ডিজিটাল মার্কেটিংমার্কেটিংসিপিএ মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত

গ্রাহক আকর্ষণ সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই আকর্ষণ করার মাধ্যম আমাদের অনেকের অজানা। কন্টেন্ট মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ এবং গ্রাহক আকর্ষণের  কৌশল। যেটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই লেখাটাতে।

সূচিপত্রঃ

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?

কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার উপকারিতা, ব্যবহার উপযোগিতা  এবং কোন তথ্যবহুল বিষয় রিটেন, ভিডিও, ইমেজ, স্পীচ এর মাধ্যমে গ্রাহকের মাঝে উপস্থাপন করাই হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মূল্যবান কন্টেন্ট গুলো তৈরী করে বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রাহক বরাবর পৌছানো হয়। যেমনঃ অনলাইন মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিং দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং। গ্রাহক পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর ক্রয়ে আকৃষ্ট হয়। মূলত কন্টেন্ট মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য হলো তৈরীকৃত পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো এবং আকৃষ্ট করা। যত মানসম্মত উপায়ে তৈরীকৃত পণ্যটিকে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে, ততবেশি গ্রাহক পণ্য ক্রয়ের দিকে আকৃষ্ট হবে।  সুতরাং কন্টেন্ট মার্কেটিং একটি পণ্যের গ্রাহক তৈরীতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?

কোন প্রতিষ্ঠান যখন তাঁদের পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রসারের জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে যাবে, তখন অনেক গুলো মাধ্যম সামনে আসতে পারে। তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে সূক্ষ্ম ধারণা একটি কোম্পানির প্রচার-প্রসার আরো সহজতর করে তুলতে পারে। দেখে নেওয়া যাক কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মূল প্রকারভেদ সমূহ। 

রিটেন কন্টেন্ট মার্কেটিং

রিটেন শব্দের অর্থ লিখিত। অর্থাৎ কোন প্রতিষ্ঠান যখন তাঁদের পণ্য বা সেবার বিস্তারিত বিবরণ লিখিত আকারে প্রকাশ করে তখন তাকে রিটেন কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। এই প্রক্রিয়াতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাঁদের পণ্য  সম্পর্কে তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লিখে বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করে থাকে। যেমনঃব্লগিং, এসইও, কপি-রাইটিং, ইমেইল, ইত্যাদি। 

ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং

পণ্য বা সেবার বিস্তারিত বিবরণ ভিডিও আকারে গ্রাহকদের মাঝে উপস্থাপন করাই হলো ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং। এটি কন্টেন্ট মার্কেটিং এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। মূলত ইউটিউব এবং সোশাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ধারণা গড়ে উঠেছে। এই কন্টেন্ট মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় গ্রাহক আকর্ষণ হয় বেশি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা। কারণ এর মাধ্যমে পণ্যের বিষয়বস্তু সম্পর্কে একজন গ্রাহক সহজে স্পষ্ট ধারণা নিতে পারে। 

অডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং

পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যখন অডিও আকারে গ্রাহকদের মাঝে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাকে অডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং বলে। এখানে কথা রেকর্ড করে ডিজিটাল অডিও ফাইল বানানো হয়। যেটা পরবর্তীতে ডাউনলোড করে শুনা যায়। কাজের ব্যস্ততায় লিখিত কন্টেন্ট পড়া এবং ভিডিও কন্টেন্ট দেখার সময় পায় না অনেকেই। তখন একজন গ্রাহক চাইলে অডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং এর রেকর্ড শোনার মাধ্যমে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।

ইমেজ কন্টেন্ট মার্কেটিং

পণ্য বা সেবার বিস্তারিত বিবরণ ছবি আকারে গ্রাহকের মাঝে উপস্থাপন করাকে ইমেজ কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। এই মার্কেটিং এর জন্য উপযুক্ত দুইটা ক্ষেত্র হলো ইনস্টাগ্রাম এবং পিন্টারেস্ট। কারণ এই ক্ষেত্র গুলোতে দ্রুত সময়ে ফলোয়ার তৈরী করে বেশি গ্রাহকের কাছে পৌছানে সম্ভব। যদি আপনার কাছে লিখিত, ভিডিও, অডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং কষ্টকর মনে হয়, তাহলে ইমেজ কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে গ্রাহক বরাবার আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়বস্তু তুলে ধরতে পারেন।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কেন করবেন?

কন্টেন্ট মার্কেটিং ছাড়া পণ্য বা সেবার প্রচার ও প্রসার প্রাণহীন। অর্থাৎ পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রসারে কন্টেন্ট মার্কেটিং ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ধরুন আপনি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে পণ্যের প্রসার করতে চান। তখন আপনার লিখিত কন্টেন্ট মার্কেটিং করার প্রয়োজন হবে। এবং যদি ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যেমে পণ্যের প্রসার করতে চান, তাহলে ভিডিও তৈরী করার জন্য একটি মাননম্মত কন্টেন্ট এর প্রয়োজন হবে। সর্বশেষ যদি অডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্যের প্রসার করতে চান, তখন রেকর্ডের জন্য মানসম্মত কন্টেন্ট লাগবে। সুতরাং কোন কোম্পানির প্রচার-প্রসারে কন্টেন্ট মার্কেটিং প্রয়োজনীয় একটি ভিত্তি।

এখন দেখে নেওয়া যাক সেই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য গুলো:

পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানার জন্য

বর্তমান বিশ্বে অগণিত কোম্পানির ছড়াছাড়ি। তাঁরা মানুষকে প্রতিনিয়ত পণ্য বা সেবার গ্রাহকে পরিণত করে চলছে। এই যে গ্রাহকে পরিণত করা। এই ভিত্তি এমনি এমনি গড়ে উঠেনি। এটার পিছনে রয়েছে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ভূমিকা। একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, কন্টেন্ট মার্কেটিং এর লিখিত, ভিডিও, অডিও, ইমেজ মাধ্যম ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছে তাঁদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক দুইটি কোম্পানি আলিবাবা ও অ্যামাজন! একটা সময় এই দুটি কোম্পানি সম্পর্কে আমাদের বেশির ভাগ মানুষই জানতাম না। কিন্তু এখন প্রযুক্তির আশির্বাদে এই কোম্পানি গুলো সহ আরো বিভিন্ন কোম্পানি সম্পর্কে জানার সুযোগ হচ্ছে। মনে প্রশ্ন আসতে পারে প্রযুক্তির কোন ক্ষেত্র ব্যবহার করে গ্রাহক পর্যন্ত তাঁদের পণ্য বা সেবার বিষয়বস্তু তুলে ধরছে? সহজে উত্তর আসবে— কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে। ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ভিডিও অন করলে প্রথমে চলে আসে কোন না কোন বিজ্ঞাপন। মূলত এই বিজ্ঞাপন গুলো হলো ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং। যার মাধ্যমে গ্রাহকদের জানান দিচ্ছে তাঁদের পণ্যের উপযোগিতা, উপকারিতা এবং কেন ব্যবহার করবেন তাঁদের এই পণ্য।

কোম্পানির ব্রান্ড ভ্যালু বাড়ানো

কোম্পনির ব্রান্ড ভ্যালু বাড়ানো কঠিন একটি কাজ। যদি কৌশলে আগানো যায়, তাহলে কোম্পানির ব্রান্ড ভ্যালু  সহজে বাড়ানো যেতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত উপায়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং করা। উদাহরণস্বরূপ: অনলাইন শপ দারাজ! একটা সময় তাঁদের এতো বেশি পরিচিতি ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের পরিচিতি বাংলাদেশের যতসব অনলাইন শপ আছে সবকটির শীর্ষে। কারণ তাঁরা কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে ব্রান্ড ভ্যালু তৈরী করে নিয়েছে।

কাস্টমার তৈরী করা

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্দেশ্য হলো কাস্টমার তৈরী করা। একজন ক্রেতা পণ্য সম্পর্কে জেনে ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। মূলত গ্রাহক পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে। কোম্পানি যখন পণ্যের প্রচার- প্রসারের জন্য কন্টেন্ট তৈরী করবে, লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি যেন মানসম্মত হয়। কারণ মানসম্মত কন্টেন্ট দেখে অনেকেই পণ্য ক্রয়ের দিকে ঝুকে। সুতরাং মানসম্মত কন্টেন্ট মার্কেটিং কাস্টমার তৈরীতে অধিকতর সাহায্য করে। অন্যদিক কন্টেন্ট যদি ভালো মানের না হয়, গ্রাহক পণ্য ক্রয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কৌশল

কোন কাজ কৌশলে করলে সফলতা অর্জন সহজ হয়। তেমনি  কন্টেন্ট মার্কেটিং করা উচিত কৌশলে। দেখে নেওয়া যাক কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের কিছু কৌশল।

  • কন্টেন্ট তৈরীর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে টার্গেট গ্রাহকের দিকে। তাঁদের চাহিদাকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে কন্টেন্ট তৈরী করলে  গ্রাহকের চোখে আকর্ষণীয় হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
  •  গবেষণা করে মানসম্মত কন্টেন্ট বানাতে হবে। কারণ কন্টেন্ট মার্কেটিং বেঞ্চমার্ক জরিপ অনুসারে ৮৬% ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কন্টেন্ট মার্কেটিং করে। এতে কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং অন্য কোম্পানির তৈরী কন্টেন্ট থেকে আপনার কন্টেন্ট যত বেশি মানসম্মত হবে, গ্রাহকের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে ততবেশি।
  • কন্টেন্ট যেন গ্রাহকের কাছে বিরক্তিকর মনে না হয়। কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে সবসময় ইন্টারেস্টিং কিছু রাখতে হবে। যাতে গ্রাহকরা পড়ে অথবা দেখে মজা পায়।
  • কম দামে কন্টেন্ট বানাতে যাবেন না। কারণ আপনার উদ্দেশ্য থাকবে কন্টেন্ট যেন গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়। এবং কন্টেন্ট তৈরী আপনার ব্যবসার একটি বিনিয়োগ হিসেবে ধরে নিতে হবে।
  • কম সময়ে বেশি কন্টেন্ট বানাতে যাবেন না। এতে নিম্নমানের কন্টেন্ট এর কারণে আপনার ব্যবসার সুনাম নষ্ট হতে পারে। বরং পাঁচটি নিম্নমানের কন্টেন্টের চেয়ে একটি মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরী করুন।

কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের সুবিধা

কন্টেন্ট যেন মানসম্মত হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের। কারণ এর রয়েছে বেশ কিছু সুবিধা। দেখে নেওয়া যাক সুবিধা সমূহ:

  • কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজে এবং কম সময়ে ব্যবসার প্রচার-প্রসার সম্ভব।
  •  কন্টেন্ট মার্কেটিং সাধারণ ভিজিটর্সকেও গ্রাহকে পরিণত করতে পারে।
  • যদি  গ্রাহকদের চাওয়ার দিকে লক্ষ্য রেখে মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরী করতে পারেন, তাহলে দ্রুত সময়ে আপনার ব্যবসা পরিচিতি লাভ করাতে পারবেন।
  • কন্টেন্টে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট গ্রাহক সম্পর্কে জানতে পারবেন।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে নিজের ব্যবসার উপর গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে নেওয়া যায়।
  • বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক কন্টেন্ট প্রকাশ করে গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।

কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের অসুবিধা

কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে কিছু অসু্িধা। দেখে নেওয়া যাক অসুবিধা সমূহ:

  • বর্তমান বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবার প্রচার-প্রসারে কন্টেন্ট মার্কেটিং নির্ভর। সুতরাং আপনার ব্যবসা যে ধরনের হোক না কেন, বাজারে অন্য প্রতিযোগী ব্যবসায়ীর সম্মুখীন হবেন।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এতো কন্টেন্ট মার্কেটিং নির্ভরতায় বাজারে কন্টেন্ট ইনফরমেশন এক ধরনের ওভারলোড হয়ে আছে। এতে গ্রাহক পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিংএ শ্রম ও সময় লাগে বেশি। গবেষণা করে কন্টেন্ট লেখা, এডিট করা অনেক সময়ের ব্যাপার।
  •  কন্টেন্ট প্রকাশের পর লম্বা সময় আপনি কোন রিটার্ন নাও পেতে পারেন।

কেন শিখবেন কন্টেন্ট মার্কেটিং?

গ্রাহকদের বয়সের পার্থক্যের কারণে চাহিদার রয়েছে ভিন্নতা। তাই কন্টেন্ট তৈরীর সময় ধারণা থাকতে হবে গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে। যদি কন্টেন্ট তৈরীতে দক্ষ না হোন, তাহলে গ্রাহকদের চাহিদা সহজে বুঝা সম্ভব হবে না।

অপরদিকে কন্টেন্ট মার্কেটিং শিখে আপনি নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং ছাড়া ব্যবসায়ের প্রচার-প্রসার এক প্রকার অসম্ভব। কারণ একটি কোম্পানির গ্রাহকের কাছে তাঁদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তুল ধরার উত্তর একটি পদ্ধতি হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং। যদি আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে কোন কোম্পানিতে তাঁদের কন্টেন্ট মার্কেটার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল, ম্যাগাজিন, পত্রিকাতে কাজ করার সুযোগ। সুতরাং একদিকে গ্রাহকের চাহিদা বোঝা অন্যদিকে নিজের একটা আয়ের পথ তৈরী— দুইটির জন্যই কন্টেন্ট মার্কেটিং শিখতে পারেন।

উপসংহার

প্রচার-প্রসারের কাজ যেখানে করতে যান না কেন, অবশ্যই আপনার একটি ভালো মানের কন্টেন্টের প্রয়োজন হবে। সুতরাং আপনার ব্যবসার ভিত্তি মজবুত এবং পণ্য ও সেবার প্রচার-প্রসারের জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং এর উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা ব্যবসায় সফলতার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং।

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

একজন কন্টেন্ট রাইটার কোথায় কাজ করতে পারেন?

প্রচার-প্রসার যেহেতু কন্টেন্ট মার্কেটিং নির্ভর। তাই একজন কন্টেন্ট রাইটার কাজ করার জন্য অনেক ধরনের পথ খোলা। যেমন: পত্রিকা, ম্যাগাজিন, অনলাইন মার্কেটপ্লেস, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, অনলাইন পোর্টাল। যদি আপনি একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হোন, তাহলে এই ক্ষেত্রে গুলোতে কাজ করা সুযোগ পেতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শিখবো?

কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে পড়ার কোন বিকল্প নেই। একটা কথা আছে—ভালো লেখক হতে চাইলে, আগে ভালো পাঠক হতে হবে। এবং কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে নিয়মিত লেখালেখির চর্চা এবং গবেষণা করার মানসিকতা থাকা দরকার। লেখায় বৈচিত্র আনার জন্য বিভিন্ন লেখকের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

কন্টেন্ট রাইটিংয়ে আয় কেমন?

কন্টেন্ট রাইটিংয়ে আয় নির্ভর করে কাজ এবং প্রতিষ্ঠানের উপর। তাই নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে প্রতিষ্ঠান যদি ভালো হয় এবং কাজ যদি নিয়মিত করেন, তাহলে কন্টেন্ট লিখে মোটামুটি একটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া যাবে?

কন্টেন্ট রাইটিং অনেকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছে। যদি ক্যারিয়ার হিসেবে না নিতো অনলাইন পোর্টাল এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলোর পক্ষে কন্টেন্ট মার্কেটিং করা কঠিন হয়ে যেতো। কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়ে আপনি পত্রিকা অথবা অনলাইন পোর্টাল গুলোতে এন্ট্রি লেভেলের রাইটার হিসবে সুযোগ পেলে এবং পরবর্তীতে সিনিয়র অথবা সাব এডিটর পদে উন্নতি হতে পারেন। যা নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতার উপর। এছাড়া  কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ আসতে পারে। সুতরাং কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহন করা যাবে। 

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Back to top button