সহজেই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
ব্যবসায়, কৃষিকাজে, প্রবাসে যেতে এবং ব্যক্তিগত নানা প্রয়োজনে ব্যাংক লোন নিতে হয়। তবে যে কেউ চাইলেই ব্যাংক লোন পেতে পারেনা। তাই ঋণ পেতে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
বর্তমানে বিভিন্ন এনজিও, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গ্রাম্য মহাজনরা ঋণ দিয়ে থাকে। তবে ব্যাংক ঋণের সুবিধা বেশি ও সুদের হার তুলনামূলক কম। তাই আর্থিক প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে বিশেষ করে ইসলামীক ব্যাংক গুলোর বিনিয়োগ ঋণ নিতে পারেন।
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জানতে- ব্যাংক লোন কি, প্রকারভেদ, বিভিন্ন কর্মসূচি, কারা লোন পাবে, শর্তাবলী, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, সুদের হার, পরিশোধের নিয়ম, সরাসরি ও অনলাইনে ব্যাংক আবেদন পদ্ধতির সকল তথ্য থাকছে এই আলোচনায়।
সূচিপত্রঃ
ব্যাংক লোন কী?
লোন (loan) শব্দটির অর্থ ধার করা, কর্য/ ঋণ করা। আমরা বিভিন্ন সময় অন্যদের কাছ থেকে আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ধার নেই।
একইভাবে, ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য গ্রাহকদের অর্থ ঋণ দিয়ে থাকে। একে ব্যাংক লোন বলা হয়। সাধারণভাবে পাওনা টাকা পরিশোধের সময় কিছুটা বেশি দিতে হয়। তেমনি ব্যাংক লোনের শর্ত হিসেবে, গ্রাহকদেরও ঋণ পরিশোধের সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ দিতে হয়। প্রতি মাসে বা প্রতি বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিস্তি আকারে ব্যাংক লোনের অর্থ আদায় করে।
ব্যাংক ঋণের প্রকারভেদ
ঋণ গ্রাহকের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের ঋণ কার্যক্রম রয়েছে। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় বহু কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, তবে এটি প্রধানত ৩ প্রকার। যথা-
- স্বল্প মেয়াদি ঋণ
- মধ্য মেয়াদি ঋণ
- দীর্ঘমেয়াদি ঋণ
স্বল্প মেয়াদী ঋণ
যে সকল ঋণের মেয়াদকাল ১ বছর থেকে ২ বছরের কম হয়ে থাকে, সেগুলোকে স্বল্প মেয়াদী ঋণ বলে। যেমন- ব্যবসার প্রয়োজনে, কৃষি ঋণ, প্রবাসী ঋণ ইত্যাদি। এসকল লোনের ক্ষেত্রে কম সুদ প্রযোজ্য হয়। ঋণের মেয়াদ কাল সংক্ষিপ্ত হওয়ায় সাপ্তাহিক পরিশোধেরও সুযোগ রয়েছে।
মধ্য মেয়াদী ঋণ
যে সকল ঋণের মেয়াদকাল ২-৫ বছর হয়ে থাকে, সেগুলোকে মধ্য মেয়াদী ঋণ বলে। বিভিন্ন সময় প্রয়োজন অনুসারে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণের মধ্যবর্তী মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়। মধ্যমেয়াদি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় তুলনামূলক সহজ।
দীর্ঘমেয়াদী ঋণ
যে সকল ঋণের মেয়াদকাল ৫ বছরের বেশি হয়, সেগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ বলে। দীর্ঘমেয়াদী ঋণের সুদের হার তুলনামূলক বেশি হয়। যেমন- হাউজ বিল্ডিং লোন (House Building Loan), ব্যবসায়িক ঋণ (Business Loan), ব্যক্তিগত ঋণ (Personal Loan), শিক্ষার্থী ঋণ (Student Loan) ইত্যাদি।
ব্যাংক ঋণের বিভিন্ন ধরন ও কর্মসূচি
ব্যাংক ঋণের প্রকারভেদ ছাড়াও ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ধরন, কর্মসূচি ও খাত বিবেচনায় রাখা হয়। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুযায়ী ঋণের বিভিন্ন ধরনগুলো হলো:
১। ব্যক্তিগত ঋণ (Personal Loan):
ব্যক্তিগত নানা প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য যে ঋণ নেওয়া হয়, তা-ই ব্যক্তিগত ঋন বা পার্সোনাল লোন। সাধারণত বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ নিয়ে থাকে।
২। ব্যবসায় ঋণ (Business Loan):
ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, নতুন ব্যবসা স্থাপন করতে, ব্যবসার উন্নয়ন সাধনে বিজনেস লোন নেওয়া হয়।
৩। শিল্প ঋণ (Industrial Loan):
বিভিন্ন শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে ব্যাংক থেকে বৃহৎ পরিমাণ অর্থের ঋণ প্রদান করা হয়।
৪। হাউজ বিল্ডিং লোন (House Building Loan):
বাসভবন নির্মাণ, বাড়ি ক্রয়, ফ্লাট ক্রয়- এ সম্পর্কিত প্রয়োজনে হাউজ হোম লোন নেওয়া হয়।
৫। অটোমোবাইল ঋণ (Automobile Loan):
গাড়ি ক্রয় করা, মেরামত করা ইত্যাদি যান্ত্রিক প্রয়োজনের ঋণ। যেমন- মোটরসাইকেল লোন (Motorcycle Loan)।
৬। এসএমই ঋণ (SME Loan):
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ- এমএসএমই (Small & Medium Enterprises), শিল্প উন্নয়নে ঋণ কর্মসূচি।
৭। এডুকেশন/ স্টুডেন্ট লোন (Education/ Student Loan):
লেখাপড়া পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমন ইত্যাদি প্রয়োজনে স্টুডেন্ট লোন দেওয়া হয়।
৮। প্রবাসী লোন (Expatriate Loan):
বিদেশ গমনের জন্য আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে ঋণ কর্মসূচি।
৯। কৃষি ঋণ (Agriculture Loan):
কৃষিকাজ, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় ইত্যাদি প্রয়োজনে ঋণ কর্মসূচি।
১০। কুইক লোন (Quick Loan):
জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক লোন কর্মসূচি।
১১। চিকিৎসা ঋণ (Medical Loan):
চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যাংকের ঋণ কর্মসূচি।
এছাড়াও সেবা খাত, বাণিজ্যিক কর্মসূচি, বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। এসকল ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় গুলো দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে প্রভাব ফেলে।
ব্যাংক লোন কারা পাবেন?
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্ষম ব্যক্তিরাই প্রাধান্য পায়। ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় ব্যবসায়ী, বিদেশ গমনকারী, কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা ঋণ পায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাংকিং শর্তাবলী পূরণ করতে হয়।
অন্যদিকে, শুধুমাত্র চাকরিজীবীদের ব্যক্তিগত ঋণ, হোম লোন, অটোমোবাইল লোন, চিকিৎসা লোন দেওয়া হয়। যে সকল কর্মজীবীদের বেতন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পায়, তারাই এসকল ঋণের জন্য উপযুক্ত।
ব্যাংক লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট
সিআইবি বা ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (Credit Information Bureau) হলো একজন ঋণ গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর রিপোর্ট। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে বাংলাদেশে ঋণ খেলাপি বিপুল হারে বেড়ে গিয়েছিল। তাই ১৯৯২ সালে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ এবং সিআইবি (CIB) টিম প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট ঝুঁকি কমাতে ঋণ আবেদনকারীর পূর্ববর্তী ঋণের ক্রেডিট স্কোর বিবেচনা করে সিআইবি রিপোর্ট করা হয়। এটি ঋণ খেলাপি রোধ করতে আবেদনকারীর অর্থনৈতিক সুনাম বিবেচনা করে। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় বিবেচনায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্বে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করলে এবং সঠিকভাবে তার অর্থ নিয়মিত কিস্তিতে মেয়েদের মধ্যে পরিশোধ করলে সিআইবি রিপোর্ট ভালো হয়।
অন্যদিকে, পূর্ববর্তী ঋণের অর্থ মেয়াদকাল এর মধ্যে নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করতে না পারলে ক্রেডিট স্কোর বা সিআইবি রিপোর্ট খারাপ হয়। পূর্ববর্তী ব্যাংকে যদি ১ টাকাও অপরিশোধিত থাকে তাও রিপোর্ট খারাপ হয়।
সিআইবি টিম ঋণ গ্রাহকদের উপর জরিপ করে ৭ টি ভিন্ন তথ্য নিয়ে এই রিপোর্ট প্রণয়ন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এই রিপোর্ট সংরক্ষিত থাকে, যা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধান করতে পারে।
ব্যাংক লোন পাওয়ার শর্তাবলী
বিভিন্ন ব্যাংক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নানান শর্তাবলী আরোপ করতে পারে। লোন নেওয়ার পূর্বে আপনি সেই সকল শর্তাবলী পূরণ করতে পারবেন কিনা তা যাচাই করে নিন। সাধারণত ঋণের আবেদন করার পূর্বে ব্যাংক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জিজ্ঞাসাবাদ করে। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুযায়ী শর্তাবলী গুলো হলো:
- কি কারনে লোন নিতে চান তার তথ্য।
- আপনার পেশা, ব্যবসা বা চাকরিতে কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে।
- লোনের অর্থ কোথায় ব্যয়/ বিনিয়োগ করা হবে
- আপনার ক্রেডিট হিস্ট্রি বা অর্থনৈতিক তথ্য।
- আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যাংককে জানাতে হবে।
- আপনার ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট (Financial Statement) ব্যাংকে জানাতে হবে।
- ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট/ আয়ের উৎসের প্রমাণপত্র।
- পূর্বে অন্য কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে থাকলে তার তথ্য।
- কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে তার তথ্য।
- ঋণের জামানত/ ব্যক্তিগত বা সরকারি গ্যারান্টি।
কিছু ক্ষেত্রে ইক্যুইটি রিটার্ন, কোম্পানির জন্য হলে অর্থনৈতিক সুনাম ইত্যাদি তথ্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ব্যাংক লোন পেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ব্যাংক ঋণের আবেদন থেকে শুরু করে ঋণ প্রাপ্তির জন্য কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হলো:-
- ঋণের আবেদন করার জন্য গ্রাহকের স্বাক্ষরসহ আবেদন ফরম পূরণ।
- আবেদনকারীর ছবি।
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি। প্রয়োজন হলে পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি ইত্যাদি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (কমপক্ষে বিগত ৬ মাসের)
- আয়ের উৎসের প্রমাণপত্র।
- যেকোনো ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদি)
- গ্যারানটারের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- গ্যারানটারের অফিস আইডি কার্ড/ ভিজিটিং কার্ড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
- পেশার ক্ষেত্রে অফিস আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, বিজনেস কার্ড ইত্যাদি।
- ব্যবসায়ী কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে টিআইএন সার্টিফিকেট (TIN Certificate)।
- ট্রেড লাইসেন্স/ সে আর মূলধনের, অংশীদারিত্বের স্মারকলিপি।
- সরকারি কর্মচারীদের স্যালারি সার্টিফিকেট বা পে স্কেল (Pay Scale) এর কপি।
- ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক চলতি হিসাবের তথ্য।
- চেকবুক পেজ।
এছাড়াও ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টস, যেমন-
- ঔষধ ব্যবসার ক্ষেত্রে- ড্রাগ লাইসেন্স।
- খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- বিএসটিআই (BSTI) সার্টিফিকেট।
- ডিজেল ও এসিড ব্যবসার জন্য- ডিসির অনুমোদন।
অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে-
- মজুদ মাল ও তার বর্তমান মূল্যের তালিকা, আর্থিক বিবরণী।
- স্থায়ী সম্পদের তালিকা ও মূল্য।
- দেনাদার ও পাওনাদারের তালিকা।
ব্যাংক ঋণের বিপরীতে জামানত
জামানত হলো ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে ঋণগ্রহীতা প্রদত্ত এমন কোনো সম্পত্তি। ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সেই সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তর করে ব্যাংক তার প্রদত্ত অর্থ সংগ্রহ করে।
ডিনার জামানত- স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি,ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি ইত্যাদি হতে পারে। ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে সকল জামানত নিয়ে থাকে, সেগুলো হলো:-
- ভূমি, দালানকোঠা, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী, পণ্যদ্রব্য ও মালিকানার গুরুত্বপূর্ণ দলিল পত্র।
- ব্যাংক একাউন্টের সেভিংস সার্টিফিকেট।
- ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে আইনি ব্যবস্থা প্রয়োগে সম্মতি।
- ঋণ গ্যারান্টার বা সাক্ষী প্রদানকারী/জামানতকারীর ব্যক্তিগত গ্যারান্টি।
ঋণ প্রদানে ব্যর্থ হলে জামানত দেওয়া বিষয়বস্তুর উপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে। প্রয়োজনে সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থ আদায় করবে। ঋণ গ্রাহক এবং গ্যারান্টারের বিরুদ্ধে আদালতে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
তবে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়ে বর্তমানে অনেক ব্যাংক জামানত ছাড়াই গ্রাহককে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেয়।
ব্যাংক লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়ে লোন পেতে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় ব্যাংক নির্বাচন। এক্ষেত্রে কোন ব্যাংক থেকে লোন নিবেন তা বাছাই করতে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন:-
(১) লোন প্রসেসিং ফি
লোন নিষ্পত্তি করার জন্য ব্যাংক থেকে কোন বাড়তেই চায় কিনা খেয়াল রাখুন। বর্তমানে প্রায় সকল ব্যাংকই লোন প্রসেসিং করতে আবেদন ফরম, কিস্তি বই ও অন্যান্য কাগজপত্রের ফি নেয়।
এছাড়াও লোন নেওয়ার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকেই কর্তন করে রাখে (সাধারণত ১০% জমা রাখে)। এ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখে কোন তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়া ব্যাংক নির্বাচন করুন।
(২) ঋণের বিপরীতে সুদের হার
বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে সুদের হার ভিন্ন হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী কিছু ব্যাংক ৯%-১০% সুদ ধার্য করে। তবে কর্মসংস্থান ব্যাংক ও অন্যান্য কিছু ব্যাংক ৭%-৮% হারে সুদ নেয়। এক্ষেত্রে কম সুদের হার এমন ব্যাংক নির্বাচন করুন।
(৩) ইনস্টলমেন্ট পদ্ধতি/ ব্যাংক লোনের কিস্তি
ঋণ পরিশোধের সময়সীমা, পরিশোধের ধরন, প্রতি কিস্তিতে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা জেনে নিন। আপনার সুবিধা অনুযায়ী সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক বা বাৎসরিক পদ্ধতিতে কিস্তির সুবিধা জেনে নিন।
(৪) মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের সুদের হার
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়ে ঋণ নিয়ে মেয়াদকালের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে কত টাকা বাড়তি পরিশোধ করতে হবে তা খেয়াল রাখুন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার ১%-২% বৃদ্ধি পায়।
(৫) মেয়াদ পূর্তির পূর্বে ঋণ পরিশোধ করার নীতিমালা
নির্ধারিত মেয়েদের পূর্বে সম্ভব হলে ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে সুদের হার প্রযোজ্য হবে কিনা জেনে নিন। সাধারণত মেয়াদ পূর্তির পূর্বে ঋণ পরিশোধ করলে সুদের হার কম থাকে।
(৬) অন্যান্য বাড়তি ফি
ব্যাংক থেকে কোন বাড়তি ফি চাইলে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে ব্যাংক নীতিমালা জেনে নিন। ব্যাংক নীতিমালা থেকে বেশি কোন ফি চাইলে সেই ব্যাংক পরিহার করুন।
ব্যাংক লোন এর জন্য আবেদন করার নিয়ম
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুযায়ী প্রথম ধাপ শর্তাবলী পূরণ। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকলে লোনের আবেদন করতে পারবেন। ব্যাংক লোন পেতে পূর্বেই সুবিধা অনুযায়ী একটি ব্যাংক নির্ধারণ করতে হবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ পদ্ধতি ও সুদের হার বিবেচনা করতে হবে।
কাঙ্খিত ব্যাংকের শাখা অফিসে উপস্থিত হয়ে লোনের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। লোন আবেদন ফরমে- ঋণ নেওয়ার কারণ, কত টাকা ঋণ নিতে চান, আপনার ব্যক্তিগত ও অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে তুলে ধরুন।
আবেদনপত্রের সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হয়। তারপর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সেই ডকুমেন্টস ও ফরমের তথ্য যাচাই করবেন। পরবর্তীতে ব্যাংক থেকে গ্রাহককে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।
এখানে আপনি ঋণ নেওয়ার শর্তাবলী পূরন করেন কিনা, ঋণ নেওয়ার কারণ, আর্থিক সক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সঠিক ডকুমেন্ট/ কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করে থাকলে সহজেই ভেরিফিকেশন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর ব্যাংক তার নিজস্ব নিয়মে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুযায়ী ব্যাংক গ্রাহকের একাউন্টে লোনের অর্থ বিতরণ করে।
ব্যাংক লোনের জন্য দেশের সেরা কিছু ব্যাংক
বাংলাদেশে মোট ৬১ টি তালিকাভুক্ত এবং ৫টি অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক রয়েছে। এছাড়াও বহু এনজিও ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ও পরিমাণের ঋণ সুবিধা দেয়। তবে ঋণ গ্রহণের জন্য সেরা কিছু ব্যাংক হলো:-
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
- ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- জনতা ব্যাংক
- প্রাইম ব্যাংক
- ব্রাক ব্যাংক
- গ্রামীণ ব্যাংক
- এশিয়ান ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
- আল আরাফা ব্যাংক
এ সকল ব্যাংকের ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় গ্রাহকের অনুকূলে।
ব্যাংক ঋণের সুদের হার
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে সকল ব্যাংক ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯%। কিছু কিছু ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৭%-৮% হারে সুদ (Interest) নেয়।
এক্ষেত্রে সময়মতো ঋণ প্রদানে ব্যর্থ হলে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়ে ১০% হতে পারে। বিভিন্ন এনজিওতে ব্যাংকের চেয়ে সুদের হার বেশি। সেখানে ১০-১৩% পর্যন্ত ঋণের সুদ দিতে হয়।
তাই ঋণ নেওয়ার পূর্বে-
- কোন ব্যাংকের সুদের হার কম;
- কোন ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সহজ;
- ও পরিশোধ ব্যবস্থা বিবেচনায় রাখুন।
ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সময়সীমা
ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ব্যাংক, ঋণের পরিমাণ, ঋণের খাত ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদ-
- ১-২ বছর- স্বল্প মেয়াদী ঋণ।
- ২-৫ বছর- মধ্যমেয়াদি ঋণ।
- ৫ বছরের উপরে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হয়।
কিছু ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১৫-২০ বছরও হয়ে থাকে। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের সময়সীমার উপর সুদের হার নির্ভর করে।
সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ঋণ- সাপ্তাহিক, মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়। মধ্যমেয়াদি ঋণ- মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ- ষান্মাসিক ও বাৎসরিক কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়।
ঋণ পরিশোধের সময়সীমা যত বাড়বে, সুন্দর পরিমাণ ততোই বাড়বে।
ব্যাংক লোনের সুবিধা
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়ে ঋণ পাওয়া আর্থিকভাবে সুবিধাজনক। ব্যাংক লোনের সুবিধাগুলো হলো:-
- তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণ হয়।
- উদ্যোক্তা হয়ে অর্থের অভাবে ব্যবসা পরিচালনা ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো যায় না। ব্যাংক লোন উদ্যোক্তার উদ্যোগকে প্রসারিত করে।
- বিভিন্ন এনজিও, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গ্রাম্য মহাজনদের ঋণে সুদের হার বেশি। ব্যাংক স্বল্প সুদে ঋণ দেয়।
এছাড়াও প্রয়োজনের সময় অর্থের চাহিদা মেটাতে ব্যাংক এগিয়ে আসে।
ব্যাংক লোনের অসুবিধা
আর্থিক চাহিদা পূরণে ব্যাংক সুবিধাজনক হওয়ার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন-
- ব্যাংক লোন পেতে জামানত ও অন্যান্য অনেক ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়।
- যেকেউ চাইলেই ব্যাংক ঋণ নিতে পারেনা।
- ব্যাংক ঋণ পেতে চাকরিজীবীদের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ৩০,০০০ টাকা এবং ব্যবসায়ীদের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ৫০,০০০ টাকা হতে হয়।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাড়তি সুদ প্রদান এমনকি জামানত দেওয়া সম্পদের ক্ষতি হতে পারে।
- ইসলামিক শরীয়াহ অনুযায়ী সুদি ব্যাংকের ঋণ নেওয়া হারাম।
- প্রয়োজন মেটাতে বারবার ব্যাংক ঋণের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পরে অনেকেই। যা পরবর্তীতে দেউলিয়ার কারণ।
তাই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়ে ঋণ নেওয়ার পূর্বে এসকল বিষয় বিবেচনা করুন।
বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়
ডিজিটাল বাংলাদেশ অনলাইন লোন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের গ্রাহককে সহজ শর্তে, সহজ নিয়মে আর্থিক সুবিধা প্রদানই অনলাইন লোনের লক্ষ্য।
অনলাইন ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সহজ। এক্ষেত্রে ডকুমেন্টস তুলনামূলক কম প্রয়োজন হয়। তবে লোনের পরিমাণও সাধারণত কম হয়ে থাকে। অনলাইনে লোন সেবা দেয় এমন বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:-
- বিকাশ (Bkash)।
- ব্র্যাক ব্যাংক (Brac Bank)।
- সিটি ব্যাংক (City Bank)।
- কর্মসংস্থান ব্যাংক (Karmasangsthan Bank)।
- ঢাকা ব্যাংক (Dhaka Bank)।
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড (Prime Bank Limited)।
এছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে এ সেবার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
অনলাইনে লোনের আবেদন করার নিয়ম
অনলাইন লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন। কিভাবে অনলাইন ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় মেনে আবেদন করবেন তা নিচে জেনে নিন-
সিটি ব্যাংক ও বিকাশের অনলাইন লোন
বিকাশ ও সিটি ব্যাংক পার্টনারশিপ করে অনলাইনে ঋণ দিয়ে থাকে। এখানে আবেদন করার জন্য বিকাশ অ্যাপ ইউজার হতে হবে।
প্রথমে, বিকাশ অ্যাপে লগইন করে মোর (More) অপশন থেকে ধোন (Loan) ক্লিক করুন। আপনি ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা পূরণ করলে পরবর্তী পেজে যাবেন। ঋণ নেওয়ার জন্য টেক লোন (Take Loan) অপশনে ক্লিক করুন।
এবার কত টাকা ঋণ নিতে পারবেন ও পরিশোধ করতে হবে তা দেখতে পাবেন। পরবর্তী পেজে নির্দেশনাবলীতে আই এগ্রি (I Agree) ক্লিক করুন। বিকাশ একাউন্ট পিন দিয়ে, ট্যাপ করে রেখে আবেদন সম্পন্ন করুন।
ঢাকা ব্যাংকের অনলাইন লোন/ ই ঋণ
ঢাকা ব্যাংক সরকারি কর্মচারীদের জন্য অনলাইন লোন দেয়। কোন ডকুমেন্ট ছাড়া গ্রাহকের পূর্বের স্টেটম্যান্ট যাচাই করে ঋণ দেওয়া হয়। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়ে ঋণ দেয়। গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টে লোন ট্রান্সফার করা হয়।
বর্তমানে ঢাকা ব্যাংক ই-ঋণ (e-loan) অ্যাপসের মাধ্যমে এই সেবা প্রদান করে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন
অনলাইনে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন করতে ভিজিট করুন, http://kbolas.karmasangsthanbank.gov.bd/Loan-Application-Form- এই লিংকে। এবার নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-
- ঋণ গ্রহণের শাখা নির্বাচন করুন।
- আবেদনকারীর নাম।
- ঋণ গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার।
- সচল মোবাইল নাম্বার।
- বাবার নাম/ স্বামী-স্ত্রীর নাম।
- আবেদনকারীর মায়ের নাম।
- বর্তমান ঠিকানার তথ্য।
- গ্যারান্টারের নাম।
- গ্যারান্টারের এনআইডি কার্ড নাম্বার।
- জন্ম তারিখ।
- প্রজেক্ট টাইপ ও নাম। প্রজেক্টর বিস্তারিত তথ্য।
তারপর সাবমিট করে আবেদন করলে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এভাবে অনেক ব্যাংকই অনলাইনে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় চালু করেছে।
অনলাইনে ব্যাংক লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
বর্তমানে অনলাইনে লোন দেওয়ার অসংখ্য মাধ্যম, মোবাইল অ্যাপস রয়েছে। কিন্তু বিশ্বস্ত মাধ্যম ছাড়া অনলাইনে লোন নিলে প্রতারণার শিকার হতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে মোবাইল ট্রাক করে সমস্ত গোপন তথ্য হ্যাক করে প্রতারকরা। কেউ কেউ অনলাইনে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করার পরেও ইনস্টলমেন্ট স্টেটমেন্ট শূন্য দেখায়।
তাই অনলাইনে ঋণ নিতে উপরোক্ত বিশ্বস্ত ব্যাংকগুলো বাছাই করতে পারেন।
শেষকথা
মানুষ নিত্যদিন বিভিন্ন আর্থিক সমস্যায় পরিত্রাণ পেতে ব্যাংক ঋণ বেছে নেয়। বর্তমানে অসংখ্য ব্যাংক থাকায় ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়ও সহজ। তবে অতিরিক্তি ঋণ নিলে আর্থিক সমস্যার বৃদ্ধির পাশাপাশি দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী সুদের ভিত্তিতে ব্যাংক লোন নেওয়া হারাম। তাই ব্যাংক ঋণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া কি জায়েজ?
সুদের ভিত্তিতে ব্যাংক লোন নেওয়া জায়েজ নয় বরং হারাম। তবে দেশের ইসলামিক শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত ব্যাংক গুলো বিনিয়োগ করে থাকে। পরবর্তীতে আপনার ব্যবসায়ের একটি অংশ লভ্যাংশ হিসেবে গ্রহণ করে। তবে লভ্যাংশের হার প্রতিবার নির্দিষ্ট হলে তা সুদ বলে গণ্য হবে।
জামানত ছাড়া কি অনলাইনে লোন পাওয়া যাবে?
বর্তমানে অনলাইনে জামানত ছাড়াই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে শুধু আইডি কার্ড যাচাই করে ঋণ দিয়ে থাকে অনেক মোবাইল অ্যাপস ও প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতারণার ফাঁদ থাকে। তবে বিশ্বস্ত মাধ্যমগুলো, যেমন- বিকাশ, ই-লোন, কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন জামানত ছাড়াই।
লোন নিতে হলে কত টাকা বেতন পেতে হবে?
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক লোন পেতে কর্মচারীদের বেতন নির্ধারিত নয়। তবে বেতন কমবেশি হলে ঋণের পরিমাণ ও সুবিধা ভিন্ন হয়। যেমন- ১৫,০০০ টাকা মাসিক বেতনে ৫০,০০০-১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্মল ক্যাশ শোন পেতে পারেন।