বর্তমান প্রেক্ষাপটে হটাৎ করেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার হার অনেকটাই বেড়ে গেছে। আর তার সাথে স্বভাবতই বেড়েছে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে জানার চাহিদা। পূর্বে টিন সার্টিফিকেট বাতিলের কারণ ছিল মূলত আয়কর রিটার্ণ জমা দেওয়া। যাদের করযোগ্য আয় ছিল না তাদেরও প্রতি বছর শূণ্য আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হতো। যাদের করযোগ্য আয় নেই তারা অনেকেই বিষয়টিকে ঝামেলা হিসেবে দেখতেন। তাই এটিই ছিল টিন সার্টিফিকেট বাতিলের প্রধান কারণ। কিন্তু টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চাইলে সে সম্পর্কে থাকা চাই সঠিক ধারনা। এছাড়া টিন সার্টিফিকেট শুধু বাতিল করলেই তো হবে না, এটি বাতিল করার সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকা বাঞ্চণীয়। তাই এর সকল সুবিধা অসুবিধা সহ বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি তুলে ধরা হলো আপনাদের সামনে।
সূচিপত্রঃ
আয়কর আইন ২০২৩
টিন সার্টিফিকেট বাতিলের পেছনে এখন প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে আয়কর আইন ২০২৩ এর খসড়া। টিন সার্টিফিকেট বাতিলের আগে তাই এ আইন সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া ভাল। পূর্ববর্তী আইনের সাথে এ আইনের খুব বড় কোনো পার্থক্য আসে নি।
যে সব পরিবর্তন এসেছেঃ
- পূর্ববর্তী ৩৮টি খাতের সাথে যুক্ত হয়েছে আরও ৫টি খাত। অর্থাৎ এ আইন পাস হলেও মোট ৪৩টি সরকারি সেবা নিতে টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়োবে।
- কোম্পানি সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন খসড়া অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ, এনজিও, বাণিজ্য সংগঠন, সমবায় সমিতি ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানির সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- যে সকল কোম্পানি বছরে একবার রিটার্ন জমা দিতো তাদের বছরে দুই বার রিটার্ন জমা দানের নির্দেশনা এসেছে। তার পাশাপাশি অনেক কোম্পানির জন্যই মাসিক রিটার্ন জমাদানের বাধ্যবোধকতা এসেছে।
- তিন বছরের শূণ্য আয়কর রিটার্ন ছাড়াই টিন সার্টিফিকেট বাতিলের সুযোগ এসেছে।
- করমুক্ত আয়সীমা বেড়েছে।
টিন সার্টিফিকেটের সাতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হলো করমুক্ত আয়সীমা। এ সম্পর্কে পরবর্তী অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
টিন সার্টিফিকেট বাতিলের যোগ্যতা / শর্তসমূহ
টিন সার্টিফিকেট চাইলেই যে কেউ বাতিল করতে পারে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন কর দাতাকে টিন সার্টিফিকেট বাতিলের শর্তসমূহ পূরণ করতে হয়। এ সব শর্তাবলী নিচে তুলে ধরা হলো।
- গত তিন অর্থ বছরে শূন্য আয়কর রিটার্ন প্রদান। টিন সার্টিফিকেট বাতিলের ক্ষেত্রে বর্তমান আইন অনুযায়ী এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে নতুন খসড়া আইনে করযোগ্য আয় না থাকলে তিন বছরের শূন্য রিটার্ন ছাড়াই টিন বাতিলের নিয়ম রাখা হয়েছে।
- করদাতার মৃত্যু। অর্থাৎ কোনো কর দাতা মারা গেলে তার উত্তরাধিকারী তার টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ভবিষ্যতে কোনো করযোগ্য আয় না থাকলে।
- বিদেশী ব্যক্তির বাংলাদেশে কোনো স্থায়ী ভিত্তি ও আয় না থাকলে।
- স্থায়ী ভাবে দেশ ত্যাগ করলে ও বাংলাদেশের কোনো অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না থাকলে।
টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজাবলী
টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
- করদাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
- টিন সার্টিফিকেটের প্রিন্ট কপি
- পূর্ববর্তী তিন বছরের শূন্য আয়কর রিটার্নের কপি (যদি থাকে)
- ইনকাম স্টেটমেন্ট ও প্রয়োজনীয় সকল প্রমাণাদি যা কর দাতার আয়ের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
- করদাতা মৃত হলে মৃত্যুর সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, টিন সার্টিফিকেটের কপি ও ওয়ারিশন কর্তৃক লিখিত আবেদনপত্র।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পদ্ধতি
বাংলাদেশে টিন সার্টিফিকেট বর্তমানে ঘরে বসে অনলানেই তৈরী করা যায়। এমনকি টিন সার্টিফিকেট সংক্রান্ত প্রায় অন্যান্য সকল কাজও অনলাইনেই করা যায়। কিন্তু টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার বিষয়টি এদিক থেকে ব্যতিক্রম। টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার কাজটি অনলাইনে করার কোন উপায় নেই। এটি অফলাইনে বা সশরীরে আবেদনকারীকে কর অফিসে উপস্থিত হয়েই করতে হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ কর অধিদপ্তর থেকে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার কোন সুষ্ঠ নির্দেশনা বা পদ্ধতিও দেওয়া নেই। তাই কর অধিদপ্তর থেকে কোন সুনির্দিষ্ট টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পদ্ধতি সহজে জানা যায় না। এক্ষেত্রে আপনি যেই কর সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত সেই কর সার্কেলের উপ-কমিশনার বরাবর আবেদন পত্র লিখতে হয়। তাই এখানে কিভাবে প্রয়োজনের সময় টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা যাবে তার পদ্ধতি দেয়া হলোঃ
১. কর অফিসে উপস্থিত হওয়া
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর অফিসে উপস্থিত হতে হয়। তাই টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য প্রথমে কোন কর অফিসে যেতে হবে তা জেনে নিতে হবে। বাংলাদেশে করদাতাদের ভাগ করার জন্য ও কর গ্রহণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে মোট ৩১টি কর অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এই ৩১টি অঞ্চল আবার মোট ৬৪৯টি কর সার্কেলে বিভক্ত। প্রতিটি কর সার্কেলেই একটি করে নির্দিষ্ট আয়কর অফিস রয়েছে। টিন সার্টিফিকেটধারী কোন কর অঞ্চলের কোন সার্কেলে অবস্থিত, তা টিন সার্টিফিকেটের উপরেই লেখা থাকে। টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে এই অনুযায়ী কর অঞ্চলের নির্দিষ্ট সার্কেলের অফিসে যেতে হয়।
২. তিন বছরের শূন্য রিটার্ন জমাদান
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদনকারীকে কমপক্ষে তিন বছরের শূন্য রিটার্ন দেখাতে হয়। বর্তমান আইন অনুযায়ী কারো যদি কর দেওয়ার মত আয় না থেকে থাকে তাহলে তাকে প্রথমে টানা তিন বছর শূন্য রিটার্ন জমা দিতে হবে। এবং তারপরেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে। কিন্তু আয়কর আইন ২০২৩ খসড়া অনুযায়ী তিন বছরের শূন্য রিটার্ন না থাকলেও টিন সার্টিফিকেট বাতিলের সুযোগ থাকবে।
৩. উপ-কর কমিশনার বরাবর আবেদন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী তৃতীয় বছরের শূন্য রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে তার নির্দিষ্ট কর সার্কেলের অফিসে উপস্থিত হয়ে, সেখানকার উপকর কমিশনারের নিকট একটি দরখাস্ত জমা দিতে হবে। দরখাস্তটিতে আয়কর ফাইলটি নথিস্থ করার আবেদন করতে হবে।
৪. প্রয়োজনীয় প্রমাণ সরবরাহ এবং অপেক্ষা
টিন সার্টিফিকেট বাতিল হবে কি না তা নির্ভর করবে কর্তৃপক্ষের সিধান্তের উপর। তাই অবশ্যই আবেদন পত্রে টিন সার্টিফিকেট বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে আয়ের যথাযথ প্রমাণ দেখাতে হবে। এছাড়াও দেশ ত্যাগ বা ভবিষ্যতে আয়ের সুযোগ না থাকলেও তার যথাযথ প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে।
শূন্য আয়কর রিটার্ন বা করমুক্ত আয়সীমা
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পদ্ধতিতে বারংবার যেই কথাটি এসেছে সেটি হলো শূন্য আয়কর রিটার্ন। এই শূন্য আয়কর রিটার্ন তখনই হয় যখন একজন করদাতা করমুক্ত আয়সীমা এর নিচে থাকেন। অর্থাৎ তার বাৎসরিক মোট আয় করমুক্ত আয়সীমা থেকে কম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি করমুক্ত আয়সীমার নিচে আছেন কি না তা জানা জরুরী।
করদাতার ধরন | করমুক্ত আয়সীমা |
সাধারণ করদাতা | ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। |
নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতা | ৪ লক্ষ টাকা। |
প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ | ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। |
গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা | ৫ লক্ষ টাকা। |
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা প্রতিবন্ধী পোষ্যের অভিভাবক | ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। |
নির্দিষ্ট ধরনের করদাতাদের বাৎসরিক আয় করমুক্ত আয়সীমার নিচে হলে শূন্য রিটার্ন জমা দেবেন। এর উপরে প্রথম ১ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আয়ের জন্য ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৩ লক্ষ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লক্ষ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লক্ষ টাকার জন্য ২০ শতাংশ, এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল উচিত কি না?
ইতোমধ্যে আপনারা কিভাবে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করবেন সে সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা আদৌ উচিত কি না। কিন্তু তার আগে টিন সার্টিফিকেট আসলে কি কি কাজে লাগে সে সম্পর্কে ধারনা থাকা উচিত। বর্তমানে ৩৮টি এবং ভবিষ্যতে ৪৩টি সরকারি সেবা পেতে টিন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক হবে। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।
সঞ্চয়পত্র ক্রয়
মধ্যবিত্তের জন্য টিন সার্টিফিকেট সম্ভবত এই কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৫ লক্ষ টাকার অধিক যেকোনো সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে চাইলেই আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
বাড়িভাড়া থেকে আয়
আপনি যদি বাড়িভাড়া দিয়ে আয় করতে চান, তাহলে অবশ্যই সে আয়ের উপর কর দিতে হবে। অর্থাৎ টিন সার্টিফিকেট ছাড়া আপনি বাড়ি থেকে আয় করতে পারবেন না।
সরকারি চাকরি
যেকোনো সরকারি চাকরির বেতন যদি ১৬ হাজার টাকার অধিক হয়ে থাকে তাহলেই আপনাকে কর দিতে হবে। তাই যেকোনো সরকারি চাকরিতে যোগদান করলে আপনার টিন সার্টিফিকেট করা বাধ্যতামূলক।
ট্রেড লাইসেন্স
যেকোনো ধরনের ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই টিন সার্টিফিকেট করতে হবে।
ব্যাংক ঋণ
ব্যাংক হতে ৫ লক্ষ টাকার অধিক যেকোনো ধরনের ঋণ নিতে গেলেই প্রয়োজন হবে টিন সার্টিফিকেটের।
ব্যাংক হতে মুনাফা গ্রহণ
ব্যাংকে টাকা রাখলে বেশিরভাগই লোকই মুনাফা বা সুদ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে সে মুনাফার উপর সরকারকে কর দিতে হয়। আর সেই কর আপনার হাতে টাকা পৌছানোর পূর্বেই কেটে রাখা হয়। এমন প্রক্রিয়াকে বলে উৎসে কর। আপনার যদি টিন সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে এই উৎসে করের হার হয় ১৫%। অর্থাৎ আপনার মুনাফার ১৫% আগেই কেটে রাখা হবে। কিন্তু টিন সার্টিফিকেট দাখিল করলে এর হার হয় ১০%।
জমি বা ভবন রেজিস্ট্রেশন
সিটি করপোরেশন ভুক্ত যেকোনো অঞ্চলের কোনো জমি বা ভবন আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে টিন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ
বর্তমানে অনেকেই ইএমআই সুবিধা পাওয়া সহ নানা কারণে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু যেকোনো ক্রেডিট কার্ড গ্রহণের পূর্বেই আপনাকে টিন সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
যদি আপনি টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে দেন, সেক্ষেত্রে উপর্যুক্ত সেবা গুলো সহ আরও অনেক সেবা থেকেই আপনি বঞ্চিত হবে। এছাড়াও টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা উচিত কি না সে প্রশ্নের উত্তরে আরও একটি বিষয় বিশেষ ভাবে মাথায় রাখতে হবে। সেটি হলো কেউ যদি একবার টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে তবে সে আর কোনো ভাবেই নতুন টিন সার্টিফিকেট পাবে না। তার যদি টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে তাহলে তাকে অবশ্যই আগের টিন সার্টিফিকেটই চালু করতে হবে। সাধারণ টিন সার্টিফিকেট সহজেই অনলাইনে খোলা যায়। কিন্তু টিন সার্টিফিকেট নতুন করে চালু করতে আবার অফিসে যেয়ে আবেদন করতে হবে।
শেষকথা
নতুন আইনের খসড়ার কারণে এখন অনেকেই টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে ফেলতে চাইছেন। আশা করি টিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করতে হয় এবং এর সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় সম্পর্কেই এই লেখায় ধারনা পেয়েছেন। আপনার যদি অদূর ভবিষ্যতে টিন সার্টিফিকেটের দরকার হয়, তাহলে অল্প কিছুদিনের জন্য টিন সার্টিফিকেট বাতিল না করাই শ্রেয় হবে। কিন্তু যদি নিশ্চিত থাকেন যে টিন সার্টিফিকেটের দরকার আপনার অদূর ভবিষ্যতে হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে টিন সার্টিফিকেটটি বাতিল করতে পারেন।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১. টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য কি টিন সার্টিফিকেটের মালিককেই আয়কর অফিসে যেতে হবে?
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আয়কর অফিসে টিন সার্টিফিকেটের মালিকের যাওয়া বাধ্যতামূলক না। যে কেউই তার প্রতিনিধি হিসেবে কর সার্কেলের নির্দিষ্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে দরখাস্ত জমা দিয়ে আসতে পারবেন।
২. টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে কি কোন ধরনের খরচ হয়?
না। টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য সরকার ঘোষিত কোন খরচ নেই। এটি টিন সার্টিফিকেট তৈরী করার মত সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই করা যায়।
৩. টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পরে ঐ সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কেনা সঞ্চয়পত্র কি বাতিল হয়ে যাবে?
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করলে ইতোমধ্যেই কেনা সঞ্চয়পত্র বাতিল হবে না। কিন্তু টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পরে ঐ নাম্বারটি আর ব্যবহার করা যাবে না। ফলে নতুন করে কোন ২ লক্ষ বা তার অধিক পরিমানের সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না।
৪. টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পরেও আগে প্রিন্ট করে রাখা সার্টিফিকেটের কপি কি ব্যবহার করা যাবে?
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পরে ঐ টিন নাম্বারটিই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পর আগে থেকে প্রিন্ট করে রাখা টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করা উচিত নয়।
৫. টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পরে পুনরায় চালু করলে কি নতুন একটি টিন নাম্বার দেওয়া হবে?
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার পর পুনরায় চালু করলে নতুন টিন নাম্বার দেওয়া হবে না। পুরাতন টিন নাম্বারটিই আবার চালু হয়ে ব্যবহার উপযোগী হবে।