টেকনোলজিল্যাপটপ

জনপ্রিয় ল্যাপটপ এর দাম (২০২৩)

বর্তমানের প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে ল্যাপটপ খুবই প্রয়োজনীয় ও বহুল ব্যবহৃত একটি বস্তু। ফ্রীল্যান্সিংয়ে (freelancing), লেখাপড়ার কাজে কিংবা অফিসে ল্যাপটপের ব্যবহার এখনকার দিনে অপরিহার্যই বলা যায়। আর তাই স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র‍্যান্ড বিষয় গুলো মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত বাজারে নিয়ে আসছে যুগোপযোগী নিত্যনতুন সব ল্যাপটপ। যাতে থাকছে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়। তাদের মধ্যে কেউ দিচ্ছে দামের দিক থেকে সুবিধা, আবার কেউ দিচ্ছে হাই স্পেসিফিকেশন। এতে করে আমাদের সকলের চাহিদা পূরণ হচ্ছে খুব সহজেই। তবে বর্তমান বাজারে একই দামে বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের বিভিন্ন ল্যাপটপ থাকায় আমরা অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হই; যে আসলে কোনটা ভালো!

আজকে তাই বাংলাদেশের বাজারের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত, প্রচলিত ও জনপ্রিয় ল্যাপটপ এর দাম নিয়ে আলোচনা করছি।

অ্যাপল (Apple) ল্যাপটপ এর দাম

অ্যাপল বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে আলোচিত ও বিখ্যাত ব্র‍্যান্ড। প্রযুক্তি খাতে পুরো বিশ্বে এদের অবদান যেমন অতুলনীয়, তেমনি তাদের পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহারকারীর সংখ্যাও অনেক। অ্যাপল এর ল্যাপটপ গুলো অন্যান্য ব্র‍্যান্ডের ল্যাপটপের তুলনায় বেশ কিছুটা দামী হলেও এগুলো থেকে পাওয়া যায় অতিরিক্ত সুবিধা। বিভিন্ন ধরনের ভারী সফটওয়্যার সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে চালাতে পারার পাশাপাশি এর বিক্রয় পরবর্তী সেবাও অসাধারণ। এসব কারণেই অ্যাপল বাজারে পছন্দের তালিকায় নিজেদের স্থান অপরিবর্তনীয় করে রেখেছে। অ্যাপল এর ল্যাপটপের প্রায় সমস্ত হার্ডওয়্যার কোম্পানিটি নিজস্বভাবে তৈরি করে থাকে। ফলে হার্ডওয়্যার গুলোর মধ্যে একটা সামঞ্জস্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। যেটা অন্যান্য ব্র‍্যান্ডে অতটা দেখা যায় না। এছাড়াও অ্যাপল নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে, যাতে ভাইরাসের পরিমাণ বেশ কম। একই সাথে তারা প্রতিনিয়ত অপারেটিং সিস্টেমের নতুন আপডেট দিয়ে থাকে, ফলে সিস্টেমের বিভিন্ন ত্রুটি সহজেই দূর করা যায়। অ্যাপলের ল্যাপটপ গুলোর হার্ডওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম দুটোই নিজস্ব হওয়ায় নতুন নতুন ভার্শন গুলো বহুদিন পর্যন্ত সাপোর্ট করে। অ্যাপল এর অধিকাংশ ল্যাপটপই ছবি ও ভিডিও এডিটিং এর কাজে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে, যে কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনার কিংবা ফটো এডিটরদের জন্য অ্যাপল ব্যবহার সুবিধাজনক। ব্র্যান্ডটি একইসাথে এদের পণ্যের বাহ্যিক চেহারা ও টেকসইতার জন্যও তাদের নাম ধরে রেখেছে বাজারে। কোম্পানিটির অন্যতম দুটি সেরা এবং জনপ্রিয় ল্যাপটপ হচ্ছে MacBook Air ও MacBook pro। নিচে এই দুটি ল্যাপটপ এর দাম এবং ল্যাপটপ দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করছি।

MacBook Air

MacBook Air ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশনঃ

  • প্রসেসর: অ্যাপল M1 চিপ
  • ডিসপ্লে: ১৩.৩ ইঞ্চি এলইডি ব্যাকলিট আইপিএস ডিসপ্লে, ২৫৬০×১৬০০ নেটিভ রেজুলেশন
  • র‍্যাম: ৮ জিবি
  • স্টোরেজ: ৫১২ জিবি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: ৮ কোর জিপিউ
  • অপারেটিং সিস্টেম: ম্যাক ওএস
  • ব্যাটারি: ৪৯.৯-ওয়াট-ঘন্টা লিথিয়াম পলিমার
  • অ্যাডাপ্টার: ৩০ ওয়াট ইউএসবি-সি পাওয়ার অ্যাডাপ্টার।
  • অডিও: স্টেরিও স্পিকার, ডলবি এটমস প্লেব্যাক সাপোর্ট, ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক।
  • ওয়েবক্যাম: ৭২০পি ফেসটাইম এইচডি ক্যামেরা
  • ইউএসবি: ২×থান্ডারবোল্ট থ্রি
  • এইচডিএমআই: অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে এইচডিএমআই ব্যবহার করা সম্ভব
  • ওজন: ১.২৭ কেজি (২.৮ পাউন্ড)
  • কালার: গোল্ড, সিলভার, স্প্রে গ্রে।
  • ওয়ারেন্টি: ১ বছর
  • মূল্য: ১১০,০০০ টাকা

এই দামে MacBook Air নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচাইতে সেরা ল্যাপটপ গুলোর একটা। এতে অ্যাপল এর নতুন M1 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে যা পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী একটি প্রসেসর। এতে টাচ আইডি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, সিজর-সুইচ কিবোর্ড সহ অসাধারণ সব ফিচার রয়েছে। এর নতুন প্রসেসরের জন্য আইফোন ও আইপ্যাড এর বেশ কিছু অ্যাপস ল্যাপটপেই চালানো যায়। যদিও এটি একদম নতুন ফিচার বলে এতে কিছু ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও এর প্রসেসরের আরো সুবিধা রয়েছে। প্রসেসরের জন্য ল্যাপটপটি অনেক ভারী ছবি ও ভিডিও এডিটিং এর কাজ বিশ্বের প্রায় সকল ল্যাপটপের চেয়ে সাবলীলভাবে করতে পারে। এর শক্তিশালী ব্যাটারীর কারণে সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টানা ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করলেও ল্যাপটপের পারফর্ম্যান্সে কোন প্রভাব পড়ে না। এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য MacBook Air সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য অনন্য ও সেরা একটি ল্যাপটপ।

MacBook pro

MacBook pro ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশনঃ

  • প্রসেসর: ২.৩ গিগাহার্জ ইন্টেল কোর i9
  • ডিসপ্লে: ১৬ ইঞ্চি এলইডি ব্যাকলিট আইপিএস ডিসপ্লে, ৩০৭২×১৯২০ নেটিভ রেজুলেশন।
  • র‍্যাম: ১৬ জিবি ডিডিআর৪, ২৬৬৬ মেগাহার্জ
  • স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: এএমডি রেডন প্রো ৫৫০০এম, ৬ জিবি জিডিডিআর৬
  • অপারেটিং সিস্টেম: ম্যাক ওএস
  • ব্যাটারী: বিল্ট-ইন ১০০-ওয়াট-ঘন্টা লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
  • অ্যাডাপ্টার: ৯৬ ওয়াট ইউএসবি-সি পাওয়ার অ্যাডাপ্টার
  • অডিও: হাই-ফিডেলিটি সিক্স-স্পিকার সিস্টেম, ডলবি এটম সাপোর্ট, স্টূডিও কোয়ালিটি থ্রি-মাইক এ্যরে
  • ওয়েবক্যাম: ৭২০পি ফেসটাইম এইচডি ক্যামেরা
  • ইউএসবি: ৪×থান্ডারবোল্ট ৩
  • ওজন: ১.৩৭ কেজি (৩.১ পাউন্ড)
  •  কালার: সিলভার, স্পেস গ্রে
  • ওয়ারেন্টি: ১ বছর
  • মূল্য: ২,৫৫,০০০ টাকা

MacBook pro হচ্ছে অ্যাপল এর সবচাইতে শক্তিশালী ল্যাপটপ। এই ল্যাপটপটি দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রচুর ভারী কাজ করতে পারে কাজের দক্ষতা বা গতির ব্যাপারে কোনো আপোষ ছাড়াই। এটাকে Macbook Air এর শক্তিশালী ভার্শনও বলা যায়। MacBook Air ও MacBook pro এর স্পেসিফিকেশনে বেশ কিছু জিনিস একই হলেও MacBook pro তে বেশকিছু ফিচার অতিরিক্ত যুক্ত করা হয়েছে। MacBook pro তে আলাদা করে ফ্যান যুক্ত করায় ভারী কাজের ক্ষেত্রে এটি MacBook air এর চাইতেও পারদর্শী। এর ডিসপ্লে সাইজও MacBook Air থেকে বড় হওয়ায় কাজে স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি অনেক্ষণ ধরে অনেক ভারী ভারী কাজ করতে চান, গ্রাফিক্সের কাজে আপোষ না করতে চান ও বাজেট কিছুটা বেশি থাকে তাহলে MacBook pro আপনার জন্য সেরা একটি পছন্দ।

আসুস (Asus) ল্যাপটপ এর দাম

কম্পিউটার খাতে বেশ আস্থার একটি নাম আসুস। আসুস গুণগতমান বজায় রেখে সকল বাজেটের পণ্য তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আসুস অ্যাপলের মত শুধুমাত্র উঁচু দামের পণ্যই তৈরি করে না বরং সকল স্তরের সকল দামের ক্রেতাদের জন্য তাদের পণ্য রয়েছে। ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম করেনি আসুস। তাদের ল্যাপটপের সুন্দর ডিজাইন ও টেকসইতার কারণে আসুসের ল্যাপটপ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আসুস তাদের ল্যাপটপ ডিজাইনের ক্ষেত্রে দামের ব্যাপারটা চিন্তা করে না, সেজন্য আপনি বেশ কম দামের আসুসের ল্যাপটপেও অনেক সুন্দর ডিজাইন দেখতে পাবেন। বর্তমানে বাজারে আসুসের অন্যতম সেরা ও প্রচলিত দুটি ল্যাপটপ হচ্ছে Asus VivoBook s15 ও Asus ZenBook pro Duo। নিচে এই দুটি ল্যাপটপ এর দাম এবং ল্যাপটপ দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করছি।

Asus VivoBook s15

Asus VivoBook s15 ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশনঃ

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i7 ১০ম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০×১০৮০) আইপিএস ডিসপ্লে
  • র‍্যাম: ৮ জিবি ডিডিআর৪
  • স্টোরেজ: ৫১২ জিবি এম.২ এনভিএমই পিসিআইই ৩.০ এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স এমএক্স২৫০, ২ জিবি জিডিডিআর৫ গ্রাফিক্স
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০
  • ব্যাটারি: ৪২-ওয়াট-ঘন্টা, ৩-সেল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি
  • অ্যাডাপ্টার: ৬৫ ওয়াট এসি এডাপ্টার
  • অডিও: বিল্ট-ইন স্পিকার, বিল্ট-ইন এ্যরে মাইক্রোফোন
  • ওয়েবক্যাম: আইআর ফাংশন যুক্ত এইচডি ক্যামেরা
  • ইউএসবি: ১×ইউএসবি ৩.১ প্রথম জেনারেশন টাইপ-সি; ১× ইউএসবি ৩.১ প্রথম জেনারেশন টাইপ-এ; ২×ইউএসবি ২.০ টাইপ-এ
  • এইচডিএমআই: ১×এইচডিএমআই ১.৪
  • ওজন: ১.৮ কেজি (৩.৯৭ পাউন্ড)
  • কালার: মস গ্রিন
  • ওয়ারেন্টি: ২ বছর
  • মূল্য: ৬২,০০০ টাকা

আসুস এর সেরা ল্যাপটপের একটি হচ্ছে VivoBook s15। এতে রয়েছে আসুসের নতুন ScreenPad 2.0, যা একটি সেকেন্ডারি টাচস্ক্রীন। এর ব্যবহার আপনার কাজে নতুন গতি আনবে। এই ৫.৬৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিনে আপনি বিভিন্ন অ্যাপস রাখতে পারবেন, যা আপনার কাজ যেমন দ্রুত করবে তেমনি মাল্টিটাস্কিংও (Multitasking) সহজ করে তুলবে। ল্যাপটপটি চিকন ডিজাইন ও হালকা ওজনের হওয়ায় খুব সহজেই বহনযোগ্য। এর নতুন ন্যানো এ’জ ডিজাইনের জন্য প্রায় ফ্রেমলেস স্ক্রিন পাওয়া যায়। যা আপনাকে কাজ অথবা গেম দুই ক্ষেত্রেই বেশ সুবিধা দেবে। এর ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম মাত্র ৪৯ মিনিটে ব্যাটারি লো থেকে ৬০% এ নিয়ে যেতে পারে। ফলে জরুরী মুহুর্তে চার্জ শেষ হয়ে গেলেও দ্রুত চার্জ দিয়ে কাজে ফিরতে পারবেন।

Asus Zenbook 15 Pro Duo

Asus Zenbook 15 Pro Duo ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশন:

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i9 ১০ম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি ওএলইডি ৪কে (৩৮৪০×২১৬০) ১৬:৯ টাচস্ক্রীন
  • র‍্যাম: ৩২ জিবি ২৯৩৩ মেগাহার্জ ডিডিআর৪
  • স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এম.২ পিসিআইই এনভিএমই ৩.০ এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিক্স ২০৬০ ৬জিবি জিডিডিআর৬
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০ প্রফেশনাল
  • ব্যাটারি: ৭১-ওয়াট-ঘন্টা ৮-সেল রিচার্জেবল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি
  • অ্যাডাপ্টার: ২৩০ ওয়াট এসি অ্যাডাপ্টার
  • অডিও: বিল্ট-ইন ১ ওয়াট স্টেরিও স্পিকার
  • ওয়েবক্যাম: উইন্ডোজ হ্যালো সাপোর্ট যুক্ত আইআর ওয়েবক্যাম
  • ইউএসবি: ১×থান্ডারবোল্ট ৩; ২×ইউএসবি ৩.২ জেন ২ টাইপ-এ
  • এইচডিএমআই: ১×এইচডিএমআই
  • ওজন: ২.৫ কেজি
  • কালার: সেলেস্টিয়াল ব্লু
  • ওয়ারেন্টি: ২ বছর
  • মূল্য: ৩,১০,০০০ টাকা

এর দাম দেখে কিছুটা আশ্চর্য হওয়াটা অস্বাভাবিক না। আসুসের কোর i9 দশম জেনারেশন প্রসেসর সম্বলিত এই ল্যাপটপটি বাজারের সবচাইতে শক্তিশালী ল্যাপটপগুলোর মাঝে একটি। এর শক্তিশালী প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড, দ্রুতগতির স্টোরেজ, অসাধারণ টাচস্ক্রীন ও ৪কে ডিসপ্লে একে যেকোনো কাজের জন্য অনন্য করেছে। এতে ১৪ ইঞ্চির screenpad plus প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে, যা মূল স্ক্রীনের পাশাপাশি প্রায় সমানতালে কাজ করে যায়। একই সাথে হাতের লেখা বা ছবি আকার মতো কাজেও এটি অনেক সুবিধা দেয়। এর নাম্বার প্যাডকে একটি টাচপ্যাড হিসাবে যুক্ত করায় একে যেকোনো সময় চালু করে নাম্বারপ্যাড হিসাবে, আবার বন্ধ করে সাধারণ টাচপ্যাড হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এর স্ক্রীনের ফ্রেমলেস ডিজাইনের জন্য ৮৯% স্ক্রীন টু বডি রেশিও পাওয়া যায়। যা প্রায় সকল ধরনের কাজে দেখার ক্ষেত্রে সুবিধা দেয় এবং বিরক্তিকর ডিসপ্লে ফ্রেম থেকে অনেকটা নিস্তার দেয়। সব মিলিয়ে দামের পরিবর্তে অন্যতম সেরা পণ্য দেবার প্রচেষ্টায় এই ল্যাপটপটি বাজারে এনেছে আসুস। যা তার পারফর্ম্যান্স দিয়ে এত দাম হওয়া সত্ত্বেও বাজারে সবচেয়ে প্রচলিত ল্যাপটপের মাঝে নিজের যায়গা ধরে রেখেছে।

এইচপি (HP) ল্যাপটপ এর দাম

কম দামে সর্বোচ্চ কম্পোনেন্টের জন্য এইচপি এর ল্যাপটপ বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। এরা সর্বোচ্চ কম্পোনেন্ট প্রায় সবসময়ই দিয়ে থাকে অন্যান্য অধিকাংশ প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র‍্যান্ডের চাইতে কম মুল্যে। একসময় এদের পণ্যের বেশ দুর্নাম থাকলেও বর্তমানে তারা সেটা কাটিয়ে উঠে বাজারের সেরা কিছু ল্যাপটপ তৈরি করছে। সেরকম কিছু উদাহরণ হচ্ছে HP spectre x360, HP eliteBook 840। নিচে এই দুটি ল্যাপটপ এর দাম এবং ল্যাপটপ দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করছি।

HP spectre x360

HP spectre x360 ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশন:

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i7 ১১ তম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৩.৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০×১০৮০) টাচস্ক্রীণ ডিসপ্লে
  • র‍্যাম: ১৬ জিবি এলপিডিডিআর৪এক্স-৪২৬৬ এসডির‍্যাম
  • স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট পিসিআইই এনভিএমই টিএলসি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: ইন্টেল আইরিশ এক্সই গ্রাফিক্স
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০ হোম
  • ব্যাটারি: ৪-সেল
  • অ্যাডাপ্টার: ৬৫ ওয়াট এসি অ্যাডাপ্টার
  • অডিও: কোয়াড স্পিকার; এইচপি অডিও বুস্ট
  • ওয়েবক্যাম: ২.২ মি.মি ৭২০পি উইন্ডোজ হ্যালো আইআর ওয়েবক্যাম
  • ডিসপ্লে পোর্ট: ১×ডিসপ্লে পোর্ট ১.৪
  • ইউএসবি: ২×থান্ডারবোল্ট ৪; ১×ইউএসবি টাইপ-এ
  • ওজন: ১.৩৪ কেজি
  • কালার: পোসেইডন ব্লু
  • ওয়ারেন্টি: ১ বছর
  • মূল্য: ২,০০,০০০ টাকা

ইন্টেল i7 ১১ তম জেনারেশনের এই নতুন ল্যাপটপটি বর্তমানে এইচপি এর অন্যতম শক্তিশালী ও সেরা ল্যাপটপ। এর ১৩.৫ ইঞ্চির বেশ ছোট টাচস্ক্রীন ডিসপ্লে থাকায় ল্যাপটপটির আকৃতি বেশ ছোট হয়ে এসেছে যা ল্যাপটপটি বহনের কাজে অনেক সুবিধা প্রদান করে। এতে ১৬ জিবি র‍্যাম ও ১ টেরাবাইট এসএসডি স্টোরেজ থাকায় যেকোনো কাজ বেশ দ্রুত করতে পারবে ল্যাপটপটি। এর ফুল এইচডি ৩:২ রেশিও এর স্ক্রীন কাজের জন্য অনেকখানি যায়গা দিবে এবং একই সাথে দিবে পরিষ্কার ছবি। ল্যাপটপটির অন্যতম একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এর প্রাইভেসি। এতে আপনি যেকোনো সময়ে একটি ক্লিকের মাধ্যমেই ক্যামেরা ও মাইক বন্ধ করে দিতে পারবেন, একই সাথে এই প্রযুক্তিতে হ্যাক করাও সম্ভব নয়। সবমিলিয়ে বিজনেস ল্যাপটপ হিসাবে অসাধারণ প্রাইভেসি এবং মোটামুটি বেশ ভাল পারফর্ম্যান্স পাচ্ছেন আপনি এই দামে।

HP eliteBook 840

HP eliteBook 840 ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশন:

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i5 ১১ তম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৪ ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০×১০৮০)
  • র‍্যাম: ৪ জিবি
  • স্টোরেজ: ২৫৬ জিবি এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: ইন্টেল আইরিশ এক্সই
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০ হোম
  • ব্যাটারি: ৩ সেল ৫৩-ওয়াট-ঘন্টা ব্যাটারি
  • অ্যাডাপ্টার: ৪৫ ওয়াট এসি অ্যাডাপ্টার
  • ওয়েবক্যাম: ৭২০পি আইআর ওয়েবক্যাম
  • ইউএসবি: ২×থান্ডারবোল্ট ৪; ২× ইউএসবি টাইপ-এ;
  • এইচডিএমআই: ১×এইচডিএমআই ২.০বি
  • ওজন: ১.৫৮ কেজি
  • কালার: মেটালিক গ্রে
  • ওয়ারেন্টি: ১ বছর
  • মূল্য: ১,৪০,০০০ টাকা

Hp spectre x360 থেকে কিছুটা দুর্বল ও কম দামের হলেও সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে Hp elitbook 840 বেশ ভালো পারফরম্যান্সই দিয়ে থাকে। এর ১৪ ইঞ্চির ৮৫% স্ক্রীন টু বডি রেশিও সম্বলিত ডিসপ্লে দেখার কাজে বেশ সুবিধা দেয়। এতে ৪ জিবি র‍্যাম দেয়া থাকলেও আরেকটি র‍্যাম স্লট খালি থাকায় চাইলে আপনি নতুন করে আরো র‍্যাম যুক্ত করতে পারবেন সহজেই। এবং একইসাথে র‍্যাম যুক্ত করলে আপনি ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল আইরিশ এক্সই গ্রাফিক্সের পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সবমিলিয়ে হালকা, চিকন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারীর এই ল্যাপটপটি আপনার কাজে খুবই সহায়ক ভুমিকা রাখবে।

লেনোভো (Lenovo) ল্যাপটপ এর দাম

প্রযুক্তি খাতে লেনোভো চেনে না এমন হয়ত কম মানুষই আছে। চীনা এই কোম্পানিটি কম্পিউটারের বাজারে বহুদিন ধরেই অনেক পরিচিত একটা নাম। বর্তমানে এরা বিশ্বের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। লেনোভো একদম কম দাম থেকে শুরু করে অনেক উচ্চমূল্যের সকল ধরনের ল্যাপটপই তৈরি করে থাকে এবং তাদের প্রতিটি পণ্যেই তারা মান বজায় রাখে। তারা সকল ধরনের লোকের জন্য সকল ধরনের ল্যাপটপ বাজারে আনে। যেখানে আপনি ল্যাপটপের জন্য খরুচে না হলে গেমিং ল্যাপটপ কিনতে পারবেন না, সেখানে লেনোভো যথেষ্ট কম দামে আপনাকে সেই সুযোগ করে দেবে। বিজনেস ল্যাপটপ তৈরির দিক দিয়েও তারা অন্যতম। এছাড়াও তাদের প্রায় সকল ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ আসলেই চোখে পড়ার মত। ডিজাইনের দিক দিয়েও তাদের অবস্থান অন্যান্য অনেক ব্র‍্যান্ডের চাইতে উপরে। লেনোভো এর সেরা ও বাজারে প্রচলিত কিছু ল্যাপটপের মাঝে অন্যতম হচ্ছে Lenovo thinkpad X1 carbon, Lenovo ideapad 330। নিচে এই দুটি ল্যাপটপ এর দাম এবং ল্যাপটপ দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করছি।

Lenovo Thinkpad X1 carbon

Lenovo Thinkpad X1 carbon ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশন:

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i7 দশম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৪ ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০×১০৮০)
  • র‍্যাম: ১৬ জিবি ডিডিআর৪
  • স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: ইন্টেল ইউএইচডি ৬২০
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০ প্রফেশনাল
  • ব্যাটারি: ৪ সেল, ৫১-ওয়াট-ঘন্টার ইন্টারনাল ব্যাটারী
  • অ্যাডাপ্টার: ৬৫ ওয়াট ইউএসবি-সি
  • অডিও: ডলবি এটমস স্পিকার সিস্টেম, ৪×৩৬০ ডিগ্রি ফার-ফিল্ড মাইক্রোফোন
  • ওয়েবক্যাম: মাইক্রোফোন সহ ৭২০পি এইচডি ক্যামেরা
  • ইউএসবি: ২×ইউএসবি ৩.১ ১ম জেনারেশন; ২×ইউএসবি ৩.১ টাইপ-সি ২য় জেনারেশন
  • এইচডিএমআই: ১×এইচডিএমআই ১.৪বি
  • ওজন: ১.০৮ কেজি
  • কালার: কালো
  • ওয়ারেন্টি: ১ বছর
  • মূল্য: ১,৯৫,০০০ টাকা

লেনোভো এর সবচেয়ে সেরা বিজনেস ল্যাপটপ হচ্ছে Thinkpad X1 carbon। দামের মধ্যে বাজারের অন্যতম সেরা প্রাইভেসি, অসাধারণ পারফর্ম্যান্স, শক্তিশালী ব্যাটারীর সেরা একটি ল্যাপটপ এটি। ল্যাপটপটি স্লিপ মোড থেকে ১ সেকেন্ডের মাঝে চালু হয়ে পরবর্তী সেকেন্ডে ওয়েব ব্রাউজিংয়ে চলে যেতে পারে। এর সাউন্ড সিস্টেম ও মাইক্রোফোন অত্যন্ত ভালো মানের। আপনি রুমের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে চাইলে ভয়েস এক্টিভেশন ব্যবহার করতে পারবেন। প্রাইভেসির দিক দিয়েও রয়েছে অনেক সুবিধা। Thinkshutter এর মাধ্যমে আপনি চাইলে ফিজিকাল ক্যামেরা কভারের মাধ্যমে ল্যাপটপটির ওয়েবক্যাম বন্ধ করে রাখতে পারবেন। এতে ব্যবহার করা হয়েছে Match-on-chip fingerprint reader, যেটা বর্তমানে পৃথিবীর সবচাইতে নিরাপদ ফিঙ্গারপ্রিন্ট টেকনোলজি। এসবের পাশাপাশি শক্তিশালী ব্যাটারীর জন্য প্রায় ১৯ ঘন্টারও বেশি সময় পর্যন্ত চার্জ থাকবে ল্যাপটপটিতে। এবং এর ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম ১ ঘন্টায় লো ব্যাটারি থেকে চার্জ ৮০% এ নিয়ে যেতে সক্ষম।

Lenovo Ideapad 330

Lenovo Ideapad 330 ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশন:

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i7 ৮ম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০×১০৮০)
  • র‍্যাম: ১৬ জিবি
  • স্টোরেজ: ২৫৬ জিবি পিসিআইই এসএসডি+ ১ টেরাবাইট সাটা এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স১০৫০
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০ হোম
  • ব্যাটারি: ২-সেল, ৩৫-ওয়াট-ঘন্টা
  • অ্যাডাপ্টার: ৬৫ ওয়াট এসি অ্যাডাপ্টার
  • অডিও: ডলবি অডিও সহ ২×২ ওয়াট স্পিকার
  • ওয়েবক্যাম: এইচডি ক্যামেরা
  • ইউএসবি: ইউএসবি টাইপ-সি ৩.১; ২× ইউএসবি ৩.০
  • এইচডিএমআই: ১×এইচডিএমআই
  • ওজন: ২.২ কেজি
  • কালার: প্লাটিনাম গ্রে, ব্লিজার্ড হোয়াইট, মিডনাইট ব্লু, চকোলেট, অনিক্স ব্ল্যাক
  • ওয়ারেন্টি: ১ বছর
  • মূল্য: ৭০,০০০ টাকা

বেশ কম দামে একদম সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি খুবই ভালো একটি পছন্দ। এর ফুল চেসিস প্লাস্টিকের হলেও বাইরের রাবারের আবরণ, ম্যাট ফিনিসের জন্য একে মেটালিক মনে হয়। এবং একই সাথে এর চেসিসটি অত্যান্ত মজবুত। মাত্র ১৫ মিনিট চার্জ দিয়েই আপনি ল্যাপটপটি প্রায় দুই ঘন্টা ব্যবহার করতে পারবেন। ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক থাকায় স্টোরেজেও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। অসাধারণ সাউন্ড কোয়ালিটি থাকায় সাউন্ড ফুল করেও যেকোনো শব্দ সম্পূর্ণ ডিটেইলে শুনতে পারবেন। এতে একটি ডিভিডি ড্রাইভ থাকায় এতে যেকোনো সিডি, ডিভিডিও ব্যবহার করা যাবে।

ডেল (Dell) ল্যাপটপ এর দাম

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ল্যাপটপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডেল অন্যতম। ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া কোম্পানিটি বহুদিন ধরেই পার্সোনাল কম্পিউটারের খাতে বেশ পরিচিত একটি নাম। তারা যদিও তাদের ল্যাপটপের ডিজাইনের দিকে অতটা মনোযোগ দেয় না, কিন্তু তারা হার্ডওয়্যারের দিকে তাদের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। ব্র‍্যান্ডটির ব্যবহারকারীর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে ব্র‍্যান্ডটির পণ্য বিক্রয় পরবর্তী সেবা। এই দিকে তারা বিশ্বের সবচেয়ে সেরাদের মাঝে একটি। যেকোনো সময় ল্যাপটপের যেকোনো সমস্যায় তাদের সাহায্য পাবেন আপনি। মূলত এই দিকটাই তাদের বিশ্ববাজারে স্থান ধরে রাখতে সাহায্য করছে। ডেল এর বর্তমানের সেরা দুটি ল্যাপটপ হচ্ছে Dell xps 13, Dell Inspiron 15। নিচে এই দুটি ল্যাপটপ এর দাম এবং ল্যাপটপ দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করছি।

Dell xps 13

Dell xps 13 ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশন:

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i7 ১০ম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৩.৩ ইঞ্চি ৪কে (৩৮৪০×২১৬০) ইনফিনিটি এ’জ টাচস্ক্রীন ডিসপ্লে
  • র‍্যাম: ১৬ জিবি ৩৭৩৩ মেগাহার্জ এলপিডিডিআর৪এক্স
  • স্টোরেজ: ৫১২ জিবি এম.২ পিসিআইই এনভিএমই এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: ইন্টেল আইরিশ প্লাস
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০ হোম
  • ব্যাটারি: ৫২-ওয়াট-ঘন্টা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি
  • অ্যাডাপ্টার: ইউএসবি টাইপ-সি ৪৫ ওয়াট পাওয়ার অ্যাডাপ্টার
  • অডিও: ২×২ ওয়াট বটম-ফায়ারিং স্পিকার
  • ওয়েবক্যাম: আইআর যুক্ত ৭২০পি ক্যামেরা
  • ইউএসবি: ২×থান্ডারবোল্ট ৩
  • ওজন: ১.৩ কেজি
  • কালার: সিলভার, রোজ গোল্ড, ফ্রস্ট
  • ওয়ারেন্টি: ১ বছর
  • মূল্য: ১,৮৩,০০০ টাকা

বেশ ছোট আকৃতির এই ল্যাপটপটি বর্তমানের অনেক ল্যাপটপের তুলনায়ই বেশ শক্তিশালী। এর ডিসপ্লে এর দিক থেকে ডেল চারপাশের বর্ডার প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে অপসারণ করে ফেলেছে। এবং এই ফিচারটি মোটেও স্ক্রিনের কোয়ালিটিতে খারাপ প্রভাব ফেলে না। বরং এটির ডিসপ্লে অন্যান্য অনেক ল্যাপটপের চেয়ে উজ্জ্বল ও স্পষ্ট ছবি দেয়। ফলে আপনি কোনো সমস্যা ছাড়াই এর বর্ডারবিহীন স্ক্রীন উপভোগ করতে পারবেন। এর সম্পূর্ণ প্রস্থ জুড়ে ছড়ানো ব্যাকলিট কিবোর্ড ও ৪.৪×২.৬ ইঞ্চি টাচপ্যাড টাইপিং ও অন্যান্য কাজে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য দেবে আপনাকে। এর শক্তিশালী ব্যাটারীর কারণে ল্যাপটপটি ১২ ঘন্টারও বেশি টানা ব্যবহার করতে পারবেন। সবমিলিয়ে এই ছোট, চিকন, প্রায় বর্ডারলেস ডিসপ্লের এই ল্যাপটপটি আপনার প্রায় সকল কাজে স্বাচ্ছন্দ্য দিতে সক্ষম।

Dell Inspiron 15

Dell Inspiron 15 ল্যাপটপ

স্পেসিফিকেশন:

  • প্রসেসর: ইন্টেল কোর i7 ১০ম জেনারেশন
  • ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি (১৯২০×১০৮০)
  • র‍্যাম: ৮ জিবি ডিডিআর৪, ২৬৬৬ মেগাহার্জ
  • স্টোরেজ: ৫১২ জিবি এম.২ পিসিআইই এনভিএমই এসএসডি
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স এমক্স ২৩০ ২ জিবি জিডিডিআর৫
  • অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ১০
  • ব্যাটারি: ৩-সেল, ৪২-ওয়াট-ঘন্টা
  • অ্যাডাপ্টার: ৬৫ ওয়াট এসি অ্যাডাপ্টার
  • অডিও: ওয়েভ ম্যাএক্স অডিও প্রো সহ ২টি টিউনড স্পিকার
  • ওয়েবক্যাম: এইচডি ৭২০পি ওয়াইডস্ক্রীন ওয়েবক্যাম
  • ইউএসবি: ২× ইউএসবি ৩.১ ১ম জেনারেশন; ১× ইউএসবি ২.০
  • এইচডিএমআই: ১×এইচডিএমআই
  • ওজন: ১.৮৩ কেজি
  • কালার: মিডনাইট ব্লু,প্লাটিনাম সিলভার
  • ওয়ারেন্টি: ২ বছর
  • মূল্য: ৮৩,৫০০ টাকা

i7 দশম জেনারেশন ও Nvidia এর ২ জিবি গ্রাফিক্স কার্ডের ল্যাপটপটি দৈনন্দিন জীবনে আপনার প্রায় সকল প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। কিছুটা বড় আকারের এই ল্যাপটপ বহনের দিক থেকে হালকা সমস্যা করলেও পারফর্ম্যান্স এর দিক থেকে তা পুষিয়ে যায়। এর কিবোর্ডের কি গুলোতে অন্যান্য ল্যাপটপের কি থেকে বেশি ট্রাভেল ও ক্লিকি অনুভূতি পাবেন। ফলে টাইপিং এর কাজে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে নাম্বারপ্যাড থাকায় এক্সেল বা তার সমগোত্রীয় কোন সফটওয়্যার ব্যবহারে সুবিধা পাবেন। আপগ্রেডের সুবিধার জন্য এতে দুইটি র‍্যাম স্লট আছে। তাই আপনি চাইলে সহজেই এতে একটি অতিরিক্ত র‍্যাম ইন্সটল করতে পারবেন। একই সাথে একটি ২.৫ ইঞ্চি সাটা ড্রাইভ স্লট ও একটি এম.২ স্লট থাকায় স্টোরেজ বৃদ্ধি করাও বেশ সহজ। এতে Dell mobile connect ফিচার যুক্ত থাকায় যেকোনো Android বা iOS এর সাথে কানেক্ট করে আপনার মোবাইল ফোনের সকল ফিচার ল্যাপটপে উপভোগ করতে পারবেন। এবং একই সাথে মোবাইল ফোন থেকে ল্যাপটপে যেকোনো ফাইল খুব দ্রুত আদান-প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও এতে অনেকগুলো পোর্টের সুবিধা থাকায় অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ দেয়াটা অনেকটাই সহজ। এর ১৫.৬ ইঞ্চির বেশ চিকন বর্ডারযুক্ত মনিটরে কাজ করা অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যের। সব মিলিয়ে এটি বাজারের অন্যতম সেরা বাজেট ল্যাপটপের একটি।

শেষকথা

ল্যাপটপ কেনার আগে বাজেট অনুযায়ী জনপ্রিয় ও ভালো ল্যাপটপ খুঁজে পেতে ও সেগুলো সম্পর্কে বিষদ ভাবে জানানোর জন্যই আর্টিকেলটি তৈরি করা। জনপ্রিয়তার দিক থেকে অন্যতম সেরা ল্যাপটপের দাম ও খুটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে এতে। তাই ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে লেখাটি অনেকটুকু সাহায্য করবেই বলে বিশ্বাস করি।

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

ল্যাপটপ গুলো কোথা থেকে কিনবো?

উত্তর: প্রতিটি ল্যাপটপ ব্র‍্যান্ডের নির্দিষ্ট আমদানিকারক রয়েছে। সরাসরি তাদের কাছ থেকে না কিনতে পারলেও যেকোনো নির্ভরযোগ্য দোকান থেকেই কিনতে পারেন। তবে ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই করে ওয়ারেন্টি সহ কিনবেন।

ল্যাপটপের দাম কি সকল দোকানে একই থাকে?

উত্তর: কিছু নির্দিষ্ট ব্র‍্যান্ডের অফিসিয়াল দোকান বাদে দোকান ভেদে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে দামে।

থান্ডারবোল্ট ইউএসবি কি?

উত্তর: থান্ডারবোল্ট হচ্ছে ইন্টেল ও অ্যাপলের যৌথভাবে তৈরি একটি হার্ডওয়্যার ইন্টারফেস, যা পিসিআই এক্সপ্রেস, ডিসপ্লে পোর্ট ও ডিসি বিদ্যুৎ একই কেবলের মাধ্যমে সঞ্চালন করতে পারে। থান্ডারবোল্ট ১ ও ২ মিনি ডিসপ্লে পোর্টের মত এবং ৩ ও ৪ ইউএসবি-সি এর মত একই কানেক্টর ব্যবহার করে।

ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি ক্লেইম করবো কিভাবে?

উত্তর: ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি এর সময় বাকি থাকলে, আপনি যে দোকান থেকে কিনেছেন কাগজপত্র সহ তাদের কাছে নিয়ে গেলেই হবে।

কোন ব্র‍্যান্ডের বিক্রয় পরবর্তী সেবা সবচেয়ে ভালো?

উত্তর: পুরো বিশ্বে বিক্রয় পরবর্তী সেবার জন্য অ্যাপল অদ্বিতীয়। এছাড়াও ডেল খুবই ভালো সেবা দিয়ে থাকে।

 

 

 

সর্বশেষ আপডেটের তারিখঃ ০৫/৩১/২০২১

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button