খবর

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ (সকল জেলা) | ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আসছে রমজান মাস, রোজার মাস। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এই রোজা। এর আরবি প্রতিশব্দ সাওম। অর্থ বিরত থাকা। এ সময় সকল পানাহার, সহবাস ও রোজা ভঙ্গকারী যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকাই রোজাদারের মূল লক্ষ্য। প্রত্যেক ইমানদার বালেগ মুসলিমের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। এ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা কুরআন শরীফে বলেছেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।- সূরা বাকারা (২) : ১৮৩

রমজান মাসে রোজা রেখে অন্যান্য ইবাদত সঠিক ভাবে পালন করে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করে নেওয়া প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব। তবে রোজা ও রমজান এ দুটির সাথে ওতপ্রোতভাবে ভাবে জড়িত হলো সেহরি ও ইফতার। সেজন্যই আজকের লেখাতে থাকছে ২০২৩ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচীর বিস্তারিত।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ (সকল জেলা)

ক্রেডিট: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

বিঃদ্রঃ ক্রেডিটের সাথে সংযুক্ত করা লিঙ্ক থেকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী পিডিএফ(PDF) ফাইল টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

১৪৪৪ হিজরি সনের রমজান মাস শুরু হবে ২০২৩ সালের ২৪ই মার্চ। তবে তা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। উপরিউক্ত সময়সূচীটি মূলত ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য। এই সময়সূচীটি ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ থেকে নেওয়া হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষ্য অনুযায়ী এই সময়সূচীতে সতর্কতার জন্য সেহরির প্রকৃত শেষ সময়ের চেয়ে ৩ মিনিট আগে শেষ সময় ধরা হয়েছে। একই ভাবে ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহি সাদিকের ৩ মিনিট পরে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ের মোট ৬ মিনিট পরে ফজরের আযান দিতে হবে। এছাড়াও সতর্কতার জন্য সূর্যাস্তের পরে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ শুধু ঢাকা জেলার জন্য সময়সূচী প্রকাশ করলেও; তা থেকে অন্যন্য জেলার সময় নির্ধারণের উপায় রেখেছে। বিভিন্ন জেলার জন্য এই সময়সূচীতে কয়েক মিনিটের পরিবর্তন আসবে। দূরত্বের উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ ০৯ মিনিট যোগ ও ০৯ মিনিট বিয়োগ করতে হবে। এছাড়াও ঢাকার সাথে একই সময়ে সেহরি হবে ৫টি জেলায়। এবং ঢাকার সাথে একই সময়ে ইফতার হবে ৬টি জেলায়। নিচে বিভাগ অনুযায়ী সকল জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় কতটুকু কমাতে বা বাড়াতে হবে তা দেওয়া হলো।

ঢাকা বিভাগ

  • টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইল জেলার সেহরি ঢাকার ১ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ২ মিনিট পরে।
  • গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ জেলার সেহরি ঢাকার ৩ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ২ মিনিট পরে।
  • কিশোরগঞ্জঃ কিশোরগঞ্জ জেলার সেহরি ঢাকার ৩ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ১ মিনিট আগে।
  • মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ জেলার সেহরি ঢাকার ১ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ২ মিনিট পরে।
  • রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ী জেলার সেহরি ঢাকার ৫ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট পরে।
  • মাদারীপুরঃ মাদারীপুর জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার সাথে।
  • ফরিদপুরঃ ফরিদপুর জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ২ মিনিট পরে।
  • শরীয়তপুরঃ শরীয়তপুর জেলার সেহরি ঢাকার ১ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ১ মিনিট আগে।
  • নরসিংদীঃ নরসিংদী জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ১ মিনিট আগে।

চট্টগ্রাম বিভাগ

  • চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৭ মিনিট আগে।
  • কুমিল্লাঃ কুমিল্লা জেলার সেহরি ঢাকার ৩ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট আগে।
  • ফেনীঃ ফেনী জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট আগে ।
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সেহরি ও ইফতার উভয়ই ঢাকার ৩ মিনিট আগে।
  • নোয়াখালীঃ নোয়াখালী জেলার সেহরি ঢাকার ১ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট আগে।
  • চাঁদপুরঃ চাঁদপুর জেলার সেহরি ও ইফতার উভয়ই ঢাকার ১ মিনিট আগে।
  • রাঙ্গামাটিঃ রাঙ্গামাটি জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৮ মিনিট আগে।
  • লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুর জেলার সেহরি ঢাকার ১ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৩ মিনিট আগে।
  • কক্সবাজারঃ কক্সবাজার জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৯ মিনিট আগে।
  • খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ি জেলার সেহরি ঢাকার ৬ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৭ মিনিট আগে।
  • বান্দরবানঃ বান্দরবান জেলার সেহরি ঢাকার ৬ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৯ মিনিট আগে।
  • রাঙ্গামাটিঃ রাঙ্গামাটি জেলার সেহরি ঢাকার ৬ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৮ মিনিট আগে।

খুলনা বিভাগ

  • খুলনাঃ খুলনা জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৩ মিনিট পরে।
  • বাগেরহাটঃ বাগেরহাট জেলার সেহরি ঢাকার ৫ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ১ মিনিট পরে।
  • যশোরঃ যশোর জেলার সেহরি ৫ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট পরে।
  • সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা জেলার সেহরি ঢাকার ৬ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট পরে।
  • মেহেরপুরঃ মেহেরপুর জেলার সেহরি ও ইফতার উভয়ই ঢাকার ৭ মিনিট পরে।
  • নড়াইলঃ নড়াইল জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৩ মিনিট পরে।
  • চুয়াডাঙ্গাঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার সেহরি ঢাকার ৭ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৬ মিনিট পরে।
  • কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়া জেলার সেহরি ও ইফতার উভয়ই ঢাকার ৫ মিনিট পরে।
  • মাগুরাঃ মাগুরা জেলার সেহরি ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৩ মিনিট পরে।
  • ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলার সেহরি ঢাকার ৫ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট পরে।

বরিশাল বিভাগ

  • বরিশালঃ বরিশাল জেলার সেহরি ঢাকার ১ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ১ মিনিট আগে।
  • ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠি জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার সাথে।
  • পটুয়াখালীঃ পটুখালী জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ১ মিনিট আগে।
  • পিরোজপুরঃ পিরোজপুর জেলার সেহরি ঢাকার ৩ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার সাথে।
  • ভোলাঃ ভোলা জেলার সেহরি ঢাকার সাথে ও ইফতার ঢাকার ২ মিনিট আগে।
  • বরগুনাঃ বরগুনা জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার সাথে।

রাজশাহী বিভাগ

  • রাজশাহীঃ রাজশাহী জেলার সেহরি ঢাকার ৬ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৭ মিনিট পরে।
  • সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জ জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৩ মিনিট পরে।
  • পাবনাঃ পাবনা জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট পরে।
  • বগুড়াঃ বগুড়া জেলার সেহরি ঢাকার ৩ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট পরে।
  • নাটোরঃ নাটোর জেলার সেহরি ঢাকার ৫ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৬ মিনিট পরে।
  • জয়পুরহাটঃ জয়পুরহাট জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৬ মিনিট পরে।
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সেহরি ঢাকার ৭ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৯ মিনিট পরে।
  • নওগাঁঃ নওগাঁ জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৭ মিনিট পরে।

রংপুর বিভাগ

  • রংপুরঃ রংপুর জেলার সেহরি ঢাকার সাথে ৩ ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট পরে।
  • পঞ্চগড়ঃ পঞ্চগড় জেলার সেহরি ঢাকার ৩ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৯ মিনিট পরে।
  • দিনাজপুরঃ দিনাজিপুর জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৮ মিনিট পরে।
  • লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট পরে।
  • নীলফামারীঃ নীলফামারী জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট পরে।
  • গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা জেলার সেহরি ঢাকার ১ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট পরে।
  • ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁও জেলার সেহরি ঢাকার ৪ মিনিট পরে ও ইফতার ঢাকার ৯ মিনিট পরে।
  • কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রাম জেলার সেহরি ঢাকার সাথে ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট পরে।

সিলেট বিভাগ

  • সিলেটঃ সিলেট জেলার সেহরি ঢাকার ৮ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৫ মিনিট আগে।
  • মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজার জেলার সেহরি ঢাকার ৬ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৫০ মিনিট আগে।
  • হবিগঞ্জঃ হবিগঞ্জ জেলার সেহরি ঢাকার ৫ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৪ মিনিট আগে।
  • সুনামগঞ্জঃ সুনামঞ্জ জেলার সেহরি ঢাকার ৬ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ৩ মিনিট আগে।

ময়মনসিংহ বিভাগ

  • শেরপুরঃ শেরপুর জেলার সেহরি ঢাকার সাথে ও ইফতার ঢাকার ২ মিনিট পরে।
  • ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহ জেলার সেহরি ঢাকার ২ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার সাথে
  • জামালপুরঃ জামালপুর জেলার সেহরি ঢাকার সাথে ও ইফতার ঢাকার ৩ মিনিট পরে।
  • নেত্রকোণাঃ নেত্রকোণা জেলার সেহরি ঢাকার ৩ মিনিট আগে ও ইফতার ঢাকার ১ মিনিট আগে।

উপরের সকল তথ্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে নেওয়া হয়েছে। এই তথ্যাবলী ১৪৪৪ হিজরি অর্থাৎ ২০২৩ সালের রমজান মাসের জন্য প্রযোজ্য। ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী সময়ের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষণীয়। যা এই লেখাতে সুনিপুণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

রোজার নিয়ত

সেহরিতে পানাহারের পরে রোজার নিয়ত করে রোজা রাখতে হয়। রোজার নিয়তঃ

نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم

উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়া

রমজান মাসে রোযা ভাঙার পূর্বে আমরা অনেকেই বেশ ব্যাস্ত থাকি। বিশেষত বাসায় ইফতার তৈরির জন্য সকলেরই কিছু না কিছু কাজ করতে হয়। ফলে সে সময় অনেকেই ইফতারের দোয়া করতে ভুলে যায়। কিন্তু আমাদের এটি ভোলা উচিত নয়। ইফতারের পূর্ব মূহুর্তের পবিত্র সময়ে আমাদের সকলেরই দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলার ক্ষমা চাওয়া উচিত। এছাড়াও ইফতারের সময় দোয়া কবুল হওয়ার সময়। ফলে ওই পবিত্র মূহুর্তে বান্দার কোন মনষ্কামনা রোযার উছিলায় পূরণ হতে পারে।

اللهم لك صمت و على رزقك افطرت.

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

রোজার ফজিলত 

যেকোনো বালেগ মুসলমানের জন্য রোজার ফজিলতের কোন শেষ নেই। রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে অগণিত সাওয়াব পাওয়া সম্ভব।

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

كل عمل ابن آدم يضاعف الحسنة بعشر أمثالها إلى سبعمائة ضعف، قال الله تعالى : الا الصوم فإنه لى وانا أجزى به يدع شهوته وطعامه من أجلى.

মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোযা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১৫১ (১৬৪); মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৯৭১৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৮৯৮৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৬৩৮

এছাড়াও রোজাদারের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। তাদের জন্য জান্নাতে ঢোকার দরজা হবে পৃথক। রোজাদাররা ‘রাইয়ান’ নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। বুখারি ও মুসলিম বর্ণিত হয়েছে “যখন রমজান মাস আগমন করে তখন, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।“। অর্থাৎ এ সময় বান্দার জন্য তার নফস বা কুপ্রবৃতিকে নিয়ন্ত্রণ আরো সহজ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে লাইলাতুল কদরের রাত; যেই রাতের ইবাদত এক হাজার রাতের সমান। বান্দারা এ সময় তারাবির নামাজ, ইতিকাফ করে নিজের সাওয়াবের খাতা আরো ভারী করতে পারে।

শেষ কথা

শারীরিক দিক দিয়েও রোজা বান্দার জন্য এক নিয়ামত। রোজা রাখলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থসমূহ দূরীভূত হয়। ক্ষুদামন্দ্য কিংবা অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যায়। রোজার কারণে শরীরের কোলেস্টেরল ও স্নেহ পদার্থ ভেঙে বাইল এসিড (Bile Acid) তৈরি হয়। ফলে হৃৎপিন্ড সুস্থ থাকে ও মেটাবলিজম বাড়ে এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে। এছাড়াও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়। সত্যি বলতে রোজার ফজিলত লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত রমজান মাসের প্রত্যেকটি রোজা সঠিক ভাবে পালন করা।

 

 

তথ্যসূত্রঃ
(১)
(2)
(3) 
(4)
(5) 
সর্বশেষ হালনাগাদের তারিখঃ ০৩/২২/২০২৩

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button