গ্রাফিক্স ডিজাইনটিপসটেকনোলজি

সেরা ১০টি অনলাইন ফটো এডিটর

আপনার হাতে থাকা একটা মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করবেন বা হয়তো নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার স্টোরিতে। কিন্তু দেখলেন আপনার ছবিতে কিছু একটা ঠিক নেই। যেমন ধরুন ছবির সাইজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টের মতো নয় বা ছবিতে আলোর পরিমাণ আপনার বেশি লাগছে বা ছবির কোনো অংশে কালার অভার-স্যাচুরেটেড (Over saturated) লাগছে বা কোনো অংশ হয়তো বেশি অন্ধকার লাগছে। এখন ছবিটার এই বিষয়গুলো ঠিক করে ছবির আসল সৌন্দর্য যখন আপনি বের করে আনতে চাইবেন তখনই আপনার প্রয়োজন হবে এডিটিং এর। এই এডিটিং এর মাধ্যমেই আপনি বের করে আনতে পারেন একটি ছবির মাঝে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য। ফটো এডিটিং এর জন্য অনেক সফটওয়্যার, মোবাইল এপ্লিকেশন, অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে। আপনার সুবিধামতো এগুলোর যেকোনো একটি মাধ্যম দিয়েই আপনি আপনার ছবির কাঙ্ক্ষিত এডিটিং করে ফেলতে পারেন। তবে আপনি যদি কোনো সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন ইন্সটল না করেই আপনার ছবি এডিট করে ফেলতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতি হলো “অনলাইন ফটো এডিটর”। চলুন আজ তাহলে কিছু অনলাইন ফটো এডিটর নিয়ে জানা যাক।

সূচিপত্রঃ

অনলাইন ফটো এডিটর কি?

সেরা ১০টি অনলাইন ফটো এডিটর

অনলাইন ফটো এডিটিং বলতে বোঝায় ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ওয়েব-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবিগুলোকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা, প্রযুক্তিগত গুণাবলী সামঞ্জস্য করা, রূপান্তর বা পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া। অনলাইন ফটো এডিটিং ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে কোনো সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন ডাউনলোড বা ইনস্টল করা ছাড়াই ছবি এডিট করা যায়। অনলাইন ফটো এডিটিং এর মাধ্যমে ছবির কালার (Colour), এক্সপোজার (Exposer) এবং শার্পনেস (Sharpness), ছবি ক্রপ (Crop) করা, সাইজ পরিবর্তন করা, ফিল্টার (Filter) ও ইফেক্ট (Effect) প্রয়োগ করা, অবজেক্ট (Object) অপসারণ করা, টেক্সট (Text) বা গ্রাফিক্স (Graphics) যোগ করাসহ আরও অনেক কাজ করা যায়। ব্যবহারকারীরা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের মতো বিভিন্ন ডিভাইসে তাদের ওয়েব ব্রাউজারগুলোর মাধ্যমে অনলাইন ফটো এডিটর ব্যবহার করতে পারে। অনলাইন ফটো এডিটর গুলো বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে। এতে করে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ব্যবহারকারীরা তাদের ছবি যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় এডিট করতে পারে। 

অনলাইন ফটো এডিটরের সুবিধা এবং অসুবিধা

অনলাইন ফটো এডিটরগুলো সহজে ছবি এডিট এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই এডিটরগুলো আমাদের ছবিগুলিকে এডিট এবং উন্নত করার উপায় অনেক সহজ করে দিয়েছে। যেকোনো প্রযুক্তির মতো, অনলাইন ফটো এডিটরগুলোরও সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।

সুবিধাসমূহ 

  • অনলাইন ফটো এডিটরগুলো ইন্টারনেট সংযোগ এর মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে, যেকোনো কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে ব্যবহার করা যায়।
  • কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হয় না। অনলাইন ফটো এডিটরগুলো ডিভাইসে সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় না, স্টোরেজ স্পেস বাঁচায় এবং দ্রুত ব্যবহার করা যায়
  • প্রায় সব অনলাইন ফটো এডিটর বিনামূল্যে ব্যবহার করে ছবির আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা যায়।
  • বেশ কিছু অনলাইন ফটো এডিটর একসাথে অনেক কে এডিট করার অনুমতি দেয়। এটি একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য একই প্রকল্পে কাজ করা সহজ করে তোলে।

অসুবিধাসমূহ 

  • অ্যাডোব ফটোশপের মতো পেশাদার ডেস্কটপ সফটওয়্যারের তুলনায় অনলাইন ফটো এডিটরগুলোর অনেক ম্যানুয়াল এডিট অপশন থাকে না।
  • অনলাইন ফটো এডিটগুলোর ব্যবহার করার জন্য একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। ধীর ইন্টারনেট গতি এডিট করার কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
  • অনলাইনে ছবি আপলোড করা এবং এডিট করা ব্যবহারকারীদের জন্য গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে বিশেষ করে তাদের জন্য যারা ইন্টারনেটে নিজেদের ছবি শেয়ার করার বিষয়ে সতর্ক।
  • কিছু কিছু অনলাইন ফটো এডিটর এ ফাইল ফরম্যাটের সীমাবদ্ধতা থাকে, যা নির্দিষ্ট ইমেজ ফাইলের এডিট করায় বাঁধার সৃষ্টি করে। 

জনপ্রিয় অনলাইন ফটো এডিটরসমূহ

বর্তমান বিশ্বে ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই সেরা অনলাইন ফটো এডিটর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ব্যপকভাবে উপলব্ধি করা যাচ্ছে। পেশাদার এবং উৎসুক ব্যবহারকারী উভয়ই তাদের ছবিগুলিকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত এবং অনেক ভালো ফটো এডিটিং এর জন্য বেশকিছু অনলাইন ফটো এডিটর সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা যাক।

এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express)

এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express)

এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express) হলো জনপ্রিয় Adobe Photoshop সফটওয়্যারের একটি সাধারণ ভার্সন, যা দ্রুত এবং সহজে ছবি এডিট করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি iOS এবং Android উভয় ডিভাইসের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এই মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজেই ছবি এডিট করা যায়। এডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস (Adobe Photoshop Express) এর মাধ্যমে ছবিকে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরণের টুলস (Tools) রয়েছে।

ফিচারস 

বেসিক এডিটিং টুলস: ক্রপ (Crop), রোটেট (Rotate) এবং এক্সপোজার (Exposer), কনট্রাস্ট (Contrast) এবং স্যাচুরেশন (Saturation) এর কাজ করা যায়।

ফিল্টার এবং ইফেক্ট: ছবি আরও উন্নত করতে ফিল্টার(Filter) এবং ইফেক্ট (Effect) ব্যবহার করা যায়।

অবজেক্ট অপসারণ: ছবি থেকে সহজেই দাগ এবং কোনো অবজেক্ট (Object) অপসারণ করা যায়।

বর্ডার এবং ফ্রেম: ছবিগুলোতে বর্ডার এবং ফ্রেম যুক্ত করা যায়।

টেক্সট ওভারলে: স্টাইলিশ গ্রাফিক্স তৈরি করতে বা ছবিতে লেখা যোগ করতে টেক্সট(Text) এবং ক্যাপশন টুলস(Tools) ব্যবহার করা যায়।

সুবিধাসমূহ 

  • ফটোশপ এক্সপ্রেসের মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ এবং খুব সহজে ছবি এডিট করা যায়।
  • ইন্টারফেস সহজবোধ্য। 

অসুবিধাসমূহ 

  • ফটোশপের ডেস্কটপ ভার্সন এর তুলনায় ফটোশপ এক্সপ্রেসে এডিট করার টুলস (Tools) এবং ফিচারসগুলো সীমিত।
  • প্রিমিয়াম ভার্সনের জন্য একটি সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন হয়, যা কিছু ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

প্রিমিয়াম ভার্সন

ফটোশপ এক্সপ্রেস এর ফটোশপ এক্সপ্রেস প্রিমিয়াম নামে একটি প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। যা সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এর মূল্য বিভিন্ন প্লান অনুযায়ী বিভিন্নরকম। যেমন মাসিক ৪.৯৯ ডলার, প্রথম বছরের জন্য বার্ষিক ৯.৯৯ ডলার ও পরবর্তীতে বার্ষিক ৩৪.৯৯ ডলার। ফটোশপ এক্সপ্রেস এর অ্যাপটি মোবাইল অ্যাপ স্টোর এবং Windows 10-এর অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যায় কিন্তু macOS, Amazon Fire ট্যাবলেট বা Chrome OS-এর জন্য কোনও অ্যাপ পাওয়া যায় না। প্রিমিয়াম ভার্সনে সাধারণ ভার্সন এর থেকেও আরও বিভিন্ন টুলস (Tools) ব্যবহার করা যায়। যেমন নয়েজ রিডাকশন, উন্নত এডিট টুলস (Tools) এবং আরও ক্রিয়েটিভ ইফেক্ট (Effect)। যেসব ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত ক্ষমতার এডিট প্রয়োজন তারা প্রিমিয়াম ভার্সনের জন্য একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা পায়।

মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড লিংকঃ https://www.adobe.com/products/photoshop-express.html এই লিংকে গেলে আপনি প্রাপ্ত QR Code আপনার মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে স্ক্যান করে ফটোশপ এক্সপ্রেস এর অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। 

ক্যানভা (Canva)

ক্যানভা (Canva)

ক্যানভা একটি অনলাইন গ্রাফিক ডিজাইন এবং ফটো এডিটিং প্লাটফর্ম যেখানে সহজেই ছবি এডিট করা যায়। এখানে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন করতে বিভিন্ন ডিজাইনের তৈরি টেমপ্লেট পাওয়া যায়। যা সহজেই কাস্টমাইজযোগ্য। এখানে ছবি এডিট করার জন্য সাধারণ ফিচারসগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের এডিট টুলস (Tools) পাওয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স, পোস্টার ডিজাইন করা যায়। এছাড়াও ছবিগুলোকে এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার মতো করে ফেলা যায়।

ফিচারস

টেমপ্লেট: ক্যানভাতে অনেক রকম পেশাদার টেমপ্লেট পাওয়া যায়। যেগুলো ব্যবহার করে অনেক আকর্ষনীয় ডিজাইন করা যায়।  

কাস্টমাইজেশন: এখানে রং, ফন্ট (Font), ব্যাকগ্রাউন্ড (Background) পরিবর্তন করা যায় এবং নিজস্ব ছবি বা টেক্সট (Text) যোগ করে সহজেই টেমপ্লেট কাস্টমাইজ (Template Customize) করা যায়।

কোলাবোরেশন: ক্যানভাতে একাধিক ব্যবহারকারী একত্রে একটি প্রকল্পে কাজ করতে পারে।

সুবিধাসমূহ 

  • দ্রুত এবং সহজ ডিজাইন তৈরির জন্য টেমপ্লেট (Template), ইলিমেন্টস (Elements), ইমেজ (Image), আইকন (Icon) এবং স্টক ফটো (Stock photo) এর সমাহার। 
  • কোলাবোরেশন (Collaboration) করে কাজ করার সুবিধা
  • একাধিক ডিভাইস জুড়ে ব্যবহারযোগ্য।
  • নতুন এবং পেশাদার উভয় ব্যবহারকারীদের জন্য সহজভাবে ব্যবহারযোগ্য।

অসুবিধাসমূহ 

  • কিছু উন্নত ফিচারস (Features) এবং ইলিমেন্টস (Elements) ব্যবহার এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হয়।
  • নির্দিষ্ট ডিজাইনের জন্য কাস্টমাইজেশন সীমিত করা রয়েছে।
  •  ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া ব্যবহার করা যায় না।

প্রো ভার্সন 

ক্যানভা (Canva) তাদের ক্যানভা প্রো (Canva Pro) নামে একটি সাবস্ক্রিপশন মডেল রেখেছে, যেখানে বেশ কিছু অতিরিক্ত ফিচারস (Features) এবং সুবিধা রয়েছে। ক্যানভা প্রো (Canva Pro) সাবস্ক্রিপশনের খরচ নির্ধারিত মডেল (মাসিক বা বার্ষিক) এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। ক্যানভা প্রো তে একজন ব্যবহারকারীর জন্য বছরে ৫৪.৯৯ ডলার খরচ পড়ে। ক্যানভা প্রো-এর মূল ফিচারসগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়াম ইলিমেন্টস এবং টেমপ্লেটগুলো ব্যবহারের সুবিধা, ডিজাইনের সাইজ পরিবর্তন করার সুবিধা। উন্নত ডিজাইনের টুলস (Tools) এবং কাস্টম ফন্ট ব্যবহার করার সুবিধা।

লিংকঃ https://www.canva.com/ 

ফটোর (Fotor)

ফটোর (Fotor)

ফটোর (Fotor) একটি অনলাইন ফটো এডিটিং প্ল্যাটফরম যেখানে ছবিগুলোকে উন্নতভাবে এডিট করার জন্য বিভিন্ন ফিচারস (Features) রয়েছে। এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসের (User friendly interface) সাথে পেশাদার-স্তরের এডিট করার ক্ষমতাগুলোকে একত্রিত করে এবং নতুন ও পেশাদার উভয় ব্যবহারকারীর জন্য ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। 

ফিচারস

এডিট টুলস: ফোটরে এক্সপোজার (Exposer) সামঞ্জস্য, কালার কারেকশন, ক্রপিং (Cropping) সহ অনেক ধরনের এডিট টুলস(Tools) পাওয়া যায়।

ফিল্টার এবং প্রভাব: এখানে অসংখ্য ফিল্টার (Filter) এবং ইফেক্ট (Effect) রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ভাবে ছবিগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

কোলাজ মেকার: ফোটারে কাস্টমাইজযোগ্য টেমপ্লেট সহ একটি কোলাজ মেকার (Collage Maker) ফিচার রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের ফটো কোলাজ (Collage) তৈরি করতে সাহায্য করে।

ব্যাচ প্রসেসিং: ব্যবহারকারীরা একই সাথে একাধিক ফটোতে এডিট এবং ইফেক্ট (Effect) প্রয়োগ করতে পারে।

সুবিধাসমূহ 

  • সুবিধার জন্য মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায়।
  • HDR ফটোগ্রাফির মত বিশেষ ফিচারস (Features) ব্যবহার করা যায়।
  • দৃষ্টিনন্দন কোলাজ (Collage)  তৈরির জন্য কোলাজ মেকার (Collage Maker) এর সুবিধা রয়েছে।

অসুবিধাসমূহ 

  •  কিছু উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং প্রভাব শুধুমাত্র প্রো ভার্সন ব্যবহার করতে হয়।

প্রো ভার্সন

ফটোর (Fotor) এর Fotor Pro ও Fotor Pro+ নামে প্রো ভার্সন রয়েছে, যেখানে আলাদা অনেক ফিচারস (Features) এবং সুবিধা রয়েছে। Fotor Pro-এর খরচ নির্ধারিত পরিকল্পনার (মাসিক, বার্ষিক বা জীবনকাল) উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। ফটোর এর তিনটি ভাবে পাওয়া যায়- বেসিক, প্রো এবং প্রো+। Fotor Basic হল একটি বিনামূল্যের প্ল্যান যেখানে অনেক ফিচারস (Features) রয়েছে। Fotor Pro এর খরচ ৮.৯৯ ডলার মাসিক এবং ৩৯.৯৯ ডলার বার্ষিক। এটি বিজ্ঞাপন-মুক্ত এবং ১ লাখেরও বেশি টেমপ্লেট এবং ডিজাইন রয়েছে, ২০০+ ফটো ইফেক্ট (Effect), কোলাজ (Collage) লেআউট (Collage layout) এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। Fotor Pro+ এর দাম ১৯.৯৯ ডলার/প্রতি মাসে বা ৮৯.৯৯ ডলার/প্রতি বছর। 

ফটোর লিংকঃ https://www.fotor.com/

পিক্সেলআর (Pixlr)

পিক্সেলআর (Pixlr)

পিক্সেলআর (Pixlr) হলো একটি অনলাইন ফটো এডিটিং প্লাটফর্ম যেখানে ছবিগুলোকে আরও সুন্দর করে এডিট করার জন্য বিভিন্ন ফিচারস (Features) রয়েছে। এর ইন্টারফেস ইউজার-ফ্রেন্ডলি। এটি নতুন এবং পেশাদার উভয় ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত।                                                                       

ফিচারস 

এডিট টুলস: পিক্সেলআর (Pixlr) এ এক্সপোজার (Exposer), কালার এবং শার্পনেস (Sharpness) ঠিক করার জন্য, সেইসাথে ছবিগুলো ক্রপ (Crop) করা, সাইজ পরিবর্তন করা এবং রোটেট (Rotate) করার জন্য বিভিন্ন এডিট টুলস(Tools) রয়েছে।

ফিল্টার এবং ইফেক্ট: ছবিগুলো আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে অনেক ফিল্টার(Filter) ও ইফেক্ট(Effect) রয়েছে।

লেয়ার এর সুবিধা: পিক্সেলআর (Pixlr) প্ল্যাটফর্মের লেয়ার সুবিধা রয়েছে।

টেক্সট এবং ওভারলে: ব্যবহারকারীরা তাদের ছবিগুলোতে টেক্সট (Text), ওভারলে (Overlay) যুক্ত করতে পারে। এছাড়াও কাস্টমাইজেশন এবং গ্রাফিক ডিজাইনের ও কাজ করা যায়।

কোলাজ মেকার: পিক্সেলআর (Pixlr) -এ একটি কোলাজ মেকার এর ফিচারস রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের কাস্টমাইজযোগ্য লেআউট ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ফটো কোলাজ (Collage) তৈরি করতে সাহায্য করে।

সুবিধাসমূহ 

  • অনেক এডিট টুলস (Tools) এবং ইফেক্ট (Effect) রয়েছে। তাছাড়া এর ইন্টারফেস অত্যন্ত ইউজার ফ্রেন্ডলি।
  •  মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।
  • লেয়ার ব্যবহার করে এডিট করার সুবিধা রয়েছে।

অসুবিধাসমূহ 

  •  ইন্টারফেস ডিজাইন এবং নেভিগেশন কিছু ব্যবহারকারীদের জন্য একটু কঠিন হতে পারে।
  • কিছু বিশেষ ফিচারস (Features) এবং ইফেক্ট (Effect) শুধুমাত্র প্রিমিয়াম ভার্সন এর জন্য পাওয়া যায়।
  •  RAW ফাইল এডিট করার জন্য ব্যবহার সীমিত।

প্রো ভার্সন

পিক্সেলআর(Pixlr) এর Pixlr Premium নামে একটি প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। যা বেশ কিছু ফিচাস ও টুলস (Tools) ব্যবহার করতে দেয়। Pixlr Premium-এর খরচ নির্ধারিত প্ল্যান (মাসিক, বার্ষিক বা জীবনকাল) এর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। Pixlr ব্যক্তি এবং দলের জন্য প্রিমিয়াম প্ল্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মাসিক এবং বার্ষিক পরিকল্পনা সহ একটি সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক সফটওয়্যার। একজন ব্যক্তির জন্য, প্রিমিয়াম প্ল্যানের দাম প্রতি মাসে ৭.৯৯ ডলার বা প্রতি মাসে ৪.৯০ ডলার ধরে, বার্ষিক বিল করা হয়। প্রিমিয়াম ইন্ডিভিজুয়্যাল প্ল্যানের জন্য একটি বিনামূল্যে ৩০- দিনের ট্রায়াল পাওয়া যায়। Pixlr Premium-এর মূল ফিচারসগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশেষ কিছু টুলস (Tools), অতিরিক্ত ফিল্টার (Filter) এবং ইফেক্ট (Effect) এর সুবিধা। এছাড়াও আরও নানা সুবিধা রয়েছে।

লিংকঃ https://pixlr.com/

বিফাঙ্কি (BeFunky)

বিফাঙ্কি (BeFunky)

বিফাঙ্কি (BeFunky) একটি ওয়েব-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ছবি আপলোড করতে পারে এবং বিভিন্ন টুলস (Tools) এবং ইফেক্ট (Effect) ব্যবহার করে সেগুলো এডিট করতে পারে। এখানে এক্সপোজার (Exposer), কালার এবং শার্পনেস (Sharpness) ব্যাল্যান্স করা যায়। এছাড়াও ক্রপিং, রিসাইজিং এবং রিটাচিংয়ের (Retouching) জন্য টুলসগুলোর কাজও এখানে করা যায়। বিফাঙ্কি (BeFunky) তে ছবি এডিট করে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট (Effect), ফিল্টার, ওভারলে(Overlay) এবং ফ্রেম পাওয়া যায়। বিফাঙ্কি (BeFunky) মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় ডিভাইসেই ব্যবহার করা যায়। ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজারগুলোর মাধ্যমে বিফাঙ্কি (BeFunky) ব্যবহার করা যায়, ডিভাইস জুড়ে একটি নির্বিঘ্ন সম্পাদনার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

ফিচারস 

এডিট টুলস: বিফাঙ্কি (BeFunky) সাধারণত এডিট করার জন্য সবধরণের এডিট টুলসই রয়েছে।

কোলাজ মেকার: এতে কাস্টমাইজযোগ্য টেমপ্লেট এবং লেআউট সহ একটি কোলাজ (Collage) মেকার ফিচার (Feature) রয়েছে।

গ্রাফিক ডিজাইন টুলস: বিফাঙ্কি (BeFunky)-তে গ্রাফিক ডিজাইনের সুবিধা পাওয়া যায়।

ফিল্টার এবং ইফেক্ট: ছবিতে ফিল্টার(Filter), ইফেক্ট(Effect), ওভারলে (Overlay) এবং টেক্সচারের ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।

টেক্সট এবং ফন্ট: ব্যবহারকারীরা টেক্সট (Text) যোগ করতে পারেন এবং তাদের ছবিতে ব্যবহৃত টেক্সট (Text) এর জন্য নিজে ফন্ট বাছাই করতে পারেন

সুবিধাসমূহ 

  • অসংখ্য এডিটিং এবং ডিজাইন টুলস (Tools) ব্যবহার করা যায়।
  • মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় উভয় ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। 
  • ফিল্টার (Filter), ইফেক্ট (Effect), ওভারলে (Overlay) এবং ফন্ট ব্যবহার করা যায়।

অসুবিধাসমূহ 

  • কিছু ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং অসংখ্য টুলস(Tools) এর ব্যবহার কে কঠিন মনে করতে পারেন।

প্রো ভার্সন

বিফাঙ্কি (BeFunky) এর BeFunky Plus নামে একটি প্রো ভার্সন রয়েছে। BeFunky Plus-এর খরচ নির্ধারিত প্ল্যান (মাসিক, বার্ষিক, বা এককালীন অর্থপ্রদান) এর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। BeFunky Plus এর দাম প্রতি মাসে ৩.৪৯ ডলার এবং প্রতি বছর ৩৪.৬৮ ডলার। BeFunky Plus-এর মূল ফিচারসগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়াম ডিজাইন টেমপ্লেট, আরও অনেক ফিল্টার (Filter) এবং ইফেক্ট (Effect), হাই-রেজুলিউশন ডাউনলোড, বিজ্ঞাপন-মুক্ত এডিট করার সুবিধা।

লিংকঃ https://www.befunky.com/

পিক্সআর্ট (PicsArt)

পিক্সআর্ট (PicsArt)

পিক্সআর্ট (PicsArt) হল মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ যেখানে ফটো এডিটিং এর অস্নংখ্য টুলস (Tools) রয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের ছবি এডিট করতে, কোলাজ (Collage) তৈরি করতে সাহায্য করে। পিক্সআর্ট (PicsArt), iOS এবং Android উভয় ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের গ্যালারি থেকে ফটো আপলোড করতে পারে বা অ্যাপটিতেই নতুন করে ছবি তুলতে পারে। অ্যাপটি এক্সপোজার (Exposer), কালার এবং শার্পনেস(Sharpness) ব্যাল্যান্স করার যায়। পিক্সআর্ট (PicsArt) প্রাথমিকভাবে মোবাইল ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। 

ফিচারস 

ফটো এডিটিং টুলস: পিক্সআর্ট (PicsArt) এ ক্রপিং, রিটাচিং(Retouching) এবং সিলেক্টিভ এডিটিং সহ অনেক এডিটিং টুলস (Tools) ব্যবহার করা যায়।

কোলাজ মেকার: পিক্সআর্ট (PicsArt) এ কাস্টমাইজযোগ্য টেমপ্লেট ও লেআউট সহ একটি কোলাজ (Collage) মেকার ফিচারস (Features) রয়েছে।

ড্রয়িং টুলস: অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক তৈরি করতে বা তাদের ছবিতে কাস্টম চিত্র যোগ করার জন্য বিভিন্ন ড্রয়িং টুলস (Tools) এবং ব্রাশ পাওয়া যায়।

সুবিধাসমূহ 

  •  মোবাইল ডিভাইসের জন্য অপ্টিমাইজ করা এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস  (User friendly interface) রয়েছে।
  •  কোলাজ (Collage) মেকার এবং ড্রয়িং টুলস(Tools) রয়েছে।

অসুবিধা

  •  কিছু উন্নত ফিচারস (Features) প্রো ভার্সনের এর লক করা থাকে।
  •  মোবাইল অ্যাপের তুলনায় ওয়েব-ভিত্তিক ভার্সনে টুলস (Tools) এবং ব্যবহার খুবই সীমিত।

প্রো ভার্সন

পিক্সআর্ট (PicsArt) তাদের PicsArt Gold নামে একটি প্রো ভার্সন রেখেছে। PicsArt Gold এর খরচ নির্ধারিত প্ল্যান (মাসিক বা বার্ষিক) এর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। PicsArt Gold এর দাম প্রতি মাসে ৫ ডলার এবং প্রতি বছর ৬০ ডলার।

লিংকঃ https://picsart.com/

লুনাপিক (Lunapic)

লুনাপিক (Lunapic)

লুনাপিক (Lunapic) হল একটি অনলাইন ফটো এডিটিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছবি আপলোড করে কোনো ইনস্টলেশন ছাড়াই এডিট করা যায়। লুনাপিক (Lunapic)-এ ফিল্টার (Filter), কালার ব্যালান্স (Colour balance), অ্যানিমেশনসহ বিভিন্ন রকমের এডিট করা যায়। ব্যবহারকারীরা অসংখ্য এডিট টুলস (Tools) থেকে প্রয়োজনমতো টুলস(Tools) নিয়ে এডিট করতে পারে। যেমন ক্রপ (Crop) করা, সাইজ পরিবর্তন করা, রোটেশন, কালার ব্যাল্যান্স এবং এক্সপোজার (Exposer) ব্যাল্যান্স, টেক্সট (Text) অ্যাড, ফিল্টার (Filter) ও অ্যানিমেশন (Animation) তৈরি করা। লুনাপিক (Lunapic) একটি ওয়েব-ভিত্তিক ফটো এডিটির যা ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজারগুলোর মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এটির ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপ নেই, তবে ওয়েবসাইটটি মোবাইল ডিভাইসে ব্রাউজার এর মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।

ফিচারস 

ফিল্টার এবং ইফেক্ট: ছবিগুলো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন ধরণের ফিল্টার (Filter), ইফেক্ট (Effect) এবং অ্যানিমেশন ব্যবহার করা যায়।

ব্যাল্যান্স: ব্যবহারকারীরা তাদের ছবিগুলোর জন্য পছন্দমতো কালার, এক্সপোজার (Exposer), স্যাচুরেশন এবং অন্যান্য অপশন ব্যাল্যান্স করতে পারে।

টেক্সট এবং ওভারলে: ছবিতে টেক্সট (Text), স্টিকার (Sticker) এবং ওভারলে (Overlay) যুক্ত করা যায়।

অ্যানিমেশন তৈরি: এখানে একাধিক ফ্রেম একত্রিত করে অ্যানিমেশন ইফেক্ট (Effect) দিয়ে অ্যানিমেটেড ছবি তৈরি করা যায়।

সুবিধাসমূহ 

  • সহজে নেভিগেট এবং দ্রুত এডিট করার জন্য ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস রয়েছে। 
  •  লেয়ারের মাধ্যমে এডিট করার সুবিধা রয়েছে।
  •  কোনো সফটওয়্যার ইনস্টলেশনের প্রয়োজন নেই, এটি ইন্টারনেট সংযোগ সহ যেকোনো কম্পিউটার থেকে ব্যবহার করা যায়।

অসুবিধাসমূহ 

  • ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপের অভাবের কারণে মোবাইল ডিভাইসে অনেক টুলসই ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।
  •  কিছু এডিট টুলস(Tools) বিনামূল্যে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।

প্রো ভার্সন

লুনাপিক (Lunapic) একটি নির্দিষ্ট প্রো সংস্করণ বা প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন অফার করে না। মৌলিক সম্পাদনা বৈশিষ্ট্য এবং প্রভাব ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে পাওয়া যায়.

লিংকঃ https://www2.lunapic.com/editor/

ফটোপিয়া (Photopea)

ফটোপিয়া (Photopea)

ফটোপিয়া একটি শক্তিশালী ওয়েব-ভিত্তিক ফটো এডিটিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে পেশাদার ডেস্কটপ সফটওয়্যারের মতো অনেক বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন টুলস (Tools) ব্যবহার করা যায়। এখানে তাদের ছবি আপলোড, এডিট এবং সেভ করে রাখা যায়। এটির জনপ্রিয় ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যারের মতো লেআউট ব্যবহারসহ একটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস রয়েছে। ব্যবহারকারীরা কালার, এক্সপোজার (Exposer) ও লেয়ার (Layer), ফিল্টার (Filter), ইফেক্ট (Effect), রিটাচিং (Retouching), ক্রপিং (Cropping) এবং আরও অনেক টুলস(Tools) ব্যবহার করতে পারে। Photopea ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। 

ফিচারস 

অ্যাডভান্সড এডিটিং টুলস: অ্যাডজাস্টমেন্ট, সিলেকশন, লেয়ার, ব্লেন্ডিং মোড এবং আরও অনেক টুলস (Tools) ব্যবহার করা যায়।

ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট: এটি PSD (Adobe Photoshop), AI (Adobe Illustrator) এবং আরও অনেকগুলো ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট করে।

রিটাচিং এবং হিলিং টুলস: রিটাচিং (Retouching) এবং হিলিং (Healing) টুল ব্যবহার করা যায়।

সুবিধাসমূহ 

  • পেশাদার ডেস্কটপ সফটওয়্যারের মতো শক্তিশালী।
  •  বিভিন্ন ফাইল ফরম্যাট সমর্থন করে।
  •  জনপ্রিয় ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যারের মতো লেআউট ব্যবহার করে ছবি এডিট করা যায়।
  • লেয়ার ব্যবহার করে ছবি এডিট করা যায়।

অসুবিধাসমূহ 

  • ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপ না থাকার কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
  • কিছু বিশেষ টুলস(Tools) ব্যবহার করার জন্য উচ্চ স্তরের দক্ষতার প্রয়োজন হতে পারে।

প্রো ভার্সন

Photopea এর কোনো নির্দিষ্ট প্রো সংস্করণ বা প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেই।

লিংকঃ https://www.photopea.com/

পোলার (Polarr)

পোলার (Polarr)

পোলার (Polarr) একটি অনলাইইন ফটো এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন যা অপেশাদার এবং পেশাদার উভয়ের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য। পোলার উইন্ডোজ, ম্যাকওএস, লিনাক্স, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড সহ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম এ ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের ডিভাইসে সফটওয়্যার টি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারে।

ফিচারস 

অ্যাডভান্সড এডিটিং টুলস: এখানে এক্সপোজার (Exposer), কালার, টোন, বক্ররেখা এবং লেভেলের কাজ করা যায়।

ফিল্টার এবং ইফেক্ট: ছবি গুলোতে বিভিন্ন ফিল্টার (Filter) এবং ইফেক্ট(Effect) ব্যবহার করা যায়।

সিলেক্টিভ এডিটিং: পোলার এ ব্যবহারকারীরা সিলেক্টিভ এডিট করতে পারে।

পোর্ট্রেট রিটাচিং: পোর্ট্রেট রিটাচিংয়ের (Retouching) জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা টুল রয়েছে।

সুবিধাসমূহ 

  • অপেশাদার এবং পেশাদার উভয়ের জন্য উপযুক্ত।
  • একাধিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায়।
  •  নিয়মিত আপডেট এর মাধ্যমের এডিটিং টুলস(Tools) এর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখা।

অসুবিধাসমূহ 

  • ডেস্কটপ ভার্সনে সর্বোত্তম কর্মক্ষমতার জন্য উচ্চতর সিস্টেম স্পেসিফিকেশন প্রয়োজন হয়।
  • কিছু নির্দিষ্ট ফিচারস (Features) শুধুমাত্র প্রো ভার্সনেই ব্যবহার করা যায়।

প্রো ভার্সন

পোলার (Polarr) এর Polarr Pro নামে একটি প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। Polarr Pro-এর খরচ নির্ধারিত সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানের (মাসিক বা বার্ষিক) উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। প্রিমিয়াম প্ল্যানের দাম প্রতি মাসে ৭.৯৯ ডলার বা প্রতি মাসে ৩.৭৯ ডলার ধরে, বার্ষিক বিল ৪৭.৯৯ করা হয়। পোলার প্রো-এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিশেষ এডিটিং টুলস (Tools) গুলো ব্যবহারের সুবিধা, কাস্টম ফিল্টার( Filter), ওয়াটারমার্কিং রিমুভ ইত্যাদি।

লিংকঃ https://www.polarr.com/

ইনস্টাসাইজ (InstaSize)

ইনস্টাসাইজ (InstaSize)

ইনস্টাসাইজ (InstaSize) হল একটি মোবাইল ফটো এবং ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছবি দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অপটিমাইজড করা। বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে আকর্ষণীয় ছবি পোস্ট করতে পারে। ইনস্টাসাইজ (InstaSize) iOS এবং Android উভয় ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের গ্যালারি থেকে ছবি এবং ভিডিওগুলো আপলোড করে বা সরাসরি অ্যাপের মধ্যে নতুন ছবি ক্যাপচার করে এডিট করতে পারে। ইনস্টাসাইজ (InstaSize) প্রাথমিকভাবে মোবাইল ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

ফিচারস 

ফিল্টার এবং ইফেক্ট: ইনস্টাসাইজ (InstaSize) এ ছবি এবং ভিডিওর মাঝে ফিল্টার (Filter), ইফেক্ট (Effect) এবং এডিট প্রিসেটের মাধ্যমেছবি বা ভিডিও এডিট করা যায়।

টেক্সট এবং ওভারলে: ছবি এবং ভিডিওগুলোতে টেক্সট (Text), স্টিকার (Sticker) এবং ওভারলে (Overlay) যুক্ত করা যায়।

কোলাজ মেকার: ইনস্টাসাইজ (InstaSize) এ কাস্টমাইজযোগ্য লেআউট এবং টেমপ্লেট সহ একটি কোলাজ (Collage) মেকার ফিচারস (Features) রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের তাদের সামাজিক মিডিয়ায় পোস্টের জন্য আকর্ষণীয় ফটো কোলাজ (Collage) তৈরি করতে সাহায্য করে।

সুবিধাসমূহ 

  • ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস যা, মোবাইল ডিভাইসের জন্য অপ্টিমাইজ করা।
  • সামাজিক মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করার জন্য বিশেষভাবে অপ্টিমাইজ করা।
  •  বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিইয়া ডাইমেনশনের সাথে মিল রেখে রিসাইজ, ক্রপিং (Cropping) এবং অ্যাডজাস্ট করার জন্য নির্দিষ্ট টুল রয়েছে।

অসুবিধাসমূহ 

  • কিছু বিশেষ ফিচারস (Features) ব্যবহারের জন্য অর্থপ্রদানের মাধ্যমে প্রো ভার্সন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে।

প্রো ভার্সন

ইনস্টাসাইজ (InstaSize) এর InstaSize Premium নামে একটি প্রো ভার্সন রয়েছে। InstaSize Premium এর খরচ নির্ধারিত সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানের (মাসিক বা বার্ষিক) উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। এর দাম মাসিক ৪.৯৯ ডলার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন প্ল্যান এর জন্য বিভিন্ন হয়।

লিংকঃ https://instasize.com/

শেষকথা

আজকের ডিজিটাল যুগে অনলাইন ফটো এডিটিং আমাদের ছবিগুলিকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অনেক বড় পরিবর্তন এনেছে। শক্তিশালী এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি টুলসগুলোর কারণে ফটো এডিট আগের চেয়ে আরও সহজ এবং সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। উপরে উল্লিখিত ১০টি অনলাইন ফটো এডিটরগুলো ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে উৎসাহী সবার জন্যই উপযুক্ত। এই অনলাইন ফটো এডিটরগুলোকে যেই কারণে আলাদা করা যায় তা হল তাদের ইয়জার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস,  ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ব্যাল্যান্স এবং সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন ইন্সটল করার ঝামেলা না থাকা। তাই, সহজেই এবং এপ্লিকেশন ইনস্টল এর ঝামেলা মুক্ত এডিটিং করতে চাইলে অনলাইন ফটো এডিটর ব্যবহার করা একটি কার্যকারী পদ্ধতি।

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১। একটি অনলাইন ফটো এডিটর ব্যবহার করা কি নিরাপদ?

উত্তরঃ অনলাইন ফটো এডিটর ব্যবহার করা সাধারণত নিরাপদ। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করা এবং বেছে নেওয়া ওয়েবসাইট বা অ্যাপের প্রতি সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সুপরিচিত এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করা সবচেয়ে নিরাপদ। 

২। আমি কি আমার মোবাইল ডিভাইসে অনলাইন ফটো এডিটর ব্যবহার করতে পারি?

উত্তরঃ হ্যাঁ, অনেক অনলাইন ফটো এডিটরের মোবাইল ভার্সন বা ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেখানে সরাসরি মোবাইল ডিভাইসে ফটো এডিট করা যায়। 

৩। অনলাইন ফটো এডিটরগুলির বিনামূল্যে এবং প্রিমিয়াম ভার্সনগুলোর মধ্যে মূল পার্থক্যগুলি কী কী?

উত্তরঃ অনলাইন ফটো এডিটরগুলোর বিনামূল্যে এবং প্রিমিয়াম ভার্সনগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্দিষ্ট টুলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বিনামূল্যের ভার্সনগুলোতে সাধারণ এডিট ফিচারস, ফিল্টার(Filter) এবং ইফেক্টগুলো পাওয়া যায়। অন্যদিকে, প্রিমিয়াম ভার্সনগুলো প্রায়ই অতিরিক্ত উন্নত এডিট করার সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রিমিয়াম ফিল্টার (Filter) এবং ইফেক্টগুলো ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও কখনও কখনও রিটাচিং (Retouching) এর মতো উন্নত টুলস(Tools) ও ব্যবহার করা যায়। প্রিমিয়াম ভার্সনগুলোতে বিজ্ঞাপন-মুক্ত ইন্টারফেসে কাজ করা যায়।

৪। আমি কি অনলাইন ফটো এডিটর ব্যবহার করে RAW ফাইল সম্পাদনা করতে পারি?

উত্তরঃ কিছু অনলাইন ফটো এডিটরে RAW ফাইল এডিটিং করার সুবিধা থাকে। আবার কিছু কিছু অনলাইন ফটো এডিটরে থাকে না বা প্রিমিয়াম ভার্সন কিনলে পাওয়া যায়। 

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Back to top button