টেকনোলজিমোবাইল ফোনশাওমি মোবাইল

জনপ্রিয় শাওমি মোবাইলের দাম (২০২৩)

শাওমি মোবাইল, বাংলাদেশের মোবাইল জগতে এক সুপরিচিত নাম। বেশ কিছু বছর ধরেই এ দেশের বাজারে শাওমি তার আধিপত্য বিস্তার করছে। এই কয়েক বছরেই সকল বয়সের মানুষের মধ্যে শাওমির জনপ্রিয়তা তুঙ্গস্পর্শী। বর্তমানে দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্মার্টফোন বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাওমির নাম রয়েছে তা নিশ্চিত। কারণ আর কিছুই নয়, কিছুটা কম দামে সকল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ ফোন গ্রাহকের হাতের নাগালে নিয়ে আসা। তাই চলুন জানা যাক শাওমি মোবাইলের দাম ও সেগুলোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত।

শাওমি ইলেভেন টি প্রো (Xiaomi 11T Pro)

শাওমি ইলেভেন টি প্রো (Xiaomi 11T Pro)

এই ফোনটি হলো শাওমির ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস। শাওমি তাদের এমআই সিরিজে বরাবরের মতই সেরাটা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে তারা এমআই নামটি বাতিল করে তাদের ফ্ল্যাগশিপ সিরিজটিকে শুধু ‘শাওমি’ নামেই পরিচিত করতে শুরু করেছে। এজন্যই ১১টি প্রো এর প্রথম দিকের ভার্সনের পুরো নাম শাওমি এমআই ১১ হলেও সাম্প্রতিক ভার্সনটির নাম শাওমি ১১টি প্রো।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬৪.১ × ৭৬.৯ × ৮.৮ মিলিমিটার (৬.৪৬ × ৩.০৩ × ০.৩৫ ইঞ্চি)।
ওজনঃ২০৪ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১১, এমআই ইউআই (MIUI) – ১২.৫।
ডিসপ্লের ধরনঃঅ্যামোলেড, ডলবি ভিশন, ১ বিলিয়ন কালার, এইডিআর ১০+, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৬৭ ইঞ্চি, ১০৭.৪ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৫.১% জুড়ে ডিসপ্লে)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল, ৩৯৫ পিপিআই ঘনত্ব।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(১× ২.৮৪ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০,

৩ × ২.৪২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০,

৪ × ১.৮০ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০।)

জিপিইউঃঅ্যাড্রেনো ৬৬০।
চিপসেটঃকোয়ালকম এসএম ৮৩৫০ স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ ফাইভ জি (৫ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি (ইউএফএস ৩.১)।
এক্সটারনাল মেমোরিঃঅনুপস্থিত।
র‍্যামঃ৮ জিবি, ১২ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ১০৮ মেগাপিক্সেল, (২৬ মিলিমিটার ওয়াইড) + ৮ মেগাপিক্সেল (১২০ ডিগ্রি আল্ট্রা ওয়াইড) + ৫ মেগাপিক্সেল (৫০ মিলিমিটর, টেলিফটো ম্যাক্রো)।
সেলফি ক্যামেরাঃ১৬ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ ব্লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৫০০০ মিলি আ্যম্পিয়ার।
চার্জিংঃ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃমেটিওরাইট গ্রে, মুনলাইট হোয়াইট, সেলেস্টিয়াল ব্লু।
রিলিজ ডেটঃ৫ অক্টোবর, ২০২১। 
মূল্যঃ ৮ + ১২৮ জিবি – ৭০০০০ টাকা (আনঅফিসিয়াল, সম্ভাব্য)।

সেরাদের কাতারে থাকা এই ফোনটির বৈশিষ্ট্যও সেরাদের মতই। এতে রয়েছে বিশ্বসেরা ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি৷ যার সাহায্যে এটির ৫০০০ মিলি আ্যম্পেয়ারের ব্যাটারি মাত্র ১০ মিনিটে ৭২% এবং ১৭ মিনিটেই ১০০% চার্জ করা সম্ভব। এটি এক কথায় অবিশ্বাস্য। এমনকি দ্রুত চার্জ হওয়ার সুবিধার্থে এতে রয়েছে দুটি ব্যাটারি। এছাড়াও এর ডিসপ্লেটি হলো ১ বিলিয়ন কালার ডিসপ্লে। অর্থাৎ এতে ১ বিলিয়ন সংখ্যক রঙ দেখানো যাবে। যেখানে ভাল মানের ফোনগুলোতে সাধারণত ১৬.৮ মিলিয়ন কালার ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এর ডিসপ্লে কতটা উন্নত।

এছাড়াও এর চিপসেট হিসেবে আছে অদ্বিতীয় স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮। তাই পারফর্মেন্স নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না একদমই। এর ক্যামেরাটিও দারুণ। এটির ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার সাহায্যে আপনি যেমন ৮কে এবং ৪কে ভিডিও করতে পারবেন, একই ভাবে ১০৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি ভিডিও করতে পারবেন ৩০ থেকে ৯৬০ এফপিএস অবধি। সব মিলিয়ে শাওমির এই ফোনটিকে একটি আদর্শ ফ্ল্যাগশিপ বলা চলে।

শাওমি ব্ল্যাক শার্ক ৪এস প্রো (Xiaomi Black Shark 4S Pro)

শাওমি ব্ল্যাক শার্ক ৪এস প্রো (Xiaomi Black Shark 4S Pro)

‘গেমিং’ ফোন। যেকোনো ডিভাইসের সাথে ‘গেমিং’ কথাটা জুড়ে দিলেই এর মূল্য যেন কিছুটা বেড়ে যায়। কিন্তু আসলেই  তাতে গেমিং এর উপযুক্ততা থাকে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে শাওমির এই নতুন ফোনটির বেলায় তা নয়। ব্ল্যাক শার্ক সিরিজের চতুর্থ ফোন হিসেবে এটি খুব দ্রুতই আসুস এবং রেডম্যাজিক এর মতো গেমিং ফোনগুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬৩.৭ × ৭৬.২ × ৯.৯ মিলিমিটার (৬.৪৪ × ৩.০০ × ০.৩৯ ইঞ্চি)।
ওজনঃ২২০ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১১, জয় ইউআই ১২.৮।
ডিসপ্লের ধরনঃসুপার অ্যামোলেড, এইডিআর ১০+, ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৬৭ ইঞ্চি, ১০৭.৪ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৬.১% ডিসপ্লে)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল (৩৯৫ পিপিআই ঘনত্ব)।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(১ × ৩.০ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০,

৩ × ২.৪২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০,

৪ × ১.৮০ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০।)

জিপিইউঃঅ্যাড্রেনো ৬৬০।
চিপসেটঃকোয়ালকম এসএম ৮৩৫০ স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮+ ৫জি (৫ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ২৫৬ জিবি, ৫১২ জিবি।
এক্সটারনাল মেমোরিঃঅনুপস্থিত।
র‍্যামঃ৮জিবি, ১২ জিবি ও ১৬ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ৬৪ মেগাপিক্সেল + ৮ মেগাপিক্সেল (১২০ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড) + ৫ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো)।
সেলফি ক্যামেরাঃ২০ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৪৫০০ মিলি আ্যম্পেয়ার।।
চার্জিংঃ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃব্ল্যাক, হোয়াইট।
রিলিজ ডেটঃ১৩ অক্টোবর, ২০২১ তারিখে ঘোষিত। 
মূল্যঃ ৬৮০০০ সম্ভাব্য (আনফিসিয়াল)। 

শাওমি ব্ল্যাক শার্ক ৪এস প্রো আক্ষরিক অর্থেই গেমিং এর জন্য অসাধারণ। এর ডিসপ্লের টাচ রেজিস্টার ক্ষমতা মারাত্নক। অবিশ্বাস্য ৭২০ হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেটে ডিলে মাত্র ৮.৩ মাইক্রো সেকেন্ড। যদিও সাধারণ ব্যবহারে এর তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। কিন্তু হার্ডকোর গেমারদের কাছে টাচ রেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ বৈকি। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেটিক পাওয়ার লিফট প্রযুক্তি সম্বলিত মেকানিকাল শোলডার বাটন। এমনকি এর রয়েছে ১৬ জিবি র‍্যামের ভার্সন। যা ফোনের জগতে খুঁজে পাওয়াটা বেশ দুষ্কর।

এর ডিসপ্লে সম্পর্কে আরেকটু না বললেই নয়। সাধারণত ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও যেখানে ১২০ হার্টজ ডিসপ্লে থাকে সেখানে এটিতে রয়েছে ১৪৪ হার্টজ ডিসপ্লে। যা সেরা গেমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। অপরদিকে ওলেড ডিসপ্লেটি প্রেশার সেনসিটিভ হওয়ায় মোবাইল গেমের কন্ট্রোলগুলো রি-ম্যাপ করে নিতে পারবেন সহজেই।

এছাড়াও এর ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ব্যাটারিকে মাত্র ৫ মিনিটেই ৫০% ও ১৫ মিনিটেই ১০০% চার্জড করে তুলতে পারবে। সব মিলিয়ে একটি দারুণ গেমিং ফোন এই শাওমি ব্ল্যাক শার্ক ৪স প্রো।

শাওমি মিক্স ৪ (Xiaomi Mix 4)

শাওমি মিক্স ৪ (Xiaomi Mix 4)

শাওমি মিক্স ৪, ফ্ল্যাগশিপ না হয়েও ফ্ল্যাগশিপের কাতারে থাকা এই ফোনটির রয়েছে কিছু অন্যন্য দিক। এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ব্যার্থতার পরে অবশেষে সফল হওয়ার গল্প। তবে সে সম্পর্কে জানার আগে চলুন দেখে নেই এর বৈশিষ্ট্যগুলো।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ  ১৬২.৬ × ৭৫.৪ × ৮ মিলিমিটার (৬.৪০ × ২.৯৭ × ০.৩১ ইঞ্চি)।
ওজনঃ২২৫ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১১, এমআই ইউআই ১২.৫।
ডিসপ্লের ধরনঃঅ্যামোলেড, সুপার ভিশন, ১ বিলিয়ন কালার, এইচডিআর ১০+, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
ডিসপ্লের আকারঃ১৬৩.৭ × ৭৬.২ × ৯.৯ মিলিমিটার (৬.৪০ × ২.৯৭ × ০.৩১ ইঞ্চি)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল, ৩৯৫ পিপিআই ঘনত্ব।
সিপিইউঃঅক্টা কোর

(১ × ২.৯৯ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০,

৩ × ২.৪২ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০,

৪ × ১.৮০ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৮০।)

জিপিইউঃঅ্যাড্রেনো ৬৬০।
চিপসেটঃকোয়ালকম এসএম ৮৩৫০ স্ন্যাপড্রাগন  ৮৮৮+ ৫জি (৫ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি, ৫১২ জিবি। (ইউএফএস ৩.১)
এক্সটারনাল মেমোরিঃঅনুপস্থিত
র‍্যামঃ৮ জিবি, ১২ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ১০৮ মেগাপিক্সেল (ডুয়েল পিক্সেল পিডিএএফ, লেজার এএফ) + ৮ মেগাপিক্সেল (পেরিস্কোপ টেলিফটো, ৫গুণ অপটিকাল জুম) + ১৩ মেগাপিক্সেল (আল্ট্রাওয়াইড)।
সেলফি ক্যামেরাঃ২০ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৪৫০০ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃ সিরামিক ব্ল্যাক, সিরামিক হোয়াইট, শ্যাডো গ্রে।
রিলিজ ডেটঃ১৬ আগস্ট, ২০২১। 
মূল্যঃ  ৬৮০০০০ (আনঅফিসিয়াল)। 

মিক্স সিরিজটি সবসময়ই কিছুটা ব্যাতিক্রমী হওয়ার জন্য সুপরিচিত। মিক্স ৪ ও একটি দিক দিয়ে দারুণ ব্যাতিক্রমী। সেটি হলো এর সেলফি ক্যামেরা। মোবাইল ফোনের জগতে পুরোপুরি ডিসপ্লে সর্বস্ব মোবাইলের চাহিদা দীর্ঘদিনের। সে চাহিদা মেটাতেই কোম্পানিগুলো ফোনগুলোতে নানা পরিবর্তন এনেছে, হেডফোন জ্যাক সরিয়েছে, সেন্সরের স্থান পরিবর্তন করেছে। কিন্তু সেলফি ক্যামেরাকে সরানোর কোনো কার্যকরী উপায় এখন প্রচলিত হয় নি। প্রথম ২০১৯ সালে অপো ডিসপ্লের ভেতরেই সেলফি ক্যামেরা দেওয়ার প্রযুক্তিটা বাজারে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে জেডটিই ও স্যামসাং আলাদা আলাদা ভাবে তাদের ফোনে এই প্রযুক্তি সংযোজনের চেষ্টা করে। স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৩ এর সমসাময়িক হলেও শাওমি মিক্স ৪ এ দিক দিয়ে তূলনামূলক বেশি সফলতা লাভ করেছে।

এই প্রযুক্তিকে শাওমি নাম দিয়েছে CUP বা Camera Under Panel। এর পেছনে তাদের ব্যয় হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন ডলার। এর সাহায্যে ফোনের উচ্চ পিক্সেল সম্বলিত ডিসপ্লের ছোট একটা অংশে পিক্সেলগুলোকে একদম কমিয়ে আনা হয়। ফলে বাইরের আলো ভেতরে ঢুকতে পারে। আর ঠিক সেখানেই বসানো থাকে সেলফি ক্যামেরা। জেডটিই এবং স্যামসাং দুটি কোম্পানির ডিভাইসেই কিছুদিনের মধ্যে ডিসপ্লেতে ওই স্থানটুকু স্পষ্ট বোঝা গেলেও মিক্স ৪ এ তেমন সমস্যা হয় নি। অর্থাৎ বর্তমানে একমাত্র  শাওমিই এ প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করতে পেরেছে। অপরদিকে এর প্রধান ক্যামেরাও দারুণ। ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাটি অন্যান্য যেকোনো ফ্ল্যাগশিপের চেয়ে কম নয়। এছাড়াও এর টেলিফটো লেন্সটি আইফোন ১২প্রোকেও হার মানায়।

তবে এই ফোনটি শুধু ক্যামেরা সর্বস্ব নয়। এতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮+ চিপসেট। বর্তমানে মোবাইল ফোনে এর চেয়ে শক্তিশালী চিপসেট বসানো সম্ভব নয়। এছাড়াও এই ফোনটির পেছনের দিক শুধুমাত্র এক টুকরো সিরামিক থেকে তৈরি। যা ফিঙ্গারপ্রিন্টরোধী এবং হাতে নিলে এমন একটি প্রিমিয়াম অনুভুতি হয় যা অনেক নামী দামি মোবাইকেও হার মানায়। সব মিলিয়ে এই ফোনটি নিসন্দেহে সেরা। যদি আপনি ফ্ল্যাগশিপ পারফর্মেন্স খোঁজেন,  একটি দারুণ দেখতে অল স্ক্রিন মোবাইল চান এবং সেলফি তোলাটা অতটা প্রয়োজনীয় না হয়ে থাকে তবে শাওমি মিক্স ৪ অপেক্ষা করছে আপনারই জন্য।

শাওমি সিভি (Xiaomi Civi)

শাওমি সিভি (Xiaomi Civi)

ফোন বানানো ও বিক্রির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো নানা হিসাব নিকাশ মাথায় রেখেই বানায়। একটি ফোনের অধিকাংশ গ্রাহক কারা হতে পারে সে ব্যাপারে কোম্পানিগুলোর ধারণা আগে থেকেই পরিষ্কার। আর শাওমি সিভি ফোনটি প্রথম থেকেই যেন মহিলাদের আকৃষ্ট করতে তৈরি করা। দারুণ গুড লুকিং এই ফোনটি লুকস (Looks) এর ক্ষেত্রে এ বাজেটে বাজারের সমস্ত ফোনকেই হারিয়ে দেয়।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৫৮.৩ × ৭১.৫ × ৭ মিলিমিটার (৬.২৩ × ২.৮১ × ০.২৪ ইঞ্চি)।
ওজনঃ১৬৬ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১১, এমআই ইউআই ১২.৫।
ডিসপ্লের ধরনঃওলেড, ১ বিলিয়ন কালার, ডলবি ভিশন। এইডিআর, ১২০ হার্টজ।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৫৫ ইঞ্চি, ১০৩.৬ বর্গ সেন্টিমিটার ( বডির ৯১.৫% জুড়ে ডিসপ্লে)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল (৪০২ পিপিআই ঘনত্ব)।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(৪ × ২.৪ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৭০,

৪ × ১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৬৭০)।

জিপিইউঃঅ্যাড্রেনো ৬৪২এল।
চিপসেটঃকোয়ালকোম এসএম ৭৩২৫ স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি ৫জি (৬ ন্যানোমিটার)
ইন্টারনাল মেমোরিঃ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি।
এক্সটারনাল মেমোরিঃঅনুপস্থিত।
র‍্যামঃ৮ জিবি, ১২ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ৬৪ মেগাপিক্সেল (পিডিএএফ) + ৮ মেগাপিক্সেল (১২০ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড) + ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো)।
সেলফি ক্যামেরাঃ৩২ মেগাপিক্সেল (এইচডিআর, প্যানারোমা)।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৪৫০০ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ৫৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃস্পার্কলিং ব্ল্যাক, লাইট ব্লু, পিংক।
রিলিজ ডেটঃ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১।
মূল্যঃ ৪০০০০ (আনঅফিসিয়াল)।

এই ফোনটি এমন একটি বাজেটের ফোন যা গ্রাহকের মনে অনেক দ্বিধাবোধ তৈরি করে। কারণ এর চেয়ে কিছুটা কম বাজেটে বেশ ভাল ভাল ফোনই পাওয়া যায়। আবার আপনি যদি বাজেট কমাতে না চান বরং বাজেট বাড়িয়ে ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস নিতে চান তাও কিন্তু কিছুটা দুষ্কর। কারণ এর উপরে থাকা ফ্ল্যাগশিপগুলোর দাম আকাশচুম্বী। তবে শাওমির এই নতুন ফোনটি হয়তো এ বাজেটের ক্রেতাদের দ্বিধাবোধ নিমিষেই দূর করতে পারবে। বিশেষত যারা ফোনের লুকস বা চেহারা পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি একটি সেরা অপশন। অসম্ভব সুন্দর, পাতলা ও স্মার্ট দেখতে এই ফোনটির বেজেল মাত্র ২.৫ মিলিমিটার। যা শাওমির ফ্ল্যাগশিপ থেকেও কম। এত পাতলা ফোন হয়েও এতে রয়েছে ৪৫০০ মিলি আ্যম্পেয়ারের একটি ব্যাটারি। এর ক্যামরাগুলোও দারুণ। এই ফোনটির মূল ফোকাস অবশ্য সেলফি ক্যামরাতে। ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো সমাজের সকল স্তরের মানুষকেই সন্তুষ্ট করবে। তবে এর ৬৪ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরাও খারাপ নয়। ক্যামেরার দিক দিয়ে এই ফোনটি অসাধারণ বলা চলে।

তবে ফোনটি শুধু চেহারা ও ক্যামেরা সর্বস্ব নয়। এর মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আছে একটি স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি। স্ন্যাপড্রাগন ৭০০ সিরিজের চিপসেটগুলো মিড বাজেটের হলেও ৭৭৮জি বেশ ভাল পারফর্মেন্সের অধিকারী। আগের জেনারেশনের তুলনায় এর সিপিইউ ও জিপিইউ এর পারফর্মেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০%। এতটা পারফর্মেন্স বৃদ্ধি আসলে অবিশ্বাস্য। এছাড়াও এর ৫৫ ওয়াটের গ্যালিয়াম নাইট্রাইড চার্জার ৫৪ মিনিটেই এই ফোনটিকে ১০০% চার্জ করতে সক্ষম।

শাওমি পোকো এফ৩ জিটি (Xiaomi POCO F3 GT)

শাওমি পোকো এফ৩ জিটি (Xiaomi POCO F3 GT)

শাওমি এর পোকো এক্স৩ কে অনেকেই চিনলেও এফ৩ কে খুব বেশি মানুষ চেনে না। তবে মিড বাজেটের থেকে একটু উপরের বাজেটের জন্য এই ফোনটি একেবারে আদর্শ। বিশেষত যারা পারফর্মেন্স খোঁজেন তাদের জন্য এই ফোনটি একদম সেরা।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬১.৯ × ৭৬.৯ × ৮.৩ মিলিমিটার (৬.৩৭ × ৩.০৩ × ০.৩৩ ইঞ্চি)।
ওজনঃ ২০৫ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃআ্যন্ড্রোয়েড ১১, এমআই ইউআই ১২.৫ (পোকো)।
ডিসপ্লের ধরনঃআ্যমোলেড, ১ বিলিয়ন কালার, এইডিআর ১০+, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৬৭ ইঞ্চি, ১০৭.৪ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৬.৩% জুড়ে ডিসপ্লে)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল (৩৯৫ পিপিআই ঘনত্ব)।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(১ × ৩.০ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৭৮,

৩ × ২.৬ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৭৮,

৪ × ২.০ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৫৫)।

জিপিইউঃমালি জি৭৭ এমসি৯।
চিপসেটঃমিডিয়াটেক এমটি ৬৮৯৩ ডাইমেনসিটি ১২০০ ৫জি (৬ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি। (ইউএফএস ৩.১)।
এক্সটারনাল মেমোরিঃঅনুপস্থিত।
র‍্যামঃ৬ জিবি, ৮ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ৬৪ মেগাপিক্সেল (পিডিএএফ) + ৮ মেগাপিক্সেল (১২০ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড) + ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো)।
সেলফি ক্যামেরাঃ১৬ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৫০৬৫ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ৬৭ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃপ্রিডেটর ব্ল্যাক, গানমেটাল সিলভার।
রিলিজ ডেটঃ২৬ জুলাই, ২০২১। 
মূল্যঃ ৬ + ১২৮ জিবি – ৩৫০০০ (আনঅফিসিয়াল)। 

এর ডিসপ্লেটি হলো ১ বিলিয়ন কালার ডিসপ্লে। অর্থাৎ ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর মতই এই ফোনটিতেও ১ বিলিয়ন কালার রঙ দেখা যায়। এছাড়াও এর চিপসেট হিসেবে রয়েছে ডাইমেনসিটি ১২০০। মিডিয়াটেকের এই চিপসেটটি নিসন্ধেহে ভয়াবহ শক্তিশালী একটি চিপসেট। একে স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ এর প্রায় সমতুল্য বলা যায়। এছাড়া এর জিপিইউটিও বেশ শক্তিশালী যা এর ১২০ হার্টজ রিফ্রেট রেটের ডিসপ্লের সদ্বব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও ৫০০০ মিলি অ্যাম্পেয়ারের ব্যাটারির সাথে ৬৭ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সম্বনয়ে এটি পুরোপুরি চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ৪৭ মিনিট।

শাওমি পোকো এক্স৩ জিটি (Xiaomi Poco X3 GT)

শাওমি পোকো এক্স৩ জিটি (Xiaomi Poco X3 GT)

বাংলাদেশে পোকো এক্স৩ ফোনটি যে কত জনপ্রিয় তা আলাদা করে বলতে হবে না। শাওমির এই ফোনটি মিড বাজেটের একটি সেরা ফোন। এর প্রথম ভার্সন এক্স৩ বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ঠিক যেমনটি পেয়ছে এক্স৩ প্রো। আর এই এক্স৩ এরই সর্বশেষ ভার্সন এক্স৩ জিটি। চলুন জানা যাক এ সম্পর্কে বিস্তারিত।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬৩.৩ × ৭৫.৯ × ৮.৯ মিলিমিটার (৬.৪৩ × ২.৯৯ × ০.৩৫ ইঞ্চি)।
ওজনঃ১৫৩ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১১, এমআই ইউআই ১২.৫ (পোকো)।
ডিসপ্লের ধরনঃআইপিএস এলসিডি স্ক্রিন। এইচডিআর ১০, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৬ ইঞ্চি, ১০৫.২ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৪.৯% জুড়ে ডিসপ্লে)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল, ৩৯৯ পিপিআই ঘনত্ব।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(৪ × ২.৬ গিগা হার্টজ করটেক্স এ৭৮,

৪ × ২.০ গিগা হার্টজ করটেক্স এ৫৫)

জিপিইউঃমালি জি৭৭ এমসি৯।
চিপসেটঃমিডিয়াটেক এমটি ৬৮৯১জেড ডাইমেনসিটি ১১০০ ৫জি (৬ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি।
এক্সটারনাল মেমোরিঃঅনুপস্থিত।
র‍্যামঃ৮ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ৬৪ মেগাপিক্সেল (পিডিএএফ) + ৮ মেগাপিক্সেল (১২০ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড) + ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো)।
সেলফি ক্যামেরাঃ১৬ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৫০০০ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ৬৭ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃস্টারগেজ ব্ল্যাক, ওয়েভ ব্লু, ক্লাউড হোয়াইট।
রিলিজ ডেটঃ১৯ আগস্ট, ২০২১।  
মূল্যঃ ৮ + ১২৯ জিবি – ২৮০০০ টাকা (আনঅফিসিয়াল)। 

এই ফোনটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দুটি দিক হলো এর চিপসেট এবং চার্জিং। একটি ফোনের পারফর্মেন্স কেমন হবে তা নির্ভর করে চিপসেট, সিপিইউ ও জিপিইউ এর ওপরেই। এটির চিপসেট হিসেবে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ১১০০। অনেকেই মিডিয়াটেকের চিপসেটকে নিচু মানের মনে করেন। মিডিয়াটেকের চিপসেট গুলো স্ন্যাপড্রাগন থেকে কিছুটা কম শক্তিশালী হলেও ডাইমেনসিটি সিরিজে মিডিয়াটেক ভিন্ন কিছু করে দেখিয়েছে। তাদের ডাইমেনসিটি ১১০০ চিপসেটটি অনায়েসে স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ এর সাথে পাল্লা দিতে পারে। এ বাজেটের ফোনে এত ভাল চিপসেট পাওয়া আসলেই মুশকিল। এছাড়াও এই ফোনটিতে রয়েছে ৬৭ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং। যা মাত্র ৪২ মিনিটেই ফোনটিকে ১০০% চার্জড করে তুলতে পারে। অর্থাৎ ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে তেমন মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই এই ফোনটির ক্ষেত্রে।

শাওমি রেডমি নোট ১০ লাইট (Xiaomi Redmi Note 10 Lite)

শাওমি রেডমি নোট ১০ লাইট (Xiaomi Redmi Note 10 Lite)

এ যাবতকালে যারা মোবাইল বাজারে খোঁজ রাখছেন তাদের সককেই শাওমি রেডমি নোট ১০ ফোনটিকে চেনেন। বহুল প্রচলিত এই ফোনটির একটি লাইট ভার্সন অবশেষে শাওমি বাজারে এনেছে৷ ২রা অক্টোবর ভারতের বাজারে মুক্তি পায় শাওমি রেডমি নোট ১০ লাইট।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬৫.৮ × ৭৬.৭ × ৮.৮ মিলিমিটার (৬.৫৩ × ৩.০২ × ০.৩৫ ইঞ্চি)।
ওজনঃ২০৯ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১০। এমআই ইউআই ১১।
ডিসপ্লের ধরনঃআইপিএস এলসিডি।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৬৭ ইঞ্চি, ১০৭.৪ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৪.৫% জুড়ে স্ক্রিন)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল (৩৯৫ পিপিআই ঘনত্ব)।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(২ × ২.৩ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৬৫ গোল্ড,

৬ × ১.৮ গিগা হার্টজ ক্রায়ো ৪৬৫ সিলভার।)

জিপিইউঃঅ্যাড্রেনো ৬১৮।
চিপসেটঃকোয়ালকম এসএম ৭১২৫ স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি (৮ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি।
এক্সটারনাল মেমোরিঃমাইক্রো এসডি কার্ড।
র‍্যামঃ৪ জিবি, ৬ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ৪৮ মেগাপিক্সেল (পিডিএএফ) + ৮ মেগাপিক্সেল (১১৯ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড) + ৫ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) + ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ)।
সেলফি ক্যামেরাঃ১৬ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়ামি পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৫০২০ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃঅরোরা ব্লু, গ্লেসিয়ার হোয়াইট, ইন্টারস্টেলার ব্ল্যাক, শ্যাম্পেন গোল্ড।
রিলিজ ডেটঃ২ অক্টোবর, ২০২১। 
মূল্যঃ ২২৯৯৯ সম্ভাব্য (আনঅফিসিয়াল)। 

এই মোবাইলটি শাওমির অন্যান্য মিড রেঞ্জ মোবাইলের মতই দাম অনুযায়ী মোটামুটি অলরাউন্ডার বলা চলে। এতে থাকা স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি এর কল্যাণে আপনি নির্ভেজাল ভাবেই যেকোনো আ্যপ চালাতে পারবেন। মিডিয়াম বা হাই সেটিংস এ গেমও খেলতে পারবেন। একইসাথে এর ক্যামেরাটিও বেশ ভাল। আলকোজ্জ্বল দিনে যেমন ভাল ছবি তুলতে পারে, তেমনি কম আলোতেও এর ছবি বেশ ভালই হয়। এছাড়াও ক্যামেরার ফোকাসিং ও বেশ দ্রুত এবং ছবিগুলোও আসে স্মুথ। অপরদিকে ৫০০০ মিলি আ্যম্পেয়ারের ব্যাটারির সাপেক্ষে এর ব্যাটারি ব্যাক আপও দারুণ। টানা ৮ ঘন্টা গেমিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং ব্যাকআপ পাবেন এই ফোনটিতে। সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক দুইদিন চলবে অনায়েসে। তবে চার্জিং টাইমের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে ফোনটি। সম্পূর্ণ চার্জ হতে এর প্রয়োজন পড়ে আড়াই ঘন্টার। সব মিলিয়ে বাজেট অনুযায়ী ফোনটিকে ভালই বলা চলে।

শাওমি রেডমি ১০ প্রাইম (Xiaomi Redmi 10 Prime)

শাওমি রেডমি ১০ প্রাইম (Xiaomi Redmi 10 Prime)

শাওমির লো বাজেট সিরিজ হলো রেডমি। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে এ সিরিজই তাই বেশি জনপ্রিয়। প্রতিবার রেডমি ও রেডমি নোট সিরিজ একইসাথে বাজারে আসলেও এবারে তার ব্যাতিক্রম হয়েছে। শাওমি রেডমি নোট ১০ এর অনেক পরে বাজারে প্রবেশ করেছে শাওমি রেডমি ১০। সেটারই প্রাইম ভার্সনটিকে নিয়ে করছি আলোচনা।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬১.২ × ৭৫.৬ × ৯.৬ মিলিমিটার (৬.৩৫ × ২.৯৮ × ০.৩৮ ইঞ্চি)।
ওজনঃ১৯২ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১১, এমআই ইউআই ১২.৫।
ডিসপ্লের ধরনঃএলসিডি, ৯০ হার্টজ।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২ বর্গ সেন্টিমিটার। (বডির ৮৩.৭% জুড়ে ডিসপ্লে)
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ ১০৮০ × ২৪০০ পিক্সেল (৪০৫ পিপিআই ঘনত্ব)।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(২ × ২.০ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৭৫,

৬ × ১.৮ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৫৫)।

জিপিইউঃমালি-জি৫২ এমসি২।
চিপসেটঃমিডিয়াটেক হেলিও জি৮৮ (১২ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি। (ইএমএমসি ৫.১)
এক্সটারনাল মেমোরিঃমাইক্রো এসডি কার্ড।
র‍্যামঃ৪ জিবি, ৬ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ৫০ মেগাপিক্সেল (পিডিএএফ) + ৮ মেগাপিক্সেল (১২০ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড) + ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) + ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ)।
সেলফি ক্যামেরাঃ৮ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৬০০০ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং। ৯ ওয়াট রিভার্স চার্জিং।
রংঃআ্যস্ট্রাল হোয়াইট, বিটফ্রস্ট ব্লু, ফ্যান্টম ব্ল্যাক।
রিলিজ ডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১। 
মূল্যঃ ৪ + ৬৪ জিবি – ১৮০০০ টাকা (আনঅফিসিয়াল)।

শাওমি রেডমি ১০ প্রাইম মোবাইলটি একদম লো বাজেট হলেও একদম নিম্ন কাতারে নয়। বরং এন্ট্রি লেভেল থেকে সামান্য উপরের দিকে ফোনগুলো যারা ব্যবহার করতে চান তাদের জন্যই এই ফোনটি। এতে উপস্থিতি মিডিয়াটেক জি৮৮ চিপসেট সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোটামুটি সকল আ্যপই আরামসে চালাতে পারবেন। পাবজি, কল অফ ডিউটির মতো গেমগুলোও খেলতে পারবেন মিডিয়াম সেটিংসে। গেম খেলার সময় এর গ্রাফিক্স কার্ডটিও কিছু অতিরিক্ত ফ্রেম রেট দেবে আপনাকে।

সেই ফ্রেম রেটের স্বার্থক ব্যবহার করতেই এই ফোনটিতে রয়েছে ৯০ হার্টজ এর একটি ডিসপ্লে। লো বাজেটের ফোনে এটি একটু দুর্লভ বৈকি। তবে স্বাভাবিক ভাবে এটির ডিসপ্লে ৬০ হার্টজ এ নির্ধারণ করা থাকে। আপনি চাইলে তা বাড়িয়ে ৯০ অবধি নিতে পারবেন। সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর ৬০০০ মিলি আ্যম্পেয়ার ব্যাটারি সারাদিনই আপনাকে ভাল ব্যাকআপ দেবে। এছাড়াও এর ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সাধারণ ছবি তোলার চাহিদা মেটাবে বেশ ভাল ভাবেই। তবে এর বডিটি প্লাস্টিকের তৈরি এবং গ্লসি ফিনিশিং থাকার কারণে প্রচুর আঙ্গুলের ছাপ পড়ে। তাই ফোনটিকে সুদর্শন রাখতে চাইলে একে পরিষ্কার করতে বেশ ভাল সময়ই ব্যয় হবে আপনার।

শাওমি পোকো এম৩ প্রো ৫জি (Xiaomi Poco M3 Pro 5G)

শাওমি পোকো এম৩ প্রো ৫জি (Xiaomi Poco M3 Pro 5G)

শাওমি পোকো এম৩ লো বাজেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফোনগুলোর একটি। হার্ডওয়্যারের দিক থেকে বাজেট অনুযাহী সেরা সেই ফোনটির উত্তরসূরী হলো পোকো এম৩ প্রো ৫জি।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬১.৮ × ৭৫.৩ × ৮.৯ মিলিমিটার (৬.৩৭ × ২.৯৬ × ০.৩৫ ইঞ্চি)।
ওজনঃ১৯০ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১১, এমআই ইউআই ১২।
ডিসপ্লের ধরনঃআইপিএস লেড, ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৩.৭% জুড়ে ডিসপ্লে)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ১০৮০ × ২৪০০ (৪০৫ পিপিআই ঘনত্ব)।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(২ × ২.২ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৭৬,

৬ × ২.০ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৫৫)।

জিপিইউঃমালি জি৫৭ এমসি২।
চিপসেটঃমিডিয়াটেক এমটি ৬৮৩৪ ডাইমেনসিটি ৭০০ ৫জি (৭ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি।
এক্সটারনাল মেমোরিঃমাইক্রো এসডি
র‍্যামঃ৪জিবি, ৬জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ৪৮ মেগাপিক্সেল (পিডিএএফ) + ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) + ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ)।
সেলফি ক্যামেরাঃ৮ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৫০০০ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
রংঃপোকো ইয়েলো, পাওয়ার ব্ল্যাক, কুল ব্লু।
রিলিজ ডেটঃ ২২ মে, ২০২১। 
মূল্যঃ ৬ + ১২৮ জিবি – ২৩০০০ (অফিসিয়াল)। ৪ + ৬৪ জিবি – ১৮০০০ (আনঅফিসিয়াল)। ৬ + ১২৮ জিবি – ২০৫০০ (আনঅফিসিয়াল)। 

শাওমি পোকো এম৩ এর সাথে এম৩ প্রো ৫জি এর পার্থক্য মূলত তিন যায়গায়। এদের ডিসপ্লে, চিপসেট এবং ব্যাটারিতে পার্থক্যগুলো লক্ষ্য করা যায়। ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এম৩ ও এম৩ প্রো দুটিই ১০৮০ পিক্সেল সম্বলিত ডিসপ্লে হলেও এম৩ প্রো এর ডিসপ্লেটি ৯০ হার্টজ এর। ফলে গেমিং এর ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও এম৩ তে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৮ যেখানে এম৩ প্রোতে রয়েছে ডাইমেনসিটি ৭০০। যা স্ন্যাপড্রাগন ৭৩০জি এর সমতুল্য। তবে দুঃখজনক ভাবে ব্যাটারিরি দিক দিয়ে প্রো ভার্সনটি পিছিয়ে রয়েছে। এম৩ তে ৬০০০ মিলি আ্যম্পেয়ারের ব্যাটারি থাকলেও এম৩ প্রোতে রয়েছে ৫০০০ মিলি আ্যম্পেয়ারের ব্যাটারি। তবে দারুণ ডিজাইন, সলিড বিল্ট কোয়ালিটি, গুড লুকস এবং মোটামুটি ভাল পারফর্মেন্স এর জন্য অনেকের হাতেই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পোকো এম৩ প্রো ৫জি।

শাওমি পোকো সি৩১ (Xiaomi Poco C31)

শাওমি পোকো সি৩১ (Xiaomi Poco C31)

আপনার বাজেট যদি বেশ কম হয়ে থাকে কিন্তু আপনি একটি ভাল ব্র‍্যান্ডের ফোন কিনতে চান সেক্ষেত্রে শাওমি পোকো সি৩১ আপনার জন্য হতে পারে একটি ভাল অপশন। দৈনিক সাধারণ কাজগুলো এই ফোনটির সাহায্যে ঠিক ভাবেই করতে পারবেন আপনি।

স্পেসিফিকেশন এবং দামঃ

বডি ডাইমেনশনসঃ ১৬৪.৯ × ৭৭.১ × ৯ মিলিমিটার (৬.৪৯ × ৩.০৪ × ০.৩৫ ইঞ্চি)।
ওজনঃ১৯৪ গ্রাম।
নেটওয়ার্কঃ২জি, ৩জি, ৪জি।
অপারেটিং সিস্টেমঃঅ্যান্ড্রয়েড ১০, এমআই ইউআই ১২।
ডিসপ্লের ধরনঃআইপিএস এলসিডি।
ডিসপ্লের আকারঃ৬.৫৩ ইঞ্চি, ১০২.৯ বর্গ সেন্টিমিটার। (বডির ৮১% জুড়ে ডিসপ্লে)।
ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ৭২০ × ১৬০০ পিক্সেল (২৬৯ পিপিআই ঘনত্ব)।
সিপিইউঃঅক্টা-কোর

(৪ × ২.৩ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৫৩,

৪ × ১.৮ গিগা হার্টজ কর্টেক্স এ৫৩)।

জিপিইউঃপাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০।
চিপসেটঃমিডিয়াটেক এমটি ৬৭৬৫জি হেলিও জি৩৫ (১২ ন্যানোমিটার)।
ইন্টারনাল মেমোরিঃ৩২ জিবি, ৬৪ জিবি (ইএমএমসি ৫.১)।
এক্সটারনাল মেমোরিঃমাইক্রো এসডিএক্স।
র‍্যামঃ৩ জিবি, ৪ জিবি।
মূল ক্যামেরাঃ১৩ মেগাপিক্সেল (পিডিএএফ) + ২মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) + ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ)।
সেলফি ক্যামেরাঃ৫ মেগাপিক্সেল।
ব্যাটারিঃ লিথিয়াম পলিমার, অপরিবর্তনীয়। ৫০০০ মিলি আ্যম্পেয়ার।
চার্জিংঃ১০ ওয়াট চার্জিং।
রংঃরয়্যাল ব্লু, শ্যাডো গ্রে।
রিলিজ ডেটঃ২ অক্টোবর, ২০২১। 
মূল্যঃ  ১০০০০ (আনঅফিসিয়াল)। 

এই ফোনটি যেহেতু এন্ট্রি বাজেটের ফোন তাই স্বভাবতই এতে একটি এন্ট্রি লেভেলের চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। মিডিয়াটেক জি৩৫ চিপসেটটি বেশ পুরোনো হলেও সাধারণ কাজ সম্পন্ন করতে এর কোনো সমস্যা হয় না। এছাড়াও সাধারণ গেমগুলো খেলতেও তেমন একটি বেগ পেতে হবে না। এছাড়াও এর রয়েছে ৫০০০ মিলি আ্যম্পেয়ারের ব্যাটারি যা এর ৭২০ পিক্সেলের স্ক্রিনের বদৌলতে বেশ দীর্ঘক্ষণ ব্যাকআপ দেয়। হাতে টাকা না থাকলে অথবা একটি ব্যাকআপ ফোন কিনতে চাইলে কিনে ফেলতে পারেন এই ফোনটি।

শেষকথা

শুধু ভারত, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে নয় বরং শাওমি এখন ব্র্যান্ড হিসেবে সুনাম কুড়াচ্ছে সারা বিশ্বেই। এছাড়াও আফটার সেলস সার্ভিস এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তারা। যদিও সফটওয়্যারজনিত কারণে ব্যবহারকারীরা কিছুটা সমস্যায় ভুগছেন। তবে প্রতিটি ব্র্যান্ডেরই ভাল খারাপ দিক থাকে। আশা করি শাওমি সেসব সমস্যা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে। তবে এ কথা বলতেই হবে যে, কিছুটা স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশের মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে শাওমির অবদান অনস্বীকার্য।

 

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button