বাংলাদেশের মোবাইলের বাজারে রিয়েলমি তুলনামূলকভাবে বেশ নতুন হলেও বেশ পরিচিত একটি নাম। ক্রেতার সাধ্যমত দামের মাঝেও বেশ কিছু চমৎকার মোবাইল বাজারে এনে তারা অল্প কিছুদিনের মাঝেই এদেশে বেশ জনপ্রিয়তা তৈরী করেছে। কিন্তু রিয়েলমি প্রথমেই এদেশে স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড হিসেবে প্রবেশ করেনি। এটি সর্বপ্রথম অপ্পো (Oppo) এর একটি অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আসে। সেসময় অপ্পো এর একটি সাব ব্র্যান্ড হিসেবেই পুরো বিশ্বব্যাপী তাদের খ্যাতি ছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে রিয়েলমি (realme) অপ্পো থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব একটি আলাদা ব্র্যান্ড তৈরী করে। এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই অন্যতম একটি জনপ্রিয় মোবাইলের ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি প্রতিষ্ঠিত।
সূচিপত্রঃ
দেশের বাজারে রিয়েলমির সেরা মোবাইল এর দাম এবং বিস্তারিত
রিয়েলমি শুরু থেকেই বিভিন্ন বাজেটের ক্রেতাদের কথা মাথাতে রেখে বিভিন্ন স্পেসিফিকেশনের ও বিভিন্ন দামের মোবাইল ফোন নিয়ে আসে। এখানে রিয়েলমি মোবাইল এর দাম এবং বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
মোবাইলের মডেল | দাম |
রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন (Realme GT Master Edition) | ৩৩,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি নারজো ২০ (Realme narzo 20) | ১৩,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি নারজো ৩০ (Realme narzo 30) | ১৯,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি সি২৫এস (Realme c25s) | ১৪,৪৯০ টাকা (৪/৬৪ জিবি) ১৫,৪৯০ টাকা (৪/১২৮ জিবি) |
রিয়েলমি ৮ প্রো (Realme 8 pro) | ২৭,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি সি১২ (Realme c12) | ১০,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি সি১১ (Realme c11) | ৮,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি সি২১ওয়াই (Realme c21y) | ১২,৪৯০ টাকা |
রিয়েলমি এক্স৭ ম্যাক্স ৫জি (Realme X7 max 5g) | ৩৪,৫০০ টাকা |
রিয়েলমি ৭আই (Realme 7i) | ১৭,৯০০ টাকা (৮/১২৮ জিবি) |
রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন (Realme GT Master Edition)
বর্তমানে রিয়েলমি–এর বর্তমানে সবচাইতে শক্তিশালী মোবাইল ফোন হচ্ছে রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন। রিয়েলমি এই মোবাইল ফোনটিকে ফ্ল্যাগশিপ কিলার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। এর স্বতন্ত্র ডিজাইন, অসাধারণ সব কম্পোনেন্ট এটিকে তার বাজেটের সেরা মোবাইল ফোনগুলোর একটি হিসেবে তুলে ধরেছে।
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | দৈর্ঘ্য– ১৫৯.২ মিলিমিটার, প্রস্থ- ৭৩.৫ মিলিমিটার, উচ্চতা– ৮.০ মিলিমিটার (ডেব্রেক ব্লু)/, ৮.৭ মিলিমিটার(ভয়েজার গ্রে) |
ওজন | ১৭৪ গ্রাম (ডেব্রেক ব্লু), ১৮০ গ্রাম (ভয়েজার গ্রে) |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১১, রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | সুপার অ্যামোলেড, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ১০০০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৪৩ ইঞ্চি, ৯৯.৮ বর্গ সেন্টিমিটার, (বডির ৯১.৭% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ১০৮০×২৪০০ পিক্সেল, ২০:৯ রেশিও, ৪০৯ পিপিআই ঘনত্ব |
সিপিইউ | অক্টা কোর (৪×২.৪ গিগাহার্টজ ক্রায়ো ৬৭০ ৪×১.৯ গিগাহার্টজ ক্রায়ো ৬৭০) |
জিপিইউ | অ্যাডরেনো ৬৪২এল (৫৫০ মেগাহার্টজ) |
চিপসেট | কোয়ালকম এসএম৭৩২৫ স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি ৫জি (৬ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি (ইউএফএস) |
এক্সটারনাল মেমোরি | নেই |
র্যাম | ৬ জিবি, ৮ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল, ২৫ মিলিমিটার (ওয়াইড), ৮ মেগাপিক্সেল, ১৬ মিলিমিটার, ১১৯° (আল্ট্রাওয়াইড), ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) |
সেলফি ক্যামেরা | ৩২ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৪৩০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং |
রং | ডেব্রেক ব্লু, ভয়েজার গ্রে |
মূল্য | ৩৩,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি এর অন্যান্য মোবাইলগুলোর তুলনায় জিটি সিরিজের মোবাইলগুলো কিছুটা দামী এবং শক্তিশালী। এই সিরিজেরই সবচাইতে নতুন এবং শক্তিশালী মডেল হলো জিটি মাস্টার এডিশন। এই মোবাইলটির ভয়েজার গ্রে ভার্শনটির ফ্রেমের পুরোটাই চামড়া দিয়ে তৈরী বেশ অনন্য ডিজাইনের। রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশনে থাকছে স্যামসাং-এর ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যা বর্তমানের মোবাইল ফোনগুলোর মাঝে অন্যতম সেরা একটি ডিসপ্লে প্রযুক্তি। এছাড়াও এর ডিসপ্লে এর ভেতরেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করায় মোবাইল আনলক করতে দ্রুততা ও নিরাপত্তার বিষয়টি চমৎকারভাবেই নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা ৬ ন্যানোমিটার টেকনোলজির স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি চিপসেটটি বর্তমানের চিপসেটের তালিকায় বেশ শক্তিশালী একটি চিপসেট। এতে ব্যবহৃত সিপিইউ এবং জিপিইউ এর মাধ্যমে যেকোন ধরনের কাজই বেশ দ্রুতগতিতে করা যাবে। এছাড়াও মোবাইলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ভ্যাপর চ্যাম্বার কুলিং সিস্টেম’ যার সাহায্যে মোবাইল ফোনটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থেকে সবসময়ই সর্বোচ্চ পার্ফম্যান্স দিতে পারবে। মোবাইলটির ৬৫ ওয়াট সুপারডার্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে মাত্র ৩৩ মিনিটেই ১০০% চার্জ দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও এর ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তির মাধ্যমে কেউ গেম খেলার সময়ও চার্জে রেখে প্রতি ঘন্টায় ৩৮% চার্জ দিতে পারবেন। এর চমৎকার ক্যামেরা যেকোনো সময় যেকোন ধরনের ছবি বেশ ভালোভাবে তুলতে পারবে। এর স্ট্রিট ফটোগ্রাফি মুডের সাহায্যে রাস্তায় যেকোনো মুহুর্তে উজ্জ্বল ও সেরা মানের ছবি তোলা সম্ভব। সব মিলিয়ে বেশ হাতের নাগালের দামেই রিয়েলমি এর এই ফ্ল্যাগশিপ মোবাইলটি যেকোন প্রয়োজনেই সেরা পছন্দ হতে পারে আপনার জন্য।
রিয়েলমি নারজো ২০ (Realme narzo 20)
রিয়েলমি এর সবচাইতে বিখ্যাত মোবাইল ফোনগুলোর মাঝে অন্যতম হলো নারজো ২০। একই সাথে মোবাইলের লুক, অসাধারণ পার্ফম্যান্স সাথে বেশ কম মূল্য একে গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় উপরে নিয়ে আসে অল্প সময়ে। এই মোবাইলটির সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলোঃ
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬৪.৫× ৭৫.৯× ৯.৮ মিলিমিটার (৬.৪৮× ২.৯৯× ০.৩৯ ইঞ্চি) |
ওজন | ২০৮ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১০ (অ্যান্ড্রয়েড ১১ এ আপগ্রেড করার সুযোগ রয়েছে), রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | আইপিএস এলসিডি, ৫৬০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২.০ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৮.৭% জুড়ে স্ক্রিন) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ৭২০×১৬০০ পিক্সেল, ২৭০ পিপিআই ঘনত্ব |
সিপিইউ | অক্টা কোর(২×২.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৫ ৬×১.৮ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৫) |
জিপিইউ | মালি-জি৫২ এমসি২ |
চিপসেট | মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ (১২ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ৪ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ৪৮ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড), ৮ মেগাপিক্সেল, ১১৯° (আল্ট্রাওয়াইড), ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) |
সেলফি ক্যামেরা | ৮ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং রিভার্স চার্জিং–এর সুবিধা |
রং | গ্লোরি সিলভার, ভিক্টোরি ব্লু |
মূল্য | ১৩,৯৯০ টাকা |
এই মোবাইল ফোনটিকে বহুদিন এদেশের মোবাইল ফোনের বাজারের অন্যতম সেরা একটি মোবাইলের স্থান ধরে রেখেছিল। এই মোবাইলের সমান দামে একই সাথে সুন্দর লুকস থেকে শুরু করে অসাধারণ ক্যামেরা, শক্তিশালী চিপসেটের ব্যবহার মোবাইলটির জনপ্রিয়তার মূলে। এর ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি অনেকটা সময় ধরে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করার সুবিধা দেয়। এছাড়াও ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে মোবাইল ফোনটিতে খুব দ্রুত ফুল চার্জ দেওয়া যায়। এর ৪৮ মেগাপিক্সেলের ত্রিপল ক্যামেরার সাহায্যে যেকোনো পরিস্থিতিতেই যেকোনো সময় অসাধারণ সব ছবি তোলা যাবে। সব মিলিয়ে এই বিখ্যাত মোবাইল ফোনটি খুবই কম মূল্যে অসাধারণ পার্ফম্যান্স দিতে পারে ব্যবহারকারীকে।
রিয়েলমি নারজো ৩০ (Realme narzo 30)
রিয়েলমি এর বিখ্যাত হওয়ার পেছনে মূল ভুমিকা হলো তাদের ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা বাজেট রেঞ্জের মোবাইল গুলো। তার মাঝে তাদের নারজো (narzo) সিরিজটি উল্লেখযোগ্য। নারজো সিরিজেরই সর্বশেষ সংযোজন হলো নারজো ৩০। আসুন এর সম্পর্কে জেনে নেই বিস্তারিতঃ
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬২.৩× ৭৫.৪× ৯.৪ মিলিমিটার (৬.৩৯× ২.৯৭× ০.৩৭ ইঞ্চি) |
ওজন | ১৯২ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
সিম কার্ড | ডুয়াল ন্যানো সিম (ডুয়াল স্ট্যান্ডবাই) |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১১, রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | আইপিএস এলসিডি, ৯০ হার্টজ আল্ট্রা স্মুথ ডিসপ্লে, ৫৮০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২.০ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৯০.৫% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ১০৮০× ২৪০০ পিক্সেল (ফুল এইচডি), ২০:৯ রেশিও, ৪০৫ পিপিআই ঘনত্ব |
সিপিইউ | অক্টা কোর (২×২.০৫ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৬, ৬×২.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৫) |
জিপিইউ | মালি- জি৭৬ এমসি৪ |
চিপসেট | মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৫ (১২ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ৪ জিবি, ৬ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ৪৮ মেগাপিক্সেল, ২৬ ন্যানোমিটার (ওয়াইড), ২ মেগাপিক্সেল (মাইক্রো), ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ) |
সেলফি ক্যামেরা | ১৬ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ৩০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং |
রং | রেসিং ব্লু, রেসিং সিলভার |
মূল্য | ১৯,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি নারজো ৩০ রিয়েলমি–এর কম বাজেটের একটি গেমিং মোবাইল। এটিকে নারজো ২০ এর যোগ্য উত্তরসূরীই বলা যায়। এর শক্তিশালী প্রসেসর ও অসাধারণ চিপসেট প্রায় যেকোনো ধরনের গেমই মাঝারি বা লো সেটিংসে দ্রুতগতিতে চালাতে পারবে। এছাড়াও এর ৯০ হার্টজ ফাস্ট ডিসপ্লেও গেম খেলার জন্য ও ল্যাগ বিহীন স্ক্রলিং এ অসাধারণ সুবিধা দিবে। এই মোবাইলটির ৩০ ওয়াটের ডার্ট চার্জিং প্রযুক্তির কারণে মাত্র ২৫ মিনিটেই ৫০% চার্জ দেওয়া সম্ভব হয় এবং মাত্র ৬৫ মিনিটের মাঝেই ১০০% চার্জ দেওয়া যায়। তার উপর এর ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহারকারীদের ব্যাক-আপ দিতে পারবে অনেক্ষন। এটি গেমিং এর জন্য তৈরী হলেও অন্যান্য গেমিং ডিভাইসের মত ক্যামেরার দিক থেকে দুর্বল নয়। এর শক্তিশালী ক্যামেরা যেকোনো পরিস্থিতিতে চমৎকার সব ছবি তোলার কাজেও সাহায্য করতে পারবে।
রিয়েলমি সি২৫এস (Realme c25s)
রিয়েলমি এর সি (C) সিরিজটি তাদের বেশ পুরাতন ও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিজ। রিয়েলমি এর অধিকাংশ মোবাইলই এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এই সিরিজেরই নতুন ও চমৎকার একটি মোবাইল হচ্ছে সি২৫এস। এর সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬৪.৫× ৭৫.৯× ৯.৬ মিলিমিটার, ৬.৪৮× ২.৯৯× ০.৩৮ ইঞ্চি |
ওজন | ২০৯ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১১, রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | আইপিএস এলসিডি, ৫৭০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২.০ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৮.৯% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ৭২০×১৬০০ পিক্সেল (২৭০ পিপিআই ঘনত্ব) |
সিপিইউ | অক্টা কোর (২×২.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৫, ৬×১.৮ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৫) |
জিপিইউ | মালি-জি৫২ এমসি২ |
চিপসেট | মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ (১২ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি (ইএমএমসি ৫.১) |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ৪ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ত্রিপল ৪৮ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড), ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো), ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ) |
সেলফি ক্যামেরা | ৮ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং রিভার্স চার্জিং-এর সুবিধা |
রং | ওয়াটার ব্লু, ওয়াটার গ্রে |
মূল্য | ১৪,৪৯০ টাকা (৪/৬৪ জিবি) ১৫,৪৯০ টাকা (৪/১২৮ জিবি) |
মোবাইল ফোনের লুকস (looks) যদি আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে এটি নিঃসন্দেহে আপনার জন্য একটি ভালো মোবাইল ফোন। বেশ কম মূল্যে রিয়েলমি সি২৫ এস অসাধারণ গুড লুকিং একটি মডেল। তার পাশাপাশি এর ক্যামেরা কোয়ালিটিও খুবই অসাধারণ। এর ৪৮ মেগাপিক্সেলের ত্রিপল এআই ক্যামেরার সাহায্যে চমৎকার সব ছবি তোলা সম্ভব হবে সহজেই। এতে আলাদা করে একটি সাদাকালো লেন্স থাকায় আর্টিস্টিক ছবি তোলার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও এতে দেওয়া আছে ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, যা দীর্ঘ সময় ব্যাক আপ দিতে সক্ষম। এতে রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তির সুবিধা থাকায় প্রয়োজনে এই মোবাইলটিকে পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে এর সাহায্যে অন্য মোবাইল ফোনও চার্জ দেওয়া যাবে।
রিয়েলমি ৮ প্রো (Realme 8 pro)
রিয়েলমি এর অন্যতম শক্তিশালী একটি মোবাইল ফোন হলো এই মডেলটি। এটি বেশ নতুন একটি মডেল হওয়ায় এর সকল কম্পোনেন্টই আগামী বহুদিনের সকল সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য উপযোগী। এখানে এই মোবাইলটির সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬০.৬× ৭৩.৯× ৮.১ মিলিমিটার,৬.৩২× ২.৯১× ০.৩২ ইঞ্চি |
ওজন | ১৭৬ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১১, রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | সুপার অ্যামোলেড, ১০০০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৪ ইঞ্চি, ৯৮.৯ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৯০.৮% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ১০৮০×২৪০০ পিক্সেল (ফুল এইচডি), ৪০৯ পিপিআই ঘনত্ব |
সিপিইউ | অক্টা কোর (২×২.৩ গিগাহার্টজ ক্রায়ো ৪৬৫ গোল্ড ৬×১.৮ গিগাহার্টজ ক্রায়ো ৪৬৫ সিলভার) |
জিপিইউ | অ্যাড্রেনো ৬১৮ |
চিপসেট | কোয়ালকম এসএম৭১২৫ স্ন্যাপড্রাগন ৭২০জি (৮ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ১২৮ জিবি, ইউএফএস ২.১ |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ৬ জিবি, ৮ জিবি |
মূল ক্যামেরা | কোয়াড ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড) ৮ মেগাপিক্সেল, ১১৯°, ১৬ মিলিমিটার (আল্ট্রাওয়াইড) ২ মেগাপিক্সেল (মাইক্রো) ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ) |
সেলফি ক্যামেরা | ১৬ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ৫০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং |
রং | ইনফিনাইট ব্লু, ইনফিনাইট ব্ল্যাক, পাঙ্ক ব্ল্যাক, ইলুমিনেটিং ইয়েলো |
মূল্য | ২৭,৯৯০ টাকা |
বাংলাদেশের বিখ্যাত ৫জি মোবাইল গুলোর মাঝে এটির অবস্থান বেশ উপরের দিকেই থাকবে। এর অসাধারণ লুকস, চমৎকার ক্যামেরা, স্ন্যাপড্রাগনের শক্তিশালী চিপসেটের জন্য এটি বাজারের অন্যতম সেরা একটি মোবাইল। এতে ব্যবহার করা ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সাহায্যে অত্যন্ত পরিষ্কার ও নিখুঁত ছবি তোলা সম্ভব। এর সুপার নাইটস্কেপ মুডের সাহায্যে রাতের অন্ধকারেও চমৎকার ছবি তোলা যাবে। পাশাপাশি আকাশের তারার ছবি তোলার জন্য স্ট্যারি মুড, স্ট্যারি টাইম ল্যাপস ভিডিও করার সুবিধাও থাকছে এতে। এর ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে মাত্র ১৭ মিনিটেই ৫০% চার্জ দেওয়া যায়। এছাড়াও ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিও বেশ অনেক্ষনই ব্যাক-আপ প্রদান করতে সক্ষম।
রিয়েলমি সি১২ (Realme c12)
রিয়েলমি এর অন্যতম বাজেট মোবাইল ফোন হচ্ছে সি১২। বাজেটের মধ্যে চমৎকার কোয়ালিটির এই মোবাইলটি ব্যবহারকারীর প্রায় সকল ধরনের প্রয়োজনেই সাহায্য করতে পারবে।
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬৪.৫× ৭৫.৯× ৯.৮ মিলিমিটার (৬.৪৮× ২.৯৯× ০.৩৯ ইঞ্চি) |
ওজন | ২০৯ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১০, রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | আইপিএস এলসিডি মাল্টিটাচ ডিসপ্লে, ৪৮০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৫ ইঞ্চি, ১০৩.৭ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৯.৮% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ৭২০× ১৬০০ পিক্সেল (২৭০ পিপিআই ঘনত্ব) |
সিপিইউ | অক্টা কোর (৪× ২.৩ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৩ ৪× ১.৮ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৩) |
জিপিইউ | পাওয়ারভিআর জিই৮৩২০ |
চিপসেট | মিডিয়াটেক হেলিও জি৩৫ (১২ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ৩২ জিবি, ৬৪ জিবি (ইএমএমসি ৫.১) |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ৩ জিবি, ৪ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ত্রিপল ১৩ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড) ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ) ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) |
সেলফি ক্যামেরা | ৫ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ১০ ওয়াট চার্জিং |
রং | মেরিন ব্লু, কোরাল রেড, সিলভার, পাওয়ার ব্লু, পাওয়ার সিলভার |
মূল্য | ১০,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি অন্যতম সেরা আরেকটি বাজেট ফোন হচ্ছে সি১২। এই মডেলটিতে রিয়েলমি খুবই কম দামে অসাধারণ কিছু কম্পোনেন্ট দিয়েছে। এর প্রসেসর ও জিপিইউ এর সাহায্যে অধিকাংশ মোবাইল গেমই লো সেটিংসে খেলা যাবে সহজেই। এর ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম। এছাড়াও এটিতে রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তি থাকায় এটিকে যে কেউ চাইলে পাওয়ার ব্যাংকের মতও ব্যবহার করতে পারবেন।
রিয়েলমি সি১১ (Realme c11)
বাজেট খুব কম অথবা বিপদের মূহুর্তে কম দামে কিনে ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে রিয়েলমি এর এই মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার সবচেয়ে ভালো একটি পছন্দ। খুবই কম বাজেটের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে সি ১১ মডেলের ফোনটি বাজারে নিয়ে আসে রিয়েলমি। গ্রাহকদের জনপ্রিয়তা দেখে ২০২১ সালে সেটিরই আরেকটু আপগ্রেড করে ঐ একই নামে আবারো বাজারে মোবাইল ফোনটি ছাড়া হয়। মোবাইলটির সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে দেওয়া হলোঃ
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬৪.৪× ৭৫.৯× ৯.১ মিলিমিটার (৬.৪৭× ২.৯৯× ০.৩৬ ইঞ্চি) |
ওজন | ১৯৬ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১০, রিয়েলমি ইউআই |
ডিসপ্লের ধরন | আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, ৪০০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৫ ইঞ্চি, ১০৩.৭ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৯.৫% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ৭২০× ১৬০০ পিক্সেল, (২৬৪ পিপিআই ঘনত্ব) |
সিপিইউ | অক্টা কোর (৪× ২.৩ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৩ ৪× ১.৮ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৩) |
জিপিইউ | পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০ |
চিপসেট | মিডিয়াটেক এমটি৬৭৬৫জি হেলিও জি৩৫ (১২ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ৩২ জিবি, ইএমএমসি ৫.১ |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ২ জিবি, ৩ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড) ২ মেগাপিক্সেল |
সেলফি ক্যামেরা | ৫ মেগাপিক্সেল, ২৭ মিলিমিটার (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ১০ ওয়াট |
রং | মিন্ট গ্রিন, পিপার গ্রে |
মূল্য | ৮,৯৯০ টাকা |
রিয়েলমি সি১১ সবচাইতে জনপ্রিয় মোবাইল ফোনগুলোর একটি। এটিকে দেশের অন্যতম সেরা বাজেট ফোন বললেও ভুল বলা হবে না। মাত্র ৮,৯৯০ টাকা মূল্যে এধরণের টেকসই ও সাধারণ কাজ ও সাধারণ গেম খেলার মত মোবাইল গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসাটা বেশ প্রশংসনীয়ই বটে। এই মোবাইলের সাহায্যে অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের প্রায় সকল সফটওয়্যার ও অ্যাপস চালানোর সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকেই এটিকে দ্বিতীয় মোবাইল হিসেবেও ব্যবহার করে থাকেন। এতে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। যা স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় টানা ৪৩ দিন পর্যন্ত মোবাইলটিকে চালু রাখতে সক্ষম। এছাড়াও প্রয়োজনের সময় চার্জ কমে গেলে আল্ট্রা পাওয়ার সেভিংস মুড অন করেও চাইলে অনেক্ষন ব্যবহার করা যাবে। এতে অন্যান্য অনেক দামী মোবাইলের মত মিনি ড্রপ স্ক্রিন থাকায় ভিডিও দেখা বা গেম খেলার সময়ও অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে খুবই কম মূল্যে মোবাইল ফোন কেনার প্রয়োজন হলে রিয়েলমি সি১১ আপনার একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।
রিয়েলমি সি২১ওয়াই (Realme c21y)
এটিও রিয়েলমি এর একটি বেশ নতুন মডেল। এর কম দামে চমৎকার কম্পোনেন্ট এবং চমৎকার ডিজাইনের জন্য অল্প দিনেই বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে মডেলটি। মডেলটি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬৪.৫× ৭৬× ৯.১ মিলিমিটার (৬.৪৮× ২.৯৯× ০.৩৬ ইঞ্চি) |
ওজন | ২০০ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১০, রিয়েলমি ইউআই |
ডিসপ্লের ধরন | আইপিএস এলসিডি, ৪০০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৮৮.৭% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ৭২০× ১৬০০ পিক্সেল (২৭০ পিপিআই ঘনত্ব) |
সিপিইউ | অক্টা কোর (২× ১.৮ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৫, ৬× ১.৮ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৫) |
জিপিইউ | মালি-জি৫২ |
চিপসেট | ইউনিসক টি৬০১ (১২ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ৩২ জিবি, ৬৪ জিবি (ইএমএমসি ৫.১) |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ৩ জিবি, ৪ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড), ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো), ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ) |
সেলফি ক্যামেরা | ৫ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং রিভার্স চার্জিং-এর সুবিধা |
রং | ক্রস ব্ল্যাক, ক্রস ব্লু |
মূল্য | ১২,৪৯০ টাকা |
বেশ কম বাজেটের এই মোবাইল ফোনটি টেকসই হওয়ার দিক থেকে বাজেটের অন্যতম সেরা একটি মোবাইল। এটি TÜV Rheinland Smartphone High Reliability Certification পাওয়া বিশ্বের সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন। যা একটি মোবাইল কতটা টেকসই তা নির্দেশ করে। ফলে এর ব্যবহারকারীরা সহজেই মোবাইল ফোনটি বহুদিন ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই মোবাইলটির ৩টি ক্যামেরার সাহায্যে সুপার নাইটস্কেপ, ক্রোমা বুস্ট সহ আরো অনেকগুলো মোডে ছবি তোলা যায়। যা ব্যবহারকারীকে অন্ধকারে অসাধারণ ছবি তোলার সুবিধা সহ আরো অনেক চমৎকার সব ছবি তোলার সুবিধা দিবে। এতে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি থাকায় মোবাইল ফোনটিকে ব্যবহারও করা যাবে দীর্ঘক্ষন। তাই ব্যবহারকারীর টেকসই একটি মোবাইলের চাহিদা এই ফোনটি বেশ ভালোভাবেই মেটাতে সক্ষম হবে।
রিয়েলমি এক্স৭ ম্যাক্স ৫জি (Realme X7 max 5g)
বাজারে নতুন আসা রিয়েলমি এর এই মোবাইলটিও রিয়েলমি এর অন্যতম শক্তিশালী একটি মোবাইল ফোন। পার্ফম্যান্স, লুক সব দিক থেকেই এটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য মোবাইল ফোনগুলোকে একটি বেশ শক্তিশালী প্রতিযোগিতা দিতে যাচ্ছে।
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৫৮.৫× ৭৩.৩× ৮.৪ মিলিমিটার (৬.২৪× ২.৮৯× ০.৩৩ ইঞ্চি) |
ওজন | ১৭৯ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১১, রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | সুপার অ্যামোলেড, ১২০ হার্টজ, ১০০০ নিটস ঔজ্জ্বল্য |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৪৩ ইঞ্চি, ৯৯.৮ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৯১.৭% জুড়ে স্ক্রিন) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ১০৮০× ২৪০০ (ফুল এইচডি), ৪০৯ পিপিআই ঘনত্ব |
সিপিইউ | অক্টা কোর (১× ৩.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৮ ৩× ২.৬ গিগাহার্টজ কর্টেক্স–এ৭৮ ৪× ২.০ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৫ |
জিপিইউ | মালি-জি৭৭ এমসি৯ |
চিপসেট | মিডিয়াটেক এমটি৬৮৯৩ ডাইমেনসিটি ১২০০ ৫জি (৬ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি (ইউএফএস ৩.১) |
এক্সটারনাল মেমোরি | নেই |
র্যাম | ৮ জিবি, ১২ জিবি |
মূল ক্যামেরা | ত্রিপলঃ ৬৪ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড) ৮ মেগাপিক্সেল, ১৬ মিলিমিটার, ১১৯ (আলট্রাওয়াইড) ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো) |
সেলফি ক্যামেরা | ১৬ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ৫০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং রিভার্স চার্জিং (২.৫ ওয়াট) |
রং | মারকারি সিলভার, অ্যাস্টোরয়েড ব্ল্যাক, মিল্কি ওয়ে |
মূল্যঃ | ৩৪,৫০০ টাকা |
রিয়েলমি এর অন্যতম শক্তিশালী মোবাইল ফোন হতে যাচ্ছে এই মডেলটি। এই মোবাইলটি তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মোবাইলের চাইতে বেশ হালকা ও চিকন হওয়ায় ব্যবহার করেও সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু চিকন ও কম ওজনের হলেও এতে থাকছে ৪৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, যা বহুক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহারের সুবিধা দিবে। এর ৫০ ওয়াটের সুপার ডার্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে মাত্র ১৬ মিনিটেও মোবাইলটিতে ৫০% চার্জ দেওয়া যাবে। এছাড়াও এর স্মার্ট ৫জি প্রযুক্তি অন্যান্য মোবাইল ফোনের তুলনায় ৩০% পর্যন্ত কম চার্জ ব্যবহার করবে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক এমটি৬৮৯৩ ডাইমেনসিটি ১২০০, যা মিডিয়াটেক এর ফ্ল্যাগশিপ বা সবচাইতে শক্তিশালী চিপসেট। যা যেকোন ধরনের সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন সহজেই সর্বোচ্চ সেটিংসে খুবই ভালোভাবে চালাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এর স্টেইনলেস স্টিল ভ্যাপর কুলিং সিস্টেম মোবাইলটির তাপমাত্রা ১৫° সেলসিয়াস পর্যন্ত কমিয়ে রাখতে পারবে। এই মোবাইলটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ডলবি এটমস ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার, যা মোবাইল ফোনের জন্য বর্তমানে অন্যতম সেরা একটি স্পিকার। দুঃখজনক ভাবে এই মডেলের মোবাইলটি এখনো বাংলাদেশে আসেনি। কিন্তু সার্বিক দিক হিসেব করে এই মোবাইল ফোনটি অত্যান্ত শক্তিশালী ও চমৎকার একটি মোবাইল ফোন হিসেবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
রিয়েলমি ৭আই (Realme 7i)
এটিও রিয়েলমি এর অন্যতম বিখ্যাত একটি মোবাইল ফোন। এটি তুলনামূলকভাবে কিছুটা পুরানো হলেও এর কম্পোনেন্টগুলো এই বাজেটের অন্যান্য মোবাইলের সাথে যথেষ্ট প্রতিযোগিতা করতে পারে।
স্পেসিফিকেশন
বডি ডাইমেনশনস | ১৬৪.১× ৭৫.৫× ৮.৯ মিলিমিটার (৬.৪৬× ২.৯৭× ০.৩৫ ইঞ্চি) |
ওজন | ১৮৮ গ্রাম |
নেটওয়ার্ক | ২জি, ৩জি, ৪জি |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ১০, রিয়েলমি ইউআই ২.০ |
ডিসপ্লের ধরন | আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট |
ডিসপ্লের আকার | ৬.৫ ইঞ্চি, ১০২.০ বর্গ সেন্টিমিটার (বডির ৯০% জুড়ে ডিসপ্লে) |
ডিসপ্লের রেজুলেশন | ৭২০× ১৬০০ পিক্সেল (২৭০ পিপিআই ঘনত্ব) |
সিপিইউ | অক্টা কোর (৪× ২.০ গিগাহার্টজ ক্রায়ো ২৬০ গোল্ড ৪× ১.৮ গিগাহার্টজ ক্রায়ো ২৬০ সিলভার) |
জিপিইউ | অ্যাড্রেনো ৬১০ |
চিপসেট | কোয়ালকম এসএম৬১১৫ স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২ (১১ ন্যানোমিটার) |
ইন্টারনাল মেমোরি | ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি (ইউএফএস ২.১) |
এক্সটারনাল মেমোরি | মাইক্রো এসডিএক্সসি (আলাদা স্লট) |
র্যাম | ৪ জিবি, ৮ জিবি |
মূল ক্যামেরা | কোয়াডঃ ৬৪ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড), ৮ মেগাপিক্সেল, ১৬ মিলিমিটার, ১১৯° (আল্ট্রাওয়াইড), ২ মেগাপিক্সেল (ম্যাক্রো), ২ মেগাপিক্সেল (ডেপথ) |
সেলফি ক্যামেরা | ১৬ মেগাপিক্সেল, ২৬ মিলিমিটার (ওয়াইড) |
ব্যাটারি | লিথিয়াম পলিমার, ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (অপরিবর্তনীয়) |
চার্জিং | ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং |
রং | অরোরা গ্রীন, পোলার ব্লু |
মূল্য | ১৭,৯০০ টাকা (৮/১২৮ জিবি) |
একই সাথে অসাধারণ ডিজাইন, স্ন্যাপড্রাগনের শক্তিশালী প্রসেসর এবং চমৎকার ক্যামেরার সংমিশ্রণ হলো রিয়েলমি ৭আই। এর বডির পেছনের দিকে মিরর ডিজাইন খুবই ইউনিক একটি ডিজাইন। এর স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২ প্রসেসরের সাহায্যে প্রায় সকল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারই সহজেই চালানো সম্ভব। এছাড়াও এর ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, ফাস্ট চার্জিং ও রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তির ফলে চার্জ শেষ হয়ে যাবার ভয়ও কম থাকবে। এই মোবাইলে আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা যুক্ত থাকায় অনেক বড় কোন যায়গার অথবা অনেক মানুষের গ্রুপ ছবিও চমৎকারভাবে তোলা যাবে। এছাড়াও ছবি তোলার জন্য নাইটস্কেপ মুড, ক্রোমা বুস্ট সহ আরো অনেক সুবিধা থাকছে।
শেষকথা
বাংলাদেশে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। সেই ধারাতে রিয়েলমি অন্যতম একটি ভুমিকা রেখে চলেছে। মান এবং দামের কথা মাথায় রেখেই তারা প্রতি বছরই তারা নতুন নতুন মডেল গ্রাহকদের জন্য বাজারে নিয়ে আসে। তাদের মাঝে সেরাগুলো খুঁজে বের করতে এই লেখাটি সবারই কাজে লাগবে বলে আশাবাদী।
অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১) মোবাইলগুলোর আলট্রা পাওয়ার সেভিংস মুডে কি কি করা যায়?
উত্তরঃ রিয়েলমি এর প্রায় সকল মোবাইলের আল্ট্রা সেভিংস মুডেই একদম গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ ও মোট ৫টি নির্বাচিত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলতে এই সুবিধার মাধ্যমে কল দেওয়া, সময় দেখা, মেসেজ দেওয়ার সুবিধাগুলো ব্যবহার করা যায়।
২) একটি মোবাইলের রিফ্রেশ রেট নূন্যতম কত হওয়া উচিৎ?
উত্তরঃ রিফ্রেশ রেট একটি মোবাইলের স্ক্রিনে প্রতি সেকেন্ডে কতটি ছবি দেখায় তার সংখ্যা নির্দেশ করে। মানুষের চোখ ২৬ হার্টজের বেশী রিফ্রেশ রেট থাকলেই তাকে চলমান ছবি বা ভিডিও হিসেবে থাকে। এই সংখ্যাটি যত বেশী তত স্মুথ দেখার সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটকে একটি নূন্যতম স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা হয়।
৩) রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে কি শুধুমাত্র রিয়েলমি এর অন্য একটি মোবাইলে চার্জ দেওয়া যায়?
উত্তরঃ রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট মডেলের মোবাইল গুলো থেকে যেকোনো মোবাইলেই চার্জ দেওয়া যাবে।
৪) রিয়েলমি এর পুরাতন মডেলের মোবাইল ফোন গুলো কি এখন কেনা ঠিক হবে?
উত্তরঃ যদিও রিয়েলমি এর বেশ কয়েকটি মোবাইল এখনো তার বাজেট অনুযায়ী সেরা পণ্যের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঐ বাজেটে নতুন এবং আপগ্রেডেড মডেলের মোবাইল বের হয়েছে। তাই সম্ভব হলে নতুন মডেলের পণ্য কেনাটাই যুক্তিযুক্ত।
৫) TÜV Rheinland Smartphone High Reliability Certification কি?
উত্তরঃ এটি স্মার্টফোনের একটি স্থায়ীত্ব পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ২৩ টি বড় পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।