লেস এর সমস্ত কাজ করতে অধিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি সফটওয়্যার। ডিজিটাল লাইব্রেরিতে অসংখ্য রিসোর্স আছে যেমন টেমপ্লেট, ফন্ট, ইনটারেক্টিভ ফ্রেম, ফটোগ্রাফি সহ ডিজিটাল আর্টে প্রবেশ করতে পারবেন।

CorelDraw এর সুবিধা 

  • ডিজাইনের গুণগত মান বৃদ্ধি করে। Up-wide Workflow, Under-the-hood এর ব্যবহার করায় ছবির মান ভাল হয়।
  • সারফেস পেন ব্যবহারের সুযোগ আছে।
  • EPS, PDF ফাইল খুব সহজেই সম্পাদনা করা যায়।
  • Autocad, Jpg, Png, Svg, Tiff সহ এমন প্রায় ৪৮ রকমের ফাইল বানানো যায়।
  • EPS, HTML, Autocad, Jpg, Pdf, PowerPoint এর মতো বিভিন্ন ফরম্যাটের ফাইল গ্রহণ করতে পারে।

CorelDraw এর অসুবিধা 

  • মোবাইল এপ্লিকেশনে ব্যবহার করা যায়।
  • ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন, বিশেষ করে নতুনদের জন্য।
  • বাৎসরিক ও মাসিক মেয়াদে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় কর‍তে হয়, ফলে এটি কিছুটা ব্যয়বহুল। 
  • উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার প্রয়োজন। 

Inkscape বা ইংকস্পেস

Inkscape বা ইংকস্পেস

ফ্রি তে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে Inkspace অন্যতম প্রধান সেরা একটা সফটওয়্যার। ভেক্টর নিয়ে কাজ করতে চাইলে, ইংকস্পেস এর জুড়ি মেলা ভার। খুবই চিত্তাকর্ষক ভেক্টর দিয়ে ডিজাইন করতে সক্ষম এটি। আবার এটির সাথে Adobe Tool এর সাদৃশ্য ও আছে। এটি প্রতিনিয়ত আপডেটেড হয়। বিনামূল্যে ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রোগ্রামাররা চাইলে এটি নিয়ে কাজ করতে পারবে।

Inkscape এর সুবিধা 

  • ভেক্টরের সাহায্যে চিত্তাকর্ষক ডিজাইন করা যায়।
  • কালার গ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার  ও ব্যাক গ্রাউন্ড তৈরি করতে টুলসের ব্যবহার করা যায়।
  • ড্যাশবোর্ডে অসংখ্য ফিচার আছে। যাদের সাহায্য ভেক্টর তৈরি, ডিজাইন সম্পাদনা ইত্যাদির মতো কাজ করা যায়।
  • সফটওয়্যারে প্রিসেট ক্যাটাগরি আছে। যার সাহায্যে শ্রম ও সময় উভয় বাচানো যাবে।

Inkscape এর অসুবিধা

  • স্ট্রিমিং টেক্সটের লেখা কে সরাসরি রূপান্তরিত করা যায় না, প্লেইন টেক্সটের সাহায্য নিতে হয়।
  • কিছুটা ধীরগতির প্রসেসিং সিস্টেম।

Vectr বা ভেক্টর

Vectr বা ভেক্টর

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে টি-শার্ট ডিজাইন সহ যেকোনো ফুল প্লেজেজ ডিজাইনের জন্য ভেক্টর একটি আদর্শ সফটওয়্যার। ব্যাতিক্রম ধর্মী ডিজাইন, ফাইল এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে ভেক্টর একটি কার্যকরী সফটওয়্যার। 

Vectr এর সুবিধা

  • ভেক্টর একটি ক্রসিং প্ল্যাটফর্ম ও এখানে ব্রাউজারের মাধ্যমেই ডিজাইন করা যায়।
  • ভেক্টরের ইন্টারফেস অনেক ব্যবহারকারীদের নিকট উপযোগী 
  • ভেক্টর থেকে আপনি সরাসরি প্রোজেক্ট শেয়ার করতে পারবেন।
  • ভেক্টরে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ইন্টিগ্রেট করার সুবিধা আছে।
  • টি-শার্ট ডিজাইন সহ উন্নত গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলো ভেকটরের সাহায্য করা যায়।
  • ভেক্টরের মাধ্যমে ফ্রি তে-ই ব্যবহার করা যায়।

Vectre এর অসুবিধা 

  • Vectre উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারে ব্যবহার করতে হয়। ফলে অন্য ডিভাইসে ব্যবহারের সুযোগ নেই।

Gravit Designer বা গ্রাভিট ডিজাইনার 

Gravit Designer বা গ্রাভিট ডিজাইনার 

ভেক্টর আর ইংকস্পেসের সামঞ্জস্য করার ফলে যদি কোনো নির্দিষ্ট সফটওয়্যার তৈরি হয়, তবে সেটা হচ্ছে গ্রাভিট ডিজাইনার। ভেক্টরের চেয়ে তুলনামূলক বেশি ও ইংকস্পেসের সমপরিমাণ টুলস ও সুবিধা সহ আরও অন্যান্য ফিচার। 

Gravit Design এর সুবিধা

  • বিশাল রিসোর্স সমৃদ্ধ একটা লাইব্রেরি ; যা ব্যবহার করা যাবে প্রয়োUseব্যবহার করা অনেক সহজ। 
  • ওয়ার্কফ্লো অনেক গর্জিয়াস।
  • সফটওয়্যার কে ক্লাউড সার্ভিসের সাথে সংযুক্ত করার সুবিধা আছে। 
  • Bedget, forms, emoji ও illustration এর মতো সুবিধা রয়েছে ; যা নিজে থেকে ব্যবহার করা যাবে।
  • SVG, PDF, Jpeg, Sketch ইত্যাদি ফরম্যাট সাপোর্ট করে ও এক্সপোর্ট করা যায়।

Gravit Design এর অসুবিধা

  • মোবাইলে ব্যবহার করা যায় না।

Gimp বা গিম্প

Gimp বা গিম্প

গ্রাফিক্স ডিজাইনের আরেকটা ফ্রি সফটওয়্যার হলো গিম্প। স্কেচের সাথে 3D আর্ট, এনিমেশন এর কাজ করতে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিছুটা Adobe Photoshop এর সাদৃশ্যপূর্ণ এটি।

Gimp এর সুবিধা

  • গ্রাফিক্স এডিটিং অনেক ক্ষমতাসম্পন্ন। 
  • User-Interface এর ব্যবহার অনেক সোজা। 
  • ছবির ম্যানিপুলেশন করার জন্য Open Source Image Editor এর সুবিধা রয়েছে।
  • Tool icons ও কাস্টমাইজেশন অপশন থাকায় সহজে টুলস গুলো নিয়ে কাজ করা যাবে।
  • Layer setup অপশন থাকায় পেজের লে আউট করা যাবে প্রয়োজনে।

Gimp এর অসুবিধা 

  • মোবাইলে ব্যবহার করা যাবে না।
  • কিছুটা দুর্বল প্রসেস সিস্টেম।

SketchUp বা স্কেচ আপ

SketchUp বা স্কেচ আপ

SketchUp অনেকটা পার্সোনাল সফটওয়্যার, কিন্তু এটাকে পেইড হিসেবে প্রফেশনালি ব্যবহার করাও যায়। অনেক স্পেশাল ফিচারে বিভিন্ন ডাইমেনশনের ডিজাইন করা যায়।

SketchUp এর সুবিধা

  • ডাইমেনশনাল ফিচার ব্যবহার করে 2D ডিজাইন করা যায়।
  • 3D ডিজাইন করাও যায়, মডেলিং সুবিধা ও রয়েছে।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কাস্টমার সার্ভিসের সুবিধা প্রদান করে এটি।
  • স্কেচ অঙ্কনের ক্ষেত্রে এটি অনন্য।

SketchUp এর অসুবিধা সমূহ 

  • পেইড সফটওয়্যার হওয়ায় প্রফেশনালি ব্যবহার করতে নির্দিষ্ট অর্থের প্রয়োজন আছে।
  • সব ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় না।

Canva বা ক্যানভা

Canva বা ক্যানভা

ক্যানভা হচ্ছে সব পর্যায়ের গ্রাফিক্স ডিজাইনেরদের জন্য সবচেয়ে পরিচিত একটি সফটওয়্যার। ব্লগার, ইউটিউবার ও ডিজিটাল মার্কেটার’দের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা ডিজাইনিং সফটওয়্যার হচ্ছে ক্যানভা।

Canva এর সুবিধা

  • ব্যবহার করার জন্য অনেক গুলো টেমপ্লেট রয়েছে। Universal Tools, elements ও ready templates নামের অনেক গুলো ফিচার আছে ; যার ফলে যেকোনো ডিজাইন করতে সক্ষম হয়।
  • Email Headers, Presentation, Info-graphic, Logo ইত্যাদির সাহায্যে ডিজাইন করা যায়।
  • সফটওয়্যার অত্যান্ত ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক; কারণ Drag and Drop Function রয়েছে। 
  • সরাসরি অনলাইনে ব্যবহার করা যায়।
  • সব ধরনের ডিভাইসে ডিজাইন করা যায় ব্যবহার করে।

 Canva এর অসুবিধা

  • তেমন কোনো অসুবিধা নেই। তবে রেজুলেশন এর মান নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থাকে।

Blender বা ব্লেন্ডার

Blender

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য কয়েকটা সেরা High Quality সফটওয়্যার এর জন্য ব্লেন্ডার অন্যতম। Visual Effect, 3D Models ও Interactive 3D এর মতো হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ করার জন্য ব্লেন্ডার একটা কার্যকরী সফটওয়্যার। 

Blender এর সুবিধা 

  • 3D মডেলিং  ও ভিজ্যুলাইজেশনের জন্য এই সফটওয়্যার এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। 
  • 3D কম্পিউটার গ্রাফিক্স তৈরি করা যায়।
  • হাই-কোয়ালিটি ওয়েব ডিজাইন, আউটডোর এডভার্টাইজিং ও প্রিন্ট প্রোডাক্ট তৈরি করা যায়।
  • Animation, স্কাল্পটিং, মডেলার, VFX, Game Development, 3D প্রিন্টিং এর সবকিছু ব্লেন্ডারের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা যায়।
  • ক্যামেরার ব্যবহার ও মোশন অব্জেক্টের দ্বারা ট্র‍্যাকিং সুযোগ হয়েছে। 

Blender এর অসুবিধা

  • হাই-কোয়ালিটির কাজ করতে হলে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার প্রয়োজন হয়েছে। 
  • সব ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় না।

Pixlr বা পিক্সলার

Pixlr বা পিক্সলার

ছবি এডিট করার জন্য পিক্সলার অনেক জনপ্রিয় একটা সফটওয়্যার। ফ্রি তে অনেক টুলস এর সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় Pixlr এর। 

Pixlr এর সুবিধা

  • ছবি এডিট ও গ্রাফিক্স এডিটিং করা যায়।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্যে প্রফেশনালি এডিট করা যায়।
  • অসংখ্য টুলস রয়েছে এডিট করার জন্য।
  • আলাদাভাবে ভিন্ন এডিটর সিস্টেম রয়েছে। যার ফলে এডভান্স ফটো এডিটিং করা যায়।

Pixlr এর অসুবিধা

  • এটি পেইড সফটওয়্যার হওয়ায় অর্থ ব্যয় করতে হবে। ফলে কিছুটা ব্যয়বহুল। 

শেষকথা

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিল্প ক্রমেই উন্নততর হচ্ছে। এই উন্নততর হওয়ার প্রকল্পে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই সফটওয়্যার গুলোর সহায়তা ও সব ডিজাইনারদের সেগুলো গ্রহণ করার ক্ষমতা। গ্রাফিক্স ডিজাইন কে আরও এগিয়ে নিতে হয়তো বিশ্বে আরও সফটওয়্যার এর তৈরি করা হবে। সেই সব কিছুর জন্য প্রস্তুত হয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করাই হচ্ছে, একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কর্তব্য। 

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১) গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার কোনটা? 

উত্তর: প্রতিটি সফটওয়্যার-ই গুরুত্বপূর্ণ, তবে নির্ভর করবে কাজের প্রকারের ওপর। 

২) গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার জন্য মৌলিক সফটওয়্যার কোন গুলো?

উত্তর: গ্রাফিক্স ডিজাইনের শুরু হয় সাধারণ Adobe Photoshop বা Adobe এর অন্য সফটওয়্যার গুলো দিয়ে। Adobe এর সফটওয়্যার গুলো দিয়ে কাজ করার দক্ষতা থাকলে মৌলিক গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ হয়ে যায়।

৩) পেইড না-কি নন-পেইড, কোন সফটওয়্যার গুলো সবচেয়ে কার্যকরী হবে?

উত্তর : এটা নির্ভর করবে কোন ধরনের কাজ করা হবে, তার ওপর। যদি ফ্রি তে না করা যায়, তাহলে কাজের মান অনুযায়ী পেইড সফটওয়্যার কেনা উচিত। কিন্তু ফ্রি বিকল্প সফটওয়্যার গুলোও ব্যবহার করা যায়, তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবহারের আলাদা দক্ষতা থাকতে হবে।

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Back to top button