টেকনোলজিমোবাইল ফোন

জনপ্রিয় মোবাইল ফোনের দাম (২০২৩)

প্রতিনিয়তই বাজারে আসছে নতুন ও আকর্ষনীয় সব স্মার্টফোন। আইফোন থেকে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজ, হাতের কাছে নানাবিধ বিকল্প থাকার কারনে কোনটি আমাদের জন্য সেরা সেটা যেন বের করাই দুস্কর। তাই বলে চিন্তার কারন নেই, আজ আমরা ২০২১ সালে বাংলাদেশী বাজারের শীর্ষ মোবাইল ফোনগুলো এবং তাদের দাম নিয়ে আলোচনা করব যা আপনাকে পছন্দসই স্মার্টফোন খুঁজে পেতে সাহায্য করবে!

*আর্টিকেলটিতে দেয়া মূল্য বিক্রেতাভেদে তারতম্য হতে পারে।

সূচিপত্রঃ

স্যামসাং (Samsung)

আসুন শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডটি দিয়েই শুরু করা যাক। ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম সেরা স্থান দখল করে আছে এই স্যামসাং ব্র্যান্ডের ফোনগুলি। মানুষের জীবনকে সহজ করার নিমিত্তে প্রায় সবকিছুই তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে স্যামসাংকে। টিভি থেকে রেফ্রিজারেটর কি নেই তাদের পণ্যের তালিকায়। এরমধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের ব্র্যান্ডের দিগন্ত হয়েছে আরো প্রসারিত। স্যামসাং মোবাইল ফোনগুলো তাদের গুনগত মান, স্ক্রিন রেজলিউশন এবং তাদের ক্যামেরাগুলির জন্য  সবসময়ই জনপ্রিয় ছিল। আজও তারা তাদের এই সুখ্যাতি ধরে রেখেছে। স্যামসাং এর সর্বশেষ ফোনে যে ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে তা অতি উন্নতমানের এবং যে ক্যামেরা রয়েছে তা প্রায় পেশাদার স্তরের। স্যামসাং ব্র্যান্ডের মডেলগুলো থেকে, আজ আমরা ‘ স্যামসাং এর ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যলাক্সি এস২১ আলট্রা ৫জি’ এবং ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৫১’ নিয়ে আলোচনা করব।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রা ৫জি (Samsung Galaxy S21 Ultra 5G)

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রা ৫জি (Samsung Galaxy S21 Ultra 5G)

শুরু করা যাক স্যামসাং এর ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যলাক্সি এস২১ আলট্রা ৫জি দিয়ে। এই ফোনটির ৫জি ভার্সনটি বলতে গেলে একদম নতুন, মাত্র কয়েক মাস আগে ২৯ জানুয়ারি,২০২১ তারিখে বাজারে এসেছে। চলুন জানা যাক বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফোন সম্পর্কে।

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬৫.১ × ৭৫.৬ × ৮.৯ মিলিমিটার
ওজন২২৭ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি।
ডিসপ্লের ধরণডাইনামিক অ্যামোলেড ২ এক্স ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ, এইচডিআর ১০+।
ডিসপ্লের আকার৬.৮ ইঞ্চি। ১১২.১ বর্গ সে. মি. (৮৯.৮% বডি টু স্ক্রিন রেশিও)
ডিসপ্লের রেজুলেশন১৪৪০ × ৩২০০ পিক্সেল। (৫১৫ পিপিআই ডেনসিটি)
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১১, ওয়ান ইউআই ৩.১
সিপিইউঅক্টা কোর (১ × ২.৯ গিগা হার্টজ কর্টেক্স- এক্স১ + ৩ × ২.৮ গিগা হার্টজ কর্টেক্স- এ৭৮ + ৪×২.২ গিগাহার্টজ কর্টেক্স- এ৫৫)

অথবা অক্টা কোর (১ × ২.৮৪ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০ + ৩ × ২.৪২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০ + ৪×১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০)

জিপিইউমালি জি৭৮- এমপি ১৪ / এড্রেনো ৬৬০
চিপসেটএক্সিনস ২১০০ (৫ ন্যানোমিটার) / স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ (৫ ন্যানোমিটার)
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮ জিবি/ ২৫৬ জিবি/ ৫১২ জিবি (ইউএফএস ৩.১)
এক্সটার্নাল মেমোরিঅনুপস্থিত
র‍্যাম১২ জিবি/ ১৬ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা১০৮ এমপি (২৫ মিলিমিটার প্রশস্ত) + ১০ এমপি (পেরিস্কোপ টেলিফটো) + ১০ এমপি (টেলিফটো) + ১২ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড)
সেলফি ক্যামেরা৪০ মেগাপিক্সেল (২৪ মিলিমিটার প্রশস্ত)
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম আয়ন, নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৫০০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিংফাস্ট চার্জিং- ২৫ ওয়াট, ওয়্যারলেস (তারবিহীন) চার্জিং- ৪.৫ ওয়াট
মূল্য১৩৯,৯৯৯ টাকা – ১২/ ২৫৬ জিবি (অফিসিয়াল)

দামটি দেখে নিশ্চয়ই চমকে উঠেছেন। হ্যাঁ, অনেকের কাছে দামটি অতিরিক্ত মনে হলেও স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ এই ফোনটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফোন। সামনে পেছনে দু’দিকেই গরিলা গ্লাসের সমাহার ফোনটিকে করেছে দারুণ আকর্ষণীয়। সাথে রয়েছে এন্ড্রয়েডের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী চিপসেট স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮, সাথে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং ১২/১৬ জিবি র‍্যাম। এছাড়াও ৫০০০ মিলি অ্যাম্পেয়ারের ব্যাটারির সাহায্যে ফোনটি টানা চালাতে পারবেন সাড়ে ১১ ঘন্টা।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৫১ (Samsung Galaxy M51)

স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৫১ (Samsung Galaxy M51)

এবার আলোচনা করা যাক স্যামসাং এর কিছুটা কম মূল্যের ফোন নিয়ে। কারণ এ দেশের বেশিরভাগ মানুষই একটু কমের মাঝেই সেরাটা খুজতে চায়। তাই আলোচনা করছি স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৫১ কে নিয়ে।

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬৩.৯ x ৭৬.৩ x ৯.৫ মিলিমিটার
ওজন২১৩ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি।
ডিসপ্লের ধরণসুপার অ্যামোলেড প্লাস। ২০ঃ৯ রেশিও। গরিলা গ্লাস ৩+
ডিসপ্লের আকার৬.৭ ইঞ্চি, ১০৮.৪ বর্গ সে.মি. (৮৬.৭% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ১০, ওয়ান ইউআই ২.৫
সিপিইউঅক্টা কোর (২  x ২.২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৭০ গোল্ড+ ৬ x ১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৭০ সিলভার।
জিপিইউএড্রেনো ৬১৮
চিপসেটস্ন্যাপড্রাগন ৭৩০জি (৮ ন্যানোমিটার)
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮ জিবি
এক্সটার্নাল মেমোরিউপস্থিত (মাইক্রো এসডি কার্ড)
র‍্যাম৬ জিবি/ ৮ জিবি
মূল ক্যামেরা৬৪ এমপি (২৬ মিলিমিটার প্রশস্ত) + ১২ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড) + ৫এমপি (ম্যাক্রো) + ৫এমপি (ডেপথ)
সেলফি ক্যামেরা৩২ এমপি
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম পলিমার, নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৭০০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, ১১৫ মিনিটে ১০০%
মূল্য৩৫,৯৯৯ টাকা – ৮/১২৮ জিবি (অফিসিয়াল)

নিঃসন্দেহে এটিও খুবই ভাল একটি ফোন। যদিও পূর্বে আলোচিত স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা এর সাথে তুলনা করলে এটি কিছুই নয়। তবে দামটিও তো বিবেচনায় আনতে হবে। দামের বিবেচনায় এই বাজেটে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৫১ ফোনটি সেরার কাতারে।

অ্যাপল আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স (Apple IPhone 12 Pro Max)

অ্যাপল আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স (Apple IPhone 12 Pro Max)

এবার কথা বলবো বিশ্ববিখ্যাত অ্যাপল কে নিয়ে। আইফোন চেনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর সেই আইফোন সিরিজের সর্বশেষ ফোনটি হলো ‘আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স’। ফোনটির পূর্বের ভার্সন ‘আইফোন ১২ প্রো’ এর সাথে এর দামের ও পারফর্মেন্স এর পার্থক্য বেশ অনেকটাই। চলুন জানা যাক কি কি আছে সেরা এই ফোনটিতে। 

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬০.৮ x ৭৮.১ x ৭.৪ মিলিমিটার
ওজন২২৮ গ্রাম 
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি। ন্যানো সিমের পাশাপাশি ব্যবহার করা যাবে ই-সিম
ডিসপ্লের ধরণসুপার রেটিনা এক্সডিআর ওলেড ডিসপ্লে, এইচডিআর ১০, ৮০০-১২০০ নিটস
ডিসপ্লের আকার৬.৭ ইঞ্চি, ১০৯.৮ বর্গ সেন্টিমিটার (৮৭.৪% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১২৮৪ x ২৭৭৮ পিক্সেল (৪৫৮ পিপিআই ডেনসিটি)
অপারেটিং সিস্টেমআইওএস
ওএস ভার্সনআইওস ১৪.১। আইওএস ১৪.৪ এ আপগ্রেড যোগ্য
সিপিইউহেক্সা কোর (২ x ৩.১ গিগাহার্টজ ফায়ারস্ট্রম + ৪ x ১.৮ গিগাহার্টজ আইসস্ট্রম)
জিপিইউঅ্যাপল জিপিইউ (৪-কোর গ্রাফিক্স)
চিপসেটঅ্যাপল এ১৪ বায়োনিক (৫ ন্যানোমিটার)
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮/ ২৫৬/ ৫১২ জিবি (এনভিএমই)
এক্সটার্নাল মেমোরিঅনুপস্থিত
র‍্যাম৬ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা১২ এমপি (২৬ মিলিমিটার প্রশস্ত) + ১২ এমপি (টেলিফটো) + ১২ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড)
সেলফি ক্যামেরা১২ এমপি (২৩ মিলিমিটার প্রশস্ত)
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম আয়ন। নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৩৬৮৭ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং। মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০% চার্জ। চার্জিং পোর্টঃ প্রোপাইটারি রিভার্সিবল কানেক্টর
মূল্য১৬১,৯৯৯ টাকা (অফিসিয়াল)

এই তালিকার সবচেয়ে দামি ফোন এটি। হবে নাই বা কেন, অ্যাপল মানেই যে ভীষণ দামি পণ্য আবার একই সাথে সেরা পারফর্মেন্স। এই ফোনটিতে রয়েছে আইপি ৬৮। কিন্তু সাধারণ ফোন যেখানে আইপি ৬৮ সহকারেও দেড় মিটার পানির নিচের চাপ সহ্য করতে পারে না, সেখানে এটি ৬ মিটার গভীর পানিতে ডুবেও টিকে থাকতে পারে ৩০ মিনিট। এছাড়াও রয়েছে নতুন প্রযুক্তি ই-সিম। অ্যাপলের ফোন গুলোর অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপস সমূহ অনেকটাই আলাদা। কিছু ধরা বাঁধা নিয়মের মাঝেই থাকতে হয়। তবে ওইটুকুর সাথে মানিয়ে নিতে পারলে পাবেন অন্যন্য কিছু অ্যাপস, সার্বক্ষণিক কাস্টমার কেয়ার সেবা, দারুণ সাবলীল পারফর্মেন্স ও বিশ্বজোড়া নিরাপত্তা। আর তাই এটিকে বিশ্বের সেরা ফোন বললে ভুল হবে না।

শাওমি (Xiaomi)

আজ থেকে কয়েক বছর আগেও আমরা যে মোবাইল ফোন ব্র্যান্ডের নামটি ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারতাম না, আজ সেই ফোনের সিগনেচার রিংটোনটি শোনা যায় আশেপাশে সর্বত্র। চাইনিজ প্রতিষ্ঠান শাওমি বাংলাদেশী টেকনোলজি মার্কেটে ইতিমধ্যেই অন্যতম প্রধান ফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়া ব্র্যান্ডটির রয়েছে উচ্চ মানের হেডফোন যা ক্রেতাদের কাছে একে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তাই শাওমি হয়ে উঠেছে তরুন প্রজন্মের নতুন পছন্দ! তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক দামে ও মানের দিক থেকে সেরা শাওমির জনপ্রিয় কিছু মোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

শাওমি এমআই ১১ (Xiaomi MI 11)

শাওমি এমআই ১১ (Xiaomi MI 11) 

এ বছরের ১ম দিন অর্থাৎ ১লা জানুয়ারিই বাজারে এসেছে শাওমি এমআই ১১। বর্তমানে এটি শাওমি কোম্পানির ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল ফোন। যদিও এর উত্তরসূরি এমআই ১১ প্রো এর বাজারে আসার জোর গুজব চলছে ইতোমধ্যেই। তবে এখন অবধি শাওমির সবচেয়ে শক্তিশালী ফোনের মুকুট এই মডেলটিই ধরে রেখেছে। চলুন জানা যাক কি কি রয়েছে এই ফোনটিতে।

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬৪.৩ x ৭৪.৬ x ৮.১ মিলিমিটার (কাঁচ) / ৮.৬ মিলিমিটার (লেদার)
ওজন১৯৬ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি।
ডিসপ্লের ধরণঅ্যামোলেড, ১২০ হার্টজ ডিসপ্লে, এইডিআর (HDR) ১০+, ১৫০০ নিটস
ডিসপ্লের আকার৬.৮১ ইঞ্চি, ১১২.০ বর্গ সেন্টিমিটার। (৯১.৪% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১৪৪০ x ৩২০০ পিক্সেল (৫১৫ পিপিআই ডেনসিটি)
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ১১, এমআই ইউআই ১২
সিপিইউঅক্টা কোর (১ x ২.৮৪ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০ + ৩ x ২.৪২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০ + ৪ x ১.৮০ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০)
জিপিইউএড্রেনো ৬৬০
চিপসেটস্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ (৫ ন্যানোমিটার)
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮ জিবি/ ২৫৬ জিবি (ইউএফএস ৩.১)
এক্সটার্নাল মেমোরিঅনুপস্থিত
র‍্যাম৮ জিবি/ ১২ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা১০৮ এমপি (২৬ মিলিমিটার প্রশস্ত) + ১৩ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড) + ০৫ এমপি (ম্যাক্রো)
সেলফি ক্যামেরা২০ এমপি (২৭ মিলিমিটার প্রশস্ত)
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম-পলিমার। নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৪৬০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং৫৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং। মাত্র ৫৩ মিনিটে ১০০%
মূল্য৫২,৫০০-৫৬,৫০০ (আন-অফিসিয়াল, চায়না দাম)

শাওমির বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ এই ফোনটিতে স্যামসাং এস ২১ আল্ট্রা এর মতোই ব্যবহৃত হয়েছে সর্বাধিক শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮। সাথে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লে ও বিশাল র‍্যাম রমের সমাহার। তবে এই মোবাইলটির অনন্য একটি ব্যাপার হলো এর চার্জার। ৫৫ ওয়াটের চার্জার খুব কম ফোনেই ব্যবহার করা হয়। আর ঠিক সেজন্যই এক ঘন্টার ও কম সময়ে ৪২০০ মিলি অ্যাম্পেয়ারের বিশাল ব্যাটারি এত দ্রুত চার্জ হয় এই ফোনটিতে। যদিও এটি অফিসিয়ালি এখনো বাংলাদেশের বাজারে আসেনি কিন্তু অনেকের হাতেই এটি শোভা পাচ্ছে। অফিসিয়াল দাম আন-অফিসিয়াল দাম থেকে অনেক বেশি হবে তা নিশ্চিত। তবে সমান সুবিধা সহ ভিন্ন কোম্পানির এমন একটি ফোন কিনতে গেলে ব্যয় করতে হবে তার চেয়েও অনেক বেশি অর্থ।

শাওমি পোকো এক্স৩ এনএফসি (Xiaomi Poco X3 NFC)

শাওমি পোকো এক্স৩ এনএফসি (Xiaomi Poco X3 NFC) 

শাওমির আরেকটু কম বাজেটের ফোন হলো পোকো এক্স৩। শাওমির রেডমি, নোট সিরিজের মতই পোকো সিরিজ অল্প দিনেই ক্রেতাদের মনে যায়গা করে নিয়েছে। বিশেষত পোকো সিরিজ অন্য সিরিজ গুলোর তুলনায় একটু বেশি সুষম ও নজরকাড়া হওয়ায় মানুষ লুফে নিয়েছে সহজেই। এই সিরিজের মিড-বাজেট ফোন পোকো এক্স৩ নিয়েই জানুনঃ

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬৫.৩ x ৭৬.৪ x ৯.৪ মিলিমিটার
ওজন২১৫ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি। ব্যবহার করা যাবে হাইব্রিড ডুয়েল সিম
ডিসপ্লের ধরণফুল এইচডি, আইপিএস এলসিডি টাচস্ক্রিন। ১২০ হার্টজ, এইচডিআর ১০
ডিসপ্লের আকার৬.৬৭ ইঞ্চি, ১০৭.৪ বর্গ সেমি (৮৪.৬% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১০৮০ x ২৪০০ (৩৯৫ পিপিআই)
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ১০, এমআই ইউআই ১২
সিপিইউঅক্টা কোর (২ x ২.৩ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৭০ গোল্ড + ৬ x ১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৭০ সিলভার)
জিপিইউএড্রেনো ৬১৮
চিপসেটস্ন্যাপড্রাগন ৭৩২জি (৮ ন্যানোমিটার)
ইন্টারনাল মেমোরি৬৪ জিবি/ ১২৮ জিবি (ইউএফএস ২.১)
এক্সটার্নাল মেমোরিউপস্থিত (মাইক্রো এসডি কার্ড)
র‍্যাম৬ জিবি/ ৮ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা৬৪ এমপি (ওয়াইড) + ১৩ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড) + ২ এমপি (ম্যাক্রো) + ২ এমপি (ডেপথ)
সেলফি ক্যামেরা২০ এমপি (ওয়াইড)
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম-পলিমার, নন রিমুভেবল
ব্যাটারি৫১৬০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং। ৬৫ মিনিট এ ১০০%
মূল্য২৫,৯৯৯ টাকা- ৬/৬৪ জিবি (অফিসিয়াল)

২৭,৯৯৯ টাকা- ৬/১২৮ জিবি (অফিসিয়াল)

শাওমি পোকো এম৩ (Xiaomi Poco M3)

শাওমি পোকো এম৩ (Xiaomi Poco M3) 

এই ফোনটিই এই তালিকার সবচেয়ে কমদামি ফোন। তবে কমদামি বলে নাক সিটকানোর কিছুই নেই, এই বাজেটের মাঝে সেরা ফোন বলা চলে এটিকে। রিয়েলমির নারজো ২০ এর সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এই ফোনটিকে এগিয়ে রাখবো অনেকটাই। চলুন জানা যাক কম বাজেট সম্পন্ন ক্রেতাদের জন্য কি কি দিচ্ছে শাওমি। 

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬২.৩ x ৭৭.৩ x ৯.৬ মিলিমিটার
ওজন১৯৮ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি
সিমডুয়েল ন্যানো সিম
ডিসপ্লের ধরণআইপিএস এলসিডি। ৪০০ নিটস
ডিসপ্লের আকার৬.৫৩ ইঞ্চি, ১০৪.৭ বর্গ সেন্টিমিটার (৮৩.৪% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল (৩৯৫ পিপিআই ডেনসিটি)
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ১০, এমআই ইউআই ১২
সিপিইউঅক্টা কোর (৪ x ২.০ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ২৬০ গোল্ড + ৪ x ১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ২৬০ সিলভার)
জিপিইউএড্রেনো ৬১০
চিপসেটস্ন্যাপড্রাগন ৬৬২
ইন্টারনাল মেমোরি৬৪ জিবি/ ১২৮ জিবি (ইউএফএস ২.১ – ৬৪ জিবি, ইউএফএস ২.২ – ১২৮ জিবি)
এক্সটার্নাল মেমোরিউপস্থিত (মাইক্রো এসডি)
র্যাম৪ জিবি/ ৬ জিবি (বাংলাদেশে অফিসিয়ালি ৬ জিবি ভার্সনটি নেই)
প্রাথমিক ক্যামেরা৪৮ এমপি + ২ এমপি (ম্যাক্রো) + ২ এমপি (ডেপথ)
সেলফি ক্যামেরা৮ এমপি
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম পলিমার, নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৬০০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, বক্সের চার্জার ২২.৫ ওয়াট
মূল্য১৫০০০ টাকা– ৪/৬৪ জিবি (অফিসিয়াল)

১৬৫০০ টাকা- ৪/১২৮ জিবি (অফিসিয়াল)

এই ফোনটির অন্যতম যেই দিকটি সকল ক্রেতাদের চোখ এড়িয়ে যায় তা হলো এর স্টোরেজ টাইপ অর্থাৎ ইউএফএস ২.১/ ২.২। সাধারণত এই বাজেটের ফোন গুলোতে এমএমসি ৫.১ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এমএমসি ৫.১ থেকে ইউএফএস ২.১ কম করে হলেও ২-৪ গুণ দ্রুত। অর্থাৎ সমান বাজেটে শাওমির অন্য যেকোনো ফোন থেকে এটি যেকোনো অ্যাপ লোড করবে অনেক দ্রুত। এছাড়াও এর রয়েছে ৬০০০ মিলি অ্যাম্পেয়ারের বিশাল ব্যাটারি এবং স্বল্প পাওয়ার ব্যবহারকারী স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ও এড্রেনো জিপিইউ। ফলে এটির ব্যাটারি ব্যাক আপ এক কথায় অতুলনীয়। তাই এই বাজেটে সেরা ফোন চাইলে নির্দ্বিধায় নিয়ে নিতে পারেন শাওমি পোকো এম৩ মডেলটি।

রিয়েলমি ৭ প্রো (RealMe 7 Pro)

রিয়েলমি ৭ প্রো (RealMe 7 Pro)

রিয়েলমি ব্র্যান্ডটি আগে ছিলো অপ্পো কোম্পানির সাব-ব্র্যান্ড। কিন্তু অপ্পো থেকে আলাদা হওয়ার পর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রিয়েলমির দারুণ কিছু বাজেটের ফোন এর সাহায্যে খুব দ্রুতই বাজার দখল করে নিয়েছে। রিয়েলমির উত্থানের সাথে শাওমি উত্থানের মিল রয়েছে অনেকটাই। শাওমি যেমন অখ্যাত একটি ব্র্যান্ড থেকে অতি দ্রুতই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে, ঠিক সেই একই পথে হাটছে রিয়েলমি। চলুন জানা যাক বাংলাদেশের মার্কেটে অফিসিয়ালি থাকা রিয়েলমির সবচেয়ে শক্তিশালী ফোনটির সম্পর্কে।

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬০.৯ x ৭৪.৩ x ৮.৭ মিলিমিটার
ওজন১৮২ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি
ডিসপ্লের ধরণসুপার অ্যামোলেড
ডিসপ্লের আকার৬.৪ ইঞ্চি, ৯৮.৯ বর্গ সেন্টিমিটার (৮২.৭% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল। (৪১১ পিপিআই ডেনসিটি)
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ১০, রিয়েলমি ইউআই
সিপিইউঅক্টা কোর (২ x ২.৩ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৬৫ গোল্ড + ৬ x ১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৬৫ সিলভার)
জিপিইউএড্রেনো ৬১৮
চিপসেটস্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি (৮ ন্যানোমিটার)
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮ জিবি (ইউএফএস ২.১)
এক্সটার্নাল মেমোরিউপস্থিত, মাইক্রো এসডি
র‍্যাম৬ জিবি/ ৮ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা৬৪ এমপি (২৬ মিলিমিটার প্রশস্ত) + ৮ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড) + ২ এমপি (ম্যাক্রো) + ২ এমপি (ডেপথ)
সেলফি ক্যামেরা৩২ এমপি (২৪ মিলিমিটার প্রশস্ত)
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম পলিমার, নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৪৫০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিংফাস্ট চার্জিং ৬৫ ওয়াট। ১২ মিনিটে ৫০% চার্জ। ৩৪ মিনিটে ১০০% চার্জ
মূল্য২৭,৯৯০ টাকা- ৮/১২৮ জিবি (অফিসিয়াল)

রিয়েলমির এই ফোনটি এই বাজেটে বেশ ভালই বলা চলে। বিশেষত নজর কাড়ে এর চার্জার। এই তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী চার্জার রয়েছে এই ফোনটির। ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। মাত্র আধা ঘন্টার মতো সময়ে একটি ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার ব্যাটারি ১০০% চার্জ হয়ে যাবে ভাবলেই অবাক লাগে।

ওয়ানপ্লাস (One Plus)

মোবাইল বাজারে আরও একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস। তারা তাদের প্রিমিয়াম ফোনগুলির জন্য ক্রেতামহলে জনপ্রিয়। ফোনগুলোর দাম প্রিমিয়াম এবং এগুলোর পারফরম্যান্স দূর্দান্ত। তুলনামূলক নতুন ব্র্যান্ড হলেও জনপ্রিয়তার বিচারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় মোটেও পিছিয়ে নেই এটি। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য একটি ফোন কিনতে মনস্থির করেন, তবে ওয়ানপ্লাস মোবাইল আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ফোন।

ওয়ানপ্লাস ৮ প্রো (OnePlus 8 Pro)

ওয়ানপ্লাস ৮ প্রো (OnePlus 8 Pro) 

ওয়ানপ্লাস ৮ প্রো ফোনটি বাজারে এসেছে বেশ কিছু দিন হলো। বিশেষত ২০২১ এ এসে একদম নতুন লঞ্চ হওয়া মোবাইল যারা কিনতে চান তাদের কাছে এটি একটু হতাশাজনকই মনে হবে। এই ফোনটি বাজারে এসেছে গত বছরের ২১শে এপ্রিল। কিন্তু সামান্য কিছুটা পুরোনো হলেও এটিই বর্তমানে ওয়ানপ্লাসের ফ্ল্যাগশিপ। আর ফ্ল্যাগশিপ গুলোর মানই আলাদা। তবে আনকোরা নতুন কোন মডেল নিতে চাইলে কিছুদিন অপেক্ষা করলেই পাবেন ওয়ানপ্লাস ৯ এর জন্য।

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬৫.৩ x ৭৪.৪ x ৮.৫ মিলিমিটার
ওজন১৯৯ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি
ডিসপ্লের ধরণফ্লুইড অ্যামোলেড টাচস্ক্রিন
ডিসপ্লের আকার৬.৭৮ ইঞ্চি। ১১১.৭ বর্গ সেন্টিমিটার (৯০.৮% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১৪৪০ x ৩১৬৮ পিক্সেল (৫১৩ পিপিআই ডেনসিটি) 
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ১০ (অ্যান্ড্রয়েড ১১ তে আপগ্রেড যোগ্য) অক্সিজেন ওএস ১১
সিপিইউঅক্টা কোর (১ x ২.৮৪ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৫৮৫ + ৩ x ২.৪২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৫৮৫ + ৪ x ১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৫৮৫)
জিপিইউএড্রেনো ৬৫০
চিপসেটস্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ (৭ ন্যানোমিটার+ ) 
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮ জিবি/ ২৫৬ জিবি (ইউএফএস ৩.০) 
এক্সটার্নাল মেমোরিঅনুপস্থিত
র‍্যাম৮ জিবি/ ১২ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা৪৮ এমপি (২৫ মিলিমিটার প্রশস্ত) + ০৮ এমপি (টেলিফটো) + ৪৮ এম পি (আল্ট্রাওয়াইড) + ৫ এমপি (কালার ফিল্টার ক্যামেরা)
সেলফি ক্যামেরা১৬ এমপি
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম পলিমার, নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৪৫১০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং৩০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং। ২৩ মিনিটে ৫০%
মূল্য৯৪,৯৯০ টাকা- ১২/২৫৬ জিবি (অফিসিয়াল)

প্রায় এক লক্ষ টাকা মূল্যের হলেও বাজারে ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে এই ফোনটির চাহিদা অনেক। এর ক্যামেরা অন্য ফোনগুলো থেকে অনেকটাই ব্যাতিক্রম ধর্মী। বিশেষত ৪৮ এমপির আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা দেখা যায় না বললেই চললে। এছাড়াও কালার ফিল্টার ক্যামেরাও বেশ অন্যন্য। তার পাশাপাশি এতে রয়েছে আইপি ৬৮ স্বীকৃত হওয়ায় ফোনটি দেড় মিটার পানির নিচেও টানা ৩০ মিনিট টিকে থাকতে পারবে। এছাড়াও এর দারুণ ফ্লুইড অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও ডিসপ্লের ভেতরেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া অনেককেই আকর্ষণ করে। সব মিলিয়ে সত্যিই একটি প্রিমিয়াম ফোন এটি।

হুয়াওয়ে

হুয়াওয়ে ব্র্যান্ড থেকে আমরা আজ ২টি মোবাইল ফোন বেছে নিলাম। যদিও এই ব্র্যান্ডটি মার্কিন ভিত্তিক সংস্থাগুলির কাছ থেকে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তবে এটির উচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য এটি মানুষের পছন্দর তালিকায় আছে। তারা এখন তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এবং আশা করা যায় এটি নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ভাল একটা অভিজ্ঞতা হবে।

হুয়াওয়ে পি৪০ ৪জি (Huawei P40 4G)

হুয়াওয়ে পি৪০ ৪জি (Huawei P40 4G) 

আপনি যদি ২০২১ এর আনকোরা নতুন একটি মোবাইল কিনতে চান তাহলে এই মোবাইলটিই আপনার জন্য। ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফোনটি বাজারে এসেছে। হুয়াওয়ে ব্র্যান্ড আপনাদের অপরিচিত নয়। এক সময় প্রচুর জনপ্রিয়তা থাকলেও এখন হুয়াওয়ের ফোন গুলোতে গুগল প্লে সার্ভিসেস না থাকায় জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবুও এটি এখনো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমই চলছে এবং আগামী কিছু মাসের মাঝেই হুয়াওয়ে তার নিজস্ব ওএস নিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিস্তারিত
বডি ডাইমেনশনস১৪৮.৯ x ৭১.১ x ৮.৫ মিলিমিটার
ওজন১৭৫ গ্রাম
কানেক্টিভিটিনেটওয়ার্কঃ ২জি, ৩জি, ৪জি
সিমসিঙ্গেল সিম (ন্যানো) অথবা হাইব্রিড ডুয়েল সিম (ন্যানো)
ডিসপ্লের ধরণঅরগানিক লাইট এমিটিং ডায়োট (OLED) ডিসপ্লে 
ডিসপ্লের আকার৬.১ ইঞ্চি, ৯১.৩ বর্গ সেন্টিমিটার (৮৬.৩% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১০৮০ x ২৩৪০ পিক্সেল (৪২২ পিপিআই ডেনসিটি)
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনঅ্যান্ড্রয়েড ১০, ইএম ইউআই (গুগল প্লে সার্ভিসেস ব্যাতীত)
সিপিইউঅক্টা কোর (২ x ২.৮৬ গিগা হার্টজ কর্টেক্স- এ৭৬ + ২ x ২.০৯ গিগা হার্টজ কর্টেক্স- এ৭৬ + ৪ x ১.৮৬ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৫৫)
জিপিইউমালি- জি৭৬ এমপি১৬
চিপসেটকিরিন ৯৯০ (৭ ন্যানোমিটার+ )
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮ জিবি (ইউএফএস ৩.০)
এক্সটার্নাল মেমোরিউপস্থিত। ন্যানো কার্ড, সর্বোচ্চ ২৫৬ জিবি। 
র‍্যাম৮ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা৫০ এমপি (২৩ মিলিমিটার প্রশস্ত) + ৮ এমপি (টেলিফটো) + ১৬ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড)
সেলফি ক্যামেরা৩২ এমপি (২৬ মিলিমিটার প্রশস্ত)
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম পলিমার, নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৩৮০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং২২.৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং
মূল্য৫৫০০০ টাকা (সম্ভাব্য)

মটোরোলা এজ এস (Motorola Edge S)

মটোরোলা এজ এস (Motorola Edge S) 

মটোরোলা, এই ব্র্যান্ডটিকে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই তেমন চেনে না। তবে এই ব্র্যান্ডটি নতুন কোন ব্র্যান্ড নয় বরং অনেক পুরোনো একটি আমেরিকান ব্র্যান্ড। বিশ্বে যখন শুধুই নোকিয়া ফোনের দৌরাত্ন্য তখন ও মটোরোলা নোকিয়ার সাথে পাল্লা দিয়েছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশে স্বল্প পরিসরে এবং স্বল্প পরিমাণে মটোরলা বেশ ভাল কিছু ফোন নিয়ে এসেছে। জানা যাক তেমনই একটি আনকোরা নতুন ফোন ‘মটোরোলা এজ এস’ সম্পর্কে।

বিস্তারিত

বডি ডাইমেনশনস১৬৮.৪ x ৭৪ x ৯.৭ মিলিমিটার
ওজন২১৫ গ্রাম
নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি
ডিসপ্লের ধরণআইপিএস এলইডি, ৯০ হার্টজ, এইচডিআর ১০
ডিসপ্লের আকার৬.৭ ইঞ্চি, ১০৪.৯ বর্গ সেন্টিমিটার (৮৪.১% স্ক্রিন টু বডি রেশিও)
ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন১০৮০ x ২৫২০ পিক্সেল (৪০৯ পিপিআই ডেনসিটি)
অপারেটিং সিস্টেমঅ্যান্ড্রয়েড
ওএস ভার্সনআন্ড্রয়েড ১১
সিপিইউঅক্টা কোর (১ x ৩.২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৫৮৫ + ৩ x ২.৪২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৫৮৫ + ৪ x ১.৮০ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৫৮৫)
জিপিইউএড্রেনো ৬৫০
চিপসেটস্ন্যাপড্রাগন ৮৫০জি (৭ ন্যানোমিটার) 
ইন্টারনাল মেমোরি১২৮ জিবি/ ২৫৬ জিবি (ইউএফএস ৩.১)
এক্সটার্নাল মেমোরিউপস্থিত, মাইক্রো এসডি
র্যাম৬ জিবি/ ৮ জিবি
প্রাথমিক ক্যামেরা৬৪ এমপি (ওয়াইড) + ১৬ এমপি (আল্ট্রাওয়াইড) + ২ এমপি (ডেপথ)
সেলফি ক্যামেরা১৬ এমপি + ৮ এমপি
ব্যাটারির ধরণলিথিয়াম পলিমার, নন- রিমুভেবল
ব্যাটারি৫০০০ মিলি অ্যাম্পেয়ার
চার্জিং২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং
মূল্য২৯,৯৯০ টাকা (সম্ভাব্য)

৩০ হাজার টাকার আশে পাশে যেকোনো ফোন থেকে এটি এগিয়ে থাকবে নিসন্দেহে। প্রথমত এটি নতুন বা যেন তেন কোন ব্র্যান্ড নয় বরং বহু পুরোনো প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান ব্র্যান্ড। দ্বিতীয়ত মাত্র ৩০ হাজার টাকায় স্ন্যাপড্রাগন ৮৫০ জি এর মতো চিপসেট দেওয়াটা প্রায় অবিশ্বাস্য। একই সাথে তা করতে গিয়ে ফোনের অন্য কোন অংশেই কোন কমতি রাখে নি মটোরোলা। তাই এই বাজেটে এটিকে সেরা ফোন বলতে কোনই দ্বিধা নেই। ফোনটির ব্যাপারে আরো একটি চমকপ্রদ ব্যাপার হলো যে এটির বিক্রি শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি, চায়নাতে। আর মাত্র দুই মিনিটেই (হ্যাঁ ঠিকই পড়েছে, মাত্র দুই মিনিটেই) অনলাইন, অফলাইন মিলিয়ে প্রথম ১০০০০ ইউনিটের সবকটি শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কি পরিমাণ জনপ্রিয় ও দুষ্প্রাপ্য হতে যাচ্ছে ফোনটি।

শেষকথা

যদিও এটি একটি দীর্ঘ তালিকা, তবে শেষ পর্যন্ত আমরা এটি তৈরি করেছি। এই আর্টিকেলটিতে উল্লিখিত সমস্ত ফোনের খুঁটিনাটি দেয়া হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত ক্রয়ের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি আপনার হাতে। আমরা আশাকরছি বাজারে যে ধারা চলছে সে সম্পর্কে আমরা সাধ্যমত আলোকপাত করেছি যা আপনাকে আপনার পছন্দের ফোনটি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে সামান্য হলেও সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনি যদি কোনও ব্যবহৃত ফোন কিনতে চান, সেটির ব্যাপারেও রিসার্চ করতে পারেন এবং নিজের জন্য বেছে নিতে পারেন আদর্শ ফোনটি।

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১) দোকানগুলিতে বা অনলাইনে এই ফোনগুলোর জন্য কি কোন ছাড় রয়েছে?

উত্তরঃ কিছু ছাড় বা অফার থাকতে পারে তবে এটি সম্পূর্নভাবে বিক্রেতা এবং ডিলারদের উপর নির্ভর করছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি একই রকম।

২) অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান বা স্টক অ্যান্ড্রয়েড কি?

উত্তরঃ এটি আপনার ফোনে পাওয়া ওএসের একটি ফর্ম যা গুগলের তৈরি করা ডিফল্ট ইন্টারফেস। আমাদের  প্রায় সমস্ত ফোনেই পাওয়া যায় এটি। অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান সংস্করণটিতে গুগল এটি তৈরি করেছিল। এর উপকারিতা হল এটি ব্যবহারকারীকে একটি দারুণ ইন্টারফেস এবং মাল্টিটাস্কিং সেবা সরবরাহ করে।

৩) আমি কি এই ফোনে মেমোরি বাড়াতে পারি?

উত্তরঃ কিছু ফোনে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে ফোনের মেমোরি বাড়ানো যায়, তবে কিছু ফোনে এই সুবিধা নেই। এই ক্ষেত্রে, যেসব ফোনের বিল্ট-ইন মেমোরি বেশি এমন ফোন কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৪) আমি কি তাদের ব্র্যান্ড থেকে বিক্রয় পরবর্তী সেবা পাব?

উত্তরঃ এই ব্র্যান্ডগুলোর বেশিরভাগই বিক্রয় পরবর্তী সেবা দিয়ে থাকে। অ্যাপল তাদের মধ্যে অন্যগণ্য, তবে অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলোরও ভাল কাস্টমার কেয়ার সেবা রয়েছে।

৫) অফিসিয়াল ফোনের দাম আন-অফিসিয়াল ফোন থেকে কেন এত বেশি হয়? 

উত্তরঃ অফিসিয়াল ফোন সম্পূর্ণ ট্যাক্স দিয়ে সকল নিয়ম মেনে বৈধ ভাবে আমদানি করা হয়। এজন্য খরচ বেশি পড়ে ফলে দাম ও বেশি রাখা হয়। অপরদিকে আন-অফিসিয়াল ফোন অবৈধ ভাবে আনা হয় বলে এর দাম কম। 

৬) আন-অফিসিয়াল ফোন কি কেনা উচিত হবে?

উত্তরঃ আন-অফিসিয়াল ফোন মূলত অবৈধ বা চোরাই ফোন। তাই এই ফোন কেনা বেআইনী। এছাড়াও সকল আন-অফিসিয়াল ফোনের নেটওয়ার্ক কানেকশন বন্ধ করার জন্য বিটিআরসি ডাটাবেজ বানাচ্ছে। যা তৈরি হয়ে গেলে অবৈধ ফোনের সিম কানেকশন বন্ধ করার সম্ভাবনা প্রবল। 

৭) কোন ব্র্যান্ডের বিক্রয় পরবর্তী সেবা সবচেয়ে ভাল?

উত্তরঃ বিশ্বজুড়ে অ্যাপলের বিক্রিয় পরবর্তী সেবার সুখ্যাতি রয়েছে। তবে বাংলাদেশে সেরা বিক্রয় পরবর্তী সেবার স্থানটি শাওমির দখলে। তবে এই সুবিধা শুধু মাত্র অফিসিয়ালি কেনা ফোনের ক্ষেত্রেই পাবেন। 

৮) ফোন গুলো কি ওয়াটারপ্রুফ?

উত্তরঃ সকল ফোন ওয়াটারপ্রুফ বা পানিরোধী নয়। যেসব ফোনের ‘আইপি ৬৮’ সার্টিফিকেট রয়েছে শুধু সেগুলোই পানিরোধী। তবে এই নিরাপত্তা পানির গভীরতা ভেদে বাড়ে কমে। দেড় মিটার গভীরতায় সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট অবধি টেকে। 

৯) ইউএফএস কী?

উত্তরঃ ইউএফএস হলো ফোনের স্টোরেজের একটি ধরণ। বেশিরভাগ ক্রেতাই এটিকে অবহেলা করলেও স্টোরেজের ধরনের ওপর নির্ভর করে ডিভাইসের গতিতে আকাশ পাতাল তফাত হতে পারে।

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Back to top button