ভিসাভ্রমন

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম

বিদেশ ভ্রমনের অনেক গুলো কারণই রয়েছে, সেটা হতে পারে উন্নত চিকিৎসা কিংবা পড়াশোনার জন্য। অথবা হতে পারে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ, বা হতে পারে চাকুরির উদ্দেশ্যে। যে কারণেই হোক না কেনো, উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের মানুষেরাই ভারতে ভ্রমণ করে থাকেন। আর এই ভ্রমনের জন্য তাদের প্রয়োজন ইন্ডিয়ান ভিসা বা ভারতীয় ভিসা। ভারতীয় ভিসার আবেদন করার মাধ্যমে যে কেউ ভারতে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে থাকে, তো কিভাবে করতে হয় এই ভারতীয় ভিসা? ভারতীয় ভিসার আবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার জন্যই আজকে আমাদের এই লেখা। আশা করি আপনাদের লেখাটি ভালো লাগবে।

সূচিপত্রঃ

ইন্ডিয়ান ভিসা কি?

আমরা সবাই ভিসার মতোই হলো ইন্ডিয়ান ভিসা। ইন্ডিয়ান ভিসা হলো ভারতে কোনো কাজের উদ্দেশ্যে প্রবেশের জন্য যে অনুমতিপত্র হিসেবে যে নথি প্রদান করা হয়, এই নথি ব্যতীতে কেউ ইন্ডিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে না। তো বুঝতেই পারছেন, যে ভারতে প্রবেশের জন্য ইন্ডিয়ান ভিসার গুরুত্ব কতটুকু। এই নথির অভাবে ভারতে আপনি পাসপোর্ট থাকার পরেও প্রবেশ করতে পারবেন না, যতোই জরুরি কাজ হোক না কেনো। আবেদন এর সময়ে কোনো ধাপ ঠিকমতো পূরণ না করলে, ভিসার আবেদন বাতিলও হয়ে যেতে পারে। ইন্ডিয়ান ভিসা করার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং এরপর যাবতীয় প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করার ফলে আপনার ভিসা আপনি হাতে পেয়ে যাবেন। এসব নিয়ে আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ইন্ডিয়ান ভিসা কেনো করবো?

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, যে ইন্ডিয়ান ভিসা কেনো করবো? যেকেউ তাদের নিজেদের জন্য যদি চিন্তা করে দেখে, তাহলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কারণ কোনো একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই মানুষ ভিসা করে। যেমন, ওয়ার্ক ভিসা, ট্যুরিজম ভিসা, হলিডে ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ইমিগ্রেন্ট ভিসা এর মতো আরও অনেক। এখন, ভারতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিংবা উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য, বা জবের জন্য কেউ যেতে চাইলে তাদের সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ভিসার আবেদন করতে হবে। ভিসার আবেদন সময়ে যে ভিসার আবেদন করা হচ্ছে সেটার সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পূরণ হচ্ছে কি না সে বিষয় এ সচেতন থাকতে হবে, অন্যথায় ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করবো?

প্রথমেই আমাদের এটা নির্ধারণ করে ফেলতে হবে যে আমরা কি উদ্দেশ্যে ভিসা করতে যাচ্ছি তাহলে পরবর্তী প্রক্রিয়া গুলোতে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। ধরে নেই, আমরা ট্যুরিজম ভিসা নিয়ে ভারতে যেতে চাই তো এখানে আমাদের একটা কাজ হয়ে গেলো, যে আমাদের ভিসাটা কিসের হবে।

যেহেতু আমরা ভারতীয় ভিসার আবেদন করছি, তো আমাদের শুরুতেই যেতে হবে তাদের ওয়েবসাইট এ। আমরা পুরো প্রক্রিয়াটাই অনলাইনে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো। শুরুতেই চলে যাই তাদের ওয়েবসাইট এ, যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে “ইন্ডিয়ান ভিসা আপ্লিকেশন” লিখে সার্চ করুন। এরপরই, স্ক্রিনে আসা www.indianvisa-bangladesh.nic.in এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

এরপর, অনলাইন ভিসা এপ্লিকেশন এ ক্লিক করলেই, আমাদের সামনে ফর্ম চলে আসবে। এখন ফর্মে একাধিক ধাপ রয়েছে, আমরা সবগুলো ধাপের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে যাবো।

অনলাইনে ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন করার নিয়ম

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আমাদের তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্মের যাবতীয় তথ্য পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আমরা এই পর্যায়ে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটিই বিশ্লেষণ করবো। 

শুরুতেই চলে যাই তাদের ওয়েবসাইট এ, www.indianvisa-bangladesh.nic.in এ গিয়ে আমরা ভিসা এপ্লিকেশন এ ক্লিক করলে শুরু হয়ে যাবে প্রক্রিয়া। এরপর, ফর্ম আসবে, ধাপে ধাপে ফর্মের বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো।

ধাপ ১ঃ সাধারণ তথ্য

ফর্মের শুরুতেই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, যেগুলো সাধারণ তথ্যই বলা যায়। এখানে কোন ইন্ডিয়ার মিশন থেকে এপ্লাই করা হবে সেটা উল্লেখ করতে হবে, প্রতিটি প্রশ্নেই কমবেশি ড্রপডাউন বক্সের মধ্য থেকে উত্তর সিলেক্ট করতে হবে। এর ইমেইল এড্রেস, আবেদনকারীর জন্মতারিখ, ধর্ম ও জাতীয়তা, ভিসার ধরণ, ভ্রমনের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এছাড়াও একটা প্রশ্নে উত্তর দিতে হবে বিস্তারিত ভাবে যে উদ্দেশ্যে ভ্রমনের জন্য ভিসার আবেদন করা হচ্ছে। শেষ এ ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে প্রদানের মাধ্যমে প্রথম ধাপ শেষ হবে। সেভ করে পরের ধাপে যেতে হবে। 

ধাপ ২ঃ আবেদনকারী সংক্রান্ত তথ্য

এই ধাপ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত, এক আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যক্তিগত তথ্য, ও দুই, আবেদনকারীর পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য। প্রথম অংশে আবেদনকারীকে নিজের সকল তথ্য ভালোভাবে সাবধানতার সাথে পূরণ করতে হবে। তার এ জন্য নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র এর যদি প্রয়োজন হয়, তা দিয়ে সব তথ্য দুইবার চেক করে পূরণ করে ফেলতে হবে।

 এরপর আবেদনকারীকে নিজের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। এখানে তার পাসপোর্ট এর ইস্যু তারিখ, মেয়াদ শেষ কবে সেই তারিখও উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্টের নাম্বার সঠিকভাবে ফর্মে দিতে হবে। এরপর পরবর্তী অংশে যেতে হবে।

ধাপ ৩ঃ আবেদনকারীর ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য

এই ধাপে আবেদনকারীকে নিজের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। এর জন্য পাসপোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্র এর উল্লেখ থাকা তথ্য মিলিয়ে নিয়ে সঠিকভাবে বসাতে হবে। 

এখানে বাসার নাম্বার থেকে শুরু করে সব তথ্য পূরণ করতে হবে। যদি বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকে তাহলে ওই অপশনে ক্লিক করতে হবে। সব হয়ে গেলে এই ধাপ শেষ। এরপর পরের ধাপে যেতে হবে।

ধাপ ৪ঃ পরিবারের সদস্যদের  সংক্রান্ত তথ্য

এ ধাপে এসে আবেদনকারীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের তথ্য পূরণ করতে হবে। ধাপে ধাপে নিজের বাব ও মার সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। তাদের নাম, জাতীয়তা, জন্মতারিখ, ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। 

এরপরের অংশে আবেদনকারী বিবাহিত হলে নিজের স্বামী কিংবা স্ত্রীর তথ্য উল্লেখ করতে হবে। আর তিনি অবিবাহিত ক্লিক করে দিলেই এই ধাপ শেষ, সেভ করে পরবর্তী ধাপে চলে যাই।

ধাপ ৫ঃ পেশা সংক্রান্ত তথ্য

এই অংশে নিজের পেশা সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। পেশা কি, কোন সেক্টরের সেটা উল্লেখ করতে হবে। তার পদ কি, অফিসের ঠিকানা, যোগাযোগ এর নাম্বার উল্লেখ করতে হবে আবেদনকারীকে। 

এখানে যদি আবেদনকারী কোনো ধরনের আর্মড ফোর্সে যুক্ত থেকে থাকেন বা পূর্বে ছিলেন তাহলে তাকে তা উল্লেখ করতে হবে। তার কাজ কোথায় পোস্টিং ছিলো ও তার র‍্যাংকও উল্লেখ করতে হবে। আর না থেকে থাকলে পরের ধাপে চলে যান।

ধাপ ৬ঃ ভিসা  সংক্রান্ত তথ্য

এরপর এর ধাপে আবেদনকারীকে নিজের ভিসার সম্পর্কে কিছু প্রশ্নে উত্তর দিতে হবে। ভিসার ধরণ কি, যেমন হলিডে ভিসা। ভ্রমনের স্থান উল্লেখ করতে হবে। কতবার এন্ট্রি করবেন তা দিতে হবে, এখানে একাধিক উল্লেখ করবেন। বিমান কিংবা নৌপথ যেপথে আপনি ভারতে যাবেন তা বলবেন। এ ধাপ এখানেই শেষ।

ধাপ ৭ঃ পূর্ববর্তী ভিসা  সংক্রান্ত তথ্য

এ ধাপ বেশ ছোট, এখানে আবেদনকারীকে জানাতে হবে যে তিনি পূর্বে কোনো ভিসার আবেদন করেছিলেন কি না, থাকলে তার তথ্য দিতে হবে।

এছাড়াও, উল্লেখ করতে হবে গত ১০ বছরে কোন কোন দেশে আপনি ভ্রমণ করেছেন। পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশে ভ্রমন করে থাকলে তাও এখানে উল্লেখ করতে হবে।  সেভ করে পরের ধাপে যেতে হবে।

ধাপ ৮ঃ সুপারিশ

সুপারিশের ধাপে এখানে দুইজন ব্যক্তির সুপারিশের কথা উল্লেখ করতে হবে। যেহেতু এই অংশ পূরণ করা বাধ্যতামূলক, তাই এখানে ভারতে অবস্থানকারী একজন ও বাংলাদেশ এ থাকা একজন এমন দুইজন এর তথ্য দিতে হবে। তাদের ঠিকানা, জেলা, মোবাইল নাম্বার যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।

ধাপ ৯ঃ বিবিধ

এই অংশে একটা বিবিধ প্রশ্নমালার উত্তর দিতে হবে। এই অংশে আবেদনকারীকে নিজের উত্তরের জন্য সৎ থাকতে হবে। যে আবেদনকারী নিজের জীবনে কোনো রকম সহিংসতার সাথে জড়িত ছিলেন কি না। থেকে থাকলে তার বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে, আর না থেকে থাকলে পরের ধাপে চলে যান।

ধাপ ১০ঃ ছবি প্রদান

ছবি প্রদানের অংশে ছবি প্রদানের আগে কিছু বিষয় নিয়ে অবগত থাকতে হবে। ছবির জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে এখানে,

  • ছবির ফরম্যাট হলো JPEG
  • সাইজ হতে হবে ১০কেবি থেকে ১এমবি এর মধ্যে
  • ডিমেনশান ৩৫০×৩০০ পিক্সেল
  • ছবি উজ্জ্বল হতে হবে
  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে

এসব নির্দেশনা পালিত না হলে, আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে। 

ধাপ ১১ঃ যাচাইকরণ ও নিশ্চিতকরণ

এই ধাপে আসলে আমরা এতক্ষন পূরণ করা পুরো ফর্মের একটা সারসংক্ষেপ দেখবো। এখন যদি কোনো অংশ ভুল হয়ে থাকে তা সংশোধন করে নিয়ে পরের অংশ গুলো ভালোমতো খেয়াল করতে হবে। একাধিক বার পুরো ফর্ম চেক করে দেখতে হবে। কোনো ভুল না পাওয়া গেলে যাচাই করা শেষ এবং পরের ধাপে যাবার জন্য নেক্সট এ ক্লিক করুন।

এই পর্যায়ে এপ্লিকেশন আইডি ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে ভবিষ্যতের কোনো কাজে যদি প্রয়োজন হয় তার জন্য।  প্রিন্ট ফর্ম এ ক্লিক করে প্রিন্ট করে নেন ফর্ম বা পিডিএফ ডাউনলোড করে নিয়ে পরে ডাউনলোড করে নিয়েন ফর্ম যেকোনো জায়গা থেকে। খেয়াল রাখবেন, প্রিন্ট আউট যেনো কালার প্রিন্ট হয়ে থাকে, যাতে সব কিছু ভালোভাবে বোঝা যায়।

ফর্মের মধ্যে নিজের পাসপোর্ট সাইজের ল্যাবপ্রিন্ট ছবি যুক্ত করতে হবে, ও নিচে নিজের স্বাক্ষর করতে হবে একাধিক জায়গায়, তাহলেই ফর্মের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।

কিভাবে ভারতীয় ভিসার ফি প্রদান করবো?

যখন ফর্ম ফিলাপ হয়ে যাবে তখন আবেদনকারীকে তার ভিসার জন্য ফি প্রদান করতে হবে। ফি প্রদান অনলাইনেই করা সম্ভব। মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউজারে গিয়ে টাইপ করুন, www.ivacbd.com এরপর ওয়েবসাইট প্রবেশ করুন।

দেখতে পাবেন, “ভিসা প্রসেসিং ফি পেমেন্ট” অপশন, ওখানে ক্লিক করুন।  এরপর ৪টি ধাপের মধ্যেই ফি পেমেন্ট করা হয়ে যাবে। আমরা বিস্তারিত আলোচনা করি।

ধাপ ১ঃ আবেদন সংক্রান্ত তথ্য

এখানে উল্লেখ করতে হবে ভারতীয় হাইকমিশন এর নাম, এপ্লিকেশন আইডি দুইবার দিতে হবে। আর উল্লেখ করতে হবে IVAC সেন্টার এর নাম। পাশাপাশি উল্লেখ করতে হবে ভিসার ধরণ। এরপর ফি কত তা জানিয়ে দিবে। সেভ করে পরের ধাপে।

ধাপ ২ঃ ব্যক্তিগত তথ্য

এই অংশে আবেদনকারীর নাম, ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে। আর সম্ভাব্য ভ্রমণ এর তারিখ উল্লেখ করতে হবে। সেভ করে পরের ধাপে যান।

ধাপ ৩ঃ ওভারভিউ

আগের দুই ধাপে পূরণ করা তথ্য এই অংশে আরেকবার দেখাবে, যাচাই করে নিতে হবে যে কোনো ভুল হয়েছে কি না। সব ঠিক থাকলে, সেভ করে পরের পেমেন্ট মেথডে চলে যান। 

ধাপ ৪ঃ পেমেন্ট

এখন ফি পেমেন্ট এর সময় এখানে কয়েকটা পদ্ধতি দেখাবে। কার্ডে ফি প্রদান কিংবা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করা যাবে। এছাড়াও মোবাইল এর মাধ্যমেও টাকা প্রদান সম্ভব। যেকোনো একটি সিলেক্ট করে পেমেন্ট করে ফেললেই কাজ শেষ।

এরপর একটা রশিদ দেখাবে যে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। এই স্লিপ প্রিন্ট করে বা পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। এই রশিদ আপনার ফি প্রদানের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

কি কি নথি সংযুক্ত করতে হবে?

আবেদন এর এই পর্যায়ে আসে আমাদের কিছু জরুরি নথি সংযুক্ত করতে হবে, ভিসার আবেদনের কাজটি সম্পন্ন করার জন্য। ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসার সব কাগজ নিয়ে যাবার আগে জেনে নিতে হবে কি কি নথি সাথে না নিলে ভিসার আবেদন বাতিল হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবেদন ফর্ম ও পেমেন্ট স্লিপ এর পাশাপাশি, যেকোনো ভিসার আবেদনের জন্য কিছু নথি সবসময়েই প্রয়োজন হয়ে থাকে, নিচে এসবের একটি তালিকা তুলে ধরা হলো;

  1. পাসপোর্টের আসল কপি ও ফটোকপি
  2. জাতীয় পরিচয়পত্রের আসল কপি ও ফটোকপি 
  3. যেকোনো ইউটিলিটি বিলের কাগজ, ফটোকপি
  4. ব্যাংক বিবরণী (বিগত ৩ মাসের)
  5. চাকুরিজীবী বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি 
  6. NOC(No Objection Certificate) 
  7. ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট 

এছাড়াও এগুলোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট ভিসার জন্য কিছু আলাদা নথি প্রয়োজন হয়, সেগুলোর ব্যাপারে আগে থেকে খোজ করে নিতে হবে। সব কাগজ একসাথে করা হয়ে গেলে, একত্রিত করে ভারতীয় হাইকমিশন এ যেতে হবে। সেখানে তারা সব কাগজ বা নথি যাচাই করে পরবর্তীতে আবেদনকারীকে জানিয়ে দিবে ভিসার সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য। আবেদনকারীর সাথে ইমেইল বা মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে সব জানিয়ে দিবে ভারতীয় হাইকমিশন অফিস। এভাবেই শেষ হয়ে যায়, ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া।

শেষ কথা

সবশেষে এটা বলতেই হয় যে, ভিসার কিছু জিনিস একটু জটিল হলেও, আশা করি পুরো লেখাটি পড়ে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর আপনাদের প্রদান করতে পেরেছি। ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদনের পুরো প্রক্রিয়াটিই ধাপে ধাপে আপনাদের আলোচনা করা হলো এই নিবন্ধে। আশা করি, আপনারা লেখাটি পড়ে নিজেরাই এখন ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১. আমি কিভাবে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করব?

অনলাইনে আবেদন. নিরাপদে ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং জমা দিন। নথি জমা. প্রয়োজনে আপনার আবেদন জমা দিন। ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে বা ভারতীয় মিশনে নথিপত্র। এরপর ভিসা পেয়ে উপভোগ করুন আপনার ভারত ভ্রমন।

২. বাংলাদেশে কি এখন ভারতীয় ভিসা চালু রয়েছে?

রাজশাহী বিভাগে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকরা IVAC, Rajshahi/IVAC, Rangpur-এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অন্যান্য বিদেশী নাগরিকরা IVAC, গুলশান, ঢাকা এবং ভারতের সহকারী হাই কমিশন, চট্টগ্রামে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

৩. ভারতীয় ভিসা তৈরি হতে কতদিন লাগে? 

ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে বা সরাসরি ভিসা আবেদন প্রাপ্তির পরে, ভারতীয় মিশন/পোস্টের ক্ষেত্রে জাতীয়তার উপর নির্ভর করে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে বাদ দিয়ে একটি ভিসা ইস্যু করার জন্য ন্যূনতম তিন কার্যদিবসের প্রয়োজন।

৪. ১০ বছরের ভারতীয় ভিসা কি এখনও বৈধ?

USA ভিসা থেকে ১০ বছরের ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা ইস্যু করার তারিখ থেকে বৈধ, আপনার প্রথম প্রবেশের তারিখ থেকে নয়।

৫. ভারতীয় ভিসা কি এখন খোলা রয়েছে?

১৫৬টি যোগ্য দেশের নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ইভিসা পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ১৬৫টি দেশের জন্য সমস্ত বৈধ ই-ভিসা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। অনুমোদিত ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট যার মাধ্যমে ইভিসাধারীরা ভ্রমণ করতে পারে।

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Back to top button