বিকাশব্যবসামোবাইল ব্যাংকিং

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার বিস্তারিত নিয়মাবলী

বর্তমানে আমাদের দেশে বিকাশ একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। দেশের অনেকেই এখন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে টাকা আয় করছেন। আপনি যদি আপনার দোকানে বিকাশ এজেন্ট নিতে চান তাহলে আপনি দুই ভাবে এজেন্ট হতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট নেই এমন একটি সিম কার্ড নিয়ে আপনি বিকাশের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করে কিংবা ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে আবেদন করে বিকাশ এজেন্ট হতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করা যায় এবং এই ব্যবসার যাবতীয় খুঁটিনাটির বিস্তারিত-

স্থান নির্বাচন

বিকাশ ব্যবসা সঠিক উপায়ে করতে গেলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিকাশ ব্যবসা করার জন্য সঠিক স্থান নির্ধারণ করা খুবই দরকারী। যেসব স্থানে লোক সমাগম বেশি সেসব জায়গাতেই বিকাশ ব্যবসা করা বুদ্ধিমানের কাজ। সেক্ষেত্রে হাট-বাজার, শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি জায়গা বিকাশ ব্যবসার জন্য আর্দশ। এছাড়াও অনেকে ব্যস্ততম নানা সড়কের পাশে কিংবা নিজস্ব ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ ব্যবসা করে ভালো আয় করে লাভবান হচ্ছেন।

মূলধনের পরিমাণ

বিকাশ ব্যবসা করতে গেলে তেমন মুলধনেরও প্রয়োজন হয় না। ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে এই ব্যবসা করা যায়। তবে দোকানের অবস্থান এবং সাজসজ্জায় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আবার এলাকাভেদে দোকানের অবস্থান বা সাজসজ্জার হিসেবে এই খরচের তারতম্য হতে পারে।

বিকাশ ব্যবসা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

যে কোন ব্যবসার শুরুতেই প্রয়োজন দেশের সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত বৈধ কাগজপত্র। ঠিক তেমনি বিকাশ ব্যবসাতেও প্রয়োজন নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র।

বিকাশ ব্যবসায় যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজনঃ

১) আপনার প্রতিষ্ঠানের বৈধ ট্রেড লাইসেন্স

২) যিনি বা যার নামে ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে তার ৩ কপি ছবি।

৩) জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

৪) টিন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।

৫) বিকাশ একাউন্ট করার জন্য একটি সক্রিয় সিমকার্ড।

৬) এবং সর্বশেষ আপনার দোকানের সিল।

এই সব কাগজপত্র ঠিকভাবে জমা করার পর বিকাশ অথোরিটি যদি আপনাকে এজেন্ট হওয়ার উপযুক্ত মনে করে তারা আপনাকে ট্রেনিং-এ ডাকবেন। ট্রেনিং-এর তারিখ থেকে পরবর্তী পঁচিশ থেকে তিরিশ দিনের মধ্যে আপনার বিকাশ এজেন্ট সিমটি লেনদেনের জন্য চালু করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনি বিকাশ ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দেন, তবে বিকাশ আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে দেবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে জমা দিলে তারা যাচাই-বাছাই করে আপনাকে এজেন্ট সিম দেয়ার উপযুক্ত মনে হলে তখন তারা এজেন্ট দিয়ে দেবে।

বিকাশ ব্যবসার কিছু শর্ত

  • বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে এজেন্ট একাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্স সাত হাজার টাকা থাকতে হবে।
  • বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায় দিন প্রতি ২০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হতে হবে। এক্ষেত্রে টাকা ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট যেকোনোভাবে লেনদেন হতে পারে।
  • বিকাশ এজেন্টের দৈনিক কিছু পার্সোনাল একাউন্ট খুলতে হয়। তবে সেটি তেমন কষ্টসাধ্য কিছু নয়। একজন এজেন্ট পার্সোনাল একাউন্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার জন্যেও অনেক কাস্টমারকে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খুলে দিতে পারেন

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ফরম

বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট ছাড়াও রয়েছে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে এজেন্ট/ মার্চেন্ট একাউন্ট – এই লিংক এ ক্লিক করে ওই পেইজে দৃশ্যমান ফরমটি পুরণ করে সাবমিট করতে হবে। বিকাশ এজেন্ট বা মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার অনুরোধ জানানোর জন্য এজেন্ট বা মার্চেন্ট যেকোন একটি সিলেক্ট করে এজেন্টের নাম, তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্যের বিবরণ দিয়ে তবেই অনুরোধ জানানো যাবে।

বিকাশ ব্যবসায় লাভের পরিমাণ

একজন এজেন্ট ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো টাকা লেনদেন করতে পারে এবং প্রতিবারের ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউটে একজন এজেন্ট হাজারে ৪.১০ টাকা করে পাবেন। প্রতি লাখে এজেন্ট পাবেন ৪১০ টাকা। এছাড়াও কোন কাস্টমার- কে বিকাশ একাউন্ট খুলে দিলেও আপনি কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন। প্রতিবার ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট কিংবা কোন কাস্টমারকে বিকাশ একাউন্ট খুলে দেয়ার সাথে সাথে আপনার প্রাপ্য টাকা আপনার এজেন্ট একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। এজেন্ট একাউন্ট-এর এ সকল টাকা আপনি ডিস্ট্রিবিউটার অফিসের কর্মকর্তা ডিএসও-এর কাছ থেকে কোনো প্রকার চার্জ ছাড়াই সংগ্রহ করে নিতে পারা যাবে। আর ভালো পরিমাণ লেনদেন করতে পারলে বিকাশ থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে। আবার এজেন্ট ব্যবসায় ইনভেস্টের উপরও আয় নির্ভর করে। আপনি পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে যদি দৈনিক গড়ে আশি হাজার টাকা লেনদেন করতে পারেন তবে হিসাব অনুযায়ী দিনে ন্যূনতম ৩২৮ টাকা হিসেবে মাসে হবে ৯৮৪০ টাকা। আর এই একই লেনদেন বিকাশ অ্যাপ থেকে করলে আপনি মাসে ১০৮০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তেমনি, ১ লক্ষ্য টাকায় মাসে ন্যুনতম ১৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা হওয়ায় অনেকেই এখন এই ব্যবসা শুরু করছেন। আর বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার নানা কার্যকলাপ সহজে করে নিতে এবং এজেন্ট ব্যবসায় অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য একজন এজেন্টের অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ। বিকাশ অ্যাপ আর বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ কিন্তু এক নয়। বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হলো।

একজন বিকাশ এজেন্ট যেকোনো ৫.১ বা এর চেয়ে বেশি ভার্সনের স্মার্টফোনের গুগল প্লে- স্টোর থেকে বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারে। এরপর বিকাশ লিমিটেড থেকে আপনার বিকাশ এজেন্ট নাম্বারে অ্যাপ ব্যবহারের অনুমুতি নিয়ে বিকাশের প্রদত্ত শর্তাবলী মেনে আপনি বিকাশ এজেন্ট অ্যাপে লগ ইন করতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপের ড্যাসবোর্ডে কেবলমাত্র আটটি অপশন রয়েছে, ড্যাশবোর্ডের একদম উপরের দিকে বিকাশ এজেন্ট হোম লেখা দেখতে পাবেন। এর বাম পাশে রয়েছে এসএমএস ইনবক্স আর ডান পাশে রয়েছে সাদা একটি বিকাশ লোগো। এই এসএমএস ইনবক্সে আপনি সহজেই ক্যাশ ইন ক্যাশ আউটের নোটিফিকেশান পেয়ে যাবেন। এছাড়াও প্রতিটি লেনদেন সম্পর্কে জানতে সি- মোর বাটনে  ক্লিক করে আপনি ট্রানজেকশান আইডি, সময়, তারিখ, টাকার অংকসহ দেখতে পাবেন সবকিছুই। এবং বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে আপনি সর্বশেষ পঁচিশটি লেনদেন সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট মেন্যু থেকে বিকাশ অ্যাপের ভাষা পরিবর্তন, বিকাশ নোটিফিকেশান, বিকাশ ট্রানজেকশান সামারি এবং বিকাশ অ্যাপের বর্তমান ভার্সন সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিকাশ থেকে কী পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তা জানতে বিকাশ এজেন্ট অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে বিকাশ এজেন্ট হোমের ডান পাশে বিকাশের সাদা লোগোতে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রদত্ত সেবাটি পেতে তা নির্বাচন করুন। এই পদ্ধতিতে আপনি দৈনিক, মাসিক কিংবা আপনার বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে করা শেষ পাঁচটি লেনদেনের বিস্তারিত জানতে পারবেন। মাসিক লেনদেনের ক্ষেত্রে শেষ তিন মাসের লেনদেনের বিস্তারিত আপনি অ্যাপ থেকেই জেনে নিতে পারবেন। আপনার  বিকাশ এজেন্ট সিম থেকে থেকে গ্রাহকের ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট সম্পর্কে জানতে স্টেটমেন্ট বাটনে ক্লিক করুন। যদি আপনার কাছে ট্রানজেকশান আইডি থাকে বা বিকাশ নাম্বার থাকে তবে লাস্ট ৪ ডিজিট টাইপ করুন। ঐ নাম্বারে আপনার এজেন্ট সিম থেকে লেনদেন হলে তা দেখাবে।

বিকাশ বি টু বি

এছাড়াও বিকাশ এজেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন বিকাশ বি টু বি সুবিধা। বিকাশ লিমিটেডের সাথে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়িদের লেনদেনের একটি পদ্ধতিই হলো বিকাশ বি টু বি। বি টু বি পদ্ধতিতে আপনি আপনার এজেন্ট সিমে টাকা বেশি হলে বা আপনার কাছে নগদ টাকা কম থাকলে আপনার বিকাশ এজেন্ট সিম থেকে টাকা বি টু বি করে বিকাশ লিমিটেডের কাছ থেকে টাকা ক্যাশ নিতে পারেন।

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা ও এজেন্ট কমিশন

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসা ত্বরান্বিত হয় এবং লাভের পরিমাণ বাড়ে। এজেন্ট ব্যবসায়িরা টাকা ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পান। এক্ষেত্রে বিকাশের ইউএসএসডি কোড *২৪৭# ডায়াল করে এক হাজার টাকা ক্যাশ ইন করলে আপনি যেখানে ৪.১০ টাকা ফিক্সড কমিশন পাবেন সেখানে এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে হাজার টাকা ক্যাশ ইন করলে কমিশন পাবেন ৪.৫০ টাকা। যা বিকাশ থেকে পাওয়া সর্বোচ্চ কমিশন।

বিকাশ ব্যবসায় সাবধানতা

  • প্রতি লেনদেনের পরে ব্যালেন্স চেক করুন।
  • নাম্বার ভুল হচ্ছে কিনা চেক করুন।
  • কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের থেকে সঠিক কাগজপত্র বুঝে নিন (যদি প্রয়োজন পরে)।
  • পিন নাম্বার সব সময় গোপন রাখুন।
  • যেকোনো ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত নিকটস্থ বিকাশ সার্ভিস পয়েন্টে যোগাযোগ করুন।

শেষ কথা

দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ এখন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করে থাকে। আর বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পরিধি এখন সারা দেশজুড়ে বিস্তৃত। তাই বিকাশের মাধ্যমে দৈনিক আর্থিক লেনদেনের পরিমাণটি নিতান্তই কম নয়। বিকাশে এখন প্রতিদিন এজেন্টরাই কোটি কোটি টাকা লেনদেন করে দেয়। আর এই এজেন্ট ব্যবসা করে অনেকে নিজেকে করে তুলছেন স্বাবলম্বী। অনেকে নিজেদের অন্য ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে করছেন বাড়তি আয়। এতে করে দেশের অর্থনৈতি স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করা যায়, এই আর্টিকেল থেকে আপনি বিকাশ ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন, এর লাভ-ক্ষতি, নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বেশখানিকটা ধারণা পেলেন। আর এতে করে কেউ বিকাশ ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সে বিষয়ে কিছুটা সাহায্যও হয়ে যেতে পারে। সুতরাং এজেন্ট ব্যবসা শুরু করতে চাইলে বুঝে-শুনে-জেনে তবেই শুরু করুন। আশা করি আপনি লাভবানই হবেন।

সাধারন প্রশ্নোত্তর

১) কীভাবে পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ব্যবসা করা যায়?

উত্তরঃ বিকাশ পার্সোনাল দিয়ে ব্যবসা করা যায় না। বিকাশ ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হতে হবে। তাহলেই এক মাত্র ব্যবসা করতে পারবেন।

২) বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ বিকাশ এজেন্ট হতে কোন টাকা লাগে না। এটি বিকাশের সম্পূর্ণ ফ্রি একটি সেবা। তবে শুধুমাত্র বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার ক্ষেত্রে সিমের মূল্য স্বরূপ অল্প কিছু টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে।

 

ছবি ও তথ্যসূত্রঃ বিকাশ

Dyuti Deepa Nandi

Freelancer Content Writer and Translator.

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

6 কমেন্ট গুলো

  1. যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০০ টাকা লেন দেন না হয় তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে??

    1. হ্যাঁ! সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে বিস্তারিত আলোচনা করে নিতে পারেন।

      Progress Bangladesh এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 😀

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button