গত ২০২২ সালের ২৬শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইনে টিকেট বিক্রয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছে ‘সহজ’। এই বছর খানেকের মধ্যে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন, যুক্ত হয়েছে নতুন নিয়ম। বিশেষত অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকেটের রিফান্ড অনলাইনেই প্রদান ও টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে এনআইডি ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা অন্যতম। অর্থাৎ বর্তমানে কোনো গ্রাহকই নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন ছাড়া রেলের কোনো টিকেট ক্রয় করতে পারবেন না। এরই প্রেক্ষিতে দেখা দিয়েছে কিছুটা বিভ্রান্তি। কিন্তু টিকেটের কালোবাজারি বন্ধ করতে এই সিস্টেমটি অত্যন্ত কার্যকর। তাই সকল গ্রাহকেরই উচিত খুব দ্রুতই এনআইডি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এই সিস্টেমে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া।
এই লেখাতে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে। নিজের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে, এনআইডি ভেরিফিকেশন করা ও অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই তুলে ধরা হয়েছে বিস্তারিত। তাই সফল ভাবে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পড়ুন লেখাটির শেষ পর্যন্ত।
সূচিপত্রঃ
ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
ধাপ-১ঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
ওয়েবসাইটের সাহায্যে ট্রেনের টিকেট কাটতে প্রথমেই যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন থেকে ‘e ticket railway’ লিখে সার্চ করুন। তাহলেই কাঙ্খিত সাইটটি দেখতে পাওয়ার কথা। এছাড়াও সরাসরি Bangladesh Railway E-Ticketing Service লিংকে ক্লিক করে চলে যেতে পারেন অনলাইনে টিকেট বিক্রির সাইটে। সাইটে ঢোকার পরেই আপনারা নিচের চিত্রের ন্যায় একটি সুন্দর হোমপেজ দেখতে পাবেন।
ধাপ-২ঃ অ্যাকাউন্ট খুলুন
অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে চলে যেতে হবে ওয়েবসাইটের Register ট্যাবে। যা নিচের চিত্রের ন্যায়। আগে জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ভেরফিকেশন ছাড়াও অ্যাকাউন্ট খোলার উপায় ছিল। কিন্তু ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য এনআইডি ভেরিফিকেশন (NID Verification) বাধ্যতামূলক করায় এখন এনআইডি ভেরিফাই না করে আর নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না।
এই ট্যাবে প্রথমেই দিতে হবে আপনার মোবাইল নম্বর। মনে রাখবেন, যেই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছেন এটাতেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংযুক্ত করা হবে। তাই অবশ্যই নিজস্ব নম্বরটি ব্যবহার করুন। পরবর্তী ধাপে আপনার এনআইডি নম্বর এবং তার পরের ঘরে এনআইডির সাথে মিল রেখে জন্ম তারিখের তথ্য প্রবেশ করান। প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে ‘VERIFY’ বাটনে ক্লিক করুন।
আপনি যদি ১৮ বছরের কম হয়ে থাকেন তাহলে জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমেও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। আর বিদেশীদের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্টের। এক্ষেত্রে সাবমিট ডাটা বাটন ব্যবহার করুন।
ধাপ-২.১ঃ তথ্য প্রদান করুন
‘VERIFY’ বাটনে চাপ দেওয়ার পরে যদি আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে থেকে থাকে তবেই এনআইডি ভেরিফাইড হবে। সেক্ষেত্রে আপনি পরবর্তী তথ্য প্রদানের ধাপে চলে যাবেন।
এই ধাপে আপনার নাম দেওয়া প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনআইডি কার্ডের সার্ভার থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। এখানে আপনার ইমেইল আইডি, ঠিকানার পোস্ট কোড এবং বিস্তারিত ঠিকানা প্রবেশ করতে হবে। অতঃপর পাসওয়ার্ড দিয়ে ‘COMPLETE REGISTRATION’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এই বাটনে ক্লিক করার পরে যেই নম্বর দিয়েছেন তাতে একটি ওটিপি আসবে। সেই ওটিপিটি প্রবেশ করালেই আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।
ধাপ-৩ঃ অ্যাকাউন্টে লগইন (Login) করুন
এই সাইটটির নিয়ম অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট নিবন্ধনের পরেই আপনি লগড ইন অবস্থায় থাকতে পারবেন। কিন্তু কোনো কারণে আপনি লগআউট করতেই পারেন। বা ব্রাউজারটি ভুলবশত কেটে গেলেও লগ আউট (Log Out) হয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সাইটের মেনুবার থেকে ‘Login’ অপশনে ক্লিক করলেই লগইন পেজে চলে যাবেন।
উপরের সুন্দর চিত্রের ন্যায় লগইন পেজটিতে প্রথমে আপনার মোবাইল নম্বর প্রবেশ করান। এরপর আপনার পাসওয়ার্ডটি লিখুন। চাইলে পাসওয়ার্ডের পাশে উঠে থাকা চোখের চিহ্নটি ক্লিক করে দেখেও নিতে পারবেন পাসওয়ার্ডটি ঠিক টাইপ করা হলো কি না। অতঃপর সবুজ রঙের ‘LOGIN’ বাটনে ক্লিক করুন। অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর সাইটের মেনুবারের লেআউট কিছুটা পরিবর্তিত হবে এবং এর ডান দিকে আপনার নাম লেখা থাকবে।
বর্তমান অ্যাকাউন্টের এনআইডি ভেরিফিকেশনের নিয়ম
বর্তমানে Bangladesh Railway E-Ticketing Service থেকে শুরু করে, রেলের রেল সেবা (Rail Sheba) অ্যাপ এমনকি কাউন্টার থেকে টিকেট কাটতে গেলেও এনআইডি ভেরিফিকেশন করা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্টে আপনার এনআইডির তথ্য দিয়ে ভেরিফাই করে না থাকেন, তাহলে আপনি কোনো টিকিটই ক্রয় করতে পারবেন না। তাই সকল নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ই এনআইডি ভেরিফাই করে খুলতে হয়। কিন্তু আগে থেকে থাকা অ্যাকাউন্ট গুলোতে এনআইডি ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া কি তাই তুলে ধরা হয়েছে বিস্তারিত।
অনলাইনে ট্রেনের এনআইডি ভেরিফিকেশনের নিয়ম
অনলাইনে ট্রেনের এনআইডি ভেরিফিকেশন করতে স্বাভাবিক ভাবে সাইটে লগ ইন করলেই হবে। অনলাইনে তথা ওয়েবসাইটের এনআইডি ভেরিফিকেশনের ওয়েবপেজটি নিম্নরুপ।
এই পেজটিতে আপনার এনআইডি নম্বর (NID Number) এবং এনআইডি অনুযায়ী আপনার জন্ম তারিখ প্রবেশ করান। অতঃপর সবুজ রঙের ‘VERIFY’ বাটনে ক্লিক করুন। আর জন্ম সনদ এবং কিংবা বিদেশীরা পাসপোর্টের সাহায্যে রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলে নিচের ‘SUBMIT DATA’ বাটনে ক্লিক করুন। ভেরিফিকেশনের পরে আপনার ভেরিফিকেশন সফল হয়েছে এমন একটি নোটিশ দেখাবে। তাহলেই বুঝবেন ভেরিফিকেশন সফল হয়েছে।
এসএমএস এর সাহায্যে এনআইডি ভেরিফিকেশন
শুধু ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ নয়, চাইলে সাধারণ মোবাইলের ম্যাসেজের সাহায্যে আপনার এনআইডি ভেরিফিকেশন করাতে পারেন। এক্ষেত্রে ফোনের ম্যাসজে অপশনে গিয়ে টাপ করুন:
BR<space>NID Number<space>Birth Date
উল্লেখ্য যে জন্ম তারিখ লেখার ক্ষেত্রে (yyyy/mm/dd) ফরম্যাট ফলো করুন। অর্থাৎ প্রথমে সাল, এরপরে মাস এবং এরপরে তারিখ লিখুন। যেমনঃ 1999/05/01। এরপরে ম্যাসেজটি পাঠিয়ে দিন 26969 এই নাম্বারে। ফিরতি ম্যাসেজে আপনার এনআইডি টি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কি না তা জানিয়ে দেওয়া হবে। যদি আগে রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে তবে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে যেই নাম্বার থেকে এই ম্যাসেজ পাঠাবেন সেই নাম্বারেই এনআইডিটি রেজিস্ট্রেশন হবে। তাই নম্বর নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। একবার মোবাইলের এসএমএস এর সাহায্যে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললে পরবর্তীতে ভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে আবার সেখানে এনআইডি ভেরিফাই করতে পারবেন না।
অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
মূলত সার্ভারে অ্যাকাউন্ট খুলে লগ ইন করার পরেই অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার মূল প্রক্রিয়া শুরু। এক্ষেত্রে প্রথমেই যেতে হবে সাইটের ‘Home’ পেজে।
ধাপ-১ঃ ট্রেন সার্চ করুন
হোম পেজে আসার পর টিকেট কাটতে প্রথমে নিচের ইন্টারফেসটিতে (Interface) তথ্য প্রবেশ করান।
‘From’ ঘরটিতে আপনার যাত্রা শুরুর স্টেশনটির নাম ইংরেজিতে লিখুন। উল্লেখ্য যে স্টেশনের নাম দুই শব্দের হলে অবশ্যই নামের মধ্যে আন্ডারস্কোর ( _ ) ব্যবহার করুন। যেমন Dhaka_Cantonment অথবা Biman_Bandar ।
একই ভাবে ‘To’ ঘরটিতেও আপনার গন্তব্য স্টেশনের নাম লিখুন। যেমন Chittagong ।
‘Date of Journey’ ঘরটিতে ক্লিক করলে একটি ক্যালেন্ডার দেখাবে। ক্যালেন্ডার থেকে আপনার যাত্রার তারিখটি ঠিক করুন।
‘Choose a Class’ ড্রপ-ডাউন মেনুটি থেকে আপনি কোন ক্লাস অর্থাৎ শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তা নির্ধারণ করুন। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে মোট ৮ ধরনের রেল টিকেট বিক্রি করে থাকে। মানের উচ্চ ক্রমানুসারে সেগুলো হলোঃ
- AC_B (এসি বার্থ)
- AC_S (এসি সিট)
- SNIGDHA (স্নিধা)
- F_BERTH (এফ বার্থ)
- F_SEAT (এফ সিট)
- F_CHAIR (এফ চেয়ার)
- S_CHAIR (শোভন চেয়ার)
- SHOVAN (শোভন)
উল্লেখ্য যে সব ধরনের টিকেট সকল ট্রেনের জন্য প্রযোজ্য নয়। ট্রেনের মান ভেদে টিকেটের মানেও তারতম্য আসে। আর টিকেটের মানের সাথে সাথে তার ভাড়াও বৃদ্ধি পায়। আপনি যেই ধরনের টিকেটে বা যেই শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে চান তা নির্ধারণ করুন। অতঃপর সবুজ রঙের ‘SEARCH TRAIN’ বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ১.২ঃ সার্চ মডিফাই (Search Modify) করুন
যদি আপনার সার্চ করার পরে সার্চের কিছু তথ্য ঠিক রেখে অন্য তথ্য পরিবর্তন করে সার্চ করার প্রয়োজন পড়ে সেটিও করতে পারবেন। যেমন ধরা যাক, আপনি ঢাকা থেকে চিটাগং যাবেন। কিন্তু যেদিন যাবেন সেদিন ভাল সিট না পেয়ে পরের দিনের সিট গুলো চেক করতে চাইছেন। এক্ষেত্রে শুধু ‘Date of Journey’ পরিবর্তন করে ট্রেন সার্চ করলেই নতুন ফলাফল পাবেন। এভাবে চার ধরনের তথ্যই মডিফাই করে বার বার সার্চ করতে পারবেন।
ধাপ-২ঃ ট্রেন নির্বাচন করুন
ট্রেন সার্চ করার পর আপনার সার্চের সাথে মেলে এমন সকল ট্রেনেরই একটি তালিকা আপনি দেখতে পাবেন। এক্ষেত্রে ট্রেনটি কখন স্টেশন ছাড়বে, কখন কাঙ্খিত স্টেশনে পৌছাবে এবং তাতে কত সময় লাগবে তা উল্লেখ করা থাকবে। আবার ‘Train Details’ নামক অপশনে ক্লিক করলে ট্রেনের যাত্রা পথের একদম বিস্তারিত তথ্য দেখার সুযোগ থাকবে। একই সাথে আপনার কাঙ্খিত ধরনের সিটের পাশাপাশি অন্যান্য সিটও অনলাইনে এবং কাউন্টারে কতটি বিক্রির জন্য আছে তা দেখিয়ে দেবে।
এবার আপনি যেই ট্রেনের যেই ধরনের আসনে ভ্রমণ করতে চান সেটির উপরে ‘BOOK NOW’ বাটনে ক্লিক করে ট্রেনটিকে নির্ধারণ করুন।
ধাপ-৩ঃ কোচ এবং ট্রেনে ওঠার স্টেশন নির্ধারণ করুন
‘BOOK NOW’ বাটনে ক্লিক করলেই নিচের চিত্রের ন্যায় একটি ইন্টারফেস খুলে যাবে।
উপরের চিত্রের ট্রেনের একটি বগির লেআউট প্রদর্শিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার কাঙ্খিত বগিটি নির্ধারণ করতে হবে। সিটের লেআউটের উপরেই রয়েছে সিলেক্ট কোচ (Select Coach) নামক অপশন। এখানে ড্রপ-ডাউন মেনুতে ক্লিক করলেই বিভিন্ন বগি বা কোচ নির্ধারণ করতে পারবেন। যেমন আমি টিকেট কাটার সময় প্রথমেই পেয়েছি ‘ঙ’ কোচ। কিন্তু এই কোচের সকল সিটের টিকেটই ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আমাকে অন্য কোচ নির্ধারণ করতেই হবে।
কোচ নির্ধারণ করার পাশাপাশি এই ইন্টারফেসে বোর্ডিং স্টেশন অর্থাৎ কোন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে চান তা নির্ধারণেরও সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে যেই স্টেশন নির্ধারণ করে টিকেট কাটছেন আপনার বোর্ডিং স্টেশনও সেটিই হবে। এক্ষেত্রে যদি আলাদা স্টেশন থেকে ওঠার সুযোগ পান ড্রপ-ডাউন মেনুতে তাহলে তা ব্যবহার করতে পারেন।
ধাপ–৪ঃ সিট নির্ধারণ করুন
কোচ নির্ধারণ করার পরে এবার সিট নির্ধারণ করার পালা। এক্ষেত্রে তিনটি রঙ গুরুত্বপূর্ণ এবং এর প্রতিটির অর্থ রয়েছে।
- সাদাঃ সিটটি বুকিং এর জন্য খালি আছে।
- মিষ্টিঃ সিটটি ইতোমধ্যে বুকড।
- গাড় নীলঃ সিটটি আপনি নির্ধারণ করেছেন।
সাদা সিটগুলো থেকে আপনি আপনার পছন্দের সিট নির্ধারণ করলে খানিক্ষণ সিটটি ব্লিংক করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং হচ্ছে। অতঃপর সিটের রঙ গাড় নীল হয়ে গেলে বুঝতে হবে যে সিটটি বুকড হয়েছে। অতঃপর ইন্টারফেসের ডান পাশে থাকা সবুজ রঙের ‘Continue Purchase’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
ধাপ-৫ঃ যাত্রীর তথ্য প্রদান করুন
অনলাইনে ট্রেনের একটি টিকেট কিনলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার নামে ইস্যু হবে। কিন্তু আপনি যদি একাধিক টিকেট কেটে থাকেন তাহলে অন্য যাত্রীদের তথ্য আপনাকে আলাদা ভাবে পূরণ করতে হবে। তথ্য হিসাবে আপনাকে তাদের পূর্ণ নাম ও তারা প্রাপ্তবয়ষ্ক না শিশু এই তথ্যগুলো দিতে হবে। নাম লেখার ঘরে নাম লিখবেন। ‘Passenger Type’ ড্রপ-ডাউন মেনুতে ক্লিক করলেই যাত্রী প্রাপ্তবয়ষ্ক নাকি শিশু তা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, ৩ থেকে ১২ বছর বয়স অবধি যাত্রীদের বাংলাদেশ রেলওয়ে শিশু হিসেবে গণ্য করে। কোনো যাত্রীর বয়স এর উপরে হলে তাকে অবশ্যই পূর্ণ ভাড়া প্রদান করে টিকেট কাটতে হবে। আরও উল্লেখ্য যে, ৩ বছরের নিচের শিশুদের ট্রেনে ভ্রমণ করতে কোনো টিকেটের প্রয়োজন নেই।
যাত্রীদের তথ্য প্রদানের পর অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ব্যবহার করেছিলেন সেগুলোই আপনার যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গণ্য হবে।
ধাপ-৬ঃ অনলাইনে ভাড়া পরিশোধ করুন
অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বুক করার পর অনলাইনেই ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অনলাইনে ট্রেনের টিকেটের ভাড়া পরিশোধ করতে একই পেজের নিচের দিকে স্ক্রল করুন। ‘PAYMENT DETAILS’ সেকশনে মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন।
আপনার সুবিধামত মোবাইল ব্যাংকিং অথবা কার্ডের অপশনটি সিলেক্ট করে দিয়ে প্রসিড টু পেমেন্ট (PROCEED TO PAYMENT) বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য যে এই পেজে এসে ‘PROCEED TO PAYMENT’ বাটনে ক্লিক করার জন্য সর্বোচ্চ ৩ মিনিট সময় পাবেন। এর বেশি দেরি হলে পুরো প্রক্রিয়া আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। কনফার্ম করার পর আপনার বিকাশ নম্বরটি লিখুন। আপনার নম্বরে একটি ওটিপি (OTP) যাবে। তা প্রবেশ করান। অতঃপর আপনার অ্যাকাউন্টের পিনটি টাইপ করে ভাড়া পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
ধাপ-৭ঃ টিকেট সংগ্রহ করুন
ভাড়া পরিশোধ করার পরপরই আপনাকে টিকেট কনফার্মেশন উইন্ডোতে নিয়ে যাওয়া হবে। যা দেখতে নিচের চিত্রের ন্যায়।
এই উইন্ডোতে আপনার টিকেটের পিএনআর (PNR) নম্বর, ট্রেনের নাম, ক্লাস, সিট নম্বর সহ সকল তথ্যই থাকবে। এই উইন্ডো থেকে ‘Print your ticket now’ বাটনে ক্লিক করলেই সরাসরি প্রিন্ট ইন্টারফেসে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে নিজস্ব প্রিন্টার থাকলে সরাসরি প্রিন্ট করে নিতে পারেন অথবা তা পিডিএফ হিসেবে সংরক্ষণও করতে পারেন।
ধাপ-৭.১ঃ পারচেজ হিস্টোরি (Purchase History) থেকে টিকেট ডাউনলোড
অনেক সময় কারিগরি জটিলতার জন্য টিকেট কনফার্মেশন উইন্ডো থেকে টিকেটের পিডিএফ ডাউনলোড হয় না। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টের পারচেজ হিস্ট্রি (Purchase History) তে টিকেট দেখাবে। এছাড়াও আপনার ইমেইল এও টিকেটের পিডিএফ কপি চলে যাবে। পারচেজ হিস্ট্রি থেকে চাইলে যাত্রা শুরু আগ পর্যন্ত টিকেটটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টে লগড-ইন থাকা অবস্থায় নিজের নামের উপর ক্লিক করুন। ড্রপ-ডাউন মেনু খুলে গেলে ‘Purchase History’ সেকশনে ক্লিক করে পারচেজ হিস্ট্রি তে যান।
এখানে আপনার টিকেটের তথ্য দেখাচ্ছে। একাধিক যাত্রার টিকেট কেটে থাকলে একাধিক টিকেট দেখাবে। এবার সবুজ রঙের ‘Download Ticket’ বাটনে ক্লিক করলেই টিকেটের পিডিএফ কপি পাওয়া যাবে।
ধাপ-৮ঃ টিকেট ভেরিফাই (Verify) করুন
টিকেটের পিডিএফ পাওয়ার পরেই টিকেট ক্রয়ের মূল প্রক্রিয়া শেষ। তবে চাইলে আপনার টিকেটটি সঠিক ভাবে ইস্যু হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চলে যেতে হবে সাইটের ‘Verify Ticket’ ট্যাবে। এখানে প্রথমেই নির্ধারণ করে নিতে হবে যে টিকেটটি আপনি কাউন্টার থেকে কিনেছেন না অনলাইন থেকে। এরপর যেই মোবাইল নম্বরের সাহায্যে টিকেট কেটেছেন সেটি এবং টিকেটের পিএনআর অথবা টিকেট নম্বর প্রবেশ করাতে হবে। তাহলেই টিকেট সম্পর্কিত সকল তথ্য এই পেজটিতে দেখতে পাবেন।
মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
মোবাইলের সাহায্যে টিকেট কাটার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে চালু করেছে ‘Rail Sheba’ অ্যাপ। আর সেটির দায়িত্বেও আছে সহজ। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপই রেলের টিকেট বিক্রি করার নাম করে যাত্রীদের ধোকা দেয়। আর এ ধরনের ধোকার স্বীকার হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না। তাই সকলের সুবিধার্থে আসল অ্যাপটির ডাউনলোড লিংক এখানে দিয়ে দেওয়া হলোঃ Rail Sheba – Apps on Google Play
আসল রেল সেবা অ্যাপের টিকেট ক্রয়ের ইন্টারফেস ওয়েবসাইটের মতই। তাই মোবাইলের প্রক্রিয়াটি সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো। অ্যাকাউন্ট খোলার পরে যেভাবে মোবাইলের সাহায্যে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটবেনঃ-
ধাপ-১ঃ লগ ইন করুন
স্বাভাবিক ভাবে নিজের মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন।
ধাপ-২ঃ ট্রেন খুঁজুন
আপনার চাহিদা অনুযায়ী যাত্রা শুরুর স্টেশন এবং গন্তব্যের স্টেশন নির্ধারণ করুন। ক্লাস এবং যাত্রার তারিখও নির্ধারণ করুন। অতঃপর সার্চ করুন।
ধাপ-৩ঃ ট্রেন নির্বাচন করুন
আপনার চাহিদার সাথে মেলে এমন সব ট্রেন দেখতে পাবেন। কোন ট্রেনে কত সিট আছে তাও দেখতে পারবেন। চাইলে উপরের ডান কোণে অবস্থিত ‘Modify’ বাটনে ক্লিক করে সার্চ মডিফাই করতে পারবেন। এরপর ‘BOOK NOW’ বাটনে ক্লিক করে পছন্দ মতো ট্রেন বুক করুন।
ধাপ-৪ঃ কোচ নির্ধারণ করুন
সকল কোচে সবসময় সিট থাকে না। আবার সিট থাকলেও পছন্দনীয় সিট থাকে না। এক্ষেত্রে আপনি কোচ পরিবর্তন করতে পারেন।
ধাপ-৫ঃ সিট নির্ধারণ করুন
নির্ধারিত কোচ থেকে পছন্দ অনুযায়ী রেলওয়ে টিকেট বুকিং করুন। সাদা সিটগুলো সিলেকশনের জন্য রয়েছে। কোনো সিট সিলেক্ট করলে তা গাড় নীল বর্ণ ধারন করবে। অতঃপর ‘CONTINUE PURCHASE’ বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৬ঃ যাত্রীর তথ্য প্রদান করুন
আপনি এবং আপনার সাথে ভ্রমণকারী সকল যাত্রীর তথ্য প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে নাম এবং যাত্রীর ধরন নির্ধারণ করতে হবে। এখানে যাত্রীর ধরন বলতে যাত্রী শিশু না প্রাপ্তবয়ষ্ক তা বোঝানো হয়েছে।
ধাপ-৭ঃ ভাড়া পরিশোধ করুন
যাত্রীর তথ্য প্রবেশের পরে ভাড়া পরিশোধ করুন। এক্ষেত্রে বিকাশ, নগর, রকেট, ভিসা (VISA), মাস্টারকার্ড (Mastercard) ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস (DBBL Nexus) কার্ড ব্যবহার করে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। যে মাধ্যমে পরিশোধ করবেন তা নির্ধারণ করে ‘PROCEED TO PAYMENT’ বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৮ঃ টিকেট ডাউনলোড করুন
মোবাইল থেকে টিকেট কাটার পর পরই টিকেট ডাউনলোডের অপশন থাকবে। তা ছাড়াও চাইলে অ্যাকাউন্টে ঢুকে ‘My Tickets’ ট্যাব থেকে আগামী সকল যাত্রার টিকেট দেখা যাবে। এখান থেকেও চাইলে টিকেট ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।
ট্রেনে ভ্রমণের বিস্তারিত নিয়মাবলী
ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে শুধু ট্রেনের টিকেট কাটলেই হবে না বরং টিকেট কাটার ও ট্রেনে ভ্রমণের শর্তাবলীগুলোও জানা চাই। আপনি যখন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখনই আপনি এই শর্তাবলীর সাথে সহমত পোষণ করবেন। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য শর্তাবলী এখানে তুলে ধরা হলোঃ
টিকেট ক্রয় সংক্রান্ত নিয়মাবলী | ১। ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ থেকে ট্রেনে অগ্রিম ১০ দিনের টিকেট ক্রয় করা যাবে। ২। টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে অনলাইন ও কাউন্টারের মধ্যে কোনো কোটা থাকবে না। যেকোনো একটি মাধ্যম থেকেই শতভাগ টিকেট ক্রয় করা সম্ভব হবে। ৩। অনলাইনে টিকেট বিক্রয় সেবা সকাল ৮টা থেকে রাত ১১ঃ৪৫ পর্যন্ত চালু থাকবে। ৪। একজন অ্যাকাউন্ট ধারী একবারে সর্বোচ্চ ৪ জনের জন্য টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। ৫। একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ দুইবার আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট ক্রয় করা যাবে। ৬। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে একই দিনে একই ট্রেনে একবারের বেশি টিকেট ক্রয় করা যাবে না। ৭। একটি আইডি দিয়ে একই যাত্রা শুরুর স্টেশন থেকে একই দিনে একবারের বেশি টিকেট ক্রয় করা যাবে না। ৮। বর্তমান নিয়মে টিকেট ক্রয়কারী ব্যাতীত বাকি যাত্রীর এনআইডি এর তথ্য টিকেটে অর্ন্তভুক্ত করা হয় না। তবে সকল যাত্রীর তথ্য এবং টিকেট ক্রয়কারীর ছবি টিকেটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তাই অদূর ভবিষ্যতেই এমন হতে পারে। ৯। কাউন্টার থেকে টিকেট ক্রয় করতে হলেও অবশ্যই অনলাইন টিকেটিং সার্ভারে যাত্রীর অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং এনআইডি ভেরিফাইড হতে হবে। ১০। এনআইডি ভেরিফাইড থাকলে কাউন্টার থেকে টিকেট ক্রয়ের সময় এনআইডি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এনআইডির বিপরীতে রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল নম্বরটি বললেই হবে। |
ভ্রমণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী | ১। ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ নীতি অনুযায়ী একজনের ক্রয়কৃত টিকেট কোনো ভাবেই আরেকজনকে হস্তান্তর করা যাবে না। ২। ভ্রমণের সময় টিকেট ক্রয়কারীকে অবশ্যই টিকেটের কপি এবং এনআইডির কপি সাথে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে দুইটিই প্রিন্টেড হলে অনেক ভাল হয়। কারণ বর্তমানে ট্রেনে নিয়মিত চেকিং চলছে এবং পিডিএফ কপির চেয়ে প্রিন্টেড কপি চেকিং এ কম ঝামেলার সৃষ্টি করে। ৩। প্রিন্টেড কপি দেখিয়ে যাত্রী চাইলে কাউন্টার থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ছাপানো টিকেট নিয়ে নিতে পারবেন। তবে না নিলেও কোনো সমস্যা নেই। ৪। বিনা টিকেটের যাত্রী হলে অথবা টিকেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিচয়পত্র (যেমনঃ এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা এগুলোর কপি) না থাকলে বিধি মোতাবেক জরিমানা করা হবে। ৫। স্ট্যান্ডিং টিকেটের যাত্রীরা শুধু মাত্র শোভন শ্রেণীতে সীমাবদ্ধ থাকবেন। |
অন্যান্য নিয়মাবলী | ১। বগি অথবা সিট নম্বর যেকোনো মূহুর্তে পরিবর্তিত হতে পারে। ২। বাংলাদেশ রেলওয়ে যেকোনো মূহুর্তে যাত্রা বাতিলের পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে। ৩। অতিরিক্ত মালামাল বহন করা যাবে না। অতিরিক্ত মালামাল বহন করলে মাশুল দিতে হবে না। ৪। তাপানূকুল শ্রেণির যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৩৭.৫ কেজি, শোভন চেয়ার / শোভন শ্রেণির যাত্রীরা সর্বোচ্চ ২৬ কেজি ও সুলভ শ্রেণির যাত্রীরা সর্বোচ্চ ২৩ কেজি মাল বিনা মাশুলে বহন করতে পারবে |
শেষকথা
ট্রেন একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। বর্তমানে এটি যোগাযোগের অন্যতম আরামদায়ক একটি মাধ্যম। বিশেষত বাসের ঝাকুনি, দুলুনি এড়িয়ে ট্রেন হতে পারে দারুণ একটি পন্থা। এটি তূলনামূলক অনেক নিরাপদও বটে। অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার মাধ্যমে আমরা সহজেই ট্রেনের সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারি। এই লেখাতে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার যাবতীয় তথ্যাবলীই তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট ফেরত দেওয়ার সুবিধাও রয়েছে। তাই আসুন বিনা টিকেটে ভ্রমণ পরিহার করি, প্রয়োজনে অনলাইনে টিকেট কিনে ট্রেনে ভ্রমণ করি।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১। অনলাইনে অ্যাকাউন্ট না থাকলে কাউন্টারে নিবন্ধন করা যাবে কি না?
উত্তরঃ না কাউন্টারে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার কোনো সুবিধা নেই। আগে থেকে অ্যাকাউন্ট খুলে, এনআইডি ভেরিফাই করে এরপরে কাউন্টারে টিকেট ক্রয় করতে আসবে হবে।
২। টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে শিশু হিসেবে কাদের গণ্য করা হবে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট নিয়ম অনুযায়ী ১২ বছরের নিচের বাচ্চাদেরকে শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
৩। কারা জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করাতে পারবেন?
উত্তরঃ ১২-১৮ বছরের বাংলাদেশী নাগরিকেরা এই সুবিধা পাবেন। ১৮ বছর হয়ে গেলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
৪। জন্ম নিবন্ধন ও বিদেশীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করাতে চাইলে কত সময় লাগবে?
উত্তরঃ এই দুই ক্ষেত্রে ডকুমেন্টের ডিজিটাল কপি / স্ক্যানড কপি সাবমিট করতে হয়। এগুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে নয় বরং ব্যক্তির সাহায্যে ভেরিফাই করতে হয় বলে বেশ সময় লাগে। সাধারণত ৭২ ঘন্টা বা তিন কর্ম দিবসের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
৫। টিকেট বিক্রির কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার কোনো উপায় আছে কি?
উত্তরঃ কারিগরি সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন [email protected] এই মেইল ঠিকানায়। টিকেট ইস্যু না হলে অর্থ ফেরত পেতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।
৬। কম্পিউটার দিয়ে টিকেট কাটলে কি ফোনের বিকাশের সাহায্যে ট্রেনের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবো?
উত্তরঃ অবশ্যই পারবেন। কম্পিউটারে বিকাশ নম্বরটি লিখে প্রাপ্ত ওটিপি প্রবেশ করান। অতঃপর আপনার পিনটি প্রবেশ করালেই ভাড়া পরিশোধ হয়ে যাবে। তবে এ প্রক্রিয়া নিজ কম্পিউটার ছাড়া প্রয়োগ করবেন না। কারণ দোকানের কম্পিউটারগুলোতে আপনার বিকাশের পিন আপনার অলক্ষ্যে সংরক্ষণ করতে পারে।