টেকনোলজিমোবাইল ফোনলাইফ স্টাইল

মোবাইল ফোনের উপকারিতা

একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে চমকপ্রদ আবিস্কার গুলোর মধ্যে মোবাইল ফোন একদম প্রথম দিকে থাকবে। আজকের এই আধুনিক লাইফস্টাইল মোবাইল ফোন ছাড়া কল্পনাও করা যায়। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক কাজে মোবাইল ফোন এর কোনো না কোনোভাবে দরকার পড়ে আমাদের। আজকের এ লেখাটিতে মোবাইল ফোনের উপকারি দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ

দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

  • আগের যুগের অনেকগুলো ডিভাইস এর কাজ এখন মোবাইল একাই করতে পারে। সময়মতো দিন শুরু করতে চাইলেও মোবাইলের ব্যবহার সম্ভব। নির্দিস্ট সময়ে ঘুম ভাঙাতে এখন আর আলাদা করে এলার্ম ঘড়ির প্রয়োজন নেই, কারন মোবাইলেই এলার্ম সেট করা যায়। এছাড়া এসব এলার্মের জন্য বিশেষ শব্দ বা এলার্ম টোন নির্বাচন করা যায়। এমনকি কিছু এডভান্সড ফিচারে আপনি ঘুম থেকে পুরোপুরি ভাবে উঠে এলার্মকে নির্দিষ্ট উপায়ে বন্ধ না করা অব্ধি বাজতেই থাকবে সে ব্যবস্থা করা যায়। অর্থাৎ আপনি ঘুমের ঘোরে এলার্ম বন্ধ করে দিয়ে উঠতে দেরি করবেন, মোবাইল ফোনের এলার্মের ক্ষেত্রে সেটা হবেনা। এভাবে মোবাইল ফোনের কারনে আপনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস সহ যেকোন কাজের সময় সময়মতো প্রস্তুত থাকতে পারবেন।
  • বাজার করতে গিয়ে কি কি কিনতে হবে ভুলে যাওয়া যেন কর্তাদের জন্য এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পরিবারের গিন্নি যা যা আনতে বলে তার দুই একটা ভুলে যাওয়ায় তা আর কেনা হয়না। কিন্তু মোবাইল ফোনের নোটপ্যাড অ্যাপটিতে আপনি বাজারে যাবার আগে কি কি কিনতে হবে তার চেকলিস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। এতে বাজারে গিয়ে চেকলিস্ট মিলিয়ে নিলেই আর কিছু ভুলে যাবেন না। 
  • প্রতিমাসের জন্য কত খরচ করবেন, কত জমাবেন তার হিসাব রাখতে মোবাইলের অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। 
  • এখন বিকাশ,নগদ এর মতো বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রচলন শুরু হয়েছে৷ এর ফলে আপনার আর টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাংকে যেতে হচ্ছে না। এর আরো একটা সুবিধা হচ্ছে, আপনি যদি কোথাও গিয়ে টাকা সংকটে পড়েন, আপনার আর ব্যাংক বা এটিএম বুথ এর দরকার হচ্ছে না। আপনার যদি মোবাইল এ এসব অ্যাপে ব্যালেন্স থেকে থাকে দোকান থেকে এজেন্ট এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করে নিতে পারেন। এ কারনে বেশি করে ক্যাশ বহন করার ঝামেলাও কমে গেলো।

শিক্ষাজীবনে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

শিক্ষাজীবনে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

  • বর্তমান যুগে ক্লাসে বসে ব্ল্যাকবোর্ড এ চক ডাস্টার থেকে লেখাপড়া চলে এসেছে হাতের মোবাইল ফোনে৷ বিশেষত করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে জুম কিংবা গুগল মিট, এসব অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই ধারা বজায় রেখে এখনো বিভিন্ন এসাইনমেন্ট জমা নেওয়া, এক্সাম দেওয়া ইত্যাদি হচ্ছে অনলাইনে, যা মোবাইল ব্যবহার করে সহজেই করা যাচ্ছে। 
  • একজন ছাত্র এর হয়ত নোট করা নেই, কিংবা পরীক্ষার আগে দিয়ে স্যার কি পড়িয়েছিলো একদম ভুলে গিয়েছে। সে চাইলেই ইউটিউব এ হাজার হাজার শিক্ষা সংক্রান্ত কন্টেন্ট থেকে তার পড়ার অংশটুকু খুজে নিতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যরকম পাঠশালা, আমাদের স্কুল এরকম অনেকগুলো চ্যানেলে ফ্রি তে পুরো সিলেবাস এর ক্লাস দেওয়া রয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা কোচিং এ হাজার হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়ার বদলে এসব এসব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে বিনামূল্যে বা একদম ই স্বল্পমূল্যে মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে৷ 
  • মোবাইল ফোনকে যথাযথভাবে ব্যবহার করলে তা শিক্ষাজীবন কে করে তুলবে আরো সহজ ও সুন্দর। একজন শিক্ষার্থীরা চাইলে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিদিন সে কয় ঘন্টা পড়লো, আজকে সে কি কি পড়বে এধরণের টার্গেট সেট করতে পারে। এছাড়াও নিজের বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ খুলে কে কয় ঘন্টা পড়লো এ নিয়ে এক সুস্থ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে নিজেরা পড়ালেখা নিয়ে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া এসব অ্যাপ চলাকালীন সময়ে মোবাইল এর অন্য অ্যাপ ব্যবহার করা যায়না, তাই পড়াশোনার সময়ে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়না। যাদের পড়তে বসতে ইচ্ছা করেনা তারা এসব অ্যাপ ব্যবহার করে নতুন এক ধারা পাওয়ায় পড়ালেখায় বেশ আগ্রহী হয়ে উঠে এবং অধ্যবসায়ী হয়। Yeolpumta বা এরকম অনেক স্টাডি অ্যাপ রয়েছে যা দিয়ে এ কাজগুলো মোবাইলে করা যায়। 
  • বিভিন্ন ক্লাস প্রজেক্টের ডিজাইন, স্লাইড তৈরি ইত্যাদি সবগুলো কম্পিউটার এর পাশাপাশি এখন মোবাইল ফোনেও করা যায়। 
  • শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে এখন বিভিন্ন বিদেশী লেখকের বই যা হয়ত কিনে পড়তে অনেক টাকা খরচ হতো কিংবা অত সহজলভ্য নয় বাজারে, সেগুলোর পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে মোবাইলে পড়তে পারছে৷ এভাবে মোবাইল ফোন জ্ঞানার্জনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।

কর্মজীবনে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

কর্মজীবনে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

  • করোনাকালীন সময়ে অফিসের সকল কাজ ই করা হতো ”Work From Home” কন্সেপ্টে। বাসায় বসে অনলাইনে অফিসের বেশিরভাগ কাজ ই করা যায়। এছাড়াও অনেক অফিসে সপ্তাহে ১-২ দিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ রয়েছে। গুগল শিট, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট, WPS Office অ্যাপগুলোর মোবাইল ভার্সন রয়েছে এবং এগুলো ব্যবহার করে অফিসের অনেক কাজ এখন মোবাইলেই করা যায়। 
  • যারা বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করেন তারা এখন কম্পিউটার এর চেয়ে মোবাইলেই টাইপ করতে পছন্দ করে থাকেন। কারন এতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যে ও সহজে টাইপ করা যায়। ব্লগার বা কন্টেন্ট রাইটাররা এখন মোবাইল ব্যবহার করেই তাদের যত টাইপিং এর কাজ করে থাকেন
  • অফিসের বাইরেও কাজ এগিয়ে রাখতে কিংবা সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে মোবাইল ফোন ভূমিকা রাখছে৷ অর্থাৎ, অফিসের কিছু কাজ এর জন্য বা সহকর্মীদের পাওয়ার জন্য আর অফিস খোলা থেকে স্বশরীরে সবসময় উপস্থিত থাকার দরকার নেই। 
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ইলাস্ট্রেশন, ডিজাইন বা লোগো তৈরি ইত্যাদি কাজ এখন করা যায়। ফ্রিল্যান্সার যারা আছেন তারা কিছু কাজ এখন মোবাইল এর মাধ্যমেই করতে পারেন যা দিয়ে তারা অর্থ উপার্জন করেন। 
  • কর্মজীবনে প্রফেশনাল যোগাযোগ এর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাধ্যম হলো ইমেইল। আজ থেকে দশ বছর আগেও ইমেইল এর জন্য আলাদা ডেস্কটপ কম্পিউটার দরকার হতো, কিন্তু এখন মোবাইল এর মাধ্যমেই ইমেইল আদান প্রদান সম্ভব। এরফলে আপনি হয়ত রাস্তায় যাত্রাপথে আছেন, এর ফাঁকেই অফিসের সব দরকারি মেইল চেক করে নিতে পারবেন, আলাদা করে কম্পিউটার এর কাছে যাওয়ার অপেক্ষা করতে হবেনা। এতে সময়ের বেশ সাশ্রয় হয় এবং কাজে উৎপাদনশীলতা বেশ বৃদ্ধি পায়। 
  • চাকরি অনুসন্ধান ও আবেদন এর কাজ এখন সবকিছুই হয় অনলাইনে। বিভিন্ন অনলাইন সাইটে এখন চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, পাশাপাশি এসব সাইটে চাকরি চেয়েও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়ে থাকে। এভাবে মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চাকরির অনুসন্ধান সহজ করে দিয়েছে৷ 

সামাজিকতা রক্ষায় মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

সামাজিকতা রক্ষায় মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

  • বর্তমানে মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এর মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করার জন্য। আমাদের কোন বন্ধু কি করছে না করছে, তা এই ব্যস্ত জীবনে খোঁজ খবর রাখা অত সম্ভব না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এ কাজটি বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে। আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সাথে সর্বদা কানেক্টেড থাকতে পারছেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। যা আগে ছিলো বেশ সময়স্বাপেক্ষ ব্যাপার। 
  • মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো কল এর মাধ্যমে যোগাযোগ। এই বেসিক ফিচারটিই সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছে সামাজিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে। আগের চিঠি পৌছাতে যেখানে অনেক সময় লেগে যেতো এবং অত নিরাপত্তাও ছিলোনা, সে সমস্যাটি সমাধান করেছে মোবাইল ফোন। কোনো অনুষ্ঠাতে দাওয়াত দিতে চাইলে সকলকে চিঠির মাধ্যমে জানালে সময়মতো পৌছাবে কিনা, আসবে কিনা নিশ্চিত হওয়াটা যতটা ঝামেলার ছিলো, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ কাজটি ততটাই সহজে মাত্র কয়েক মিনিটে করা যাচ্ছে। এভাবে মোবাইল ফোন সম্পর্ক মজবুত করতে ও সামাজিকতা রক্ষায় সহায়তা করছে। 
  • মোবাইল এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে আরো সহজ। ইভেন্টে আয়োজক কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ এর জন্য যেমন আগের মতো ওয়াকিটকি কিনতে হচ্ছে না, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ইভেন্ট পেজ খুলে সবকিছু গোছানো ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে।

ব্যবসা প্রসারে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

ব্যবসা প্রসারে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

  • বর্তমানে ব্যবসার ধরণের এক অসাধারণ পরিবর্তন ঘটেছে। ভোক্তা ও বিক্রেতা, দুজনের কাছেই মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন একদমই সহজলভ্য হওয়ায়, দোকানের বাইরে অনলাইনেও বিপুল সংখ্যায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে। অনলাইন ভিত্তিক এ ধরণের ব্যবসাকে বলে ই-কমার্স৷ এতে ক্রেতা যেমন কম ঝামেলায় বাসায় বসে পণ্য পাচ্ছে, তেমনি বিক্রেতাদের ও পণ্য বিক্রি বৃদ্ধির মাধ্যমে লাভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • ব্যবসায় কত আয়-ব্যয় হচ্ছে, কোন ক্রেতার কত টাকার বাকি আছে, খরচ এর তালিকা করা ইত্যাদি সবকিছুর হিসাব এর জন্য দোকানদার রা এখন মোবাইল ফোনের ব্যবহার করছেন। বাংলাদেশী অ্যাপ ‘হালখাতা‘ সহ বেশ কয়েকটি অ্যাপের মাধ্যমেই এখন আরো গোছানো উপায়ে ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে। এভাবে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে ব্যবসার হিসাব রাখা সহজ হচ্ছে, বাড়তি খরচ কম হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের ঝামেলা কমছে। 
  • যেকোনো ব্যবসার অন্যতম বড় দিক হচ্ছে মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন। এখন মোবাইল ফোনের কারনে এ ব্যাপারটি আরো অনেক সহজ ও কার্যকরী হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবসার প্রচারণা তুলনামূলক কম খরচে আরো বেশি মানুষজনের কাছে করা সম্ভব। এভাবেই অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বড় প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে টেক্কা দিয়ে টিকে যাচ্ছে যেহেতু মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে সকলেই সুযোগ পাচ্ছে। 
  • মোবাইল ফোনের কারনে এখন ব্যবসায় লাভ ও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হচ্ছে। এখন ব্যবসায়ীরা বা বিভিন্ন কোম্পানী কোনো গ্রাহক কিছু অর্ডার করলে, তার মোবাইল নাম্বারে কিছুদিন পরপর ই বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে মেসেজ করে। এরফলে অনেক গ্রাহক পুনরায় সেই কোম্পানি থেকে পুনরায় পণ্য ক্রয় করেন এবং নিয়মিত কাস্টমার হয়ে যান। ব্যবসার ভাষায় এদের ‘রিটার্ন কাস্টমার’ বলে। এভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে আরো বেশি সংযুক্ত থাকতে পারছেন। ফলে ব্যবসায় বিক্রি বেশি হচ্ছে আর লাভ ও বেশি হচ্ছে।

বিনোদনে মোবাইল ফোন এর উপকারিতা

  • মোবাইল ফোন অনেক দরকারি কাজে ব্যবহার হচ্ছে, তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে বিনোদনের জন্য। এখন মোবাইলেই অনলাইনে লাইভ ফুটবল, লাইভ ক্রিকেট, সিনেমা দেখা, গান শুনা, গেমস খেলা সহ প্রায় সকল ধরণের বিনোদনমূলক কাজ করা যায়।
  • এখন পাবজি, ফ্রি ফায়ার সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গেমস এর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়, যাতে খেলোয়াড়রা মোবাইল ফোন নিয়ে অংশগ্রহণ করে থাকে। 
  • নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম ইত্যাদি ওটিটি প্লাটফর্ম এর সকল কন্টেন্ট এখন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে উপভোগ করা যায়৷ 

শেষকথা

মোবাইল আমাদের জীবনের এখন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে৷ দুই দশক আগেও যা ছিলো বিলাসীতা, এখন তা সর্বস্তরের জনগণের নিত্যদিনকার প্রয়োজন। মোবাইল ফোনের এতটা প্রসার ঘটেছে এর ব্যাপক উপকারি ভূমিকার কারনে। এ লেখাটি থেকে আপনারা মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন, এমনটাই কামনা করছি।

অনবরত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১) মোবাইল ফোন দিয়ে কি ডেস্কটপ কম্পিউটার এর সকল কাজ করা যায়? 

না, সকল কাজ করা যায়না। তবে অধিকাংশ কাজ ই করা যায়। কিছু কাজের জন্য বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, বড় হার্ডডিস্ক এর দরকার হয় যা স্বাভাবিকভাবেই ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো করে মোবাইলে থাকাটা সম্ভব নয়৷ তবে ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে। 

২) মোবাইলে কি ভালো ফটোগ্রাফি করা সম্ভব?

অবশ্যই সম্ভব। মোবাইল ফটোগ্রাফি এখন ফটোগ্রাফির জগতে বেশ প্রশংসনীয় ও সম্ভাবনাময় সেক্টর। মোবাইল ফোন দিয়ে বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করে নানান পুরষ্কার ও পাচ্ছেন ফটোগ্রাফাররা। তবে অবশ্যই, লাখ লাখ টাকার দামী ক্যামেরার কোয়ালিটির সাথে মোবাইল ফোন এর ক্যামেরার কোয়ালিটি ও ফিচারের তফাৎ থাকবেই। 

৩) ভালো মোবাইল কিভাবে চিনবো? 

ভালো মোবাইল চেনার জন্য আপনি ঠিক কি উদ্দেশ্যে মোবাইলটি ব্যবহার করতে চান, সে অনুযায়ী মোবাইল নির্বাচন করবেন। কিছু মোবাইল ফটোগ্রাফির জন্য ভালো, কিছু মোবাইল গেমস খেলা বা ভারী কাজের জন্য ইত্যাদি।

রিলেটেড আর্টিকেল গুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button