অনলাইনে আয়

২০২৩ সালে অনলাইনে আয়ের সেরা উপায়গুলো

২০২১ সালে অনলাইনে অর্থ উপার্জন ছাত্রদের এবং যারা অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তাদের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি মাধ্যম।

অনলাইনে আয় করতে গিয়ে অনেকেই সফলতার দেখা না পেলেও যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তারা কিন্তু ঠিকই সফলতার দেখা পেয়েছেন, বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট মানুষের জীবনে একটি বড় অংশ দখল করে রয়েছে, এবং বর্তমানে মানুষ তাদের আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে অনলাইনের মাদ্ধমে সহজে অর্থ উপার্জন করার প্রক্রিয়া গুলো খুজে চলেছেন।তবে আপনাকে অনলাইনে অর্থ উপার্জন বা ক্যারিয়ার গড়তে হলে সঠিক প্লাটফর্মটি বেছে নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে, কারন অনলাইন উপার্জনের কিছু প্লাটফর্মের শুরুটা ভালো হলেও স্ক্যামিং দিয়ে শেষ হতে পারে।

আজকে আমরা এমন কিছু প্লাটফর্ম এর সন্ধান দেয়ার চেষ্টা করবো যেগুলোর মাদ্ধমে আপনি ঘরে বসেই আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ

১। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। যারা বিভিন্ন কাজে দক্ষ তাদের জন্য এই প্লাটফর্ম। দক্ষতা সম্পন্ন মানুষদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ অফার করে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম রয়েছে।

বর্তমানে শীর্ষ ১০ টি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসঃ 

১। Upwork.com

২। Freelancer.com

৩। Fiverr.com

৪। Topal.com

৫। SimplyHired.com

৬। PeoplePerHour.com

৭। Aquent.com

৮। 99Designs.com

৯। Guru.com

১০। TaskRabbit.com

তবে এসকল মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজগুলো ক্লায়েন্টের দ্বারা অনুমোদন প্রাপ্ত হলেই শুধুমাত্র আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে, এক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ না হলে সংশোধনের প্রয়োজন পরতে পারে। আমাদের আরেকটি প্রবন্ধে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, যা থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন

২। নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগইং থেকে আয়

নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগইং থেকে আয়

কিভাবে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তা নিয়ে ইউটিউবে খুজলেই প্রচুর টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রথমে একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে যেটার উপর আপনি আপনার দর্শকদের তথ্য বা পরিষেবা দিতে চান। এরপর আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন, টেম্পলেট এবং ডিজাইন নির্বাচন করতে হবে, এবং আপনার প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু দিয়ে দর্শকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলে, গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য সাইন আপ করে ফেলতে পারেন। অ্যাডসেন্স অনুমোদন পেয়ে গেলে আপনার দর্শকদের দ্বারা বিজ্ঞাপনে ক্লিক পরলে সেখান থেকে আপনার উপার্জন শুরু হবে, যত বেশি দর্শক আপনার ব্লগে আসবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে আপনি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

৩। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি নিস বা বিষয় নির্বাচন করতে হবে, তারপর সেই বিষয়ের উপর আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে হবে, এক্ষেত্রে আপনিজেও লিখ নিতে পারেন অথবা রাইটার হায়ার করতে পারেন, এবার আপনার ওয়েবসাইটে ভিসিটর আসা শুরু করলে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদান করে এমন সংস্থা বা ওয়েবসাইট থেকে অনুমোদন নিয়ে সেই সংস্থার লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোট করতে পারেন, এবং আপনার দর্শক যখন সেই লিঙ্ক গুলো তে ক্লিক করে কোন পণ্য ক্রয় বা পরিসেবা গ্রহন করে থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু কমিশন পাবেন, বর্তমানে এটি অনলাইনে আয়ের অত্যন্ত কার্যকরী উপায়। প্রচুর মানুষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়

বর্তমানে শীর্ষ ১০ টি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম

১। Amazon Associates

২। Google AdSense

৩। Aliexpress Affiliate

৪। ShareASale Affiliates

৫। eBay Partners

৬। Shopify Affiliate Program

৭। Clickbank

৮। Rakuten Marketing Affiliates

৯। StudioPress Affiliate Website

১০। MaxBounty Affiliate Network

এইসকল ওয়েবসাইটের মাদ্ধমে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক নিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট এর মাদ্ধমে টাঁকা আয় করতে পারবেন।

৪। সমীক্ষা এবং অনুসন্ধান এবং পর্যালোচনা থেকে আয়

অনলাইনে সমীক্ষা, অনলাইন অনুসন্ধান এবং পণ্যাদির উপর পর্যালোচনা করার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যারা অর্থ প্রদান করে কাজের বিনিময়ে। কোন বাক্তির ব্যাংকিংয়ের বিশদ সহ নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করার মাদ্ধমে ক্রেডিট পাওয়া যায়। এজন্য খুব গুরুত্ব সহকারে কাজটি করতে হয়। এখানে কাজ করার জন্য, তাদের সাথে নিবন্ধন করার প্রয়োজন পরতে পারে,সমীক্ষা এবং অনুসন্ধান এবং পর্যালোচনা থেকে আয়

এসব প্রোজেক্ট এর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নজরদারি হ’ল অর্থের প্রস্তাব দেওয়া ওয়েবসাইটগুলি থেকে দূরে থাকা। তবে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে কারন, খ্যাতিসম্পন্ন ওয়েবসাইট ও স্কামিং করতে পারে। তবে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট তাদের চেক পেমেন্ট এর কপি দেখিয়ে তাদের ব্যবসায়ের প্রচার করে থাকে। প্রতিটি সার্ভের জন্য আপনি $১-২০আয় করতে পারবেন।

৫। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে আয় 

বাসায় বসে সমস্ত কর্পোরেট স্টাফ করা কে বলা হয়ে থাকে ভার্চুয়াল সহায়তা বা ভারচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। এরা মুলত অফিসে  না গিয়ে দূরবর্তী ভাবে তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে থাকে।ভারচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে আয় 

আপনি যখন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করবেন তখন আপনি কর্মী হিসেবে বা নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। ভার্চুয়াল সহায়তাকারি সাধারণত অত্যন্ত দক্ষতা সম্পন্ন হতে হয়, কারন তাদের প্রফেশনাল কোম্পানিগুলোর এডমিনিস্ট্রেটইভ সাপোর্ট প্রদান করতে হয়ে থাকে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ অফার করে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেমনঃ

১। uAssistMe

২। MyTasker

৩। HireMyMom

৪। Zirtual

ভার্চুয়াল সহায়তাকারি হিসেবে আপনাকে যে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে পারে

১। Phone calls

২। Tech Support

৩। Internet Research

৪। Data Entry

৫। Scheduling Appointments

৬। Editing

৭। Writing

৮। Bookkeeping, Marketing

৯। Project Management

১০। Customer Service

ভারচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে হলে আপনার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে কিছুটা প্রশিক্ষণ করা হতে পারে। তবে, আপনার যদি যোগাযোগের দক্ষতা থাকে এবং এমএস অফিসের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম হন তবে আপনি কেবল Elance.com এর মতো সাইটে সাইন আপ করতে পারেন। এটি অত্যন্ত ভালো মানের একটি সংস্থা।

৬। অনুবাদ করে আয়

ইংরেজি ভাষা ছাড়াও অন্য ভাষা জানা আপনার অর্থ উপার্জনের অন্যতম একটি রাস্তা হতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যারা অনুবাদক এর প্রোজেক্ট অফার করে। তাদের একটি ভাষার ডকুমেন্ট ফাইল থেকে আরেকটি ভাষায় রুপান্তর করে দিতে হয়।অনুবাদ করে আয়

এর মধ্যে Spanish, French, Arab, German, English, Bengali ছাড়াও আর যেকোনো ভাষা থাকতে পারে।

কাজের সহজলভ্যতার জন্য মার্কেটপ্লেস থেকেও হায়ার করে থাকে, যেমনঃ

১। Freelancer.com

২। Fiverr.com

৩। Worknhire.com

৪। Upwork.com

যাদের কাজের ধারনা নেই তাদের এইসব মার্কেটপ্লেস এ নিবন্ধন না করাই ভালো।

৭। অনলাইন টিউটরিং করে আয়

নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে আপনি অনলাইনে মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইন টিউটোরিং সারা দেশে সমস্ত বয়সের শিক্ষার্থীদের সাথে অনলাইনে সংযোগ স্থাপনের একটি মাধ্যম সরবরাহ করে যাতে আপনি যে বিষয়গুলির জন্য দক্ষতা দেখিয়েছেন সেগুলিতে শিক্ষাদান করতে পারে।অনলাইন টিউটরিং করে আয়

যেসব প্রতিস্থান অনলাইন টিউটর নিয়োগ দিয়ে থাকেঃ

১। Vedantu.com

২। MyPrivateTutor.com

৩। BharatTutors.com

৪। tutorindia.net

এসব ওয়েবসাইটে আপনি নিবন্ধন করতে পারেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে পাঠদান করতে পারেন। প্ল্যাটফর্মগুলিতে নিবন্ধন করার পর আপনাকে সাধারণ ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে, এবং আপনার একটি CV এবং কাজের ডেমো দিতে হবে, নির্বাচিত হয়ে গেলে তারপর আপনি একজন তালিকাভুক্ত প্রসিক্ষক হিসেবে অনলাইনে পাঠদান করতে পারবেন।

৮। স্যোসাল মিডিয়া থেকে আয়

স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধু, পরিবার, সহকর্মী বা অনলাইন ফ্রেন্ডদের সাথে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি আপনি অর্থ উপার্জন ও করতে পারবেন প্রতি মাসে। প্ল্যাটফর্মগুলিতে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলি তাদের পণ্যের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানোর জন্য কৌশলবিদদের অর্থ প্রদান করে থাকে। শত শত প্রতিযোগীর মাঝে আসল ক্রেতার কাছে পণ্যের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।social media

সামাজিক যোগাযোগের আয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং নিবেদিত সময় দিতে হয় এবং আপনার ফলোয়ার এবং কাস্টমারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এর মাদ্ধমে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করতে হয় যার ফলে অধিক উপার্জন সম্ভব হয়ে থাকে।

জনপ্রিয় কিছু সামাজিক মাধ্যম যেগুলো থেকে আয় করতে পারবেনঃ

১। Facebook

২। Twitter

৩। Instagram

৪। Linkedin

৫। Snapchat

এসব সামাজিক মাদ্ধমে যদি আপনার যথেষ্ট পরিমান ফ্যান বা জনপ্রিয়তা থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন সাইটের ব্র্যান্ড প্রমোশন বা প্রোডাক্ট বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন।

৯। ওয়েব ডিজাইনিং থেকে আয়

সকল ব্যবসায়িকরা টেকনোলজি সম্পর্কে অবগত নয়, কিন্তু তাদের ব্যবসায় পরিচালনা করার জন্য তাদের সবারই নিজস্ব ওয়েবসাইট প্রয়োজন। এসব ওয়েবসাইট এর মাদ্ধমে ব্যবসায়িকরা তাদের ছোট ব্যবসায়কে বড় করে তুলতে পারে,earn from web design

এসব ওয়েবসাইটে ডিজাইন ও সংস্কার এর মাধ্যমে আয় করা যায়। এসব প্রোজেক্ট থেকে আপনি কাজ ও দক্ষতা অনুযায়ী ২০০০০ থেকে ১০০০০০ টাঁকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

১০। কন্টেন্ট রাইটিং থেকে আয়

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে অনলআইন প্লাটফর্ম অত্যন্ত ভালো হতে পারে যদি আপনার ব্লগ এঁর কোয়ালিটি মান্সম্পন্ন হয়।content writing

এজন্য বর্তমানে বড় বড় কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের জন্য মানসম্পন্ন লেখক হায়ার করে থাকে, আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজস্ব দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠতে পারেন একজন কন্টেন্ট রাইটার। এবং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি বড় বড় মারকেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন অথবার লোকাল ক্লায়েন্টদের ও কাজ করতে পারেন।

১১। ইউটিউব থেকে আয়

আপনি যদি ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন তাহলে ইউটিউব আপনার অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অন্যতম উপায়। অনেকেই হয়তো ইউটিউব থেকে আয় করতে গিয়ে হতাশার মধ্যে পরে যায়।

কিন্তু ইউটিউব থেকে আয় করার সহজ উপায় রয়েছে, প্রথমে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলুন, ভিডিও আপলোড করে মনেটাইসিং করুন, নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে শুরু করুন,ইউটিউব থেকে আয়

কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটি জিনিশ মাথায় রাখতে হবে যেনও আপনার ভিসিটর আপনার ভিডিও দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বা মজা পায়। যখন আপনার চ্যানেল টি পপুলার হবে তখন আপনি অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন, এবং যত বেশি ভিউ হবে তত উপার্জন করতে পারবেন।

১২। বই লেখা থেকে আয়

আপনার যদি বই লেখালেখির উপর আগ্রহ থাকে তাহলে এই সুযোগকে আপনি আয়ের মাধ্যম হিশেবেও কাজে লাগাতে পারেন। আপনি নিজে eBook এবং paperback পাবলিশ করে অ্যামাজন থেকে অসংখ্য পাঠক পাবেন।বই লেখা থেকে আয়

আপনার লেখাটি প্রকাশ হতে ৫ মিনিট এর মত লাগতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী স্টোরে পৌছাতে ২৪-৪৮ ঘন্তা লাগতে পারে, এবং আপনি এটি বিক্রয় মূল্যের ৭০% পেতে পারেন। আপনি নিজেই আপনার পণ্যর মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। জনপ্রিয় দুইটি ওয়েবসাইট BooksFundr এবং Pblishing.com এ আপনি আপনার লেখা প্রকাশ করতে পারবেন এবং খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

১3। অনলাইনে নিজস্ব পণ্য বিক্রয় করে আয়

যদি আপনার নিজস্ব পণ্য থাকে বা অফলাইনে বাবসা থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রয় করতে পারবেন।অনলাইনে নিজস্ব পণ্য বিক্রয় করে আয়এতে করে আপনি আপনার পণ্য বাজারেও বিক্রয় করতে পারবেন আবার অনলাইনেও বিক্রয় করতে পারবেন, এছাড়াও এমন কিছু ভালো প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য সহজেই বিক্রয় করতে পারবেন। যেমনঃ

১। Amazon.com

২। Flipcart.com

এসবের মাধ্যমে বিক্রয় করতে হলে এসব কোম্পানি কে কিছু লভ্যাংশ প্রদান করতে হয়, তবুও এটি অত্যন্ত ভালো একটি আয়ের উৎস।

১৪। পিটিসি সাইট থেকে আয়

বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে টাঁকা আয় করার অফার করে এগুলোকে “Paid to Click” বা “PTC” সাইট বলা হয়, earn from ptc sitesপ্রথমে নিবন্ধন করে নিতে হয় ওয়েবসাইটে, তবে এসব ওয়েবসাইট ভরসা করা যায় না কারন এরা যেকোনো সময় তাদের টাস্ক বা কোম্পানি বন্ধ করে দিতে পারে।

কয়েকটি PTC সাইট এর উদাহরনঃ

১। ClixSense.com

২। BuxP

৩। NeoBux

এই সব ওয়েবসাইট গুলোকে PTC সাইট বলা হয়ে থাকে, এবং এসব থেকেও আয় করা যায়।

১৫। ডাটা এন্ট্রি থেকে আয়

ডাটা এন্ট্রি বর্তমানে অটোমেশন এর কারনে হুমকির মুখে থাকলেও এটি এখনও অনেক কাজ রয়েছে মার্কেটএ,

earn from data entryসবথেকে সাধারণ এবং সহজ কাজের মধ্যে এটি অন্যতম। এর জন্য নির্দিষ্ট কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই, শুধু মাত্র Computer, Internet Connection, এবং বিশদ মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা যথেষ্ট। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং লোকাল মার্কেটে কাজ করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

শেষ কথা

প্রবন্ধটি পড়ে আপনি জানতে পারলেন কিভাবে অনলাইনে আয় করবেন ২০২০ সালে তার কিছু সেরা টিপস সম্পর্কে।

বাংলাদেশ এর প্রেক্ষাপটে অনলাইনে আয়ের বিষয়টিতে সরকার ও যথেষ্ট পরিমান সহায়তা প্রদান করছে। বিদেশি যেকোনো ব্যাংক থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা আসলে আপনি ২% প্রণোদনা পাবেন, যার ফলে ছাত্র এবং যারা অনলাইনে কাজ করে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য এটি সুবর্ণ সুযোগ।

তবে দ্রুত টাকা আয় এর চিন্তা করে স্কামিং এর শিকার না হয়ে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আস্তে আস্তে মেধা দক্ষতার সাথে ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারলেই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন এবং উপার্জন করে দেশ ও পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন।

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Back to top button